নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইনসাফ

নূর আফতাব রুপম

নূর আফতাব রুপম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য হলে আমি যেন ঈমান নিয়ে মরতে না পারি; শেষ বিচারে আমি থাকবো বাদী: ট্রাইব্যুনালে সাঈদী: আবেগময়ী ও মর্মস্পর্শী ট্রাইব্যুনালে পিনপতন নিরবতা

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪১

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায়ের তারিখ ঘোষণার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে আজ বৃহস্পতিবার মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে মাত্র আড়াই থেকে তিন মিনিট আবেগময়ী ও মর্মস্পর্শী বক্তব্য রাখেন। নিজেকে বিশ্বাসের চূড়ান্ত এবং শেষ স্তরে সপে দিয়ে মাওলানা সাঈদী অত্যন্ত দৃঢ় কন্ঠে উচ্চারণ করেন আমার বিরুদ্ধে যে ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটিও যদি সত্য হয় তাহলে আমি যেন ঈমান নিয়ে মরতে না পারি। রোজ কিয়াকমতের দিন যেন রসুল (সা.)-এর শাফায়াত আমি না পাই। আর যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে তারা যদি তওবা না করে এবং তওবা যদি তাদের নসিব না হয় তাহলে গত দুইটি বছর আমি এবং আমার সন্তানরা যে যন্ত্রণা ভোগ করেছি, আমার যে পরিমাণ চোখের পানি ঝরেছে, আমার সন্তানদের যে চোখের পানি ঝরেছে, তার প্রতিটি ফোটা অভিশাপের বহ্নিশিখা হয়ে আমার থেকে শতগুণ যন্ত্রণা এবং কষ্ট ভোগের আগে যেন তাদের মৃত্যু না হয়। আর জাহান্নাম হয় যেন তাদের চির ঠিকানা।



মাওলানা সাঈদী বলেন, যদি আমার প্রতি জুলুম করা হয় করা হয় তাহলে এ বিচারের দুইটি পর্ব হবে। আজ এখানে একটি পর্ব শেষ হবে। আর কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর দরবারে আরেকটি বিচার বসবে। সেই বিচারে আমি হব বাদী। আর আমার বিরুদ্ধে যারা জুলুম করেছে তারা হবে আসামী।

বিচার কার্যক্রম শেষে মাওলানা সাঈদীর তিন ছেলে, আত্মীয়স্বজন এবং আইনজীবীরা যখন তার কাঠগড়ার সামনে যান তখন তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি তার সন্তানদের মাথায় চুমু খান। আইনজীবী এবং অন্যদের সাথে করমর্দন করেন এবং দোয়া করেন। এরপর পুলিশ এসে তাকে হাজতখানায় নিয়ে যায়।



মাওলানা সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষে আজ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিক এবং আইনজীবীদের অনেক ভিড় ছিল। তিনি যখন কথা বলেন তখন পিনপতন নিরবতা বিরাজ করে ট্রাইব্যুনালে । বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থান শেষ হলে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের কাছে অনুরোধ করেন মাত্র পাঁচ মিনিট মাওলানা সাঈদীকে কথা বলতে দেয়ার জন্য। মাওলানা সাঈদী এরপর দাঁড়িয়ে ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশে বলেন পাঁচ মিনিট নয় মাত্র দুই থেকে আড়াই মিনিটে আমি শেষ করতে পারব। এরপর ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তাকে অনুমতি দেন।



মাওলানা সাঈদী যা বলেছেন

আমি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের এই বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলার আপামর জনগনের নিকট অতি পরিচিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এই মামলায় আমার নাম বিকৃতি করে তদন্ত কর্মকর্তা কখনো দেলোয়ার শিকদার বর্তমানে সাঈদী, কখনো দেলু ওরফে দেইল্যা, দেউল্লা বলে আখ্যায়িত করেছে আমাকে।



আমার বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতি, জেনা ব্যাভিচার এর অভিযোগ আনছেন তিনি। তিনি ১২/১৪ বার পিরোজপুর গেছেন। রাজনৈতিক কারনে বর্তমান সরকার দ্বারা প্ররোরিচত হয়ে তিনি এসব অভিযো এনেছেন। স্থানীয় এমপির সাথে বসে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী সাবুদ তৈরি করেছেন।

রোজ কিয়ামতের ভয় আছে, পরকালে বিশ্বাস আছে এমন কোনো মুসলমান কোনো মানুষের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আনতে পারে না।



আমার বিরুদ্ধে যে ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটিও যদি সত্য হয় তাহলে আমি যেন ঈমান নিয়ে মরতে না পারি । রোজ কিয়াকমতের দিন যেন রসুল (সা) এর শাফায়াত আমি না পাই। আর যদি আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা হয় এবং যারা এ মিথ্যা অভিযোগ এনেছে তারা যদি তওবা না করে এবং তওবা যদি তাদের নসিব না হয় তাহলে গত দুইটি বছর আমি এবং আমার সন্তানরা যে কষ্ট এবং যন্ত্রণা ভোগ করেছে, আমার যে চোখের পানি ঝরেছে, আমার সন্তানদের যে চোখের পানি ঝরেছে তার প্রতিটি ফোটা যেন অভিশাপের বহ্নিশিখা হয়ে আমার থেকে শত গুন যন্ত্রনা ভোগের আগে, কষ্ট ভোগের আগে আল্লাহতায়ালা যেনো তাদের মৃত্যু না দেন। মিথ্যাবাদীদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ অযুত ধারায় বর্ষিত হোক। আর জাহান্নাম যেন হয় এদের চিরস্থায়ী ঠিকানা।

আমার প্রতি যদি জুলুম করা হয় তাহলে এ বিচারের দুউটি পর্ব হবে। আজ এখানে একটি পর্ব শেষ হবে। আর রোজ কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর দরবারে আরেকটি বিচার বসবে। সেদিন রাজাধিরাজ, সকল সম্রাটদের সম্রাট, সকল বিচারকরদের বিচারপতি, আসমান ও জমিনের মালিক মহান আল্লাহ হবেন বিচারপতি। যদি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে আমার প্রতি জুলুম করা হয় তাহলে আমার প্রতি যারা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন, আজ এখানে যারা আছেন তারা হবেন আসামী। আর আমি হব বাদী। আপনাদের তিনজনের প্রতি আমি আশা রেখে বলছি আপনাদের ন্যায়বিচারের তৌফিক দান করুন আল্লাহ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৩

নতুন বলেছেন:

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪০

কি বোর্ড বলেছেন: hanks আমি মনে করি যুদ্ধপরাধী কারা তারাই যারা লুটপাট করে দেশ ধবংস করছে যেমন পদ্ম সেতু দুনীতি, গুম, খুন,.......................................................

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: @কি বোর্ড: তারেক ভাইয়াও জনগণের টাকা গুম করছে, তাইলে তারেক ভাইয়াও যুদ্ধাপরাধী? বিএনপির যোগাযোগ মন্ত্রী ভারত থেকে সস্তায় সিএনজি এনে চড়া দামে এদেশে বিক্রি করছে, তাইলে সেও যুদ্ধাপরাধী? মাগুরছড়ায় গ্যাস নষ্ট হল, কিন্তু নাইকোর কাছ থেকে বাংলাদেশ একপয়সাও জরিমানা হিসাবে পেল না- তাহলে তৎকালীন সরকারও যুদ্ধাপরাধী?

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১০

দর্শক০০৭ বলেছেন: সুরা মুরসালাত।
আয়াত ১ - ৫০।
মক্কাবতীর্ণ।

১। কল্যাণের জন্য প্রেরিত বায়ুর শপথ।
২। সজোরে প্রবাহিত ঝটিকার শপথ।
৩। মেঘ বিস্তৃতকারী বায়ুর শপথ।
৪। মেঘপূন্ঞ্জ বিতরণকারী বায়ুর শপথ।
৫। এবং ওহী নিয়ে অবতরনকারী ফেরেশতাগণের শপথ।
৬। ওজোর আপত্তির অবকাশ না রাখার জন্য, অথবা সতর্ক করার জন্য।
৭। নিশ্চয়ই তোমাদেরকে প্রদত্ত ওয়াদা বাস্তবায়িত হবে।
৮। অতঃপর যখন নক্ষত্রসমূহ নির্বাপিত হবে,
৯। যখন আকাশ ছিদ্রযুক্ত হবে,
১০। যখন পর্বতমালাকে উড়িয়ে দেওয়া হবে,
১১। এবং যখন রাসুলগণের একত্রিত হওয়ার সময় নিরূপিত হবে,
১২। এ সব বিষয় কোন দিবসের জন্য স্হগিত রাখা হয়েছে?
১৩। বিচার দিবসের জন্য।
১৪। আপনি জানেন বিচার দিবস কি?
১৫। সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের দূর্ভোগ হবে।
১৬। আমি কি পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করিনি?
১৭। অতঃপর তাদের পশ্চাতে প্রেরণ করব পরবর্তীদেরকে,
১৮। অপরাধীদের সাথে আমি এরূপই করে থাকি।
১৯। সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের দূর্ভোগ হবে।
২০। আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করিনি?
২১। অতঃপর আমি তা রেখেছি এক সংরক্ষিত আধারে,
২২। এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত,
২৩। অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি, আমি কত সক্ষম স্রষ্টা!
২৪। সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের দূর্ভোগ হবে।
২৫। আমি কি পৃথিবীকে সৃষ্টি করিনি ধারণকারীনিরূপে?
২৬। জীবিত এবং মৃতদেরকে?
২৭। আমি তাতে স্হাপণ করেছি সুউচ্চ পর্বতমালাএবং পান করিয়েছি তোমাদেরকে তৃষ্ণা নিবারণকারী সুপেয় পানি।
২৮। সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের দূর্ভোগ হবে।
২৯। চল তোমরা তারই দিকে যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে,
৩০। চল তোমরা তিন কুন্ডূলীবিশিষ্ট ছায়ার দিকে,
৩১। যে ছায়া সুনিবিড় নয় এবং অগ্নির উত্তাপ থেকে রক্ষা করে না।
৩২। এটা অট্টালিকা সদৃশ বৃহৎ স্ফুলিংগ নিক্ষেপ করবে,
৩৩। যেন সে পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণী।
৩৪। সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের দূর্ভোগ হবে।
৩৫। এটা এমন দিন যেদিন কেউ কথাবলবে না,
৩৬। এবং কাউকে তওবা করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
৩৭। সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের দূর্ভোগ হবে।
৩৮। এটা বিচার দিবস, আমি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে একত্রিত করেছি
৩৯। অতএব তোমাদের কোন অপকৌশল থাকলে তা প্রয়োগ কর আমার কাছে।
৪০। সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের দূর্ভোগ হবে।
৪১। নিশ্চয়ই আল্লাহভীরুরা থাকবে ছায়ায় এবং প্রস্রবণসমুহে
৪২। এবং তাদের বাণ্ছিত ফলমূলের মধ্যে।
৪৩। বলা হবে তোমরা যা করতে তার বিনিময়ে তৃপ্তির সাথে পানাহার কর।
৪৪। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে পূরষ্কৃত করে থাকি।
৪৫। সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের দূর্ভোগ হবে।
৪৬। কাফিরগণ তোমরা কিছুদিন খেয়ে নাও এবং ভোগ করে নাও, তোমরা তো অপরাধী।
৪৭। সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের দূর্ভোগ হবে।
৪৮। যখন তাদেরকে বলা হয়, "নত হও", তখন তারা নত হয় না।
৪৯। সেদিন মিথ্যা আরোপকারীদের দূর্ভোগ হবে।
৫০। এখন কোন্ কথায় তারা এরপর বিশ্বাস স্হাপণ করবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.