নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এন সি নীল

মানুষ হবার প্রচেষ্টায়

নীলমেঘ আমি

nu

নীলমেঘ আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুদ কি আসলেই খারাপ?

৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০





সুদ কি আসলেই খারাপ? প্রশ্নটা হয়তো একটু বিদঘুটে মনে হল, কারন আমাদের প্রচলিত ধর্ম ও প্রচলিত সমাজের চেতনায় এই জিনিশটা আমরা বেশীর ভাগ মানুষ কমবেশি সবাই খেলেও এটিকে খারাপ বলেই ভাবি। আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা সুদ ছাড়া অচল। সুদের লেনদেনের পদ্ধতি গতানুগতিক এবং আধুনিক যেকোনো ভাবেই হোকনা কেন, সুদ কখনই আমার কাছে খারাপ কিছু মনে হয়না। নিম্নে এই ব্যাপারে সংক্ষেপে আলোচনা করলামঃ



গতানুগতিক পদ্ধতিতে একজন ব্যাক্তি সুদের ব্যাবসা করে, তার কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে সুদ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে টাকা ধার নেয়। এই ক্ষেত্রে টাকা ধার নেবার সময় টাকা গ্রহীতা এবং দাতার মধ্যে একটা চুক্তি হয়, এই চুক্তি নিয়ে যদি প্রতারণা না হয় তাহলে আমি এর মধ্যে অনৈতিক কিছু দেখি না। একজন টাকা গ্রহীতা হিসেবেই বলবো দাতা আমাকে ডেকে আনেনি, বরং আমি আমার অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে তার কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি নির্ধারিত লাভ দেবার প্রতিশ্রুতিতে। যদিও এই ধরণের গতানুগতিক পদ্ধতি এখন আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যাবস্থায় কমে গেছে, আর সুদ নিয়ে প্রতারণাও মানুষ শিক্ষিত হবার সাথে সাথে কমে যাচ্ছে। একটা পর্যায়ে আধুনিক ব্যাংকিং ব্যাবস্থার বিপ্লবের সাথে সাথে এই ধরণের সুদ আদান প্রদান সম্পূর্ণ উঠে যাবার সম্ভাবনা অনেক বেশী।



আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যাংক বা অন্য কোন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্ধারিত টাকা প্রদান করলে একটা লাভ দেয়া হয় যাকে আমরা সুদ বলি। আধুনিক অর্থনৈতিক চাকা এই সুদ ছাড়া কল্পনাও করা যায়না। আপনি কোন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত অর্থ তখনই রাখবেন যখন আপনি সিকিয়র ফিল করবেন এবং তা থেকে একটি লাভ পাবার নিশ্চয়তা পাবেন। যে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে আপনি গচ্ছিত অর্থ দিচ্ছেন তারা কিন্তু বসে বসে আপনার টাকা পাহারা দিয়ে আপনাকে লাভ দিচ্ছে না, বরং ঐ টাকা তারা অন্য জায়গায় খাটিয়ে, ব্যাবসা বাণিজ্য করে আপনাকে লাভের ক্ষুদ্র অংশ দিচ্ছে। তাই এই ধরণের সুদের উপরও আপনার হক আছে এবং এটা দোষের কিছু নয়।



সব ধরণের সুদই উপরের দুই ধারার মধ্যে কমবেশি পরবে। সুদ খারাপ কিছু নয় যতক্ষণ না তা নিয়ে কোন প্রতারণা হচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিতেও সুদ নিয়ে প্রতারণা হয়, অনেক প্রতিষ্ঠান উচ্চ হারে সুদ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে আসল নিয়েও ভেগে যায়। তাই বেশী বেশী সুদ খান তবে খাবার আগে প্রতারিত হবেন না এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে খান।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

পথহারা সৈকত বলেছেন: জুমাদ.................... X( X(

২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

দি সুফি বলেছেন:

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

নীলমেঘ আমি বলেছেন: ভাইসাব রাগ করতেছেন কেন??? :( :( :(

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

মদন বলেছেন: আপনি যদি নিজেকে মুসলমান মানেন তাইলে আপনার জন্য সুদ হারাম। আর যদি নিজে মুসলমান না হোন তাইলে তো সমস্যা নাই।

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: সহজ কথাঃ এইডা হারাম

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

নীলমেঘ আমি বলেছেন: ধর্ম আমাকে হারাম বলছে বলেই আমি হারাম মেনে নিবো এমন কোন কথা নেই। আমি আমার বুদ্ধি, বিবেচনা, যৌক্তিকতা দিয়েই ভালো মন্দ নির্বাচন করি। আপনাদের ক্ষেত্রে আপনারা কি করবেন এটা আপনাদের ব্যাপার। ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

মদন বলেছেন: আপনি নাস্তিক কইলেও হইতো। এতোজন কষ্ট কইরা কমেন্ট করতো না।

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪১

এনজেল মাইন্ড বলেছেন: সুদ কে আল্লাহ পাক হারাম করেছেন। আর এটা কেয়ামত পর্যন্ত হারাম থাকবে।
আমাদের কাছে সেটাই যুক্তিপূর্ণ মনে হয় যেটা আমরা শুধু সমসাময়িক অবস্থা , পরিবেশ থেকে দেখি, কিংবা শুনি ।তাই আমাদের সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে আল্লাহ পাকের অসীম জ্ঞানের সিদ্ধান্ত কে আমাদের বোধগম্য নাও হতে পারে ।

উদাহারন ঃ আমাজন জঙ্গলের কোন জংলী কে যদি বলেন যে '' জামা কাপড় না পড়ে নেংটা হয়ে আছিস কেন? জানিস না এটা অসভ্যতা, অশ্লীলতা ?'''

আমাজনের ঐ জংলী তখন ''নীলমেঘ আমি''র মত যুক্তি দিয়ে উত্তর দিবে ' এত গরম এ জামা কাপড় এর দরকার কি? আর আমার জাতির কেও তো জামা পরে না, জামা পরার যুক্তি কতা নাই''

এখানে সে তার জ্ঞান আর পরিবেশ কেই যুক্তি দেখাবে।

৯| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন: সুদ খুবই মুজার , খান খাইতেই থাকেন।

১০| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৬

অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: ব্যাংক তাদের কাছে গচ্ছিত টাকা অন্য জায়গায় খাটায় না। ব্যাংক মানুষকে বেশী সুদের হারে টাকা ধার দেয় আর মানুষের টাকা অল্প সুদের হারে নিজেদের কাছে জমা রাখে। মাঝখানে এই সুদের হারের ব্যবধানটাই ব্যাংকের লাভ এবং এটাই তাদের ব্যবসা।

বিশ্বে মূল্যস্ফীতির হার তখন থেকে চরম মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে যখন থেকে ব্যাংকিং প্রথা শুরু হয়েছিল।

বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংকে যে পরিমান টাকা জমা আছে সেটা যদি ব্যবসায় খাটানো হত তাহলে পৃথিবীতে এত মানুষ দরিদ্র থাকত না।

ব্যাংকের কারনে টাকা শুধু একটা মুষ্টিমেয় শ্রেনীর কাছে চলে গিয়েছে। পৃথিবীতে ধনী-গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক বৈষম্যের একটা অন্যতম কারণ ব্যাংক।

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২১

আমায় ডেকো না বলেছেন: এই পৃথিবীতে কত যে , জিনিস বা চীজ আছে। তেমনি এক চীজ হইল এই ব্লগার। ব্যাটা ছুপা নাস্তিক। কিন্তু ভাবডা দেখেন যেন বিরাট বিজ্ঞানী হইছে। নোবেলটা খালি পায় নাই। জিগাই মাসে টাকা পায় এই সব দালালি মার্কা ব্লগিংয়ের জন্য।

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩৪

সাাজ্জাাদ বলেছেন: এক দিরহাম সমমানের সুদ খাওয়া মানে নিজের মা এর সাথে চল্লিশবার যেনা করার সমান গুনাহ। আস্তাগফিরুল্লাহ।

ভাই,আপনি হইত না জেনে কথা গুলো বলেছেন। আল্লাহ আপনাকে তৌফিক দান করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.