নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনিয়মিই যেখানে নিয়ম!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৩


সরকারি প্রকল্প গুলো নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতি সম্পর্কে অনেক লেখালেখি, আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, হয়েছে, হবে। ইন্টারনেটে খুঁজলে এ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি পাওয়া যাবে। সরকারি কোনো প্রকল্পে যখন বাজেট করা হয় তখন অবশ্যই বেশি পরিমাণে বাজেট করা হয় কারণ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানে যে, এতে সম্ভাব্য ব্যয় থেকে আরো বেশি অর্থ চলে যাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে জড়িত লোকদের পকেটে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে। প্রতি বর্গ কিলোমিটার রাস্তা, ফ্লাইওভার, ব্রিজ এগুলোতে অন্যান্য দেশ থেকে তিনগুণ, চারগুণ বেশি ব্যয় ধরা হয়। কিছু লোক সেক্রিটিয়েটের কাছাকাছি থেকে এই অবকাঠামো প্রকল্পে মনোপলি বিজনেস করে যাচ্ছে। এসব কাজে সাধারণ বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ করার সুযোগই রাখা হয়না। এই কারনেই দেশে সুষম উন্নয়ন হয়না। যাইহোক এগুলি অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবে।
তবে শুধু অন্যান্য দেশ না আমাদের নিজেদের দেশেই এক প্রকল্পের সাথে সমান আরেক প্রকল্পের ব্যয় অনেক সময়ই বেশি দেখা যায়।
গতকাল প্রকাশিত একটি অনলাইন সাইটে দেখলাম, বি-বাড়িয়ার আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত রেলপথটি মিটারগেজ থেকে ডুয়েলগেজ করা হবে। এ কাজে প্রতি কিলোমিটারে খরচ পরবে ৬৭ কোটি টাকার বেশি।
ঠিক আরেকটি চলমান প্রকল্প দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে রংপুরের কাউনিয়া পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার লাইনকে ডুয়েলগেজ প্রকল্পেই প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হচ্ছে ১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
নেট ঘেটে যতটুকু জানলাম আন্তর্জাতিক মানের ডুয়েলগেজ রেল লাইনের কিলোমিটার প্রতি ব্যয় ৩২ কোটি টাকার মত। আমাদের সরকারী প্রকল্প গুলিতে এধরনের অসঙ্গতি নতুন কিছু না, তবে এগুলিকে যে জিনিসটি ছাড়িয়ে গেসে সেটা হচ্ছে যাত্রাবাড়ী-ফুলবাড়ীয়া মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার প্রকল্পে। অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন এই প্রকল্পে ব্যয় দেখিয়েছে পাঁচ অর্থবছরে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যদিও এই প্রকল্পে সিটি করপোরেশনের কোন সংশ্লিষ্টতা ছিলো না। আর এই তথ্য উঠে আসে দুদকের প্রতিবেদনে এবং দুদক বলেছে এই ব্যয় সম্পর্কে সিটি করপোরেশন কোন নথিপত্র দেখতে পারেনি এখনো। এসব মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়, ঋণ, দুর্নীতি, অনিয়মের বেড়াজাল থেকে প্রিয় স্বদেশ কবে মুক্তি পাবে?
★অদ্ভুত হায়েনার পিঠে চলছে দেশ!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: কিচ্ছু করার নাই।
সব দেখবেন, জানবেন তবু চুপ করে বসে থাকতে হবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ, আপাতত চুপ করে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: লুটপাট না করতে পারলে এদের ভাত হজম হয় না!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: লুটপাটেরও একটা মাত্রা থাকে, কিছুকিছু ক্ষেত্রে মাত্রাও ছাড়িয়ে যায়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.