নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এন সি নীল

মানুষ হবার প্রচেষ্টায়

নীলমেঘ আমি

nu

নীলমেঘ আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারী চাকরী ওরফে গু জব

২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

ইতিমধ্যেই গুজব উঠেছে যে বিসিএসের প্রশ্ন নাকি ফাঁস হয়েছে। আ জব তো বেশীর ভাগ সরকারী চাকরীই তো গু জব। এই গু জবের জন্য মানুষ এতো পাগল??? বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করে এই গু জব প্রাপ্তির জন্য। দিন নাই, রাত নাই সব সময় পড়া আর পড়া!!!



৮ নাম্বার বাসে যারা কন্ট্রাকটারি করে তারা প্রতিদিন ১০০০ টাকার উপরে উপার্জন করে। সপ্তাহে ৫ দিন ডিউটি দিলে মাসে ২০,০০০। আর গু জবের ২০,০০০ টাকা সেলারি (উপরি ইনকাম ছাড়া) অনেক কিছু।



এই গু জবে ঢোকা যেমন কষ্টের বের হওয়াও তেমনি কষ্টের। মানুষ বৈচিত্র্য খুজে, কর্ম ক্ষেত্রেও মানুষের বৈচিত্র্যতা মানুষকে দক্ষ করে তুলে। ৫০ বছর ধরে একই ফিল্ডে কাজ করা অথবা ঐ ফিল্ডেই প্রোমোশন হওয়া অনেকটা একঘেয়েমি ছাড়া কিছুই না।



গু জবে আপনার জন্য নির্ধারিত চেয়ারে একটা অন্য শিক্ষিত মানুষকে বসালেও সেও আপনার কাজ করতে পারবে। অর্থাৎ আপনার এমন কোন বালের দক্ষতা নেই যা দিয়ে আপনি ঐ চেয়ারটির শোভা বর্ধন করবেন। রুটিন মাফিক কিছু কাজ আর কলমের খোঁচা যেকোনো শিক্ষিত মানুষই মারতে পারে।



কর্ম ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যতা অর্থনৈতিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করে। আপনি একটা জব থেকে আরেকটা জবে তখনই শিফট করবেন যখন সেই জবটি আপনাকে বেটার ফ্যাসিলিটি এবং বেটার সেলারি দিবে। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে করতে আপনার দক্ষতা বাড়বে, যেখানে গু জবে একই পরিবেশে অফিসে আসা ও যাওয়া এবং মধ্যের সময় গুলো বোরিং আড্ডা দিয়ে আপনার সময় কাটবে।



যারা চেলেঞ্জিং তারা কখনই গু জব করে না। বরং যাদের চ্যালেঞ্জ নেবার সামর্থ্য নেই, যারা নিরাপদ ভবিষ্যতের অন্বেষণ করে তারাই এই গু জব করার স্বপ্ন দেখে। যদিও বাস্তবতা হল আমাদের দেশে দ্বিতীয় ধরনের মানুষিকটার মানুষই বেশী।



গু জব করা অবস্থায় ব্যাক্তি স্বাধীন ভাবে তার মত প্রকাশ করতে পারে না। সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলার অধিকার থাকে না তার। সরকারের সকল অন্যায় অত্যাচারও সে মুখ বুঝে সহ্য করতে বাধ্য হয়। প্রচলিত সমাজের চিন্তার বাইরে গু জব করা ব্যাক্তি তার চিন্তাকে কখনই প্রকাশ করতে পারে না। এই কারনেই তসলিমা নাসরিন এই গু জব ছেড়ে দেন। গু জব করা ব্যাক্তির সভা সমিতি সংগঠন করার অধিকারও শর্ত শাপেক্ষ।



অনেকেই বলেন যারা এতো প্রতিযোগিতার মধ্যে নিজেকে প্রমান করে তারা আসলেই মেধাবী। কিছু গদবাধা অবজেক্টিভ ও প্রশ্ন পড়ে মেধাবী কতটা হওয়া যায় তা বিতর্কিত তবে চাকরী পাবার ২ মাস পর থেকেই ঐ মেধাবী তার মেধা হারানো শুরু করে। ২ বছর পর তার মেধা সে যে কিছুই দেখাতে পারবে না এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আপনি কাকে মেধাবী বলবেন, যে অফিসে বসে ২ টা কলমের খোঁচা মারে তাকে না যে বাসের প্রত্যেকটা যাত্রী কোথায় নামবে উঠবে তা হিসেব রেখে সঠিক ভাড়া আদায় করে তাকে???



আমি এই গু জবকে কখনই পছন্দ করি না। তবে আমার বাবা মার স্বপ্ন তার ছেলে একটি গু জব করুক। বিয়ার বাজারেও গু জব করা বলদ ভালো দামে জবাই হয়।



তবে লজ্জার কথা আজকে আমি প্রস্তুতি ছাড়াই এই গু জবের পরীক্ষা দেই। মা আমাকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে (তার স্বপ্ন, তার আশা, তার আকাঙ্ক্ষা ……) পরীক্ষা দিতে বাধ্য করে। এই বৃষ্টিতে একেবারে সকালে ঘুমেকে গুম করে গু জব নিয়ে কামড়া কামড়ি করতে আমিও গেছিলাম। প্রশ্ন বেশ সহজ এসেছে। আমি যেগুলো পারি না সেগুলোও ভরাট করছি (গোল্লা ভরাট করতে আসলেই খুব মজা)। নেগেটিভ মারকিং করে যা ফলাফল আসবে তাতে মা কে যেন আমি বলতে পারি যে মা আমি চেষ্টা করেছিলাম।

কারো কর্মানুভুতিতে আঘাত করে থাকলে দুঃখিত।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

ফ্রিঞ্জ বলেছেন: বিয়ার বাজারেও গু জব করা বলদ ভালো দামে জবাই হয়। B-) B-)

২| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

হাসান মাসুম বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে যে কেউ বুঝবে আপনার চাকরির ধরন এবং চাকরির বাজার সম্পর্কে ধারনা কত কম। বেসরকারি চাকুরি সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারনা যেনে রাখুন অনেক মালিক আপনি যে তার অধিনস্ত চাকর এটা আপনাকে খুব ভালোমত বুঝিয়ে দেবে। আর সরকারি চাকুরি পাওয়াটা এত সহজ ব্যাপার না । অনেকের কাছেই সরকারি চাকরি না পেয়ে আঙ্গুর ফল টক মনে হয়।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

মোঃ জুম্মা বলেছেন: সরকারি চাকরির গ্রেট বিষয় হলো আপনাকে স্যাক করলে আপনি মামলা করতে পারবেন । এবং বসে বসে বেতনও নিতে পারবেন। আমাদের দূর্নীতি সচিব বা কর্মচারীরা এটাতে অবিজ্ঞ।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২২

নুসরাত আহসান বলেছেন: আঙ্গুর ফল টক!

৫| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১৫

এম এম ইসলাম বলেছেন: ভাই, আপনার লেখা কিছুটা সত্য তবে সম্পূর্ণ নয়। হাসান মাসুম বেসরকারী জবের ব্যাপারে আপনাকে কিছুটা ধারনা দিয়েছে। সরকারী চাকুরীর ব্যপারে মেধাহীন কলমের সামান্য খোচা- আপনার এই ধারনা সরকারী নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীর জন্য প্রজয্য হতে পারে কিন্তু বিসিএস ক্যডার বা ১ম শ্রেনীর কর্মকর্তার জন্য একেবারেই ঠিক নয়।তাদের কাজের ধরন নিয়া আপনার কোন ধারনা নেই। এখনো চাকুরীতে প্রবেশ করেন নি। অভিজ্ঞতার অভাবে বা না জানার কারনে এমনটি ভাবছেন।
আর একটি বিষয় মাথায় রাখবেন চাকরী মানেই গোলামী। সেটা সরকারী হোক বা বেসরকারীই হোক।আর আপনি চ্যালেঞ্জ, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, মেধা, স্বাধীন মতামত, সৃজনশীলতা ইত্যাদির যে প্রশ্ন তুলেছেন তার সবই প্রয়োগ করতে পারবেন চাকুরী না খুজে ব্যবসায় যোগ দিলে। চাকুরী না খুজে উদ্যোক্তা হোন, অন্যকে চাকুরী দিন। প্রাইভেট যবে কিন্তু সারাজীবন একজন উদ্যোক্তার গোলামী করে যাবেন।
চাকুরী করে শুধুমাত্র আমার মতো ভিতু মানুষেগুলো।
ভাল থাকবেন।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

আরিফ আরাফাত রুশো বলেছেন: ইস্ট & ওয়েস্ট মেডিক্যাল ইজ দ্যা বেস্ট

৭| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১:০৫

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
খিজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জ

আসলে মানুষ নিরাপত্তা চায় - আর ফাকিঁবাজি সাথে ঘুস মিসানো চরম ককলেট পাইলে আর কি


( আপনি-আমি সৎ সুযোগের অভাবে - আর হাতে গুনা অল্প কিছু মানুষ সৎ ধর্মের বিশ্বাসে ) :-P :-P :-P :-P

৮| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩২

ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন: দারুন লিখেছেন!
আমার প্রতিভা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট থাকা সত্ত্যেও আমি গত দুই বছর একটা গুজবের জন্য অনেক কিছু করেছি, এবছরই আমার লাষ্ট বছর(৩০) সার্কুলার(যদি আমি পাই) এ্যাপ্লাই করে পরিক্ষা দিয়ে ভাইবা দিয়ে মেরিট প্যানেলে এসে গুজবে জয়েন করে মা বাবা কে যেন বলতে পারি নেও মা তোমাদের স্বপ্ন পুরন করলাম, এইরকম একটা চান্স নাও পেতে পারি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.