নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীতে একই চেহারার অনুরূপ ৬ জন ব্যক্তি হওয়া কতটা যৌক্তিক?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০০


পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ কোটির মত মানুষ আছে। একেকজন এর সাথে একেকজনের চেহারার যেমন মিল নাই তেমনি আচার আচারণেও । তবে এমন কথা প্রায়ই বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে একই চেহারার প্রত্যেক মানুষের ৬ জন অনুরূপ মানুষ আছে! এমন হওয়া বা ঘটার সম্ভাবনা আসলে কতটুকু?
আসলে আমাদের চেহারা, আচার আচারণ নির্ভর করে বাবা মায়েদের থেকে প্রাপ্ত DNA এর মাধ্যমে। যা শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়। পুরুষের শরীরে ৮ মিলিয়ন ধরণের শুক্রানু ও নারীর শরীরে ৮ মিলিয়ন ধরনের ডিম্বানু তৈরী হতে পারে। যে কোন একটি শুক্রানু যে কোন একটি ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়ে বাচ্চার জন্ম দেয়।
এখন একজন পুরুষের ৮মিলিয়ন শুক্রাণু এবং স্ত্রীর ৮মিলিয়ন ডিম্বাণু মিলে ৬৪ট্রিলিয়ন ভিন্ন ভিন্ন চেহারার বাচ্চা জন্মদিতে পারবে (যদি না জমজ না হয়)। তবে প্রত্যেকের চেহারাতেই তার মা, বাবা, নানা, নানী, দাদা ও দাদীর চেহারার কম-বেশি ছাপ থাকবে।
প্রতিটা মানুষের ডি.এন.এ ২৩ টি টুকরাতে বিভক্ত। এই প্রতিটা টুকরোকে বলা হয় এক একটা "ক্রোমোসম"। একটা মানুষ দেখতে কেমন হবে, এই সব তথ্য রাখা থাকে তার ডি.এন.এ এর মধ্যে। প্রতিটা ক্রোমোসম আবার ২ কপি করে থাকে, এক কপি সে পায় তার বাবার কাছ থেকে আর আরেক কপি পায় তার মায়ের কাছ থেকে। অর্থাৎ, মানুষের শরীরে ২৩ জোড়া ক্রোমোসম থাকে, প্রত্যেক জোড়ার ১টা আসে মায়ের কাছ থেকে, আরেকটা আসে বাবার কাছ থেকে। পুরুষের শরীর হতে যখন শুক্রানু বা নারীর শরীর হতে ডিম্বানু তৈরী হয়, তখন প্রতি জোড়া ক্রোমোসম নিজেদের মধ্যে কিছু অংশ বিনিময় করে নতুন কম্বিনেশনের এক জোড়া ক্রোমোসম তৈরী করে। এই জেনেটিক ওভার ক্রসিং এর কারনেই চেহারা, আচার আচারণের ভিন্নতা তৈরি হয়।
তাই বলা যায় পৃথিবীতে একই চেহারার ৬ জন তো নয়ই, দুইজন মানুষ থাকা পার্সেন্টজ হিসাবে শূন্যই বলা যায়
ছবিঃগুগুল

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৩

অ্যালেন সাইফুল বলেছেন: আপনার লেখার মধ্যেই তো উত্তর নিহিত।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জ্বি,শিরোনামে প্রশ্ন রেখেছি, লেখায় উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৩

অ্যালেন সাইফুল বলেছেন: আপনার লেখার মধ্যেই তো উত্তর নিহিত।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৩০

মীর মুবাশ্বির খালিদ বলেছেন: "এখন একজন পুরুষের ৮মিলিয়ন শুক্রাণু এবং স্ত্রীর ৮মিলিয়ন ডিম্বাণু মিলে ৬৪ট্রিলিয়ন ভিন্ন ভিন্ন চেহারার বাচ্চা জন্মদিতে পারবে (যদি না জমজ না হয়)। তবে প্রত্যেকের চেহারাতেই তার মা, বাবা, নানা, নানী, দাদা ও দাদীর চেহারার কম-বেশি ছাপ থাকবে।" এই কথায় ভুল আছে। প্রতি পুরুষ প্রতিবার যৌনসঙ্গমের সময় মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন পর্যন্ত শুক্রাণু ছাড়ে কিন্তু এই সকল শুক্রাণু শুধু একটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার জন্য ছুটে। একজন নারী প্রায় মিলিয়ন ডিম্বাণু নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং যখন বয়সন্ধিকাল হয় সে সংখ্যা এসে দাড়ায় প্রায় তিন লাখে। এখন প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ টি ডিম্বাণু তৈরি হয়্। এর মাঝে যেটি সবচেয়ে উপযুক্ত সেটি ফেলোপিয়ান টিউবে এসে জায়গা নেয়। আর একজন পুরুষের সব শুক্রাণুই যে নিষিক্ত করার ক্ষমতা রাখে তা সত্যি নয়। যেসব শুক্রাণু ফেলোপিয়ান টিউবে রক্ষিত ডিম্বাণুতে পৌছতে পারবে তাদের মধ্যে শুধু একটি (কখনো দুটি-জমজ) নিষিক্ত করতে পারে। বাকিরা পারে না। সুতরাং আপনার ৬৪ ট্রিলিয়ন এর সম্ভাব্য হিসাব কমে আসে। আর নারীরা মাসের মাত্র কয়েকদিন নিষিক্ত হবার জন্য উপযুক্ত থাকে (মাসিকের ১০-১৫ দিন আগে) এর বাইরে নিষিক্ত হবার সম্ভাবনা কমে যায়।

ডিএনএ টুকরা নয় বরং ডিএনএ ২৩ জোড়া আলাদা নির্দিষ্ট প্যাকেজিং হিসেবে ক্রোমোজোম থাকে। কারণ, মানুষের ডিএনএ তে মাইটোকন্ড্রিয়ার ডিএনএও আছে যা তার মা থেকে সে পায় কিন্তু সেটা ক্রোমোজোম হিসেবে গণ্য হয় না। ক্রোমোজোম ডিএনএ হিস্টোনপ্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়ে অসংখ্য কুণ্ডলি তৈরি করে সেগুলো যখন একসাথে হয়ে বিশেষ গঠন তৈরি করে তখন সেটাকে ক্রোমোজোম বলে (কোষ বিভাজনের সময় দৃশ্যমান)। ডিএনএ হচ্ছে একক। ক্রোমোজোমের পরবর্তী ধাপ হিসেবে জিনোম বলতে পারেন। বলতে পারেন, মানব জিনোম ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম (মাইটোকন্ড্রিয়ার ডিএনএ বাদ দিলে) এ বিভক্ত(টুকরা বলা কতটা যুক্তিযুক্ত নয় সেটা বুঝবেন আশাকরি)।

আচার-আচরণ ডিএনএ বা জিন উপর নির্ভর করে না, বরং আপনার আশেপাশের পরিবেশের উপর নির্ভর করে বেশি। সিয়ামিজ বিড়ালের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে কিছু জিন শুধু বিশেষ তাপমাত্রায় রঙ পরিবর্তন করতে পারে। এবং আপনারা জিনোমের সম্পূর্ণ অংশ শুধু আপনার চেহারা বা আচার-আচরণের জন্য নিবেদিত নয়, বরং কিছু জিন সেট দায়ী। আমাদের চেহারার ভিন্নতা শুধু জিন বা জিনোমের জন্য আসে না, আসে পারিপার্শ্বিক অবস্হা, এলাকা, আবহাওয়া, খাওয়া-দাওয়া (পুষ্টি), দুর্ঘটনা ইত্যাদি থেকেও। কারণ, প্রতিটি মানুষের জিনোম আরেক জনের সাথে ০.০১% অমিল বহন করে। আর এমন না যে, সামান্য কয়েকটি পরিবর্তনের জন্য আপনার প্রোটিনের বিন্যাস এবং আমার বিন্যাস সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে যাবে। হলে সেটা মিউটেশন হিসেবে গণ্য হবে। একই এলাকা এবং সংকৃর্ণ গোষ্ঠীর মধ্যে চেহারায় অনেক মিল পাবেন। অবশ্যই মিল হবার সুযোগ কম, কিন্তু সেটা ডিএনএ বা জিন বা জিনোমের ব্যাখ্যার চেয়ে অন্য ব্যাখ্যা বেশি গ্রহণযোগ্য।


১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার তথ্যবহুল কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আসলে আমি আমার সীমিত জ্ঞান দিয়ে বিশ্লেষণ করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। তবে আমি ৬৪ট্রিলিয়ন যে শুক্রানু আর ডিম্বাণুর কথা বলেছি তার সব যে নিষিক্ত হয় তা বলিনি আর এটা হচ্ছে দুইজন মানুষের জেনিটিক ওভার ক্রসিং এর ম্যাপ পৃথীবিতে কোটি মানুষের জেনেটিক ওভার ক্রসিং এর মিল হয়ে যাওয়া বস্তুত অসম্ভব। চেহারা মিল হওয়া সম্ভব অনুরূপ বা হুবাহু হওয়া অসম্ভব। আমার আপনার মত হুবহু ৬জন মানুষ আছে এই মিথ টাকে ভুল বলছি।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২৯

মুন্সি পালোয়ান বলেছেন: আয়রন মেইডেন এর ভোকালের সাথে আমার ছোটবেলার এক গৃহশিক্ষকের চেহার মিল খুজে পাইলাম




৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: একজন মানুষের মত ছয়জন মানুষ, এটি হুমায়ুন অাহমেদের উক্তি, হিমু সিরিজে অাছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: গুগুল করে দেখতে পারেন হিমু সিরিজে না এটা নিয়ে বহু আলোচনা আছে।

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমার চেহারের সাথে সামঞ্জস্য এই পর্যন্ত দুই জন আবিস্কার হয়েছে, আমি সহ তিনজন (সবাই বাংলাদেশী)। এই তিনজনের মধ্যে অর্থাৎ আমারও আরেকজনের মধ্যে এতই সামঞ্জস্যপূর্ণ যে আমার মা,বাবা,ভাই বোন ছাড়া অন্য কারো পক্ষে আলাদা করা খুবই কঠিন কাজ। এই উপলক্ষে আমি ফেসবুকে একটা স্টাটাস দিয়ে ছিলাম। সেখানে বন্ধুদের ছবি তিনটিকে আইডেন্টিফাই করতে বলেছি। তারা ম্যাক্সিমাম ভুল উত্তর দিয়েছে। প্রাইভেসির কারণে ছবি তিনটি দিতে পারিনি- দু:খিত।

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

মুন্সি পালোয়ান বলেছেন:

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আমার চেহারার সাথে কার মিল আছে, জানতে মন চায়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: face like me একটা ওয়েব সাইট আছে ঐখানে আপনার ছবি আপলোড দিলে তারা ম্যাচিং করে কয়েকটা সাজেশন দিবে তাদের নাম ঠিকানা সহ ট্রাই করে দেখতে পারেন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.