![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
সরকারের পরিবেশ সমীক্ষাতেই স্বীকার করা হয়েছে, এভাবে সুন্দরবনের ভেতর
দিয়ে কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করার ফলে-
১) কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ থেকে কয়লার গুঁড়া, ভাঙা/টুকরো কয়লা, তেল, ময়লা
আবর্জনা, জাহাজের দূষিত পানিসহ বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নিঃসৃত হয়ে
নদী-খাল-মাটিসহ গোটা সুন্দরবন দূষিত করে ফেলবে;
২) সুন্দরবনের ভেতরে আকরাম পয়েন্টে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে কয়লা উঠানো
নামানোর সময় কয়লার গুঁড়া, ভাঙা কয়লা পানিতে/মাটিতে পড়ে- বাতাসে মিশে
মাটিতে মিশে ব্যাপক পানি-বায়ু দূষণ ঘটাবে;
৩) চলাচলকারী জাহাজের ঢেউয়ে দুইপাশের তীরের ভূমি ক্ষয় হবে;
৪) কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ ও কয়লা লোড-আনলোড করার যন্ত্রপাতি থেকে দিনরাত
ব্যাপক শব্দ দূষণ হবে;
৫) রাতে জাহাজ চলার সময় জাহাজের সার্চ লাইটের আলো নিশাচর প্রাণীসহ
সংরক্ষিত বনাঞ্চল সুন্দরবনের পশু-পাখির জীবন চক্রের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর
প্রভাব ফেলবে ইত্যাদি।
স্মর্তব্য যে, সুন্দরবন এক দিনে তৈরি হয়নি। এক লাখ বছরের এই বন উন্নয়নের
নামে ধ্বংস করে দেয়া যায় না। অথচ সরকার মনে করছে এটি সামাজিক বনায়ন।
দু’তিন বছরের মধ্যেই বনায়ন করার মাধ্যমে সুন্দরবন তৈরি করা যায়। রামপাল
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবন আরো ঝুঁকিতে পড়বে।
লেখাবাহুল্য, আমরা উন্নয়ন চাই, বিদ্যুৎ চাই; তবে সুন্দরবন ধ্বংস করে নয়।
তাই অবিলম্বে এ বিষয়ে সরকারকে নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে
সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে অবিলম্বে
সরে আসতে হবে।
©somewhere in net ltd.