নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিনগ্রহী (এলিয়েন) থাকা না থাকা!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬


ভিনগ্রহী বা এলিয়েন নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। প্রতিনিয়তই আমরা এলিয়েনদের নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে থাকি। আমিও এর ব্যতিক্রম নয়। বস্তুত এখন পর্যন্ত এলিয়েন এর অস্তিত্ব নিশ্চিত করা যায়নি।
এলিয়েন বলতে আমারা সাধারণত মানুষ বা তার কাছাকাছি অবয়ব কল্পনা করি কিন্তু বাস্তবিক অর্থে আমাদের পৃথিবী ভিন্ন মহাকাশের যেকোনো গ্রহ,উপগ্রহ, কিংবা গ্রহাণুতে ও যদি ব্যাকটেরিয়া সাদৃশ্য কোনো প্রাণ পাওয়া যায় সেটাও এলিয়েন বলে গণ্য হবে।

এ বিশাল মহাবিশ্বে সূর্য্যের মত রয়েছে অসংখ্য নক্ষত্র। আমাদের গ্যালাক্সিতেই আছে ৪০ হাজার কোটির মত নক্ষত্র তাদের কোনটিতে আমাদের সৌরব্যবস্থার মত ব্যবস্থা থাকতেই পারে যেখানে থাকতে পারে প্রাণ কিংবা প্রাণী।মহবিশ্ব অনেক বড় হবার কারণেই স্টিফেন হকিং এবং কার্ল সেগান এর মতে পৃথিবীর বাইরে প্রাণ থাকার সম্ভাবনাটাও বেশী।

সত্যিকার অর্থে এখন পর্যন্ত অনেকেই আন-আইডেন্টিফাউড ফ্লাইং অবজেক্ট দেখেছে যা থেকে ধারণা করা যায় ওগুলি এলিয়েন কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। আবার এগুলোকে বিজ্ঞানীরা মানুষের সৃষ্ট, মহাজাগতিক বস্তু কিংবা দেখার ভুল বলে আখ্যায়িত করেছে।

আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সাগরপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৭০০ মিটার (১৫হাজার ৪০০ ফুট) উপরে লেক ডায়মান্ট নামক হ্রদে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। এ আবিষ্কার থেকে ভিনগ্রহে প্রাণের ব্যাপারে সূত্র পাওয়া যেতে পারে।কেননা হ্রদটির কাছেই রয়েছে মাইপো আগ্নেয়গিরি। এমন প্রতিকূল পরিবেশে তাদের টিকে থাকার ফলে এলিয়েন থাকার ধারণা আরো জোরালো হয়। ঐ হ্রদে তাপমাত্রা কখনো শূন্যের নিছে নেমে যায়!
এমন বৈরী পরিবেশে এই ব্যাকটেরিয়া টিকলেও পৃথিবী ভিন্ন অন্য গ্রহে বা উপগ্রহে টিকবে তা কিন্তু না, কারণ পৃথিবী লক্ষকোটি বছর বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে এমন বিবর্তনের ইতিহাস আছে এমন গ্রহ বা উপগ্রহের বেলায় তা খাঠবে!

কয়েক ববছর আগে বিজ্ঞানীরা বিরুপ পারবেশে টিকে থাকা ‘এক্সট্রিমোফিলস’ নামক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করে যারা স্বাভাবিক এর থেকে ৩০ গুন বেশি আর্সেনিক আছে এমন পরিবেশে টিকে থাকে আর হাইড্রোজেন এর মাধ্যমেও শ্বাস নিতে পারে! অক্সিজেন এর উপস্থিতি ছাড়াও যে প্রাণ টিকে থাকতে পারে তার প্রেক্ষিতে এলিয়েনের অস্তিত্ব থাকতে পারে তার দাবী আরো জোরালো হয়।
এলিয়েন থাকলে তার আকৃতি কেমন হবে? বিজ্ঞানীরা এরও একটা তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দিয়েছে।
মূলত তারা ওজন আর শক্তি দিয়ে এটার ব্যাখ্যা দিয়েছে। কোন প্রাণীর আকৃতি দ্বিগুণ করা হলে তার শক্তি বৃদ্ধি পাবে চারগুণ।
আবার আকৃতি দ্বিগুণ করা হলে ওজন হয়ে যাবে আটগুন। এই দুটো নিয়ম এক করলে দেখা যায় আকৃতি দ্বিগুণ করলে তার শক্তি ও ওজনের অনুপাত আগের তুলনায় অর্ধেক হয়ে যাবে। অর্থাৎ বৃহতাকৃতির মানেই হলো দৈহিক শক্তির অপচয়। আর বেশি শক্তির জন্য দরকার ঘনঘন খাবার। এতে করে খাবারের জন্য বেশি ব্যস্ত থাকলে বুদ্ধি বিকাশের সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিজ্ঞানীদের হিসাবনিকাশ অনুযায়ী এই ভিনগ্রহী প্রাণীদের সাথে আমাদের যোগাযোগ স্থাপন করতে হলে তাদের ওজন ৪.৫৪ কেজি (১০ পাউন্ড) থেকে ১০ টনের মধ্যে থাকতে হবে এর বেশি বা কম নয়।
ভিনগ্রহী প্রাণীদের যদি আমরা বুদ্ধিমান ধরে নিই তবে তাদের আকৃতি ছোট হবে না কারণ বুদ্ধি বিকাশের জন্য মস্তিষ্ক দরকার আর উন্নত মস্তিষ্কের জন্য নির্দিষ্ট আকৃতি ও ওজন দরকার।
ভিনগ্রহী আছে কি নেই এই নিয়ে বিজ্ঞানী ড্রেকের একটা সমীকরণ আছে। এটাতে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন যদিও এই সূত্রে সব শর্ত পূরন হয়নি।

ধর্মগ্রন্থে সত্যায়নঃ কুরআনে বলা হয়েছে,"তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন।।" (সুরা -শুরা) আয়াতে বলা হয়েছে ’এদুভয়ে’ অর্থ্যাৎ পৃথিবী এবং মহাকাশে দুখানেই তিনি জীবজন্তু ছড়িয়ে রেখেছেন।
বাইবেলে বলা আছে "যিশু শুধু তোমাদের না উর্ধ্বলোক নিন্মলোক সকলের মঙ্গলের কথা বলনে"
আর হিন্দু কিংবা গ্রীকদের বেশিরভাগ দেবতার বাস কিন্তু গ্রহে, নক্ষত্রে!
ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে বহু চটকদার এবং কখনও কখনও ভাবগম্ভীর কাজও হয়েছে। যেমন লেখা হয়েছে বই, প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকার প্রতিবেদন, তেমনি তৈরি হয়েছে গান, চলচ্চিত্র এবং এ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র। যদিও এসব বাণিজ্যিক চিন্তা থেকে।
যাইহোক ভবিষ্যৎ এ মানুষ কি এলিয়েন খুঁজে পাবে না সব কল্পনাই থেকে যাবে ? এই জিজ্ঞাসার উত্তরের জন্যই সবাই এলিয়েন নিয়ে আগ্রহী।
ছবিঃ গুগুল।
ড্রেকের সূত্রটিঃ উইকিপিডিয়া
কিছুটাঃ এলিয়েন কাহিনিঃ রনক ইকরাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: আমার বিশ্বাস এলিয়েন আসবেই। আমরা এখন এলিয়েন কে মেনে নেওয়ার মতো মন তৈরি করতে পারিনি। এলিয়েন যদি এখন হঠাৎ করে আমাদের সামনে প্রকাশ হয় তাহলে সমাজের চলতি ব্যবস্থায় শোরগোল পড়ে যাবে। হয়তো বদলে যাবে মানব ইতিহাস ধর্ম সহ অনেক ব্যবস্থা। তাই এলিয়েন আসার আগে আমাদের ভালো করে শিক্ষিত হতে হবে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মহাকাশের বিশালতা চিন্তা করলে এলিয়েন এর অস্তিত্ব অস্বীকার করা দুরূহ। তবে এলিয়েনের বুদ্ধিমত্তা নিয়েই যত ঝামেলা আমার কাছে মনে হয় এলিয়েন এর বুদ্ধিমত্তা অনেক নিন্মমানের তাই তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩০

মহসিন ৩১ বলেছেন: এলিয়েনের অস্তিত্ত প্রবাবিলিটির মধ্যে---- মরফলজির ভিন্নতার মানে নাই অর্থাৎ মানে হয় না। ------ পর্যায়ক্রমিক ইতিহাস আমাদের সামরথকে সুধু খাট করতেই যেন বেশি বাস্ত থাকছে; এটাই এখন এই এলিয়েন চিন্তার অনুপযোগিতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.