![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক আগে একটি সিনেমায় দেখেছিলাম, নায়িকা শত্রুর আস্তানায় বন্দি। নায়ক আল্লাহার কাছে দুয়া করে যেন তার কোন ক্ষতি না হয়। আর এই দুয়াতে নায়িকার কাছে গায়েবীভাবে আসতে থাকে খাবার, পানি, নতুন জামা, লাল দোপাট্টা আরো যা যা দরকার সব এমনকি ভিলেনও তার কোন ক্ষতি করতে পারে না অলৌকিকভাবে! তবে সিনেমাও মাঝের মধ্যে বাস্তব হয়। সবই আল্লাহার ইচ্ছা।
১৭ দিন অন্ধকার প্রকোষ্ঠে থাকার পরে আলোতে এসে রেশমার তাকানোর কথা নয়। অথচ ষ্ট্রেচারে শুয়ে সব সুন্দরভাবে দেখছিলো রেশমা। আপনি ১৭ দিন নয় মাত্র ১৭ ঘণ্টা ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে থেকে সূর্যের আলোয় বের হন, আপনি তাকাতেই পারবেন না। তবে রেশমার ক্ষেত্রে সবই আল্লাহার ইচ্ছা। ১৭ দিনের না খাওয়া মানুষের চোখের সঙ্গে রেশমার চোখের কোনো মিল নেই। তার চোখে ভয়ংকর কোনো মলিনতাও ধরা পড়েনি। এমনকি সে ভীতও ছিল না। তার শরীরের কোথাও আচর বা ক্ষত ছিল না, যদিও জামা কাপড় নাকি তার রডে বেধে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছিঁড়ে যায়। সবই আল্লাহার ইচ্ছা।
১৭ দিনে ৪ পিস বিস্কুট আর ২ বোতল পানিতে বাঁচলে যেভাবে একটা মানুষ শুকিয়ে যাবার কথা, রেশমার তা হয়নি। তার শারীরিক কোন সমস্যা ছিল না বলেই ডাক্তাররা সাথেসাথেই জানিয়েছেন। সবই আল্লাহার ইচ্ছা। ১৭ দিনে রেশমার নখ হাফ সেন্টিমিটার বড় হওয়ার কথা, অথচ দেখা যায় রেশমার নখ সুন্দর করে কাটা! ১৭ দিনে দাঁত না মাজলে যে হলুদ দাঁত হবার কথা, ষ্ট্রেচারে দেখা যায় সুন্দর সাদা দাঁত বের করে দেখাচ্ছে রেশমা! সবই আল্লাহার ইচ্ছা।
উদ্ধারকারী সেনারা প্রথমে জানিয়েছিল, রানা প্লাজার বেইজমেন্টে মসজিদের ভিতরে আবিস্কার হয়েছে এই বেশম্ভব ভাগ্যবতী কন্যা। সেখানে পানির অভাব ছিল না। খাবারও ছিল প্রচুর। কিন্তু ঘন্টা চারেক পরে জিওসি সাহেব এসে সাংবাদিকদের বললেন, রেশমা উদ্ধার হয়েছে দোতলা থেকে। আর সেখানে খাবার দোকান ছিল, সেই খাবার খেয়ে দিন পার করেছে রেশমা। সবই আল্লাহার ইচ্ছা। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমা বাংলানিউজকে বলেন, “আমি ১৭ দিন পানি খেয়ে বেঁচেছিলাম। ভবন ধসের পরপরই আমি ভবনের নিচে আটকা পড়ি। পরে বাঁচার জন্য ভবনে অবস্থিত নামাজ ঘরে চলে যাই। উদ্ধারকর্মীরা ওপর থেকে নানা সময়ে বোতলজাত পানি পাঠান। আমি সেখান থেকে দুই বোতল পানি সংরক্ষণ করে রাখি। সেই বোতলের পানি আমি প্রতিদিন অল্প অল্প করে খেয়ে জীবন বাঁচাই, এভাবে ১৫ দিন চালায় রেশমা। শেষ ২ দিন আর কিছু খায়নি সে। একটা পাইপ দিয়ে দম নিয়েছে সে। সবই আল্লাহার ইচ্ছা।
ওদিকে রেশমার বরাত দিয়ে মেজর মোয়াজ্জেম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, “ধসে পড়ার দিনই রেশমা সঙ্গে কোন খাবার নিতে পারেননি। কেবল তার হ্যান্ডব্যাগে ছোট চার প্যাকেট বিস্কুট ছিল। সেগুলোই অল্প অল্প করে খেয়েছেন। উদ্ধারের পর পর সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন উদ্ধারকারী সেনা সদস্যকে, রেশমাকে একদম সুস্থ মনে হয়েছে। তাঁর জামাকাপড়ও অক্ষত ছিল। এটা কীভাবে সম্ভব? উদ্ধারকর্মী জানান, রেশমার কাছে শুকনো খাবার ছিল বলে তিনি জানতে পেরেছেন। রেশমা তাঁকে বলেছেন, ‘অনেক খাবার ছিল। তিনি খাইতে পারেননি।’ অবশ্য সর্বশেষ সাংবাদিক সম্মেলনে রেশমা দুই বোতল পানি আর ৪ পিস বিস্কুটে এসে স্থির হয়েছে। “জাষ্ট একটু পানি খাইছি, আর কিছু খাইনি” এই দিয়ে কেটেছে ১৭ দিন!! সবই আল্লাহার ইচ্ছা।
রেশমাকে কিভাবে পাওয়া গেলো? প্রথম সংবাদে প্রকাশ পায়, মনোয়ার নামের ১৫ বছর বয়সী এক স্বেচ্ছাসেবী কিশোর প্রথম দেখতে পায় রেশমার পাইপ নড়াচড়া। রেশমা বলে ওঠে, “ভাই, আমাকে বাঁচান।” পরে জিওসি সাহেব সে দাবী বদলে ফেলেন, তিনি বলেন, মনোয়ার নয়, রেশমাকে খুজে পেয়েছে ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক। আর রেশমার প্রথম শব্দ ছিল, “স্যার আমাকে বাঁচান।” রেশমার পড়নে নতুন কাপড় ও ওড়না প্রসঙ্গে মেজর মোয়াজ্জিম জানিয়েছিলেন, ভেতরে ধুলাবালি ছিল না, তাই রেশমার কাপড় পরিস্কার ছিল। পরে সে ভার্সন বদলে নতুনভাবে জানানো হয়, অন্য মৃতদেহ থেকে কাপড় খুলে পড়েছে রেশমা। সেটা নিয়েও যখন সন্দেহ প্রকাশ করা হরে নতুন ফর্মুলা বের হয়- রানাপ্লাজার দোকান থেকে কাপড় এনে এই কয়দিন অদল বদল করে পড়েছে রেশমা! সবই আল্লাহার ইচ্ছা।
সর্বশেষে রেশমার ভার্সনটা আমাদের শুনতে হবে। তাতে সে বলছে তার হাটাচলা করার সুযোগ ছিল না ওখানে। এই ১৭ দিন সে শুয়ে ছিল ৩/৪ ফুট উচু দেয়াল চাপার মধ্যে। অর্থাৎ সে কোথাও যেতে পারেনি, মসজিদেও না। এমনকি পানি সংরক্ষনের ফর্মুলাও এখানে অচল হয়ে যায়। তার জামাকাপড় ছিড়ে গিয়েছিল, এবং পরনে কোনো কাপড় ছিল না। উদ্ধারের দিন টর্চ লাইট দিয়ে কাপড় খুজে এনে পরিধান করে। ঐ সময়ও তার চিন্তা হয়, কিভাবে এখন থেকে যাবে..সে ত একজন মেয়ে, ছেলে না!! (তখন উদ্ধার হওয়া নয়, তার মাথায় তখন ছেলে মেয়ের বৈষম্য!) আর কর্নেল আরশাদ ব্যাখা করেন, কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে পড়ে রেশমা, সেখান থেকে কাপড় এনে শুয়ে শুয়ে পরিধান করে। কাপড় আনলেন হেটে হেটে খুঁজে, আর পরিধান করলেন শুয়ে শুয়ে। সবই আল্লাহার ইচ্ছা।
কেউ কেউ জামাত শিবির বইলা ট্যাগও দিতে পারেন আমাকে। তবে সত্য তা সে সব সময়ই সত্য তা জামাতি দের মুখনিঃসৃত হইলেও সত্য। সবই আল্লাহার ইচ্ছা।
২| ২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
মদন বলেছেন: সবই আল্লাহার ইচ্ছা।
৩| ২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
নীলমেঘ আমি বলেছেন: মন্তব্য করেছি। আল্লাহ বড়ই দয়াময়।
৪| ২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:১৫
মোমের মানুষ বলেছেন: একটি মেয়ে দীর্ঘদিন পর জীবীত ফিরে এসেছেন। আর সেটা নিয়েও শুরু হল ক্যাচাল
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: নিশ্চয় তাঁর মধ্যে কিছু আছে, আসুন সবাই রেশমার মুরিদ হই
Click This Link