নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ও বিজ্ঞানকে কি সমন্বয় করা যায়?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২২


অনেককেই দেখি ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে ব্যাখ্যা করতে চায়, এটা আসলে ভুল চেষ্টা। এভাবে চেষ্টা করতে গিয়ে দুটোকে গুলিয়ে ফেলে। ধর্ম এবং বিজ্ঞানকে একই সাথে ব্যাখ্যা করা যায়না, দুটোই আলাদা, একেবারেই আলাদা। ধর্মের মৌলিক ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস আর বিজ্ঞানের মৌলিক ভিত্তি হচ্ছে অবিশ্বাস। এখন এই দুটোকে আপনি কিভাবে একই সুতোয় বাঁধবেন!
পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে, পৃথিবী গোলাকার, পানি থেকে মেঘ সৃষ্টি এগুলো আপনি যেমন ধর্মগ্রন্থ থেকে প্রমাণ করতে পারবেন তেমনি রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি কিংবা শেক্সপিয়ারের সনেটেও খুঁজে পাবেন। তাই ধর্মগ্রন্থ গুলোতে বিজ্ঞান বিষয়ে অতি আশ্চর্যজনক কিছু নেই।

শীতের রাতে খড়ের গাদার উপর বসে ওয়াজ শুনে কিংবা কম্বলের নিচে শুয়ে ইউটিউবে আহজারীর সাহেবের ওয়াজ শুনে কখনো বুঝতে পারবেন না, মোটরের ঘূর্ণনের ফোর্সকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে শক্তি উৎপন্ন করা হয়। এসব ওয়াজ আপনার পরকালের জন্য হয়তো কাজে আসবে কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে আপনি তাল মিলিয়ে চলার মত কোন উপাদান খুঁজে পাবেন না। আপনি কি কোন ওয়াজে পর্যায় সারণি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে কিংবা হাইজেনবার্গের আনসারেটেনিটি সম্পর্কে পড়ার জন্য উপস্থিত শ্রোতাদের গুরুত্ব বুঝিয়েছে? না এরকম ওয়াজকারী অন্তত আমার চোখে পড়েনি।

বিজ্ঞান চর্চা করতে গেলে এমন এমন বিষয় আপনার সামনে চলে আসবে, যেটা সরাসরি আপনার ধর্মের বিপক্ষে চলে যেতে পারে। এখন আপনি ধর্মের কথা মাথায় রেখে যদি সে বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে হয়তো গবেষণা বন্ধ করে দিতে হবে অথবা আপনার ধর্মের সাথে সমন্বয় করে সে গবেষণা চালানোর চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও যখন আপনার গবেষণার বিষয়বস্তুর ব্যাপারে অন্যরা জানতে পারবে তখন আপনাকে সে গবেষণা থেকে বিরত রাখার জন্য সকল চেষ্টা করা হবে। ফলশ্রুতিতে আপনার প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত আর সফল হতে পারবে না।

ধর্মকে সব সময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখা উচিত। সমাজ কিংবা রাষ্ট্র এর পিছনে বেশি সময় ব্যয় করলে সে সমাজ বা রাষ্ট্রের উন্নতি খুব ধীরগতিতে হবে। ধর্ম পালনে কারো মনে প্রশান্তি আসলে সেটা দোষের কিছু নয়। সেই প্রশান্তি পাওয়ার জন্য সে ধর্ম পালন করতে পারে কিন্তু সেটা কখনোই পুরো রাষ্ট্র বা সমাজের উপর চাপিয়ে দিতে পারেনা। যেসব সমাজে বা রাষ্ট্রে ধর্মকে চাপিয়ে দেওয়া হয় সেসব রাষ্ট্র বা সমাজ বিজ্ঞান চর্চায় অনেক পিছিয়ে পড়ে। কারণ সেই সমাজ বা রাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা শিশুটি বিজ্ঞান এবং ধর্মকে সমন্বয় করার চেষ্টা করে আর এটা করতে গিয়ে সে না হতে পারে বিজ্ঞানী, না হতে পারে ধার্মিক! সে হয়ে উঠে বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়া এক সমাজের ক্ষুদ্র একটি অংশ।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০২

নতুন বলেছেন: মানষের অজ্ঞতাকে পুজি করে কিছু মানুষ ভুল তথ্য দিয়ে অন্ধধামিকদের বিজ্ঞানের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তাদের বিশ্বাসকে প্রমানিত করার চেস্টা করে।

বত`মানে মানুষের হাতে ইন্টারনেট এসেছে কিন্ত তার সহী ব্যবহার বেশির ভাগ মানুষই জানেনা। তাই তারা নেটে সত্যি ঘটনা বা আসল তথ্য কি ভাবে খুজতে হয় সেটা জানেনা। তারা ফেসবুকে যা দেখে তাই বিশ্বাস করে।

এই প্রযন্মের জন্যেই গুজব বেশি ভাইরাল হয়। সময় লাগবে তবে আস্তে আস্তে মানুষের মাঝে ভুল বিশ্বাস গুলি দুর হবে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উড়োজাহাজ আবিষ্কার, বিগ ব্যাং, জেনেটিক কোড যখন মানুষ ধর্মগ্রন্থে খুঁজে, ব্যাখ্যা দেয় তখন আসলে কোন ব্যাখ্যাই সঠিক হয়না। আপনি ঠিক বলেছেন তথ্য খোঁজার ক্ষেত্রে বেশিরভাগই সঠিক পন্থা অবলম্বন করে না।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১১

আল ইফরান বলেছেন: ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা আমি খুব বেশি দেখি না যতক্ষন না পর্যন্ত প্রকৃত অর্থে সেক্যুলার হতে পারছি । বিজ্ঞান প্রমাণিত সত্য, ধর্ম বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। যুক্তির সাথে আবেগকে না মেলানোই ভালো।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: চীন অবশ্য কমিউনিজমের সাথে ধর্মকে সমন্বয় করে নিচ্ছে। মুসলিম দেশ গুলোর ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব না তবে ধর্মকে এক পাশে রেখে বিজ্ঞান চর্চা করতে পারে। তবে সেটাও সম্ভব করা বেশ কষ্টসাধ্য হবে।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এই যুগেও কাঠমোল্লারা কীভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আমার বোধগম্য হয় না

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষ সময়ের সাথে সাথে বাকি বিশ্ব সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখছে না, তাই তাদের বিভ্রান্ত করা সহজ হয়ে যায়।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যথার্থ উপস্থাপন। ভালো লাগলো

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: ধর্ম, বিজ্ঞান ও রাজনীতি তিনটি স্বতন্ত্র বিষয়। যার বৈশিষ্ঠ্য সম্পূর্ণ আলাদা।

এই তিনটাকে যে একসাথে মিলিয়ে খিচুড়ি বানায় এদের পরিত্যাগ করুন।
আমি করেছি। আপনি করেছেন তো?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম আর বিজ্ঞানকে যারা এক করে ফেলে তারা সমাজের একটা বৃহৎ অংশ চাইলেই আপনি এদের পরিত্যাগ করতে পারবেন না। এদেরকে রাষ্ট্রের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলার চেষ্টা করা উচিত।

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

নতুন অতিথি বলেছেন: Science is also build on believe. As hypothesis (theory) start on that and followed by experiment. May be proved wrong or right.

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঠিক, তবে বিজ্ঞান বিশ্বাস করেই বসে থাকে না। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেটার গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে সেটা ছুড়ে ফেলে দেয়।

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে, পৃথিবী গোলাকার, পানি থেকে মেঘ সৃষ্টি এগুলো আপনি যেমন ধর্মগ্রন্থ থেকে প্রমাণ করতে পারবেন তেমনি রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি কিংবা শেক্সপিয়ারের সনেটেও খুঁজে পাবেন। তাই ধর্মগ্রন্থ গুলোতে বিজ্ঞান বিষয়ে অতি আশ্চর্যজনক কিছু নেই।

মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য এসেছিলাম। আর পড়া হলো না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি বলতে চেয়েছিলাম ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে স্পষ্ট করে বৈজ্ঞানিক কিছু না বললেও সেটার নানারূপ কাল্পনিক বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানের সাথে মিলানোর চেষ্টা করা হয়।

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্ম হচ্ছে, আজকের তুলনায় গড়ে ৩০০০ বছর আগের আদি মানুষদের সন্মিলিত, সর্বাধিক "লব্ধজ্ঞান"; বিজ্ঞান হচ্ছে সেই জ্ঞানের রূপ ও আধুনিক সম্ভাব।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ৩০০০ বছর আগের সে জ্ঞানের সাথে বর্তমান জ্ঞানের সমন্বয় করা সম্ভব না।

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুব সংক্ষিপ্ত হলেও আলোচনার জন্য বিষয়টা দরকারী বটে।

বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান কি জানলেও সাধারন ভোক্তা যেমন বিজ্ঞানের খুটিনাটি বোঝেন না বা বোঝার প্রয়োজন নেই
ফলাফল উপভোগেই শান্তি স্বস্তি এবং বিজ্ঞানের প্রশস্তি! বিজ্ঞান নিয়য়ে ভুল ভাবনা বা ধারনার নেগেটিভি প্রচার প্রায় নেইই বা থাকলেও সেই ভুলকে ব্যক্তির অজ্ঞতা হিসেবেই ধারন করে বিজ্ঞান থাকে নিষ্কলুষ!
ধর্মের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা।

ধর্ম কি কয়জন জানেন? কয়জন এর গভীর সারবত্তা নিয়ে গবেষনা করেন। খুবই রেয়ার। কিন্তু ধর্মের ভোক্তা সারাৎসার না বুঝেই ধার্মিক সেজে বসে আছে। আর তাকে মোটাদাগে চিহ্নিত করা হচ্ছে পোষাকে লেবাসে। ফলে ভোক্তার ভুল এই ক্ষেত্রে ধর্মের ভুল হিসেবেই চিত্রিত হচ্ছে।!!! এবং পোষাকি ধার্মিকের ভুল ধর্মের ভুল হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে ধর্ম দাড়িয়ে যাচ্ছে কাঠগড়ায়!

ইমাম গাজ্জালীর ধর্ম দর্শনের জন্য প্রচলিত মোল্লারাই কাফের ফতোয়া দিয়েছিল
মনসুর হাল্লাজ বা বড় বড় ধর্ম গবেষকদের নিয়ে গবেষনা প্রায় শুন্যের কোঠায়! ইসলামের মূলাধার মোহাম্মদ সা: এর উপর কয়জন আলেম ডক্টরাল করেছেন? নেইই বলতে গেলে।

ধর্ম আর বিজ্ঞান দুই চোখের মতো। যাদের মধ্যে বিরোধতো নেইই বরং একে অন্যের পরিপূরক।

আমি প্রচলিত লেবাসী ধর্ম বা তার বিশ্বাসের কথা বলছি না। বরং প্রকৃত ধর্মের কথা বলছি। যা সমাজে খুব রেয়ার!
যে ধর্ম শুরু হয় জ্ঞান চর্চার আহবান দিয়ে। ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক দিয়ে
যে ধর্মের প্রথম স্বীকৃতির বাক্যের প্রথমেই আপনার বিজ্ঞানের অবিশ্বাসের যাত্রা দিয়ে শুরু হয় -
নাই কোন ইলাহ....লা ইলাহা (ইলাহ মানে শুধু প্রভু নয়- আরবী ভাষায় প্রায় ১৭টি সমার্থক শব্দ আছে। যা বহুমাত্রিক জ্ঞানের পথে চালিত করে।) আমরা মোটা দাগে একটা ধরে বসে আছি এটা ধর্মের দোষ নয় আমাদের অজ্ঞতা।)

আবার কোরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে- তোমরা ইব্রাহিমের ধর্ম অনুসরন কর।
এখন ইব্রাহিম আ: এর ধর্ম মানে কি? তা বুঝতে হবে? তিনি কিভাবে সত্যে উপনীত হলেন সেই ঘটনায় হালকা ইশারা খুঁজে পাই। সূর্য দেখে ভাবলেন এইটা ক্ষমতার উৎস! দেখলেন সূর্য অস্তযায়। চন্দ্র, বাতাস, পাহাড়, এভাবে অনুসন্ধানী মন
বারবার নিরিক্ষার পর জ্ঞান লাভ করলেন - যিনি এ সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন- আমি তর প্রতি মূখাপেক্ষি হলাম। তার অনুগত্য স্বীকার করলাম।
সাধারন গল্প হিসেবই কথ্য হয়ে আসছে। আপনি অনুভবের চোখে দেখলে পাবেন বিজ্ঞানের মূল সূ্ত্রই অনুসারিত হয়েছে।
বিশ্বাস-অবিশ্বাস এবং কার্যকারণ বিশ্লেষনের মাধ্যমেই তিনি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।

এবং সবচে মজা লেগেছে আমার কাছে- যে নবজীকি স্পষ্ট করে ইব্রাহিমের ধর্মকেই অনুসর করতে বলার মাঝে।

আর মূল বিষয় হলো বুঝতে চাইলে বোঝা যায়। আলোচনা হয় এবং সমাধানও আসে।

ধর্ম সমাসাময়িকতাকে বৈজ্ঞানিক ভাবেই জয় করেছে। সাধারন মানুষের কাছে যা মিরাকল বা মাজেজা হিসেবে বিরাজ করে। কারণ তারা ঐটার কার্যকারণ না খুঁজে বিশ্বাসেই কর্ম সমাপ্ত মনে করেছে।

আর বিজ্ঞান ও ধর্মের বর্তমান যে দূরত্ব তাতো মধ্যযুগের কুফল মাত্র। তখন খ্রীষ্টিয় ধর্মযাজকদের একচ্ছত্র ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ধর্মের মৌলিক জ্ঞানের বদলে আচার সর্বস্বতায় ডুবে গিয়ে চার্চের অতিমাত্রায় সমাজ নিয়নন্ত্রনের কুফল। যার প্রতিক্রিয়া যখন চার্চের নিরংকুষ ক্ষমতা খর্ব হলো তখন চার্চ শুধু আচারী ধর্মতেই আবদ্ধ হয়ে গেলনা বরং বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষও হয়ে গেল!
একই অবস্থা ইসলামের পোষাকী মোল্লাদের ক্ষেত্রেও।
আল জাবের ইবনে সিনার জ্ঞান চর্চায় তারা সহযোগী না হয়ে চর্চা অব্যহত না রেখে পোষাকি ধর্মে ডুবে গিয়ে আর বিজ্ঞানের টিকিও খুঁজে পাচ্ছে না। বরং হাস্যকর ভাবে কোরআনের আয়াতের খন্ডাংশ দিয়ে বিজ্ঞান ধর্মের কাছেই সব ধার করে নেয় তত্ত্ব প্রচার করে হাস্যরসের যোগান দিচ্ছে।

সরি। পোষ্টের চেয়ে মন্তব্যই বুঝি বড় হয়ে গেল। তাই ক্ষেমা দিলাম।


১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম বলতে সব ধর্মই শুধু ইসলাম না, প্রচলিত ধর্ম গুলোর মধ্যে যত বিশুদ্ধ ধর্মই হোক না কেনো সেটা বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক হবেই।

১০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম এবং বিজ্ঞান কখ্নো এক হবে না।
একটা উত্তর মেরু একটা দক্ষিন মেরু।
ধর্ম দিয়েছে শুধু ক্যাচাল। আর বিজ্ঞান দিয়েছে আধুনিকতা।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম আর বিজ্ঞান দুই চোখের মতো। যাদের মধ্যে বিরোধতো নেইই বরং একে অন্যের পরিপূরক।
এই মন্তব্যের সম্পর্কে আপনার কি মনে হয়?

১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩০

সুপারডুপার বলেছেন: ধর্মে আল্লাহ চাইছেন বলে আপেল মাটিতে পড়েছে। বিজ্ঞানে অভিকর্ষ বলে আপেল মাটিতে পড়েছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: নিউটন যদি মাথায় আপেল পড়ার সাথে সাথে বলতো ঈশ্বর যা করেন ভালোর জন্যই করে তাহলে অভিকর্ষ সূত্র আবিষ্কার করতে পারতো না।

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৪৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট | আর অধিকাংশ মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য যথেষ্ট ম্যাচিউরড |

গত কয়েকদিন যাবৎ গান বাজনাকে নিষিদ্ধ (হারাম) করা না করা বুজুর্গরা যেরকম রণমূর্তি ধারণ করেছিলেন তাতে মনে হচ্ছিলো বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বুঝি ওহাইও-পেনসিলভেনিয়ার মতো আমিশ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে | যাহোক সেই যুদ্ধ বোধহয় থামলো বলে ! "All quiet on the western front" now! ;)


১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাদ্যযন্ত্র বানানো একধরনের বিজ্ঞান। ধর্ম মানলে আপনি সেটা আবিষ্কারের পথে যাবেন না।

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি বলছেন ধর্মকে সব সময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখা উচিত। আমিও সেরকমই ভাবি।
এই উপমহাদেশ বাদে পূর্বএশিয়া ও পশ্চিমে আরব মধ্যপ্রচ্যে ধর্ম ব্যক্তিগতই, ভারত উপমহাদেশ বাদে কোথাও এরকম অস্থিরতা নেই।

নবী (স) আমলেও ধর্ম ব্যাক্তিগত ছিল।
মদিনায় এক জেহাদির মা এসে হাজির। ছেলে কে ফিরিয়ে নিতে মক্কা থেকে হেটে এসে এসেছে।
তরুন যোদ্ধা রসুলের কাছে হাজির হয়ে বললো - হুজুর মা এসেছে, মা তো মুসরিক/কাফের। মাকে কি করবো?
রসুল বলেছিল তোমার মাকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই, মা আসছে থাকুক। তোমার নামাজ তুমি পড়।

ধর্ম-কর্ম করা ও পরকালের ভাবনাটিও ব্যাক্তিগত।
কিতাবে যা লেখা - হাশোরের মাঠে তুমি একা, এলাকার কাউকে চিনবে না, পরিবারের কাউকে চিনবে না, তুমি ইন্ডিভিজুয়াল। একা। বিচারেও অন্য কারো জন্য জবাবদিহি করতে হবে না।
বেহেস্তে গেলেও একা। সাথে থাকবে ৭২ বেহেস্তি হুর। পরিবার সহ যাওয়ার উপায় নেই,
কর্তাকে ৭২ বেশ্যার সাথে দেখলে পরিবার এমনিতেই পালিয়ে যাওয়ারই কথা।

আর বেহেস্ত দোজখের ব্যাপারটিও একক যেহাদির মনস্ততের উপর ভিত্তি করে।
তৎকালিন সময় তরুনদের যথেষ্ঠ অর্থ না থাকলে বৌ জুটানো কঠিন ছিল। এসব যৌনকাতর যেহাদিদের শয়নে সপনে একটাই চিন্তা "কবে একটা নারীর অধিকারি হব"। যেহাদির মনস্ততের উপর ভিত্তি করেই ৭২ হুর।

যদিও সব ধর্মপুস্তকে বলা আছে পরকালে বংশবিস্তার হবে না, সে হিসেবে রিপ্রডাক্টিভ অর্গান, তথা যৌন তাড়না না থাকারই কথা। কিন্তু। তরুন একক যেহাদিদের চাহিদা বলে কথা।

আমাকে যদি কেউ বলে বেহেস্তে কি চাও?
আমি বলবো পরিবারের সাথে মিলে আনন্দে থাকতে চাই। ৭২ হোর চাই না

১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্ম আর বিজ্ঞান দুই চোখের মতো। যাদের মধ্যে বিরোধতো নেইই বরং একে অন্যের পরিপূরক।
এই মন্তব্যের সম্পর্কে আপনার কি মনে হয়?

ধর্ম বিজ্ঞান সম্পূর্ন আলাদা।
তেল আর জল। বিরোধ আছে। অনেক বিরোধ। একহিসাবে বিজ্ঞান ধর্মকে খাটের তলায় নিয়ে গেছে।

১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: না । যায় না

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অনেকে করতে চায়, এই ব্লগেই শতশত উদারন আছে। এসব করতে গিয়ে ধর্মের অসারতা আরো বেশি প্রকাশ পায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.