নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুটবল বিশ্বকাপ ও আমাদের ধর্মান্ধতা!

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২০



ফুটবল বিশ্বকাপ আসলেই আমাদের দেশের কিছু মানুষ এর মধ্যে ধর্মের ব্যপারটিকে নিয়ে আসেন। যদি আপনি ইসলাম ধর্মের কথা বলেন তাহলে এসকল খেলাধূলাকে আপনি কোনভাবেই জায়েজ করতে পারবেন না। এই সকল খেলাধূলা শরীয়াহ বিরুদ্ধ এখানে কোন মুসলিম ফারহেজগার খেলোয়াড় খেললেও সে ইসলাম বিরুদ্ধ কাজ করছে। এজন্য আপনি কোন খেলোয়াড় মুসলিম বা দেশ হওয়ার কারনে আপনি মুসলিম হলে অতি উৎসাহ দেখানোটাও সমীচীন নয়। যাইহোক সেটার বিস্তর বিশ্লেষণ করা মুফতি, মাওলানাদের কাজ। আমি বলছি অন্য আরেকটা বিষয় নিয়ে। সেটা হচ্ছে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা সমর্থন নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশে ফুটবলের সমর্থক এই দুটি দেশেরই বেশি। এই দুটি দেশকে সমর্থন দিতে গেলে এক শ্রেণীর মানুষ কিংবা মোল্লারা বলে থাকেন এই ইহুদী নাসারার দেশকে সাপোর্ট করা তাদের পতাকা নিয়ে মাতামাতি করা চরম গুনাহর কাজ। এবং এই বিষয়টি বলে তারা যে উদাহরণ টেনে আনেন তা হলো প্যালেস্টাইন, ইসরাইল ইস্যু। তাদের দাবি ইসরাইলের ইহুদিরা প্রতিনিয়ত প্যালেস্টাইনীদের প্রতি অত্যাচার করছে, অন্যায় ভাবে তাদের জায়গা দখল করে আছে, তাদের শিশুদের হত্যা করছে প্রতিদিন তাই ইহুদীদের দেশ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করা মারাত্মক গুনাহের কাজ।
এখন আমরা দেখব আসলে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সাথে ফিলিস্তানের কি রকম সম্পর্ক।
ব্রাজিল ফিলিস্তিন সম্পর্কঃ ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার বৃহৎ দেশ যে- কিনা সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধ পূর্ববর্তী যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছিলো তার প্রতি শক্ত সমর্থন আছে ব্রাজিলের এবং ব্রাজিল মনে করে জেরুজালেমেই ফিলিস্তিনের রাজধানী হওয়া উচিত। এছাড়া ব্রাজিল মনে করে ইষ্ট ব্যাংক, গাজা স্ট্রিপ, ইষ্ট জেরুজালেম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশের সব মুসলমানরা যা দাবি করে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রনীতিও তাই মনে করে।
আর্জেন্টিনা ফিলিস্তিন সম্পর্কঃ ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে আর্জেন্টিনা অফিশিয়ালি ঘোষনা করেছিল ফিলিস্তিন হবে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র। এছাড়া আর্জেন্টিনা ল্যাটিন আমেরিকার সেই দেশ যারা ইজরাইল ও ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছে। ২০১২ সালে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টানা ফার্নানদেজ ডি ক্রিচনার ইসরাইল-ফিলিস্তিন ডিলিগেটদের সাথে মিটিং করে এবং ঘোষনা দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীন সার্বভৌত্বের পক্ষে। এবং ঘোষণার সাথে সাথে এই বলেন ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া ইসরাইলীদের সহিংস পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সাধারণ একটি প্রতিক্রিয়া। ইসরাইলের আধিপত্যকামিতা এবং অব্যাহতভাবে ইহুদি উপশহর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর উচিত এ ধরনের অবস্থান গ্রহণ করা।' প্রেসিডেন্টের এই ঘোষনার পরপরেই ইসরাইল ও আমেরিকার চরম রোষানলে পড়ে আর্জেন্টিনা।
এছাড়াও আর্জেন্টিনার পর বলিভিয়া, পেরু উরুগুয়েও স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে ঘোষণা দেয়। অথচ আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ ইহুদি নাসারার দেশ মনে করে এসব দেশকে প্রতিনিয়ত দুষে যাচ্ছে। আসল কথা কিছু অজ্ঞ মোল্লাদের কারনেই এমন হচ্ছে। যারা আসলে না জেনে বিভ্রান্তি গুলি ছড়িয়ে যাচ্ছে।
Relation Between Brazil
Argentine Israil relations

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা ও ইউরোপ হলো ইসরায়েলের আসল বন্ধু; বিশ্বের সব মুসলমান এই ২ এলাকায় গিয়েছে ও যেতে চায়; ধর্মে ভুল আছে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এই এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছে । আমেরিকার অবস্থান ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করে বাকি সব। তবে আগে এই অবস্থান ছিলো না আমেরিকার ইরানের উথানের পর এমন নীতিতে গেছে তারা। ধর্মে ভুল আছে এটা বুঝলাম না।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


যদি ইসরায়েল যাওয়ার ভিসা দেয়া হয়, ওরা শুধু ধার্মিকদের দেবে; বায়তুল মোকারমের ইমাম থেকে শফি হুজুরের লোকেরা লাইন লাগাবে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঐতিহাসিক ভাবে ইহুদীরা মুসলমানদের কাছাকাছি ছিলো সবসময়। তবে বিশ্বের অনেক জুইডিশরা ইসরাইলের অবস্থান সমর্থন করে না।

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঐ সব কাঠ মোল্লারা ব্লগ পড়ে না...

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কাঠ মোল্লাদের কথা যারা প্রচার করে, নাচানাচি করে তারা কি ব্লগ পড়ে?

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: জীবন কে উপভোগ কর কিন্তু নষ্ট হতে দিওনা।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

ক্স বলেছেন: খেলাধুলাকে যদি জায়েজ না বলি, তাহলে যুদ্ধ বিগ্রহকেও কোন অবস্থায় জায়েয বলতে পারবনা। সেই হিসেবে রাসূল (স) ২৭ বার নাজায়েয কাজ করেছেন (নাউজুবিল্লাহ)

খেলা হচ্ছে দুই দলকে সমান সুযোগ নিয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে রেখে তাদের দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ - এটি বিনোদনেরও একটি চমৎকার উৎস। একে ইসলামের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে কার কি লাভ?

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি ভালো কোন মুফতির সাথে কথা বলেন। যে সমস্ত খেলাধূলায়, সময় নষ্ট হয়, নারীর উপস্থিতি থাকে, টাকা অপচয় হয় ঐ সমস্ত খেলাধুলা হারাম বলে গেছে। ফুটবল খেলতে হলে হাটুর উপর কাপড় পড়তে হয়। সাহাবীদের উনি খেলতে যদি হয়ই তাহলে তীর ধনুক, ঘোড় দৌড় খেলতে বলে গেছেন শুধুমাত্র অবসর সময়।

৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

এ আর ১৫ বলেছেন: যে সমস্ত খেলাধূলায়, সময় নষ্ট হয়, নারীর উপস্থিতি থাকে, টাকা অপচয় হয় ঐ সমস্ত খেলাধুলা হারাম বলে গেছে।
ও আইছা --- তীর ধনুক প্রতিযোগিতা ও ঘোড় দৌড়ে বুঝি টাকা পায়সা , সময়ের অপচয় হয় না এবং নারীরা উপস্থিত হয় না !!! :) :) :)


ফুটবল খেলতে হলে হাটুর উপর কাপড় পড়তে হয়।

ফুটবল খেলা কি নামাজ পড়া যে ইবাদত নষ্ঠ হয়ে যাবে । আমি মসজিদে লেবানিজ এরাবিয়ানদের হাফ প্যান্ট পড়ে নামাজ পড়তে দেখছি , অনেক বার ।

সাহাবীদের উনি খেলতে যদি হয়ই তাহলে তীর ধনুক, ঘোড় দৌড় খেলতে বলে গেছেন শুধুমাত্র অবসর সময়।

এখন ঘোড় দৌড় তো রিটিমত গেমলিং । মানুষ কি কাজ কাম বাধ দিয়ে খেলা দেখে ??? মানুষ যদি অবসর সময়ে খেলা দেখে তাহোলে সময়ের অপচয় কি করে হোল ???
নজরুল ইসলাম বলেছিলেন --- বিশ্ব যখন নতুন আবিস্কারে এগিয়ে যায় তখন মুসলমানরা বউ তালাকের নতুন তরিকার সন্ধান করে ,আর আপনে আইছেন ত্যানা পেচাইতে ফুটবল খেলে হারাম না হালাল প্রমাণ করতে । আপনাদের জন্যই মুসলমানদেরআজ এই অবস্থা ..।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি একজন ভাল মুফতির সাথে কথা বলে দেখুন। তীর-ধনুক ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় যদি টাকার অপচয়, সময় নষ্ট হয়, নারীর উপস্থিতি থাকে তাহলে সেটাও তখন হারাম হয়ে যাবে। আপনার অনুসরনীয় ব্যক্তি যদি হয় লেবানিজ এরাবিয়ান তাহলে আর কোন কথা নেই। ফুটবল খেললে ইবাদত নষ্ট হয়ে যায় না ঠিক আছে কিন্তু হাটুর উপর কাপড় পরা স্পষ্ট নিষেধ আছে ইসলামে। যে প্লেয়ারটি ফুটবল বা ক্রিকেট খেলে সে অবশ্যই জামাতের সহিত নামাজ পড়তে পারে না! মানুষ কাজ কাম বাদ দিয়ে খেলা দেখে না? আপনারা আরো জেনে কথা বলা উচিত। যাই হোক আমার পোস্টের মূল বিষয় কিন্তু এগুলি প্রমাণ করা নয়।

৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: । তীর-ধনুক ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় যদি টাকার অপচয়, সময় নষ্ট হয়, নারীর উপস্থিতি থাকে তাহলে সেটাও তখন হারাম হয়ে যাবে।
ও আইছা নারী উপস্থিত থাকলে যদি হারাম হয়ে যেত তাহোলে হজ্জ , বিশ্ব ইস্তেমা হারাম হয়ে যেত ( নাউযুবিল্লাহ ) কারন ওখানে নারী উপস্থিত থাকে । দুনিয়াদারি হারাম হয়ে যেত কারন দুনিয়াতে নারীর উপস্থিতি আছে বলে ।

। আপনার অনুসরনীয় ব্যক্তি যদি হয় লেবানিজ এরাবিয়ান তাহলে আর কোন কথা নেই

এটাকে অনুসরন করা বলে না অবোলকন করা বলে ???? আমার অবলোকিত ব্যক্তি লেবানিজ এরাবিয়ান এবং একজন নহে বহু জনকে দেখেছি । তারমানে আপনার হাফপ্যান্ট সংক্রান্ত কোন বাধা নিষেধ নেই বা যদি থাকে সেটা খালি ইবাদত করার সময় । তারমানি ইবাদত করার সময় ছাড়া অন্য সময়ে প্রয়োজনে হাফপ্যান্ট পড়া যেতে পারে , কিন্তু আরব দেশের মানুষ হাফপ্যান্ট পড়েও ইবাদত করে এবং মাথায় টুপি পড়ে না ।

যে প্লেয়ারটি ফুটবল বা ক্রিকেট খেলে সে অবশ্যই জামাতের সহিত নামাজ পড়তে পারে না

কি কারনে পারে না, সে যদি পড়তে চায় , মিশরের সালাহ তো রোজা রেখে ফুটবল খেলে , সৌদি আরবের ফুটবলাররা হাফপ্যান্ট পড়ে খেলে এবং মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়ে তবে ফুটবলের পোষাক পড়ে নহে ।

মানুষ কাজ কাম বাদ দিয়ে খেলা দেখে না? আপনারা আরো জেনে কথা বলা উচিত।

জী জেনেই বলেছি । যদি খেলার সময় কোন কাজ থাকে তখন , কাজের সময়টা চেন্জ করার চেষ্টা করে বা ছুটি নেয় । কোন পেশাজীবি কাজ ফেলে খেলা দেখে না যদি তারা কাজের সময় সুইচ করতে পারে, বেকার ও ছাত্রদের প্রচুর সময় আছে খেলা দেখার । বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সময় গুলো বেশির ভাগই রাত্রিবেলা হয় সুতরাং কাজ নহে ঘুম বাদ দিয়ে মানুষ খেলা দেখে ।

নারী বিদ্বেষি মনোভব তো দেখি শিরায় শিরায় --- নারীর উপস্থিতিতে নাকি দুনিয়া হারাম হয়ে যায় , কিন্তু নারী না থাকলে তো দুনিয়ার চেহারাটাই দেখতেন না ।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কিছু শর্ত সাপেক্ষে ইসলাম খেলাধূলার বৈধতা দেয়। শর্তগুলো নিম্নরূপ-
১. শরীরচর্চা ও মানসিক প্রশান্তি দায়ক খেলা হতে হবে। অহেতুক সময় অপচয় বা শুধু খেলার জন্য খেলা হতে পারবে না।
২. সম্পূর্ণ জুয়া মুক্ত হতে হবে।
৩. শরীয়ত নির্দেশিত সতরের সীমালঙ্ঘন করা যাবে না। অর্থাৎ শরীয়তে নিষিদ্ধ পোশাক পরিধান করা যাবে না।
৪. শরীয়ত নির্দেশিত পর্দা-বিধানের প্রতি যথাযথ যত্নবান হতে হবে।
৫. খেলায় লিপ্ত হওয়ার দ্বারা নামায, জামাআত বা শরীয়তের কোন বিধান পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা না থাকতে হবে।
সুতরাং উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে ক্রিকেট ফুটবল খেলাও বৈধ হবে এবং উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে সাময়িকের জন্য তা দেখাও জায়েয হবে। পক্ষান্তরে উপরোক্ত শর্তের কোন একটি শর্ত অনুপস্থিত থাকলে ক্রিকেট ফুটবল খেলা জায়েয হবে না এবং তা দেখাও নাজায়েয হবে।
কিন্তু বর্তমানে যেভাবে ক্রিকেট, ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয় তা ইসলামের দৃষ্টিতে কোন ক্রমেই বৈধ নয়। এ ধরনের খেলাধূলার লাইভ সম্প্রচার কিংবা আয়োজনের পূর্বে ধারণকৃত ভিডিও শোনা কোনটিই জায়েয নয়। কারণ এতে নিষিদ্ধ বাদ্য বাজানো হয়। দর্শকসারি (গ্যালারী) দেখাতে গিয়ে পরনারীদেরও দেখানো হয় এবং এদের (নারীদের) উপরই বেশিরভাগ সময় ক্যামেরা স্থির করা হয়। কোন কোন খেলা চলাকালে তো স্টেডিয়ামেই অর্ধনগ্ন নারীদের নাচের ব্যবস্থা করা হয়। এগুলো স্পষ্টতই হারাম কাজ।
আর সশরীরে উপস্থিত হয়েও এ ধরনের খেলা উপভোগ করা জায়েয নয়। এতে মুমিনের একাধিক গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পাশাপাশি মূল্যবান সময় অপচয় হয়।
মানুষের অল্প সময়ের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই অত্যন্ত মূল্যবান। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত এই মূল্যবান সময়কে মূল্যবান কাজে ব্যয় করা। যা তার মৃত্যুর পর অনন্ত জীবনের জন্য কাজে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের পাথেয় সংগ্রহ করে। (সুনানে তিরমিযী; হা.নং ২৪৫৯)
(সূত্র: সূরা আলে ইমরান- ১৮৫, সূরা মায়িদা- ২, সূরা লুকমান- ৬, সূরা নূর- ৩০, ৩১, তাফসীরে কুরতুবী ৬/৫১৩, ৫১৬, ৭/৩৭৪, ৩৭৫, সুনানে তিরমিযী; হা.নং ১৬৩৭, ২৪৫৯, সহীহ বুখারী; হা.নং ৫১৬২,)
এইটা শায়েখ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এর কথা।
আর দুইটা খেলা দাবা, পাশা এসব শর্ত পূরণ করলেও এই দুটি খেলা একেবারে হারাম। আমার পোষ্টের মূল বক্তব্য এসব না ,আপনি পুরো পোষ্ট পড়ুন।

৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

এ আর ১৫ বলেছেন: ওমা এতো দেখছি ১০০% কাট মোল্লা !!!!
কারণ এতে নিষিদ্ধ বাদ্য বাজানো হয়।
কোন বাদ্য যন্ত্রটা নিষিদ্ধ ??? আমরা তো জানি মুসলমানদের আজানটা কেমন হবে তখন কয়েকজন সাহাবি বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে আজান দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন , যদি বাদ্য যন্ত্র হামার হোত তাহোলে তারা এমন প্রস্তাব করতেন না । দফ নামক বাদ্য যন্ত্র বাজানোর বহু নজির আছে ।
দর্শকসারি (গ্যালারী) দেখাতে গিয়ে পরনারীদেরও দেখানো হয় এবং এদের (নারীদের) উপরই বেশিরভাগ সময় ক্যামেরা স্থির করা হয়। কোন কোন খেলা চলাকালে তো স্টেডিয়ামেই অর্ধনগ্ন নারীদের নাচের ব্যবস্থা করা হয়। এগুলো স্পষ্টতই হারাম কাজ।
এগুলো করার বিধিবিধান কি ফুটবল ক্রিকেটের আইন কানুনের মধ্যে আছে ???? নাকি ফুটবল ক্রিকেটের অংগ এগুলো । এই ধরনের প্রদর্শন কি কোন মুসলিম দেশে হয় । ঐ দেশের কালচারে যেটা গ্রহন যোগ্য সেটা তারা করে । এগুলো কোন খেলার নিয়ম কানুন নহে বা অবিচ্ছেদ্য অংশ নহে , প্রয়োজনে সংযোজন বিযোজন করা যায় ।

৩. শরীয়ত নির্দেশিত সতরের সীমালঙ্ঘন করা যাবে না। অর্থাৎ শরীয়তে নিষিদ্ধ পোশাক পরিধান করা যাবে না।

হাফপ্যান্ট পড়ে আরবের লোকের নামাজ পড়তে পারে কিন্তু ফুটবলাররা খেললে পর্দা লংঘন হবে , বড়ই আজব কথা

এইটা শায়েখ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এর কথা।

আর মানুষ পাইলেন না , যিনি প্রকাশ্য হিন্দুদের মুর্তি ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেন !!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.