নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাচীন বাংলার বৌদ্ধ বিহার গুলো কেবল ধর্মীয় উপাসনালয় ছিল না বরং এগুলো ছিল একেকটা আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। ভিক্ষুরা ছিলেন উপাসনালয়ের আবাসিক ছাত্র। ভাসু বিহার এরকমই একটা বিহার যেটি সম্ভবত খ্রিস্টীয় ৮ম শতকের দিকে অর্থাৎ পাল আমলে খ্যাতির চূড়ায় ছিল। এখানে দুটি বড় আকারের মঠ আছে যেগুলোর মাঝখান টা বিরাট হলঘরের মত। সম্ভবত এই ঘরগুলোতেই ক্লাস নেওয়া হতো। আর হলঘরের চারদিকে ছিল ছাত্রদের থাকার জন্য আবাসিক কক্ষ। দুটো বিহার মিলিয়ে মোট ৫৬ টি এরকম কক্ষ আছে। ১২/১৩ শ বছর আগে এইরকম শিক্ষা ব্যবস্থার কথা আমাদের অঞ্চলের লোকেরা ভাবতে পেরেছিলেন সেটা ভেবে আমি রীতিমতো শিহরিত। নিজের রুম থেকে বের হয়ে কয়েক কদম হেঁটে গেলেই ক্লাস রুম, কোন গাড়ি ঘোড়ায় চড়ার ঝামেলা নেই, লেট হওয়ার কোন চান্স নেই কোন টপিক বুঝতে অসুবিধা হলে হাতের কাছেই বিজ্ঞ পন্ডিতদের পাওয়া যায়, শিক্ষার জন্য এরচেয়ে ভালো পরিবেশ আর কি হতে পারে! আর এখান থেকে পাহাড়পুর বা সোমপুর মহাবিহারের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিশ্চয়ই যোগাযোগ ছিল। আমার কল্পনা করতে আরাম লাগতেছিল যে সোমপুর বিহার থেকে কোন বিখ্যাত শিক্ষক ঘোড়ার গাড়িতে চেপে ভাসুবিহারে এসে গেস্ট টিচার হিসেবে ক্লাস নিয়ে আবার বিকেলে সোমপুরে ফিরে যাচ্ছেন। কারণ সেসময় সোমপুর বিহার কেবলমাত্র মাইটি নালন্দার সাথেই তুলনীয় ছিল। এই জায়গা যখন জ্ঞান চর্চার তীর্থস্থান ছিল তখন শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপংকরের এখানে আসার সম্ভাবনাও আমি কল্পনার চোখে দেখতে পাই। এই স্থান গুলো তে, এই কক্ষগুলোতে, এই টানা বারান্দায় কত জ্ঞানী গুণী মানুষ হেঁটে বেরিয়েছেন, কত আনন্দ বেদনা স্বপ্ন, কত ঘটনা দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে এই লালচে ইটগুলো এসব ভেবে আমি উদাস হয়ে যাই। সেইসাথে আফসোস ও লাগে এই ভেবে যে এইরকম একটা সভ্যতার উত্তরসূরী হয়েও আমাদের দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পায় না! আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার এই অনগ্রসরতা এক বিরাট দীর্ঘশ্বাসের নাম।
ভ্রমণসঙ্গীঃ নাজমুল আলম নীল
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
সোনাগাজী বলেছেন:
অপ্রয়োজনীয় কিছু একটা পড়াতো হয়তো, এখন আরাকানে স্হানান্তরিত হয়েে সেইসব ইউনিভার্সিটিগুলো।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬
কামাল৮০ বলেছেন: বকতিয়ার খিলজি সবকিছু ধ্বংস করে না দিলে আনেক ইতিহাস জানা যেতো।হায়রে বকতিয়ারের ঘোড়া,এইঘোড়া আমাদের সব কিছু নষ্ট করে দেয়।পুড়িয় দেয় অনেক বিহার।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬
noyon2009 বলেছেন: আসলে এইটা একটা অমিমাংসিত বিষয়। উনি যে ধংস করেছে তার দালিলিক প্রমান নেই।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছবি গুলির মাঝে এক এক গ্যাপ দিলে দেখতে আরো ভালো লাগতো।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পোস্টে ++++ আমাদের উত্তরের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব ফোকাস করে পর্যটনের বিকাশ হলো না এটাই দুঃখ।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০২
শ্রাবণধারা বলেছেন: সোনাগাজী স্যার বলেছেন: অপ্রয়োজনীয় কিছু একটা পড়াতো হয়তো, এখন আরাকানে স্হানান্তরিত হয়েে সেইসব ইউনিভার্সিটিগুলো।
সোনাগাজী স্যার, আপনে তো অর্থনীতি বিষয়ে বেশ পড়ালেখা করেছেন। আপনে অমর্ত্য সেন নাম লিখে উইকিপিডিয়ায় সার্চ দেন। দেখেন অমর্ত্য সেন যাদের দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড তাদের মানের মধ্যে একেবারে প্রথম নামটা কি লেখা আছে।
আপনি অনেক ভাল লিখেছেন ভাই। পোস্টে প্লাস।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৬
ইমরান আশফাক বলেছেন: কামাল৮০ বলেছেন: বকতিয়ার খিলজি সবকিছু ধ্বংস করে না দিলে আনেক ইতিহাস জানা যেতো।হায়রে বকতিয়ারের ঘোড়া,এইঘোড়া আমাদের সব কিছু নষ্ট করে দেয়।পুড়িয় দেয় অনেক বিহার।
এটা একটা বিতর্কিত বিষয় যে বাখতিয়ার খিলজি এটা ধ্বংস করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক অনেক গবেষনায় এটা দেখা যাচ্ছে যে উনার সময়ের আগেই এটা ধ্বংস হয়েছিল বা এইরকম কিছু একটা। কোথায় কোথায় এটা পড়েছিলাম সেই লিন্কগুলি আবার খুজে পেলে এখানে জানাবো।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কি পড়ানো হতো?