নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু, নেতাজী, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৭


আগষ্ট মাস চলছে, স্বাভাবিকভাবে এই মাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পত্রপত্রিকা থেকে শুরু করে স্যোশাল মিডিয়াতে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমরা বাংলাদেশীরা বিভক্ত এবং সেটা রাজনৈতিক কারনেই বেশি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় সামাজিক অনেক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম আমাদের পশ্চিমবঙ্গের অনেক বন্ধু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভুল ইতিহাস বলছে কেউ কেউ তাকে ট্রল এবং কুৎসিত মন্তব্য করছে! তবে তাদের যে আপত্তির জায়গা তা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী হতে পারে না! তবে এখানে বলে রাখা ভালো আমি বলছিনা এই দাবি তারা করতে পারবে না বা তাদের সে রাইট নেই। কথা হচ্ছে তারা আলোচনা সমালোচনা করতে গিয়ে ভুল ইতিহাস বলছে আর বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষও করছে। একজনকে দেখলাম সে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলছে সে বলছে "বঙ্গবন্ধু প্রথমে পাকিস্তান পরে পূর্ব-পাকিস্তান এর পর বাংলাদেশ বা বাঙ্গালীদের জন্য সংগ্রাম করেছে" সে আরো বলতে চেয়েছে যদি শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বলতে হয় তাহলে তার মতে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরই হবে শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী কারণ তিনি আমাদের বাংলা অক্ষর দিয়েছেন।
আসলে এইসব বলার আগে ইতিহাস সম্পর্কে আরো বিশদ জ্ঞান রেখে কথা বলা উচিত। ১৯৪৭ সালের হিন্দুদের অবস্থা আর আজকের হিন্দুদের অবস্থা এক ছিলো না তদ্রূপ মোসলমানদেরও। তখনকার হিন্দুরা বিশেষ করে এলিট শ্রেণীর হিন্দুরা মোসলমানদের ডিস্ক্রিমেনিট করতো! এটা নিয়ে হিপোক্রেসি করার কিছু নেই তখনকার হিন্দু লেখকদের লেখা পড়লেই সত্যতা পাওয়া যায়। ভাষার অক্ষর দেওয়া থেকে তা মুখে ধারণ করার প্রয়োজনীয়তা বা আবশ্যকতাই বেশি।
বাংলা ভাষার উপর যখন আঘাত আসলো তখন বাংলা ভাষাকে রক্ষার জন্য ঢাকা কোর্টে যে কমিটি হয় সে কমিটিতে ভাসানীর সাথে বঙ্গবন্ধুও নেতা ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। বাংলা ভাষা, বাঙ্গালীত্বের উপর যখন আঘাত আসে তখন আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালীদের ভূমিকা কি ছিলো? ৪৭ এ যখন লোকাল এসেম্বলিতে ভোট হয় তার আগ পর্যন্ত সত্যি বলতে জিন্নাহও চায়নি ধর্মের আইডেন্টিটি নিয়ে তিনটি দেশ ভাগ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু, জিন্নাহ, ডঃবোস এটাতে রাজি ছিলেন দুই বাংলা মিলে বৃহত্তর বাংলা হোক কিন্তু হিন্দুরা এতে রাজি হয়নি! তারা ভারতের সাথে থেকে গিয়েছিলো। তাই এটা বলা একেবারে অনুচিত হবে যে বঙ্গবন্ধু বাংলাকে টুকরো করতে চেয়েছেন। হ্যাঁ এটা বলা যায় ভারত থেকে বের করে আনতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কখন করেছেন যখন দেখলেন ভারত বিভাজন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে তখন। আপনি এটা নিয়ে বলতে হলে ইতিহাস পড়তে হবে, এখনো পাবেন সে সময়ের ইন্টারন্যাশনাল নিউজ পেপার গুলির আর্কাইভ থেকে। অনেক ভিডিও ডকুমেন্টারিও পাবেন। বিশ্বের দরবারে বাঙ্গালী যে আলদা জাতি এটা পরিচয় করে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু তিনি দেখিয়েছেন আমরা বাঙ্গালীরা আলাদা জাতি নিজেদের শাসন নিজেরাই করছে।
মনে রাখবেন আমরা বাঙ্গালীরা কিন্তু বাংলায় জাতীয় সংঙ্গীত গাই হিন্দিতে না! সকাল বেলায় বাহির হলে একজন অপরিচিত লোক দেখলে আমাদের ভাবতে হয় না তাকে কি বাংলায় সম্ভাষণ করবো নাকি হিন্দি, মারাঠী, তামিল, পাঞ্জাবীতে! আর এর অবদান সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর। নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসু, বিদ্যাসাগরকে আমরা এবং বঙ্গবন্ধুও শ্রদ্ধা করতেন তার মানে এই নয় তাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর তুলনা চলে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকীরা শেখ সাহেবকে গালি দেয়, আমাদের কি দরকার আছে ওদের মুখে টেইপ লাগানোর চেস্টা করা? পশ্চিম বাংলা শেখ সাহেব নিয়ে কি বলবে সেটা কি আমরা ঠিক করে দিতে পারবো?

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর সাথে বাঙ্গালীর ইতিহাস জড়িত। পাকিরা বাঙ্গালীর জাতিরজনককে ব্লেম দিতেই পারে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালীরা পারে না!

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বহু ভারী আর বহু জাতির ভারত নানা ভাবে বিভক্ত । তাদের অভিন্ন কোন জাতিসত্তা নেই। এক প্রদেশের মানুষ অপর প্রদেশের মানুষের পছন্দ করে না এবং কি ক্ষেত্র বিশেষে আইন কানুনও ভিন্ন ।
তাদের সমালোচনায় কিছু যায় না। বঙ্গবন্ধু এক ও অদ্বিতীয়।
কালোত্তীর্ণ সাহিত্য অনেকে সৃষ্টি করতে পারে কিন্তু একটি জাতিকে আত্মপরিচয় দিতে কয়জন পেরেছে? সাহিত্য দিয়ে নির্দিষ্ট একটি শ্রেণীকে আন্দোলিত করা যায় কিন্তু নেতৃত্ব দিয়ে পুরো জাতীকেই জাগিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি নির্দেশে অনেক কবিতা,প্রবন্ধ, গান সৃষ্টি হয়েছে।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি নির্দেশে অনেক কবিতা,প্রবন্ধ, গান সৃষ্টি হয়েছে। "

-এগুলো ইমোশানেল কথা, এগুলোর ইউনিভার্সেল কোন লজিক্যাল ভিত্তি নেই।

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ডার্ক ম্যান বলেছেনঃ কালোত্তীর্ণ সাহিত্য অনেকে সৃষ্টি করতে পারে কিন্তু একটি জাতিকে আত্মপরিচয় দিতে কয়জন পেরেছে? সাহিত্য দিয়ে নির্দিষ্ট একটি শ্রেণীকে আন্দোলিত করা যায় কিন্তু নেতৃত্ব দিয়ে পুরো জাতীকেই জাগিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু সেই প্রেক্ষিতে বলা। এটা মন্তব্যের প্রতিউত্তর আমার মূল লেখার কথা না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.