নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
ডঃ কামাল সাহেবের রাজনৈতিক হাতেখড়ি শেখ সাহেবের হাতে। রাজনীতিতে শেখ সাহেব উনাকে অনেক সুযোগ দিয়েছেন, উনি কোন সুযোগই ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেননি। শেখ সাহেব যখন মারা যান তখন উনি বাহিরে ছিলেন। উনার মৃত্যুর খবরে উনি কোন বিবৃতি দেননি, আন্তর্জাতিকভাবে লবিং করে এই হত্যার বিচার চাননি। উনার নেতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, উনি বিদেশে থেকেও শক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারতেন। হ্যাঁ, উনি ওই দিনের পরের দিন শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছেন, উনাকে শান্তনা দিয়েছেন, দেশে ফিরিয়ে আনবেন বলেছেন। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পিছনে উনার বড় কোন প্রভাব ছিলো না। আসলে মেজর জিয়া একটু নমনীয় হওয়ায় শেখ হাসিনা দেশে আসতে পেরেছে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে উনাকে দলে নিয়েছেন, তার বাবার মত তাকে কাছে রেখেছেন, সুযোগ দিয়েছেন কিন্তু তিনি বরাবরই জাতির জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েও কাজ করেননি।
যাক শেষমেশ শেখ হাসিনার উপর রাগটাগ করে উনি বের হয়ে গিয়েছেন। বের হয়ে গিয়েও উনি একটা সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, গণফোরাম গঠন করেছেন, দেশের সকল প্রফেশনালদের ডাক দিয়েছেন, তারাও এসেছেন। গণফোরাম সৃষ্টি করার দিনই উনি সেই সুযোগ নষ্ট করেছেন। উনি মনে হয় সে দিন কোন হোমওয়ার্ক করা ছাড়াই চলে এসেছেন। সবসময় উনি কোট টাই পরে থাকলেও সেদিন উনি হাফহাতা শার্ট পরে বক্তব্য দিতে এসেছেন। পোশাক আশাকেও যেমন উনাকে প্রফেশনাল লাগেনি তেমন কথাবার্তায় প্রফেশনাল মনে হয়নি। তাইতো পরের দিন পত্রিকায় উনার গণফোরামের কথা হেডলাইনে ছাপা না হয়ে ড: ইউনূসের "পথের বাঁধা সরিয়ে নিন" কথাটি হেডলাইনে আসে।
সেদিন সে সমাবেশে সারাদেশ থেকে হাজারের উপরে ডেলিগেট এসেছিলো, অর্থনীতিবিদ, সমাজবিদ, কৃষিবিদ, ডাক্তার সবই ছিলো। আমাদের আজকের অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবও গিয়েছিলেন সেদিন সে সমাবেশে। ডঃ কামাল হোসেনের কাছে সেই দিনটি ছিলো জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন, অবিশ্বাস্য সুযোগ। তিনি সেই সুযোগ লুফে নিতে পারেননি, পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। আজ উনি ঐক্যফ্র্ন্ট করেছেন, ক্ষমতায় ভারসাম্য আনবেন বলেছেন, কিন্তু আমার বিশ্বাস ঐক্যফ্র্ন্ট ক্ষমতায় আসলেও উনি এসব করতে পারবেন না। রাজনীতিতে এই মানুষটি আপাদমস্তক একজন ব্যর্থ রাজনীতিবিদ তবে কর্পোরেট লয়ার হিসেবে শতভাগ সফল।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ সাহেব উনাকে তেল ও গ্যাস মন্ত্রী বানিয়েছেন। তেল না দিতে পারুক গ্যাস তো দিতে পারার কথা। সেই জায়গায় উনি ব্যর্থ হয়েছেন, পরে উনাকে বিদেশমন্ত্রী করেন।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
ফোয়ারা বলেছেন: তিনি আগের সুযোগগুলো হাতছাড়া করলেও এবারে হাতছাড়া করবেনা মনে হয়।
আমার আজকের পোস্ট পড়ে আসার অনুরোধ পথপ্রান্তের খোশ গল্পঃ ছুটির দিন ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেখাযাক কি করেন উনি, নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার পর কিছুটা বুঝা যাবে। উনাকে দিয়েই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দেওয়ানোর কথা।
আপনার পোষ্ট পড়েছি। এগুলি আমাদের সমাজের সাধারণ ঘটনা, অহরহ হয়ে থাকে।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ড: কামাল হোসেন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, যদিও উনি সেভাবে কোন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেখাতে সক্ষম হননি। ইদানিং ঐক্যফ্রন্ট করে একটা হইচই ফেলেছেন। দেখা যাক, সামনে কী হয়...
৭৫সালে অনেকের ঘটনাই প্রশ্নবিদ্ধ/সমালোচনার দাবিদার। ড. কামাল/কাদের সিদ্দীকি কেন লীগ ছেড়েছে তার পেছনে অবস্যিই যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা আছে। (সংস্কারপন্থী যে কেউ দলে থাকতে পারে না। মোসাহেবদের কথা আলাদা)
@ রাজনীতিতে এই মানুষটি আপাদমস্তক একজন ব্যর্থ রাজনীতিবিদ তবে কর্পোরেট লয়ার হিসেবে শতভাগ সফল।
কথায় দ্বিমত করার মত যুক্তি নেই। তবে ব্যক্তিগত প্রশ্ন আছে,
শেখ হাসিনা কি বঙ্গবন্ধু আদর্শে/পথে আছেন?
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ডঃ কামাল সংস্কারপন্থী ছিলেন না। মূলত উনি ৯১ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর শেখ হাসিনা ওনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং নির্বাচনী সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে বলে শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন। উনি পরাজিত হওয়ার পরেও বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এরপর থেকে অনেকগুলো ছোট ছোট ঘটনার কারণে উনি আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে যান। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে থাকলে দেশে ১৭% হারে সুপার ধনী বাড়তো না।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: উনি বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। তারপরও চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতিহারের ৩০% ও ঠিকঠাকভাবে পূরণ করতে পারেনি। কামাল সাহেবের ঐক্যফ্রন্ট গঠন করায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। একটা সুযোগ উনার প্রাপ্য।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ উনার জন্য আবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তবে উনার সফলতার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: ডঃ কামাল বুদ্ধিমান লোক। কিন্তু তার বুদ্ধি দেশের জন্য কোনো কাজে এলো না।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছেন কিন্তু সেগুলো সঠিকভাবে ম্যানিপুলেট করতে পারেননি। করতে পারলে ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো।
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
তিনি লেগে থাকা প্রফেশাল আইনবিদ, এর বাইরে কেহ নন।
আপনার একটা ভুল ধারণা, জেনারেল জিয়া নরম হওয়ায়, শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে পেরেছেন; শেখ হাসিনার দেশে ফেরার জন্য ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জতিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সাথে ছিল শেখ হাসিনার ভয়ংকর সাহস।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: জিয়ার নমনীয় ভাব ছিলো এবং চাপেও ছিলো, উনি চাইলে শেখ হাসিনার ফেরা আরো দীর্ঘায়িত করতে পারতেন।
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা ঠিক, উনার মত লোক জাতিকে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর রাজনীতিতে তেমন কিছু দিতে পারেনি। শেষ বয়সে হয়তো এই আত্ম সমালোচনায় ভূগে জাতিকে কিছু দেয়ার প্রয়াসে ফ্রন্ট লাইনে আছেন। তার উপর এবার শীর্ষ নেতা হিসেবে ডিল করছেন। কোন দলছুট পাতি নেতা হিসেবে নয়। উনি যে দেশের জন্য একটা ভাল সিস্টেম চান সেটা কেউ অস্বীকার করবে না। তা না হলে, উনার গুরুর মেয়ে এক কালে যাকে এনে সভাপতি বানিয়েছিলেন, আজকে তারই বিরুদ্ধেই উনি অবস্থান নিতেন না...
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দল ছাড়ার সময়ও তারা দুইজন দুইজনকে শ্রদ্ধা করতেন লোক দেখানো। তবে ড: কামাল এখনো আওমীলীগের জন্য ক্ষতিকর কেউ নয়। উনি জাতির জন্য ভালো চান তবে সে ভালো কিভাবে চান সেটা পরিষ্কার করতে পারেননা।
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আপনার লিখার টপিকটি দারুণ ছিলো....
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ডঃ কামাল সত্যিকারের অর্থে একজন রাজনীতিবিদ নন। আপনাকে ধন্যবাদ।
৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৫
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: উনি আসলে রাজনীতিকে কখনও ভালবাসেন নি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২২
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ভাবার বিষয়। তবে উনার তেল দেয়া কথাবার্তা বলা অভ্যাস নেই। বর্তমানে যাদের দেখছি তারা সিনিয়র দের জন্য খাটি তৈলের ভান্ডার উজার করে রেখেছে। ধন্যবাদ