নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে ফারসী থেকেই

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৬

বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে ফারসী থেকেই
সহরহামেশা বিভিন্ন ফারসী কবিতা আবৃত্তি মুবারক শুনে থাবি, যার মধ্যে ‘তীর’, ‘ছায়া’ এসব শব্দ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এগুলো প্রত্যেকটিই কিন্তু ফারসী শব্দ।
এই শব্দগুলোকে আলাদা করে ফারসী ভাষার শব্দ বলে চেনার উপায় নেই। বস্তুত ফারসী কোনো বিদেশী ভাষা নয়, কারণ ভারতবর্ষের মুসলিম শাসনের হাজার বছরের ইতিহাসে ফারসী ভাষা মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল। বাংলার আড়ালে আমাদের মুখে মুখে ফারসী ভাষার শব্দ তো বটেই, এমনকি বাক্যও জারি রয়েছে। কিন্তু ফারসী চর্চার রেওয়াজ উঠে যাওয়ায় আমরা তা বুঝতে পারি না।
এই না বুঝতে পারার কারণেই জালিয়াত হিন্দুরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন আরবী-ফারসী শব্দকে সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত বলে মিথ্যা দাবি করে বইপত্র ও অভিধান লিখে চলেছে। ‘বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’ নামক একটি ডিকশনারী বাংলা একাডেমী থেকে বের করা হয়েছে, যেখানে প্রায় প্রত্যেকটি বাংলা শব্দকে সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত বলে দেখানো হয়েছে। অথচ বাংলা ভাষার অর্ধেকের বেশি শব্দ হচ্ছে আরবী-ফারসী। ঐ বাংলা একাডেমী থেকেই প্রকাশিত ড. এনামুল হকের ‘ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’ থেকেও এর প্রমাণ মেলে।
বর্তমান সরকার চরম হিন্দুঘেঁষা ও ভারতপন্থী। তাই এই সরকারের আমলে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত উক্ত ‘বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’ সম্পাদনা করতে ডাকা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী ভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলরকে। এজন্যই উক্ত ডিকশনারীতে প্রত্যেকটি শব্দকে সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
অথচ ইতিহাস বলছে, এই বাংলাদেশে বখতিয়ার খিলজীর আগমনের আগেও ছূফী-দরবেশগণ ফারসী ভাষা নিয়ে এসেছিলেন। গোটা মুসলিম রাজত্বে বাংলাদেশের ভাষা ছিল ফারসী। এমনকি ব্রিটিশআমলের প্রথমার্ধেও বাংলাদেশের শিক্ষিত হিন্দুদের ভাষা ছিল ফারসী। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত সেই ফারসী থেকেই বাংলা ভাষার উদ্ভব, সংস্কৃত থেকে নয়।

ফারসী ভাষা থেকে বাংলা ভাষা:
“১৮২৪ সালে ভারতবর্ষের প্রধান বিশপ হীবার কলিকাতা হইতে নৌকাপথে ঢাকা যাইতেছিল। ১৮ জুন তারিখে সে ইছামতি নদীর তীরে শিবনিবাস বলিয়া একটি গ্রামে পৌঁছিল (এই গ্রামটির বর্তমান নাম মাজদিয়া)। শুনিল, এই গ্রামে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র বাস করে। পরদিন সকালে বজরা হইতে রাজবাড়িতে যাইবার সময় দেখিলো, সেই ঘাট হইতে দুইটি সুশ্রী ও গৌরবর্ণের বালক স্নান করিয়া বাড়ি ফিরিতেছে, বয়স ১৩-১৪। রাজার সহিত সাক্ষাৎ হইলে দেখিলো উহারা তাহার কাছেই দাঁড়াইয়া আছে, বুঝিলো দু’জনেই রাজপুত্র।
তখন রাজা মছলন্দের উপর বসিয়া, পরিধানে শুধু ধূতি, গায়ে আর কিছু নাই, উপবীত (পৈতা) ছাড়া। তবে সে বিশপের সাথে বিশুদ্ধ ফারসী ভাষায় আলাপ করিলো। পরদিন বালকেরা বিশপের সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য বজরায় আসিলো, তখন তাহাদের রূপান্তর হইয়াছে। তাহারা মসলিন পোশাক ও মাথায় পাগড়ি পরিধান করিয়াছে। তাহারা আলাপ করিবার সময়ে কিছু উর্দু বলিলেও, প্রধানত করিলো ফারসীতে।” (সূত্র: শতবর্ষ সংকলন, নীরদচন্দ্র চৌধুরী, মিত্র এন্ড ঘোষ পাবলিশার্স, পৃষ্ঠা ৬৪৪)
পৈতাধারী বিবস্ত্র হিন্দু ফারসীতে কথা বলে, এমনকি তার ১৩-১৪ বছরের দুই সন্তানও ফারসীতে কথা বলে। তাও কোনো মুসলমানের সাথে নয়, বরং এক খ্রিস্টান পাদ্রীর সাথে! উল্লেখ্য, তখন ছিল ১৮২২ সাল। ১৭৫৭ সালেই বাংলাদেশে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৭৯৩ সালে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ এর মাধ্যমে মুসলমানদের জমিগুলো কেড়ে নিয়ে হিন্দুদের দেয়া হয়।
অর্থাৎ বাংলার সমাজ ও প্রশাসনে মুসলমানদের অবস্থান চূড়ান্তভাবে খর্ব করার পরও বেশ কয়েক দশক হিন্দুদের দ্বারাই ফারসী ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে, এবং এতেই বোঝা যায় যে- এই ভারতবর্ষের দৈনন্দিন জীবনের প্রেক্ষাপটে ফারসীর অবস্থান কোথায় ছিল? প্রকৃতপক্ষে বাংলা ভাষাটিই ফারসী থেকে উদ্ভূত। কারণ শুধু শব্দ নয়, এমনকি বাংলা ভাষার বাক্য গঠনও ফারসীর সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। আমরা দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ভাষার অঙ্গ হিসেবে ঐসব ফারসী বাক্যগুলো হরহামেশা ব্যবহার করে চলেছি, যদিও আমাদের বোঝার সাধ্য নেই যে আমরা যা বলছি তা আসলে ফারসী।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দৈনিক ‘প্রথম আলো’তে ভাষার মাস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের নানান ভাষা’ শিরোনামে একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। উক্ত বছরের ১১ই ফেব্রুয়ারিতে ফারসী ভাষা নিয়ে আলোচনায় প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছিল-
“বাংলা ভাষার উপর ফারসীর ব্যাপক প্রভাব কমজোর হয়নি। ফারসীচর্চার ৭০০ বছরে বাংলা ভাষায় প্রচুর ফারসী শব্দ ও ভাষাভঙ্গি প্রবেশ করেছে। আমাদের সাহিত্যে অন্তত ১০ হাজার ফারসী শব্দ নানা সময়ে ব্যবহৃত হয়েছে। অতি পরিচিত বাংলা শব্দ ও বাক্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে ফারসীর প্রভাব। যেমন: ‘আবহাওয়া এখন বেশি গরম আছে’- এ বাংলা বাক্যটি শাব্দিক ও গাঠনিক দুই দিক থেকেই ‘আবহাওয়া আকনু বিশ গার্ম আছত্’- এই ফারসী বাক্যের অনুরূপ।”
এপর্যন্ত পড়ে সমঝদার পাঠকমাত্রই বুঝতে পারবেন যে, বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে আসলে কোথায়? হিন্দুরা সংস্কৃতের সপক্ষে যতোই দাবি করুক না কেন, তারা কিন্তু ইতিহাসের কোথাও দেখাতে পারবে না যে, এদেশের হিন্দুদের মধ্যে কোনো জনগোষ্ঠী কখনো সংস্কৃত ভাষাকে মনের ভাব প্রকাশে ব্যবহার করেছে। বিপরীতে মুসলিম আমলে তো বটেই, এমনকি ব্রিটিশ শাসনের পঞ্চাশ বছরের অধিক সময় পেরিয়ে ১৮২২ সালেও শিক্ষিত হিন্দুরা অমুসলমানদের সাথে কথাবার্তার ক্ষেত্রেও ফারসী ভাষা ব্যবহার করতো, যা ইতিহাসে রয়ে গেছে।
ইতিহাসে রয়েছে যে, বাংলার সুলতানী আমলে গৌড়ের রাজদরবারে ও চট্টগ্রামের আরাকানের মুসলিম কবিদের হাতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্ম ও ধারাবাহিকতার সূত্রপাত। বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ধরা হয় মহাকবি আলাওলকে। আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্যে বাংলা লিখতে বর্তমানে আমরা যেরূপ ক, খ, গ ব্যবহার করি সেরূপ করা হয়নি, বরং ফারসী-উর্দুর ন্যায় আলিফ, বে, তে, সে ব্যবহার করা হয়েছিল।
এদেশে একদল বুদ্ধিজীবী নামধারী কেউটে সাপ আছে, যারা বাংলা ভাষায় আরবী-ফারসী শব্দ দেখলেই ফোঁস করে উঠে। বাংলা ভাষায় ফারসী-উর্দু শব্দগুলোকে এরা পাকিস্তানী আমলে ঢোকানো হয়েছে বলে উদ্ভট প্রচার চালায়। এরা প্রচার করে থাকে যে, আরবী-ফারসী বিহীন সংস্কৃতঘেঁষা বাংলাই হচ্ছে প্রকৃত বাংলা ভাষা। নাউযুবিল্লাহ!
এসব কথিত বুদ্ধিজীবীরা সারাদিন টিভি-টকশো নিয়েই ব্যস্ত থাকে, পড়াশোনা এরা মোটেই করে না। ইতিহাস জ্ঞানহীন এসব গ-মূর্খদের কথা শুনলে মনে হয়, এদেশে পাকিস্তানীরা এসে ফারসী-উর্দু চালু করে গিয়েছে! এদেশের যে হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে ফারসী চর্চার, এই কুচক্রীরা তা অস্বীকার করে। এরা চায় বাঙালি মুসলমানদেরকে শেকড়চ্যুত করতে।
ব্রিটিশ আমলে উইলিয়াম কেরীর মতো খ্রিস্টান পাদ্রী ও সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা মিলে একটি সংস্কৃতবহুল কৃত্রিম বাংলা ভাষার জন্ম দিয়েছিল। তারা দাবি করেছিল, বাংলা ভাষা এসেছে সংস্কৃত থেকে। এধরনের মিথ্যা দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং সংস্কৃতবহুল বাংলা ভাষা প্রস্তুত করতে তারা সে সময়ে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, এশিয়াটিক সোসাইটির মতো কতগুলো কথিত গবেষণাগার খুলেছিল, যেগুলো মূলত ছিল মুসলিমবিরোধী চক্রান্তগার।
তবে এসব একদিনে সম্ভব হয়নি। ঐসব চক্রান্তগার থেকে বের হওয়া প্রথম দিককার বইগুলো দেখলেও এটি বোঝা যাবে যে, বাংলা ভাষার আদি রূপটি আরবী-ফারসীতে ভরপুর। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে রামরাম বসু কর্তৃক একটি বই বের হয়েছিল ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র’ নামে, যাকে দাবি করা হয় ‘বাংলা ভাষার প্রথম গদ্যগ্রন্থ’ হিসেবে।
বাংলায় লেখা বইটিতে প্রচুর আরবী-ফারসী শব্দ ব্যবহৃত হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ বইতে স্বীকার করেছে, “সেকালের সমাজে প্রচুর ইসলামী শব্দ ব্যবহৃত হতো। তারই প্রভাবে ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র’ এ রামরাম এত বেশি আরবী-ফারসী শব্দ প্রয়োগ করেছে যে, এখন এ পুস্তিকা হিন্দু পাঠকদের নিকট অতি বিকট (?) মনে হবে।”
মূলত, হিন্দুরা যেই ভাষাটিকে ‘বিকট’ বলে দাবি করে, সেটিই হচ্ছে স্বাভাবিক ও বাংলার আদি রূপ। আর যেই সংস্কৃতবহুল কৃত্রিম বাংলা ভাষা হিন্দু আর খ্রিস্টান পাদ্রীরা ব্রিটিশ আমলে তৈরি করেছিল, সেটিই মূলত হচ্ছে ‘বিকট’ ও অস্বাভাবিক।
এই খ্রিস্টান পাদ্রী আর হিন্দুরা পুরোহিতরা ভারতবর্ষের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে মুসলিম অবদানকে মুছে দিতে নিরন্তর পরিশ্রম করে গিয়েছে। স্রেফ যুদ্ধ কিংবা তরবারির জোরে যতোটা না মুসলমানদের ক্ষতি করা গিয়েছে, তারচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উইলিয়াম কেরী, বঙ্কিম এদের মুসলিমবিরোধী অপ-গবেষণা ও মুসলমানদের ইতিহাস বিকৃতকরণের ফলশ্রুতিতে।
এসব বুদ্ধিবৃত্তিক সন্ত্রাসের প্রভাব এতো ভয়াবহ যে, মুসলমানরা স্বাধীন দেশ পেলেও আজও মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্তি পায়নি। সবাই বুঝতে পারছে যে, ফারসী থেকেই আমাদের বাংলার উদ্ভব। সবাই দেখছে- ‘আবহাওয়া আকনুন বিশ গার্ম আছত্’ আর ‘আবহাওয়া এখন বেশি গরম আছে’ এরকম বহু বাক্য গঠন, যা বাংলা ও ফারসীর ক্ষেত্রে হুবহু মিলে যায়। কিন্তু মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্তি না পাওয়ায় কোনো মুসলমান মুখ ফুটে এই সত্য উচ্চারণ করতে পারছে না যে, বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে ফারসী থেকেই। ফারসীতেই বাংলা ভাষার শেকড় নিহিত।
মুসলমানরা এই মহাসত্য উপলব্ধি করতে না পারলেও এটি কিন্তু ঠিকই হিন্দু আর খ্রিস্টান পাদ্রীরা বুঝে, আর বুঝে বলেই তারা হিংসাবশত সর্বদা এই সত্যকে ধামাচাপা দিতে সংস্কৃত ভাষার পক্ষে ওকালতি করে গিয়েছে।
তবে সত্যকে চিরদিন লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। কাফির-মুশরিকদের মিথ্যা অপপ্রচার ও বিভ্রান্তির জবাব দিতে বহু মসজিদ-মাদরাসা ও গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন।
মুসলিমবিরোধী গবেষণা, বইপত্র প্রকাশ ও অপপ্রচারের দ্বারা মুসলমানদের মধ্যে যে হীনম্মন্যতা ও মানসিক দাসত্ব পয়দা করেছে বিধর্মীরা, তাকে দূর করতে হলে মুসলমানদেরও পাল্টা গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে এসবের জবাব দিতে হবে এবং কাফির-মুশরিকদের হাক্বীক্বত উন্মোচন করে লেখালেখি করতে হবে।
“হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে কিতাব মুবারক রচনা করে গিয়েছেন, পরবর্তীতে তাকে বাস্তব রূপ দিয়েছেন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি ধারাবাহিকতা, তা পরবর্তী মুসলমানরা ধরে রাখতে পারেনি।”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.