নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐক্যফ্রন্টকে সমর্থন দিচ্ছেন, বাকশাল নিয়ে মনের মধ্যে কি ধারণা পুষছেন?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪১


"একটি জাতীয় কল্যাণের অভিন্ন আদর্শে, ব্যাপক মানুষের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে একটি মাত্র রাজনৈতিক সংস্থার পতাকাতলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কিন্তু বহুদলীয় তথাকথিত গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় কোনোভাবেই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব নয়।" শেখ মুজিবকে বাকশাল গঠন কেন করতে চাচ্ছেন এই প্রশ্ন করা হলে তিনি এভাবে উত্তর দেন। ৭১ পরবর্তী অস্থিতিশীল অবস্থায় উত্তরটিকে কি সঠিক মনে হচ্ছে আপনার?
জাতীয় ঐক্যফন্ট হয়েছে ডঃকামাল হোসেনের নেতৃত্বে, আপনি একে সমর্থন দিচ্ছেন, বাহবা দিচ্ছেন এবং এতে জাতি উপকৃত হবে বলে চিন্তা করছেন। উনাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য গুলি দেখলে দেখবেন এতে অনেক ভালো ভালো কথা লেখা আছে, খারাপ কিছুই নেই। বাকশালের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কি পড়েছেন? সেখানে কি লেখা আছে যেগুলির ভালো দিক নেই? নাকি সেগুলি পড়েননি, লোকে মুখে শুনেই শেখ মুজিবকে ফেরাউন ভেবেছেন আর বাকশাল ফেরাউনের মন্ত্র ধরে নিয়েছেন!
জাতীয় ঐক্যফন্টে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখার কথা বলা হয়েছে, বাকশালেও ক্ষমতা ভারসাম্য থাকতো। বাকশালে ব্যক্তি কেন্দ্রিক ক্ষমতার ভারসাম্য থাকতো। বাকশালে সকল পেশাজীবির অন্তর্ভুক্তি ছিল। পুলিশ প্রধান, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী প্রধান, জেলা প্রশাসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরসহ আরো অনেকেই। মেজের জিয়াও ফরম কিনে বাকশালের সদস্য হয়েছেন। এমন দুই একটি পয়েন্ট দেখান যেগুলি বাকশালের মধ্যে ছিলো যা দেশের সাধারণ মানুষের বিপক্ষে ছিলো!
আপনি হয়তো ভাবছেন বাকশালের মাধ্যমে শেখ মুজিব একছত্র ক্ষমতার অধিকারী হতে চেয়েছে। শেখ মুজিব বাকশালের আগেই সাংবিধানিক ভাবেই সকল ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন বৈধভাবে। একক ক্ষমতার জন্য উনার এত ঝামেলায় যাওয়ার কোন প্রয়োজন ছিলো না। আর বাকশালের জন্য যে দলটির প্রথম অবলুপ্ত হয় সেটা কিন্তু বাংলাদেশ আওমীলীগ!
শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের জন্য বাংলাদেশ আওমীলীগ এই নামটির বিলুপ্তি করার মত নৈতিক সমর্থন তাঁর নিজের ভিতর থেকে কখনোই আসতো না।
সম্ভবত বাকশালের অধীনে কুষ্টিয়ায় একটি উপনির্বাচন হয়েছিল যাতে কোন দলীয় প্রার্থী না থাকায় একজন জনপ্রিয় স্কুল শিক্ষক বিপুল জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়। বাকশালের কোন দলীয় প্রতীক না থাকায় যে কেউ যে কারো সাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেতো। সব প্রার্থীই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
যাইহোক আপনি এখন ঐক্যফন্ট আর বাকশালকে একসাথে রেখে ঐক্যফন্টের নেতাদের আর শেখ মুজিবকে চিন্তা করে ভেবে বলুন আপনি কেনো বাকশাল সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পুষছেন।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: পড়লাম

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ওকে।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: এই ধরনের ঐক্যওয়ালারা শেষমেষ কিছুই করতে পারবে না। আসএল সরকার তাদের সুযোগ দিয়েছে তাই তারা একটু লাফাচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনের আগে আগে অনেকেই এরকম লাফায়।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাকশালকে অপছন্দ করেন অনেকে, তবে জাতীয় ঐক্যফ্ন্টকে পছন্দ করেন।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ড: কামাল, রব, মির্জা, রিজভীরা প্রজ্ঞাহীন রাজনীতিবিদ

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ব্যারিস্টার মইনুল হাসান কে কিভাবে দেখেন? তিনি ও বাকশাল পছন্দ করেননি।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

ইসমত বলেছেন: ভালো লিখেছেন, বাকশাল নিয়ে ভালো মূল্যায়ন করেছেন। আসলে '৭৫ পরবর্তীতে মিথ্যা প্রোপগান্ডা আমাদের প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করেছে। ২৫ বছরের গোলামীর চুক্তি যার একটি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাকশাল শব্দটা উচ্চারণ করতে এখনো আওমীলীগও ভয় পায়। মানুষের মনে এটা এখনো ভয়ের তন্ত্র। তবে বাকশাল নিয়ে পড়লে আপনি এর বেশিরভাগ ভালো দিকই পাবেন।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: বাকশালে ব্যক্তি কেন্দ্রিক ক্ষমতার ভারসাম্য থাকতো। বাকশালে সকল পেশাজীবির অন্তর্ভুক্তি ছিল। পুলিশ প্রধান, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী প্রধান, জেলা প্রশাসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরসহ আরো অনেকেই। মেজের জিয়াও ফরম কিনে বাকশালের সদস্য হয়েছেন। এমন দুই একটি পয়েন্ট দেখান যেগুলি বাকশালের মধ্যে ছিলো যা দেশের সাধারণ মানুষের বিপক্ষে ছিলো!
.
হুমায়ুন আহমেদ-এর দেয়াল উপন্যাসে এই বিষয়ে ছোট একটি উত্তর দেয়া রয়েছে কাকে কিভাবে ফরম পূরণ করিয়েছে...

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেওয়াল উপন্যাসে হুমায়ুন আহমেদ অনেক কিছু আন্দাজের উপর লিখেছেন।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " ব্যারিস্টার মইনুল হাসান কে কিভাবে দেখেন? তিনি ও বাকশাল পছন্দ করেননি।"

-আমার মতে, উহা একটা ইডিয়ট

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: নিজেকে সর্বজ্ঞানী ভাবেন উনি। নিজের মতই সঠিক বাকিদের তিনি কোন মূল্যায়ন করতে চায়না।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: এসব কিছু ভালো লাগে না একদমই! কত ফ্রন্ট রে বাবা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.