নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার চাইলে অনেক পথই আছে!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

একটা দেশকে শাসন করতে হলে সরকারকে অবশ্যিই ভ্যাট, ট্যাক্স আরো অনেক কিছু বিভিন্ন পণ্য, সম্পত্তি, সেবার উপর আরোপ করতে হয়। সরকারের আয়ের প্রধান উৎস এইগুলি। কিন্তু এর বাহিরেও সরকারের আয় করার মত অনেক খাত আছে। সেই খাত গুলির সঠিক পরিচালনা ও পর্যাপ্ত বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা হলে সরকারের রিজার্ভ কোষাগার থেকে ব্যয় অনেকাংশে কমে আসবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের কথাই ধরি এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটি বছরের পর বছর শুধুই লোকসান দিয়ে আসছে! এই লোকসানের পরিমানের কথা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে! বাংলাদেশ রেলওয়ে যে পরিমান যাত্রী পরিবহণ করে তাতে লস হওয়ার কোন কারনই নেই! তার উপর তাদের যে পরিমাণ খাস জমি ও লীজ দেওয়া সম্পত্তি আছে তার থেকে প্রাপ্ত অর্থও কম না!
এরপর আছে সোনালী ব্যাংক এই ব্যাংক যদি সঠিক ব্যবস্থাপনায় চলে তাহলে এর আশেপাশে কোন ব্যাংক দাঁড়াতেই পারবেনা!
আছে চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল এমন অনেক প্রতিষ্ঠান।
আছে টেলিটক এর মত মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান (যদিও গত বছর তারা ১কোটি টাকা লাভ দেখিয়েছে) যার মাধ্যমে ও সরকার আয় করতে পারে কোটিকোটি টাকা।
এই প্রতিষ্ঠান গুলি লোকসান দেওয়ার একমাত্র কারন অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, আর প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কাজ না করে বছরের পর বছর বেতন বোনাস ভোগ করা!
সরকারের এসব প্রতিষ্ঠান থেকে যদি প্রতিবছর মুনাফা আসতো তাহলে কিন্তু সরকারের ভ্যাট, ট্যাক্স এর উপর নির্ভরতা কমতো। আর যার ফল সরাসরি জনগণের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়তো।
কিন্তু সরকারের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে সরকার তার খরচ মিটানোর জন্য ভ্যাট, ট্যাক্স এর উপরেই বেশি নির্ভর হতে চাচ্ছে যার দীর্ঘমেয়াদি ফল কিন্তু শুভ নয়!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"

উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?

উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?

উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।

-ড. সাকিল আল মামুন।
১. সরকার কোনদিনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা এর শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দেবে না জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আর এটা ভোরের কাগজের লিঙ্ক।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন: শাহবাগে কয়েকজন মাত্র মানুষের চিল্লাচিল্লি আর বিরিয়ানি খাওয়া টেলিকাস্ট করতে লাইন লেগে যায় চেতনা মাখা সকল মিডিয়ার! আর আজকে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনরে " জন-দূর্ভোগ" হিসেবে দেখাচ্ছে। মনে হয় যেন জীবনে , রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে দাবী আদায় এই প্রথম দেখছে।
আজ দেশের ছাত্র সমাজের এই ভ্যাট বাতিলের জোয়ার কে কেন তারা টেলিকাস্ট করছে না?
দেখাচ্ছে " সড়ক অবরোধের কারনে যানজটে নগরবাসীর অবস্থা নাকাল " জাতীয় রিপোর্ট ।

কোথায় আজ মুন্নি সাহা
কোথায় আজ রুপার সরাসরি সম্প্রচার
কোথায় আজ নবনিতার টকশো
কোথায় ?
জাফর নামক ষাঁড় টা কই? তাঁর বিবেক কি বলে???
এই দেশের রন্ধে রন্ধে দালালে দালালে ভরে গেছে আর সব দালালের বড় দালাল হচ্ছে এই সাংবাদিক আর মিডিয়া ।
যাদের কাছে বিরিয়ানি খাওয়া মানেই আন্দোলন
আর লক্ষ লক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের লাঠি পেটা খাওয়ার নাম হচ্ছে সন্ত্রাসী দমন।
থু থু থু

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এইমাত্র নিউজ দেখলাম সরকার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে। অবশেষে এর অবসান হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্য এর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.