নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচারপতি এসকে সিনহা সঠিক ছিলেন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯


বিচারপতি এস কে সিনহা যে বইটি লিখেছেন সেই বই সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে তার কিছু অংশ অনলাইন এসেছে। উনি যা লিখেছেন তাতে বলা যায় এর মাধ্যমে তিনি মোটামুটি আওয়ামী লীগ সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছেন। তবে যেটা সত্যি কথা তা হলো, উনার বইয়ের যে অংশ প্রকাশ হয়েছে বা আলোচিত হচ্ছে তাতে উনি ভুল কিছু লিখেননি। আপনি যদি উনার নিয়োগ, ষোড়শ সংশদনী রায়, উনার ছুটি, দেশ ত্যাগ, পদত্যাগ এবং উনার বই প্রকাশ দেখেন তাহলে বিষয়টি খুবই পরিষ্কার হয়ে ধরা দিবে আপনার মগজে।
উনার রায়ে অনেক মূল্যবান কথা ছিলো, সরকারের পক্ষে যায় এমন বিষয়ও ছিলো তবে সেগুলো নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। উনি চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা আবারও জাতীয় সংসদ থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরিয়ে দিতে।
আমাদের সংবিদান প্রণেতা কামাল সাহেবও কিন্তু উনার এই রায়ের পক্ষে ছিলেন। তবে মজার ব্যাপার বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে উনি উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই রেখেছিলেন। ৭৫এ সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে সেটা রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপর অবশ্য জিয়াউর রহমানও ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধন এনে বিচারক অপসারণের বিষয় নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করেছিলো। তবে সমাধানে আসতে পারেনি। ষোড়শ সংশধনীর রায়ে কিন্তু সংবিধানের এই পঞ্চম সংশোধন ও জিয়াউর রহমানকে অবৈধ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৮এ যখন আওমীলীগ ক্ষমতায় আসে তখন তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা। এটা তাদের জন্য জরুরিও ছিলো, কারণ তাদের ইশতেহারে আরেকটি বড় বিষয় ছিলো মানবতাপরাধীদের বিচার। তারা সে বিচার গুলো মোটামুটি সফল ভাবেই শেষ করেছে। তাই বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা আবারো সংসদের হাতে আনার জন্য বিল পাশ করেছে। আর এই বিলটিকেই বিচারপতি এসকে সিনহা অবৈধ ঘোষণা করে একটি সঠিক রায় দেয়েছেন।তার এই যুগান্তকারী রায়টির কারণেই তাকে এতসব হেনস্তার স্বীকার হতে হয়েছে, এখনো হয়ে যাচ্ছেন।
উনি নাকি দুর্নীতি, মানিলন্ডারিং, নৈতিক স্খলনের মত অপরাধের সাথে জড়িত! এখন কথা হচ্ছে এতসব অপরাধ নিয়ে একজন লোককে প্রধান বিচারপতির পদে যারা বসিয়ে ছিলো তাদের দায়ভার কতটুকু! নাকি প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর উনি এসব অপরাধ করেছেন? যদি পরে করে থাকেন তাহলে কি ষোড়শ সংশধনী রায়ের আগে করেছে, নাকি পরে?
আজ যারা উনাকে নিয়ে হাস্যরসাত্মক কথা বলছেন, কাদের সাহেব, আমু, ইনু, তোফায়েল সাহেব, উনারা কি রাষ্ট্রনীতি, বিচারবিভাগ, সুপ্রিম জুডিশিয়াল এগুলি সম্পর্কে উনার থেকে বেশি জ্ঞান রাখেন?
এসকে সিনহার এই রায়টি ছিলো জাতির জন্য অনেক ভালো পদক্ষেপের একটি পদক্ষেপ। দুষ্ঠ রাজনীতিবিদদের কারণে জাতির জন্য নেওয়া একটি ভালো পদক্ষেপ থমকে গেছে।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উনি ফরমায়েসি ভাবে জুডিশিয়াল কু করতে চেয়েছিলেন,
এর প্রমান এই বইতেই রাষ্ট্রপতিকে কটুক্তি করেছেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে লন্ডনে যুদ্ধাপরাধি পরিবারের সাথে মিটিং, ঘুষ গ্রহন (অর্থ ও রাষ্ট্রপতি প্রলোভন) ইত্যাদির যতেষ্ঠ প্রমান ছিল। আর আসিয়ান সিটি থেকে অর্থগ্রহন প্রমানও ছিল।
দেশে থেকে আইনি মোকাবেলা করার সাহস করেন নি। বিদেশ থেকেও করেন নি।
এখন নির্বাচনের আগে ফরমায়েসি বই লিখেছেন।

দেশে ওনার অনেক উচ্চপর্যায়ে সাপোর্ট থাকার পরও উনি আইনি মোকাবেলা করতে সাহস করেন নি।
উনি দোষি, ওনার দুর্বলতা ছিল, তাই আইনি মোকাবেলা করেন নি।
বরং বার বার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে আপোষ করতে চেয়েছিলেন।
তার বইতেও এ কথা লুকান নি।
মিরজাফর কখনো মহান হতে পারে না।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ আইনমন্ত্রীর কথা আপনি কোট করেছেন। সরকারের মন্ত্রীরা এই রকমই বলে যাচ্ছেন। উনাকে স্বাধীনতা বিরোধীও বলেছেন!

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫২

আলআমিন১২৩ বলেছেন: জনাব সিনহা একজন ব্যক্তিত্বহীন কাপুরুষ। বইটি লিখে উনি আরো পচেছেন। উনি দেশের সাথে প্রতারনা করেছেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি দেশের সাথে প্রতারণা করেননি, উনি সরকারের সাথে প্রতারণা করেছেন!

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: উনি এত খারাপ লোক হলে যাওয়ার সুযোগ কেন দেয়া হয়েছিল? বেটাকে ধরে খালেদার মত জেলে রাখতে পারল না?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে এটা বুঝা কঠিক কিছু নয়।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী

সিনহার বিরূদ্ধে যত অভিযোগ তার প্রায় সবই অত্যন্ত পুরোনো। সেসব জানা সত্ত্বেও আওয়ামী সরকার তাকে প্রধান বিচারপতি করেছিল কেন?

আরেকটা বিষয় আমাকে তাজ্জব করে। বিএনপির লোকজনের বিরূদ্ধে যেখানে হাজার হাজার মামলায় বিপর্যস্ত করে রেখেছে সরকার, সেখানে সিনহাকে ইমপীচ পর্যন্ত করার সাহস পেল না সরকার। কি অদ্ভূত। সিনহাকে কিসের ভয় সরকারের।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এখন একজন এসআই, দারোগা নিয়োগের ক্ষেত্রেও তার চৌদ্দ গুষ্টির খবর নেওয়া হয়।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৭

শামচুল হক বলেছেন: চিন্তার বিষয়

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সাধারণ জনগণের চেয়ে সরকারের মন্ত্রীরা বেশি চিন্তায় পড়ে গেছে! কাউন্টার স্ট্যাটমেন্ট দিতে গিয়ে লেজেগোবরে হয়ে যাচ্ছে।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সরকার বেশি চালাকি করতে গিয়ে ধরা পড়ছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই উনার এই রায়ের উপকারিতা কি এটা বোঝার অবস্থানে নেই। তাই সরকারের মন্ত্রী এমপিরা উনার সম্পর্কে ভুলভাল বকে উনাকে ভিলেন বানিয়ে দিচ্ছি।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪০

রাকু হাসান বলেছেন: আপনি ভাল বলেছেন । আপনার সাথে একমত । বইটি আমার হাতে এসেছে । বেশ কিছু অংশ পড়েছি ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পুরো বইটি পড়ে আশাকরি একটা রিভিউ দিবেন।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৯

পিকো মাইন্ড বলেছেন: মগের মুল্লুকে সবই সম্ভব। অবাক হওয়ার কিছু নাই।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনার রায়টি সঠিক ছিল আমু, আনিসুল, তোফায়েল, কাদের সাহেবরা এটা সহ্য করতে পারেনি।

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উম্মু আব্দুল্লাহ
সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১৬ দিকে জানা যায়।
২০১৭র দিকে মোটামুটি মোক্ষম প্রমান পাওয়া যায়।

তখন তার চাকুরীর মেয়াদ ছিল ৩-৪ মাস, তাই সরকার বাড়াবাড়ি করেনি। তবে সতর্ক ছিল।
সিনহা সাহস দেখাতে পারেনি, কারণ তার নিজের কিছু না, যাষ্ট একটি মহলের ফরমাস বাস্তবায়নকারি, ভিতু একটা লোক।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনার পদটা ছিলো তৃতীয় সর্বোচ্চ! দেড় বছর আগে উনার সম্পর্কে এমন মারাত্মক অভিযোগ পাওয়ার পর উনাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিলো। উনি যদি এমন অপরাধ গুলি করে থাকতেন তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে যায় এমন বড় ধরনের রায় দিতেন না। উনি নিজের ইজ্জ্বত বাঁচাতেই ভয়েই তটস্থ থাকতেন। উনার এই অপরাধগুলোর কথা উনার রায় প্রকাশের পরপরই সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বলতে শুরু করে, এ থেকে আপনি কি বুঝতেছেন?

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৭

সনেট কবি বলেছেন: পড়লাম

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কিছু বলুন।

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২১

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
উনি বিচারপতি হয়েও রাজনীতির নেতাদের মতো প্রকাশ্যে বক্তৃতা করতেন । এটা ঠিক নয়।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সরকারের এবং মিডিয়ার বক্তব্যর প্রেক্ষিতে উনি কিছু কথা জনসম্মুখে বলেছে। উনার রায়টি সঠিক ছিলো।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

নজসু বলেছেন: আমি এসে লেখা আর কমেন্টসগুলো পড়ে গেলাম।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আবার আসলে পোস্ট সম্পর্কে কিছু বলে যাবেন।

১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিচার বিভাগের প্রতি সরকারের চরম নগ্ন হস্তক্ষেপের চূড়ান্ত নমুনা এসকে সিনহা।
তাদের স্বার্তের বাইরে কাউকেক বা কোনকিছু তারা যে সহ্যই করতে পারেনা -তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
একজন প্রধান বিচারপতির প্রতি যে অন্যায় অসাংবিধানিক, স্বৈরাচারী আচরণ তারা করেছে
ইতিহাসে তা কলংকিত হয়েই থাকবে।

পোষ্টে +++

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনার রায়টি যুগান্তকারী ছিল। সাধারণ মানুষ এর উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পারেনি তবে দুষ্ট রাজনীতিবিদরা তাদের জন্য এই রায়ের ক্ষতিকর দিকটা বুঝতে পেরেছে।

১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচনের আগেই কেন এই বইটি???

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সময় কোন ফ্যাক্ট না, উনার রায়টি সঠিক ছিলো, বইয়ের প্রকাশিত অংশগুলি ভুল নয়।

১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

তানভির জুমার বলেছেন: উনাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে এটা বুঝা কঠিক কিছু নয়।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বুঝা কঠিন নয় তবে অনেকের জন্য মানা কঠিন।

১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

এ.এস বাশার বলেছেন: নাটক হোক আর সিনেমাই হোক সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম.....

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি বই লিখেছেন, বইয়ে উনার অপসারণ, পদত্যাগ সম্পর্কে বলেছেন।

১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: যদিও উনি রাজনৈতিক বিবেচনায় ওরকম একটি উচ্চপদে অাসীন হয়েছিলেন, কিন্তু উনার মোরাল গ্রাউন্ডটা অল্প হলেও পোক্ত ছিল; ফলেই যত বিপত্তি ডেকে এনেছেন ক্ষমতাসীনদের জন্য। যা নেতারা কখনই ভাবেন নি তাই উনি করেছেন। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

পিকচারটা শেষ হয়েছিল না। ক্লাইমেক্সটা তাই ঐ বইয়ে তুলে ধরেছেন মাননীয়।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি সঠিক রায় দিয়েছেন, জাতির জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: উনি সঠিক রায় দিয়েছেন, জাতির জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। -- ঠিক তাই; আর এ কারণেই উনার ভালোমানুষীকে টার্গেট করা হয়েছিল পুরোদমে। সেক্ষেত্রে বলা চলে ক্ষমতাসীনরা পুরোপুরি সফল।

তবে উনি যে এত তাড়াতাড়ি বই লিখে চরম কাউন্টার অ্যাটাক দিবেন তা কখনই ভাবি নি। আপনার কি মনে হয় উনাকে কেউ এ ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন? নাকি উনি নিজেই সেই অপমানজনক চলে যাওয়ার একটি মোক্ষম সুযোগ নিলেন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আজ অথবা কাল উনি লিখতেন, মানুষকে জানাতেন। সরকারের প্রতি ক্ষোভ থেকে উনি দ্রুত বই লিখেছেন।

১৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ।"উনি যে এত তাড়াতাড়ি বই লিখে চরম কাউন্টার অ্যাটাক দিবেন তা কখনই ভাবি নি। আপনার কি মনে হয় উনাকে কেউ এ ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন? নাকি উনি নিজেই সেই অপমানজনক চলে যাওয়ার একটি মোক্ষম সুযোগ নিলেন। "

উনি কি নিয়তে বই লিখেছেন কে জানে, তবে এটা জনগনের জন্য কল্যানকর পদক্ষেপ। সরকারের স্বৈরতান্ত্রিকতা জানার অধিকার সাধারন মানুষের রয়েছে। সিনহার সাথে সাথে বিচারপতি সিদ্দিকীর বইও আলোচনায় এসেছে। বোঝা যায়, ৪০ বছরেও শাসক চরিত্র একদম পাল্টায় নি।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সরকারের প্রতি উনার ক্ষোভ থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বইটিতে উনি রায় সম্পর্কে যা বলেছেন এবং সরকার থেকে উনার প্রতি যে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে তা সত্য। বইয়ের বাকি অংশে কি লিখেছেন সেটা এখনো আমি জানি না।

২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমি একটি বিষয় বুঝতে পারছি না। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের প্রসংগ এলে আওয়ামীরা শুধু মাত্র সিনহার সমালোচনা করে তাকে ধুয়ে ফেলে। অথচ এই রায় একটি সর্বসম্মত রায়, কোন বিভক্ত রায় নয়। সব বিচারপতিই এক্ষেত্রে একমত। বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় ছিল বিভক্ত রায়। সিনহা সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পক্ষে ছিলেন, যার ফলে তার প্রধান বিচারপতি হবার পথ সুগম হয়। মনে রাখা দরকার সিনহাকে আওয়ামি লীগ নিজের প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিল। সংখ্যালঘু বা ঐ জাতীয় কোন বিবেচনায় নয়।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে আওমীলীগ বিরোধিতা করেছে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে তারাও বিরোধিতা করত। এ রায়ের ফলে বিচারপতিদের নিয়োগ, অপসারণ সরকারের হাতে আর থাকে না এবং বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় খোলার পথ সুগম হয়ে যায়। এখানে যত আপত্তি ক্ষমতাসীনদের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.