নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

" বনেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে "

আমি বন্য

আমি আমার মত। এলোমেলো জীবন যাপন ভালো লাগে! বদলে যাওয়া বাংলাদশের সপ্ন দেখতে ভালোবাসি।

আমি বন্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামায না পড়ার শাস্তি

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক পনেরটি আজাব নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন। পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায়, তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে, তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে।



#দুনিয়াতে ছয়টি আযাব



১, তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত হইবেনা।

২, আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন উঠাইয়া লইবেন।

৩, যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব পাইবেনা।

৪, তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল হইবে না।

৫, আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর অসন্তুষ্ট থাকবে।

৬, ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত করা হইবে।



#মৃত্যুর সময় আজাব তিনটিঃ




১, অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃতু্যবরণ করিবে।

২, ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।

৩, মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে, তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করিয়া ফেলিতে।



#কবরের মধ্যে তিনটি আজাবঃ



১, তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।

২, তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন জ্বালাইয়া রাখা হবে।

৩, আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে, দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। প্রত্যেক বার আঘাতের সময় বজ্রপাতের মত শব্দ হইবে এবং শরীর চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া পঞ্চাশ গজ মাটির নিচে চলিয়া যাইবে। সেই ফেরেশ্তা পুনরায় তাহাকে জীবিত করিয়া হাড় মাংস এক করিয়া আবার আঘাত করিতে থাকিবে। এই ভাবে কিয়ামত পর্যন্ত লোহার মুগুর দিয়া তাহাকে আঘাত করতে থাকবে।



#হাশরের মাঠে তিনটি আজাবঃ



১, একজন ফেরেশতা তাকে পা উপরের দিকে এবং মাথা নিচের দিকে অবস্থায় হাশরের মাঠে লইয়া যাইবে। আল্লাহ পাক তাহাকে অনুগ্রহের দৃষ্টিতে দেখবেন না। সে চির কালের জন্য দোযখী হইয়া নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে থাকবে।



নবী করিম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে আট শ্রেণীর লোকের উপর কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট থাকবেন। তাহাদের মুখের আকৃতি অত্যন্ত কুশ্রী ও ভীষণাকার হইবে। হাশরের মাঠে প্রত্যেক ব্যক্তি তাহাদিগকে দেখিয়া ঘৃণা করিবে।

এই কথা শুনার পরে সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! সে সমস্ত লোক কাহারা?

নবী করীম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বললেন —১, জ্বেনা-কারী ২, অবি-চারক বাদশাহ্ বা হাকিম। ৩, মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান। ৪, সুদখোর ৫, পর-নিন্দাকারী ৬, অন্যায়কারী এবং অত্যাচারী ৭, মিথ্যা সাক্ষীদাতা। ৮ বে-নামাযী।

ইহাদের মধ্যে বে-নামাযীর শাস্তিই বেশী হইবে। বে-নামাযীকে আগুনের পোশাক পড়াইয়া শিকলে বাঁধিয়া আগুনের কোড়া মারতে থাকবে। বেহেশত তাহাকে বলতে থাকবে তুমি আমার দিকে অগ্রসর হইওনা। দোযখ তাহাকে বলবে আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছি। তোমার দ্বারা আমার পেটের ক্ষুধা নিবারণ করব। এই বলিয়া দোযখ তাহার জিহ্বা বাড়াইয়া ভিতরে নিয়া যাইবে।



নবী করীম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, জাহান্নাম দোযখের মধ্যে লমলম নামে একটি কুপ আছে। উহা অসংখ্য সাপ বিচ্ছুতে ভর্তি। প্রত্যেকটা সাপ একটি পাড়ের সমতুল্য এবং একটা বিচ্ছু হাতির সমতুল্য হইবে। সেই সমস্ত সাপ বিচ্ছু সব সময় বে-নামাযীকে কামড়াইতে থাকিবে, একবার কামরাইলে সত্তর বৎসর পর্যন্ত তাহার যন্ত্রনা থাকিবে এবং কাহারও মৃত্যু হইবে না।



আল্লাহু আকবার!!!

কি ভয়ংকর!!!

হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে পাঁচওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন আর আমাদের সবাইকে এইসব ভয়ংকর আজাব থেকে রক্ষা করুন, এবং আমাদের সবাইকে বিনা হিসাবে জান্নাত নসীব করুন.........আমীন.........



সুত্রঃ Creator Creature & Civilization

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

রমনা টেক বলেছেন: হরতাল দিয়ে জনগণকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলার শাস্তি কি জানতে মুনচায়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২

আমি বন্য বলেছেন: কি হের মাঝে কি টাইনা আনলে বুঝা দায়।। মানুষ আজ কুটিল বুদ্ধিসম্পুর্ন

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

আহলান বলেছেন: সবই নামাজের প্রতি মনোযোগী হবার এবং আল্লাহ তায়ালার হুকুমের পাবন্দি করার জন্য আলোচিত। সেই সাথে এই কথাও বলিতে হইবে যে, হালাল রুটি রুজী ছাড়া কোন বন্দেগীই কবুল হইবে না। সারা বছর ঘুষ খাইয়া ভুড়ি বড় করিলাম, পাচ ওয়াক্ত নামাজও পড়িলাম, বয়সকালে সেই পয়সা দিয়ে হজ্জ সারলাম, বড় মক্তব মাদ্রাসা করিলাম তাহাতে কোনই ফায়দা হইবে না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

আমি বন্য বলেছেন: যা বলিয়াছেন সত্য কথা তবে ইসলাম মানে আপনাকে সব মানতে হবে ইস্লামের ভিতরে যা কিছু আছে।
মডারেট ইসলাম বলে কিছু নেই

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

হিংস্র ঈগল বলেছেন: রমনা টেক বলেছেন: হরতাল দিয়ে জনগণকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলার শাস্তি কি জানতে মুনচায়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

আমি বন্য বলেছেন: কি হের মাঝে কি টাইনা আনলে বুঝা দায়।। মানুষ আজ কুটিল বুদ্ধিসম্পুর্ন

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

রবিউল ৮১ বলেছেন: হালাল রুটি রুজী ছাড়া কোন বন্দেগীই কবুল হইবে না। সারা বছর ঘুষ খাইয়া ভুড়ি বড় করিলাম, পাচ ওয়াক্ত নামাজও পড়িলাম, বয়সকালে সেই পয়সা দিয়ে হজ্জ সারলাম, বড় মক্তব মাদ্রাসা করিলাম তাহাতে কোনই ফায়দা হইবে না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

আমি বন্য বলেছেন: হালাল রুজি অবশ্যই জরুরি। অটাও যেমন করতে হবে।। নামাজ পড়াটাও আবশ্যক

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

আল ইফরান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
ভালো লাগলো নতুন কিছু জেনে ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

আমি বন্য বলেছেন: ধন্যবাদ ।। ভালো থাকবেন

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ভয়ানক বিষয় !!!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

আমি বন্য বলেছেন: রাফাত ভাই আসলেই অনেক ভয়ানক।।

ভয় আর ভালোবাসা.। তাকওয়া দিয়ে মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৫৬

মনিরুল হাসান বলেছেন: ভালো পোস্ট। পড়ে অন্য কেউ উল্টাপাল্টা মন্তব্য না করলে ভালো হতো।

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

নীল আতঙ্ক বলেছেন: পোস্ট টা তে মন্তব্য করার কিছু নেই।
দরকারি আর উপকারি একটা পোস্ট।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.