নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কথা বলে এদের পাত্তা দিবেন না।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০১


আমাদের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা এবার নতুন করে উঠছে না। তবে হ্যাঁ, এবারের মত প্রচার হয়তো আগে হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার পর খন্দকার মোশতাক ২৫শে আগস্ট অর্থাৎ দশ দিন পর কেবিনেট মিটিং করেছিলো জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের জন্য। ১৯৭৮ সালে জাতীয় সঙ্গীত বিধিমালা প্রণয়ন করলেও ১৯৭৯ সালে মেজর জিয়ার সংসদে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
এরশাদও রাষ্ট্র ধর্ম কে ইসলাম করার পরে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিল। এরা কেউ সফল হতে পারেনি, এখন যারা হাউ কাউ করছে এরাও সফল হতে পারবে না। মানুষের সামান্য এটেনশন পাবে এই যা।
আইয়ূব খান আমাদের কাছে আমাদের দেশ বুঝিয়ে দিয়েছে, আর আমাদের নেতারা একদিন বিকেল বেলা খাতা কলম নিয়ে বসে জাতীয় সঙ্গীত লিখে ফেলেছে এমন কিন্তু না। এই সঙ্গীত আমাদের যুদ্ধের নয় মাস আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মুখেমুখে উচ্চারিত হয়েছে। তারা সকাল বেলা যুদ্ধে যাওয়ার আগে এই গান গেয়ে যুদ্ধে যেতো। সকাল বেলা এই গান গেয়ে যুদ্ধে গেছে কিন্তু যুদ্ধে থেকে আর ফিরে আসেনি এমন মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অনেক। তাদের জীবনের শেষ গান ছিল এই গান, শেষ অনুপ্রেরণা ছিল এই সুর।
এই গান এই সুরকে যারা পরিবর্তন করতে বলে এরা মননে বাংলাদেশি হতে পারে না।
এরা জাতীয় সঙ্গীত গাইলে এর অর্থ উপলব্ধি করে না, তাদের চোখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি ভাসে।
জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় কিংবা শুনার সময় যে শিহরণ জাগে এটা এদের বুঝানো যাবে না। এরা ইনিয়ে বিনিয়ে নিজের দেশ ,নিজের মাকে অপমান করে যাবেই। এদের সাথে তর্কে যাবেন না, দেখলে এড়িয়ে যাবেন। বকবক করতে করতে এক সময় এরা হারিয়ে যাবে।
“মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।”

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নূর আলম হিরণ ভাই, জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সাহেব কবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন তা জানাবেন এবং আপনি কিভাবে জানেন এমন একটি তথ্য? প্লিজ এর সুত্র দেবেন।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এখানে দেখুন

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এখানে বিস্তারিত আছে। এছাড়াও আব্দুল গাফফার চৌধুরীর এক লেখাও দেখলাম তিনি জিয়ার জয়বাংলা ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের চেষ্টার কথা বলেছেন।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৫

নতুন বলেছেন: যদিও এই আলোচনাই অপ্রয়োজনিয় তবুই জিঙ্গাসা

জাতীয় সঙ্গীত পাল্টানোর দাবী করা কি অবৈধ? অসাংবিধানিক? বা অন্যায় কিনা?

যদি অন্যায় না হয়ে থাকে তাহলে যার ইচ্ছা সে পাল্টানোর কথা বলতেই পারে। এবং তার জন্য তাকে খারাপ বলা যাবেনা।

আমার জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গেলে চোখে পানি আসে, আবেগে গলা কেপে যায়,

হয়তো নতুন প্রযন্মের কিছু মানুষ সেই আবেগ ধারন করে না।

কিন্তু তার জন্য সেই মানুষটি খারাপ হয়ে গেছে সেটা ধারনা করা ভুল.... এই দাবী উঠার মানে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের আবেগটি ঠিক মতন নতুন জেনারেসে পৌছাইতেছে না।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শুধু নতুন জেনারেশন না খন্দকার মোশতাক, জেনারেল জিয়া, এরশাদও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চেয়েছিলো, তাদের কাছে কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পৌঁছায়নি!

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমি আর মাত্র একটি কমেন্টে বিস্তারিত কথার ইতি করতে চাচ্ছি

নূর আলম হিরণ ভাই, এরশাদ ও জিয়াউর রহমান সাহেবের আমলে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কথা উঠেছে এবং তা আলোচনায় আসছে একদম হাল নাগাদ। ইন্টারনেট বাংলাদেশে তো নতুন নতুন না। অন্তত দশ বছর আগেও এর একটা নিউজ তথ্য সূত্র পাওয়ার কথা উদাহরন ২০০৯ এর একটা নিউজ ইন্টারনেটে, অথবা তারো আগে ১৯৯৯ সনে। জাতীয় সঙ্গিত নিয়ে বিতর্ক হয়েছে হাল নাগাদ এখন তাতে ফাসানো হচ্ছে প্রয়াত দুই সরকার প্রধানকে - বিষয়টি আপনার কাছে কেমন মনে হচ্ছে? ইতহাস ১৯৭৫-১৯৯০ এর এর ঘটনা।

বর্তমান প্রজন্মের কে বা কারা জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে চাচ্ছে বা তাদের চাওয়া এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় এখানে জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সাহেবের তথ্য তো তথ্য মন্ত্রনালয় ও সংসদ ভবনের আর্কাইভেও নাই !!! একাত্তর টিভি কোথায় পেলো - কে জিগ্যাসা করবে তাদের? আমার প্রয়োজন নাই। আমি একাত্তর টিভি দেখি না।

বর্তমান প্রজন্মের যারা জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন চাচ্ছে তাদের চিকিৎসা ঢাকা পশু হাসপাতালে, এছাড়া আরো কি কি চিকিৎসা আছে তা আমি পোষ্ট দিয়েছি।

দেশে এরশাদ সাহেব ও জিয়াউর রহমান সাহেবের অনেক বদনাম আছে তার অর্থ এই নয় যে জিয়াউর রহমান সাহেব আর এরশাদ সাহেব মরে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পাল্টাতে চাচ্ছেন!!! আর একাত্তর টিভির তারা কোন দেশে এমন তথ্য পেয়েছে তাও একদম হাল নাগাদ - যার কোনো পূর্ব ইতিহাস কিছুই নাই !!!

ফেসবুকার, ইউটিউবার আর একাত্তর টিভির আলোচনায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন হবে না। - এই দেশে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার এখানো জীবিত আছে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার কথা গুলো যুক্তিসঙ্গত। তবে যিনি বলছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং খন্দকার মুশতাকের কথা একেবারে তারিখসহ বলছেন। মেজর জিয়া এবং এরশাদের টা একটানে বলে গেছেন। যাইহোক বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো আপনিও একটু দেখুন এই ব্যাপারে জানতে পারলে জানাবেন। চাঁদগাজি উনি হয়ত কিছু বলতে পারবেন এই ব্যাপারে।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৫

নতুন বলেছেন: যদি দাবি করাটা অন্যায় না হয় তবে সেটার জন্য কাউকে দোষী বানানো ঠিক না। :)

কিছু জিনিস অন্যাায় না কিন্তু হয় তো আমাদের ভালো লাগেনা। তাই বলে সেই লোক খারাপ হয়ে যাবে না।

আগে বলুন তারা কি অবৈধ কোন দাবি করেছেন?

তাদের দাবী কি অসাংবাধানিক?

এখন যদি আপনি একটা ভিডিও পান যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূতি তে ধন্য ধ্যান্যে পুস্পে ভারা গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত বানানোর কথা তিনি চিন্তা করেছিলেন....

সবাই তিনি মারা যাবার আগে এই স্বপ্নকে পুরনের জন্যই যুক্তি খুজে পাবে...
তবে সবাই এর পক্ষেই যুক্তি খুজে নেবে..... :)

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সাংবিধানিক ভাবে অনেক ব্যাপার আছে অন্যায় না তারপরেও নৈতিকতার একটা ব্যাপার থাকে। পৃথিবীর মধ্য যে কয়টি দেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা হয়েছে তার বেশিরভাগের কারণ হচ্ছে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক শব্দ। আমাদের জাতীয় সঙ্গীতে এমন কিছুর উপস্থিতি নেই। সাংবিধানিক ভাবে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এতে আপনার মত কি?

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: চেতনাবাজরা চটে কেন?



মুক্তমনারা আধুনিক সঙ্গিতের দাবী করতেই পারে, তাতে দোষ কী?

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মুক্তমনাদের পক্ষ থেকে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি উঠেনি মনে হয়। মৌলবাদীদের থেকে এ দাবিটি সবচেয়ে বেশি উঠে।

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: পাত্তা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এরা থাপ্পড় পাওনা।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাজেশ অফ লজিক দেখায় এগুলি খুবই সস্তা লজিক। এদের সাথে আলোচনা করলে সময় নষ্ট হয়, আমি এদেরকে এড়িয়ে চলি।

৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যুদ্ধ করে দেশ আনা হয়েছে, দেশ এনেছেন '৭১'এর জেনারেশন; উনারাই এই সংগীতটি বেচে নিয়েছিলেন, উনারাই এই সংগীত গেয়েছেন; যারা তখন থেকে দেশবিরোধী ও পরাজিত, তারা এই জাতির কেহ নয়, এই সংগীত নিয়ে তাদের কোন বক্তব্য থাকতে পারে না, তাদের উ্ত্তরসুরীদেরও কোন বক্তব্য থাকতে পারে না।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এরা সংগীতের মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে, সংগীতের মধ্যে দেব-দেবীর নাম খুঁজে পায়। পৃথিবীর আর কোনো জাতীয় সঙ্গীতে নিজ দেশের রূপ, প্রকৃতির এমন বর্ণনা নেই।

৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

নতুন বলেছেন: দৃনিয়াতে একটা জিনিসেরই পরিবত`ন নাই সেটা হইলো ''পরিব`তন' শব্দটি বাকি সবই পরিবত`ন সম্ভব এবং হবে।

আমাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত অবশ্যই পরিবত`ন করার দরকার নাই। এটা একটা অতি অপ্রয়োজনিয় বিষয়।

বাংলাদেশীদের খাইয়া দাইয়া কাজ নাই তাই খই ভাজতে লেগে যায়।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যারা নাড়াচাড়া করছে এরা ভালো কাজ করছে না। ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের প্রচুর ভুলত্রুটি আছে। কিন্তু কারণে অকারণে তাদের ভিলেন বানানোর অপচেষ্টা করতে দেখলে ভালো লাগেনা।

ফেইসবুকে কিছু আজাইরা পুলাপান জাতীয়সংগীত নিয়ে হাউকাউ করেছে, এসব এতো গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবিটি আসলে কখন উঠেছে? মেজর জিয়া ও এরশাদের কথাটি ৭১ টিভির টকশোতে সুস্পষ্টভাবে এসেছে। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি থেকে এর কোনো প্রতিবাদ এখনো চোখে পড়েনি।

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৬

নাসির ইয়ামান বলেছেন: জাতিগতভাবে বাঙালী কখনো এক ছিলনা। আর মনে হয়না,কখনো এক হবে। তাহলে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বাধাবাধির এতো কী আছে।
তাই বলি,আগে জাতিগতভাবে এক ও মানুষ হও!

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্রথমত, বাংলাদেশ যারা ফেইসবুক ইউজ করে তাদের ৭০% বয়স ৩০এর নিচে। এদের বড় একটা অংশ জাতীয় সংগীত নিয়ে হাউকাউ করছে। এখন যার বয়স ৩০; তেরো বছর পূর্বে তার বয়স ছিলো ১৭। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির আমলে এরা বুঝতে শিখেছে। এদের এহেন চিন্তাভাবনার দায় কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এড়িয়ে যেতে পারে?!
জেনারেল জিয়া, এরশাদ... ইত্যাদি বলে বলে দায় এড়ানোর পথ নেই।

ফেইসবুকে যারা জাতীয়সংগীত নিয়ে চিল্লাচিল্লি করছে তাদের প্রোফাইল চেক করে দেখেন।

দ্বিতীয়ত, জাতীয়সংগীত পরিবর্তনের ভাবনা যেকোন সময়, যে কারো মাথায় আসতে পারে। সংসদে আলোচনা চলতে পারে। এটা অবৈধ নয়। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণ চাইলে বদলানো হবে; না চাইলে হবেনা। এটা নিয়ে হাউকাউএর কিছু আছে বলে মনে করছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.