নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
আধুনিক বিশ্বে শিশুদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা আগের মতো নেই। এখন শিশুদেরকে ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট সিস্টেমে শিক্ষা দেওয়া হয়। ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্ট সিস্টেম হলো শিক্ষক তার শিশু শিক্ষার্থীর আগ্রহ, অভ্যেস, কোন বিষয়ে দক্ষ ও আগ্রহী এবং একটি নির্দেশ কত দ্রুত তার ব্রেনে প্রসেস করে কাজ করতে পারে তার নোট করে রাখা। তাদের ভুল হলে পরম যত্নে সেগুলো শুধরে দেওয়া। খেলার ছলে প্রতিনিয়ত তাদের পরীক্ষা নেওয়া এবং এই পরীক্ষাগুলো সে এমন ভাবে নিবে যে, শিশুরা বুঝতেই পারবে না তাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এসব করার পরে শিশুচিত্তে যে পরিবর্তন ঘটে তার মূল্যায়ন করা এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী ধাপে তার শিশু শিক্ষার্থীকে উন্নীত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মোটকথা এমন পদ্ধতিতে শিশুদের দৃশ্যমান কোনো পরীক্ষা নেওয়া হয় না, যা তাদের মেধা বিকাশ ও সৃজনশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অন্যদিকে আমাদের শিশুদের জন্য প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় যে পদ্ধতি চালু আছে সেটাকে বলা হয় সামেটিভ অ্যাসেসমেন্ট। এটা অনেক পুরনো পদ্ধতি, গত তিন হাজার বছর থেকে এই পদ্ধতি প্রচলিত আছে। উন্নত দেশগুলো এই ব্যবস্থা থেকে সরে এসেছে অনেক আগেই।
বর্তমান যুগটা এমনিতেই দিনদিন ভার্চুয়াল যুগে পরিণিত হচ্ছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের জন্য নির্ধারিত সময় ব্যয় করতে পারছে না। মোবাইল, কম্পিউটার, গেইমিং গ্যাজেট বাচ্চাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে উঠছে। তার উপর কয়দিন পরপর পরীক্ষা, পরীক্ষার জন্য কোচিং, বিশাল হোম ওয়ার্ক বাচ্চাদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। এতে বাচ্চারা ভয়ে তটস্থ থাকে, তাদের স্বাভাবিক চলাফেরা, চিন্তা-চেতনায় বড় ধরনের নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এতকিছু বলার কারণ হচ্ছে গত পরশুদিন দেখলাম প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠন করার জন্য কিছু ইডিয়েট খুব তোড়জোড় চালাচ্ছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে হাজারো সমস্যা রেখে এরা এটার পিছনে ছুটছে, প্রাথমিক শিক্ষার স্তর পাঁচ ক্লাসে হবে, নাকি আট ক্লাসে হবে গত আটচল্লিশ বছরেও এরা এটার সমাধান বের করতে পারেনি। এখন এসেছে যে করেই হোক প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠন করতে! একটা নয়, দশ বছরের বাচ্চাকে পাবলিক পরীক্ষার মুখোমুখি করতে! আমার ঠিক জানা নেই পৃথিবীর আর কোনো দেশ এত অল্প বয়সে বাচ্চাদের পাবলিক পরীক্ষার মুখোমুখি করে কিনা। বাচ্চাদের মেধা বিকাশ ও সৃজনশীলতা নষ্ট করার জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর কি হতে পারে!
আসলে বাচ্চাদের পরীক্ষা নেওয়া এদের মূল লক্ষ্য নয়, মনে হচ্ছে মূল লক্ষ্য হলো এরকম একটি বোর্ড গঠন করে অনেকগুলো পদের সৃষ্টি করা, সেসব পদে তারা আসীন হবে এবং বাজেটে তাদের জন্য আলাদা বরাদ্দ নিবে। কোটি কোটি টাকা লোপাট করার জন্য আরেকটি পথ খোলার চেষ্টা করা। বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা লোপাট করার জন্য অনেক পথ খোলা আছে, দয়া করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি করার জন্য এমন পথ যেন বের করা না হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ, উনি গর্ধভদের দের এই প্রচেষ্টা থামিয়ে দিবেন। এছাড়াও পিএসসি পরীক্ষা বাতিল করে আমাদের শিশুদের সামিটিভ এসেসমেন্ট ব্যবস্থা থেকে মুক্তি দিয়ে ফরমেটিভ এসেসমেন্ট শিক্ষা ব্যবস্থার উপর জোর দিবেন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কত হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে অপ্রয়োজনীয় ট্রেনিং করতে যায় বিদেশে। সেই হিসেবে এটার পিছনে ব্যয় করলে উপকার বৈ ক্ষতি হবেনা। ফরমেটিভ এসেসমেন্ট শিখা তেমন জটিল কিছু না।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শুনেছিলাম পিইসি, জেএসসি বাতিল হবে। এখন আবার বোর্ড কেন? এই লোকগুলো সব সময় নিজেদের সন্তানদের বিদেশে পড়িয়ে নিজের দেশে শুধু এক্সপ্যারিম্যান্ট চালায়...
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ২০১০ সালে পিএসসি পরীক্ষা চালু করার পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলো অনেক মানবাধিকার সংগঠন, মিডিয়া, অভিবাবক। গত বছর সরকার মোটামুটি এটা বাতিল করার জন্য নৈতিক সিদ্বান্ত নেয় কিন্তু আমলারা লুটপাটের নতুন দুয়ার না খুলে ক্ষ্যান্ত হবে না মনে হচ্ছে। আওমীলীগের আমলা নির্ভরতা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে প্রকট আকারে।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শিশুরা শিক্ষকদের এক্সপেরিমেন্ট করার কাজে
গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এর বিহিত করতে হবে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এসব লোক গুলো পৃথিবীর অন্যান্য দেশের দিকে তাকালেই বুজতে পারতো। এত এক্সপেরিমেন্ট করার দরকার পড়তো না। আসলে টাকা শ্রাদ্ধ করার এক্সপেরিমেন্ট এটা।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ন সহমত।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। প্রধানমন্ত্রীর সহমত হওয়া বেশি জরুরি।
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৪
নতুন বলেছেন: বাচ্চাদের বোড পরিক্ষায় বসাতে এই সব আয়োজন আসলেই কিছু পদ সৃস্টি,টাকা লোটপাটের ভাবনা থেকেই এসেছে।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হা পাল্টাতে না পারলে বেকার সমস্যাও কমবেনা।
সবার এমএ পাশ করার দরকার নাই। স্কুলে, কলেজে ব্যবসায়ী হবার হাতে কলমে শিক্ষা শুরু করতে হবে। কারিগরি শিক্ষায় বেশির ভাগ ছাত্রকে পাঠাতে হবে।
বাচ্চাদের নিজে থেকেই জ্ঞানঅজ`নের ইচ্ছাটা সৃস্টির পেছনে কাজ করতে হবে শিক্ষদের।
কোন স্কুল,কলেজের শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনি করতে পারবেনা।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাচ্চাদের জন্য আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা সঠিক নয়। প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠন হবে আর আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৬
কলাবাগান১ বলেছেন: ফরমেটিভ এসেসমেন্ট শিক্ষা ব্যবস্থার চালানোর জন্য সেই রকম শিক্ষক ও ডেভেলপ করতে হবে।