নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্বল গণতন্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী একনায়কতন্ত্রই তৃতীয় বিশ্বের জন্য গ্রহণযোগ্য।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৫

অন্তত এখনকার বিশ্বায়নের যুগে কথাটা শুনতে অনেকটা বেকুবের মতো শুনালেও বাস্তবিক অর্থে এটাই তৃতীয় বিশ্বের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিকভাবে জর্জরিত দেশ গুলির জন্য সর্বোত্তম বিকল্প উপায়। উন্নত আর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ গুলির গনতন্ত্র অনুসরণ করতে গিয়ে অনুন্নত, উন্নয়নশীল দেশ গুলি গনতন্ত্রের জগাখিচুড়ী বানিয়ে ফেলছে! কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না মাঝখান দিয়ে সবসময় রাজনৈতিক অস্থিরতা লেগে থাকে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশের নাগরিকরা শিক্ষত ও দূরদর্শী হয় তাই তারা প্রার্থী নির্বাচনে বেশ সতর্ক থাকে। উল্টোদিকে তৃতীয় বিশ্বের নাগরিকরা যেসব চতুর ব্যক্তি মিথ্যা প্রলোভনের দ্বারা তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারে, সেই নির্বাচনে জয়ী হয়। ফলে অযোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হয়ে আসে।
একনায়কন্ত্রের কথা শুনলে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি চোখের সামনে ভেসে উঠে। আসলে শক্তিশালী একনায়কন্ত্রের দ্বারা অনুন্নত কিংবা গরিব অনেক দেশ উন্নত দেশের কাতারে এসেছে তার নজির কিন্তু কম নয়। অত্যাধিক নির্বাচনী ব্যয় একটি দেশের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়! আর এই ব্যয় সত্যিকার অর্থে রোধ করা তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোর জন্য সম্ভব নয়।
একনায়কতন্ত্র শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনী ব্যয় অনুপস্থিত। একজন একা ব্যক্তি কতই বা আর দুর্নীতি করবে? গনতন্ত্রে তো দলবল নিয়ে দুর্নীতি করে এতে দেশ উন্নতি করার সম্ভাবনা ক্ষীণ!
একনায়কতন্ত্র শাসন ব্যবস্থায় একনায়ক দ্রুত যেকোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। তাকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয়না এবং আলোচনাও করতে হয়না বলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া ও কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব হয়। একনায়ক তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অনুন্নত দেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি ও অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারে। তার নেতৃত্বে শিল্প, সাহিত্য ও বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন করতে পারে। একনায়কের অধীনে সারা দেশ একইভাবে পরিচালিত হয় বলে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি দৃঢ় হয়।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একনায়কন্ত্রকে ভালোভাবে গ্রহন করে না এটা সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থেই তবে শেষকথা হলো একটি শক্তিশালী একনায়কন্ত্রের শাসকই পারে একটি অনুন্নত, উন্নয়নশীল দেশকে এগিয়ে নিতে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক আর সামাজিক মুক্তি দিতে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুরু করি গাদাফি, সাদ্দাম বা মোবারকদের খোঁজ, কিংবা সবাই মিলে এরশাদকে ক্ষমটায় বসায়ে দিই, চলুন।
আপনি সামান্য পেছনে পড়ে আছেন, ২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, আপনি মনে হয় জাপানের জংগলে পালিয়ে আছেন?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! গাদ্দাফি কিংবা সাদ্দামের শাসনামলের চেয়ে এখনকার লিবিয়া, ইরাক কি ভালো আছে? আর মাহথির, কিংবা কয়দিন আগে কাস্ত্রো এর গুন গাইলেন তার কথা বলবেন না? আর সর্বোউত্তম বিকল্প বলে একটা শব্দ আছে বুঝা যায় শিরোনাম পড়েই মন্তব্য করেছেন।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৭

কালীদাস বলেছেন: একমত হতে পারলাম না। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে গণতন্ত্র সাফল্য না পাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি, লোভ, পরিবারতন্ত্র সুপার পাওয়ার দুইটার কামড়াকামড়ি। আপনি যতক্ষণ এই জিনিষগুলো সাড়াতে না পারবেন, গণতন্ত্র কেন কোন তন্ত্রই আপনাকে সুখ দেবে না। এরশাদের সময় কি আমরা খুব ভাল ছিলাম? মাহাথিরের এক্সাম্পল দিলেন, মাহাথিরের সাফল্যের উৎসে কি এগুলো উৎপাটন করাই প্রাধান্য পায়নি?

একটা ছোট উদাহরণ দেই গণতন্ত্রে থেকেও কিভাবে দেশের অবস্হা পরিবর্তন হয়। সেকেন্ড ওয়াল্ড ওয়ারের পর জার্মানি, ইটালি, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স,... এই প্রত্যেকটা দেশের অবস্হ শোচনীয় ছিল। জার্মানি আর ইটালির কিছু এলাকার লোকজন বিড়াল কুকুর খেত, এতটাই বাজে অব্স্হার মধ্যে ছিল। ত্রিশ বছরের মধ্যে এই সবকয়টা দেশই দুনিয়ার টপ ইকোনোমি হয়ে গিয়েছিল। এদের প্রায় সবারই কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্হাই ছিল তখন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে গণতন্ত্র সাফল্য না পাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি, লোভ, পরিবারতন্ত্র সুপার পাওয়ার দুইটার কামড়াকামড়ি। আর গনতন্ত্রের কারনেই এগুলি নির্মূল করা সম্ভবপর হয়ে উঠেনা!

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৫

মোহামেদ বলেছেন:
মানলাম।
টবে একনায়কতন্ত্রটা জাতিয়তাবাডি ও ইসলাম পছন্ড দলের কাছে থাকলে মেনে নেব।
ধন্যবাড

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি যে দুইটা পয়েন্ট বললেন এগুলি একনায়কন্ত্রের অসুবিধা বা ক্ষতিকর দুইটি দিক! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: এই সব তন্ত্র মন্ত্র, কালি-সাধন, পীর-দরবেশ দিয়া কিছু হইব না। দূর্নীতি মুক্ত প্রশাসন আর ন্যায়-বিচার ভিত্তিক বিচার বিভাগ। এক হাতে প্রেম আরেক হাতে মুগুর.......

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঠিক বলেছেন "এক হাতে প্রেম আর এক হাতে মুগুর " সাংবিধানিক সিস্টেমের ধারা ধারি নাই! গনতন্ত্রে কিন্তু এমন আচারণ সম্ভব না :) ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: :P প্রথমেই বলেছি না! তন্ত্র-মন্ত্র দিয়া কিচ্ছূ হইব না। গন(তন্ত্র) হইল সেইটা যেখানে যেখানে ঘি এবং শাকের দাম সমান। ধনী গরিব সবার জন্য ফুটপাতে ঘুমানো নিষিদ্ধ করে। যেখানে সংখাধিক্যের জোরে গন্ড মূর্খরা রাজা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.