নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপা কি প্রবৃদ্ধি এবং সুষম প্রবৃদ্ধির পার্থক্য বুঝেন?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬


গত কয়েকদিন আগে শেখ হাসিনা সরকার এবারের ক্ষমতার এক বছর পার করেছে। সেই উপলক্ষে উনার সরকারের পক্ষ থেকে উনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা, শেখ সাহেবের মেয়ে শেখ হাসিনা অতীতের যেকোনো সরকারের চেয়ে খুব ভালো অবস্থায় আছেন। উনি দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছেন। দেশে অনেক বড় বড় মেগা প্রজেক্ট উনি হাতে নিয়েছেন এবং অনেকগুলো প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। বেগম জিয়া যেসব মেগা প্রজেক্টের সমালোচনা করেছেন, উনি সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করছেন। এদিক দিয়ে বেগম জিয়াকে একটি ধন্যবাদ দেওয়া যেতে পারে।
যাইহোক আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের প্রবৃদ্ধি এবার আট এর ঘরে যাবে, প্রবৃদ্ধি আট এর ঘরে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। এক পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের মোট প্রবৃদ্ধির সাথে এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে।

এটা সত্য যে, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রচুর হচ্ছে। আর এসব উন্নয়ন দেশের জিডিপিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে হলে সবার আগে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। তাই অবকাঠামোগত উন্নয়ন একটি অপরিহার্য বিষয় কিন্তু এর সাথে দেখতে হবে এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে গিয়ে দেশে যেনো অসম অর্থনৈতিক উন্নয়ন না হয়। তবে আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন দেশের যে সকল মেগা প্রোজেক্টের কাজ হয়, হাজার কোটি টাকার প্রোজেক্ট পাস হয়, সেগুলোতে সাধারণ জনগণকে সরাসরি বিনিয়োগ করার কোন সুযোগ দেওয়া হয় না। যার ফলশ্রুতিতে এসব অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে দেশে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান সে অনুপাতে বৃদ্ধি পায় না। এসব কাজগুলিকে কিছু মুষ্টিমেয় লোক মনোপলি ব্যবসার মতো তৈরি করে ফেলেছে। আর এরাই দেশের সুপার ধনী মানুষ।

অর্থনীতি যারা বুঝেন তারা বলতে পারবেন প্রবৃদ্ধি এক জিনিস আর সুষম প্রবৃদ্ধি আরেক জিনিজ। দু'টোর সংজ্ঞা আলাদা। সুষম প্রবৃদ্ধি বলতে বুঝায়, অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে সমানুপাতিক হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা। এখন শেখ সাহেবের মেয়ে যদি সুষম প্রবৃদ্ধি বলতে সেতু, কালভার্ট, রাস্তার উন্নয়ন বুঝে, তাহলে সেটা উনার ভাষায় সুষম প্রবৃদ্ধি, অর্থনীতির ভাষায় নয়। উনি এবং উনার মন্ত্রীরা প্রবৃদ্ধি প্ৰবৃদ্ধি না করে এবার সুষম প্রবৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া উচিত।

উনার শাসনামলে উনি কি পরিমান চাকুরীর সংস্থান করতে পেরেছেন, প্রতিমাসে উনি কি পরিমান বেকারকে কর্মসংস্থানের যোগান দিতে পারছেন, দেশে ছদ্দবেশী বেকারের সংখ্যা কত সেটাও উনার কথা থেকে জানা সম্ভব হচ্ছে না। দেশে পাঁচ কোটি গৃহিণী প্রতিদিন বিনা বেতনে/মজুরিতে কত কোটি শ্রমঘন্টা কাজ করে যাচ্ছে সে হিসেব উনার আছে? তাদের নিয়ে উনার কি চিন্তা-ভাবনা, কি পরিকল্পনা কে জানে! নাকি আল্লামা শফী সাহেব উনাকে ভিতরে ভিতরে এটার সমাধান দিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও এবার উনার সরকার এই অর্থ বছরে যে পরিমাণ ঋণ নেওয়ার কথা সে পরিমাণ ঋণ ইতিমধ্যে নিয়ে ফেলেছে। অর্থবছর শেষে সেই ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে বুঝাই যাচ্ছে। এসব ঋণকে রিকভার করার জন্য উনার কি পরিকল্পনা সেটাও তিনি স্পষ্ট করে বলছেন না। এসব কারণে উনার বলা প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও সেটা সুষম প্রবৃদ্ধির দিকে যাবে না।

শেষমেশ আরেকটি কথা, হয়তো আর কয়েকদিন পরেই উনি এবং উনার সাঙ্গ-পাঙ্গরা বলবে উন্নত অর্থনীতি তাই উনাকে আগাম বলে রাখি অর্থনৈতিক উন্নয়ন আর উন্নত অর্থনীতিও এক জিনিস নয়।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন যে, দেশের মেগা প্রজেক্টগুলোতে সাধারণ মানুষের "বিনিয়োগ" নেই; মেগা-প্রজেক্টে সাধারণ মানুষের বিনিয়োগের প্রসেসটা কি রকম?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সরকারি এসব প্রজেক্ট যারা বিড করে কাজ পায়, চুক্তিতে তাদের উল্লেখ করে দিতে হবে যে, এই পরিমাণ অর্থ তারা সাধারন পাবলিক থেকে বিনিয়োগ হিসেবে নিবে এবং কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর একটা লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ভাগ করে দেবে।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কি সুসম প্রবৃদ্ধির নিয়ে কথা বলতে চেয়েছেন, নাকি প্রবৃদ্ধির সুসম-বন্টনের উপর কথা বলতে চেয়েছেন?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্রবৃদ্ধির সুষম বন্টন হলে সুষম প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের ৫ কোটী গৃহিনী নিজেদের ঘরে কাজ করে পরিবারকে চলমান রেখেছেন, পরিবার লাভবান হচ্ছেন; এজন্য কি শেখ হাসিনা উনাদের বেতন দেয়ার দরকার আছে?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: না, শেখ হাসিনা তাদের বেতন দেবে না কিন্তু এই কয়েক কোটি শ্রমঘন্টা থেকে কয়েক লক্ষ শ্রমঘন্টা আর্থিক খাতে আনার পরিকল্পনা করতে হবে।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের সুনামধন্য মেয়র আতিকুল ইসলাম সাহেব বিগত ৯ মাসে যানজট নামক একটা সমস্যা যে আছে তা মাত্র আবিষ্কার করতে পেরেছেন । আর সেটা তিনি মাত্র ৩ মাসে দুর করবেন।
কিন্তু তার আগে উনাকে জিতাতে হবে।
(আসলে উনার দোষ না,আমরা ভাত বেশি খাইতো তাই একটু প্রসেসর স্লো কাজ করে)। আপা হলো উনার নেত্রী।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তিন মাসে যানজট কিভাবে দূর করবেন সে সম্পর্কে কি কিছু বলেছেন। উনি কোন প্রক্রিয়া যানজট দূর করবে সেটা না বলে উনার ভোট চাওয়া উচিত হচ্ছে না।

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা হারাতে হারাতে শেষমেষ কিছু পেয়ে যাই সেটাই আমাদের শ্বান্তনা।
এই দেশে বেশি কিছু আশা করা ভুল।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমরা যা পাচ্ছি তার চেয়ে বেশি পাওয়ার কথা। দেশের পুরো সম্পদের অর্ধেক গুটিকয়েক মানুষের হাতে।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " সরকারি এসব প্রজেক্ট যারা বিড করে কাজ পায়, চুক্তিতে তাদের উল্লেখ করে দিতে হবে যে, এই পরিমাণ অর্থ তারা সাধারন পাবলিক থেকে বিনিয়োগ হিসেবে নিবে এবং কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর একটা লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ভাগ করে দেবে। "

-স্যরি, এটা সঠিক নয়; সরকারকে এইসব প্রজেক্টের মুলধন যোগাড়ে 'সরকারী বন্ড' বিক্রয় করতে হয়; বন্ডের ক্রেতারা "বিনিয়োগকারী"; বিনিয়োগকারীরা বন্ডের জন্য ইন্টারেষ্ট পাবেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বলেছেন: হ্যাঁ, সেটাই ঠিক। তবে জানার জন্য বলছি, সরকার প্রজেক্টের যে খরচ সেটা বন্ডের মাধ্যমে নিলো কিন্তু লাভ কি ভাবে দিবে। বেসরকারি ফার্ম ধরুন এক লক্ষ টাকা বিড করে কাজ পেলো ষাট হাজারে কাজ শেষ করলো এবং নির্দিষ্ট একটা অংশ বিনিয়োগকারীদের মাঝে ভাগ করে দিলো। নাকি সরকার যে পরিমান মূলধন লাগবে সেটা নিবে এবং কাজ শেষে ভুর্তুকি দিয়ে লভ্যাংশ দিবে?

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " বলেছেন: হ্যাঁ, সেটাই ঠিক। তবে জানার জন্য বলছি, সরকার প্রজেক্টের যে খরচ সেটা বন্ডের মাধ্যমে নিলো কিন্তু লাভ কি ভাবে দিবে। বেসরকারি ফার্ম ধরুন এক লক্ষ টাকা বিড করে কাজ পেলো ষাট হাজারে কাজ শেষ করলো এবং নির্দিষ্ট একটা অংশ বিনিয়োগকারীদের মাঝে ভাগ করে দিলো। নাকি সরকার যে পরিমান মূলধন লাগবে সেটা নিবে এবং কাজ শেষে ভুর্তুকি দিয়ে লভ্যাংশ দিবে? "

-বন্ড বিক্রয় করা মানে, সরকার মানুষ থেকে "ঋণ" নিচ্ছেন; সরকার ঋণের উপর ইন্টারেষ্ট দেবে; বন্ড "ম্যাচুরিটি"তে গেলে, সরকার বিনিয়োগকারী থেকে বন্ড কিনে নেবে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সরকার বন্ড এখনও কিনে নিচ্ছে, সবসময়ই কিনে। এখন এসব বড়বড় প্রজেক্টের জন্য বন্ড কিনে কাজ করা উচিত। এতে অর্থের বিকেন্দ্রীকরণ হবে। মানুষের হাতে টাকা আসবে। প্রবৃদ্ধি সুষম প্রবৃদ্ধি হওয়ার দিকে যাবে।

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: শিল্পে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে
কাচামাল আমদানী কমে যাচ্ছে
রফতানি করে যাচ্ছে
প্রাইভেট সেক্টরে ঋন কমে যাচ্ছে, সব টাকা সরকার নিয়ে নিচ্ছে
খেলাপি ঋন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে, ঋনের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে।
শুধু মাত্র রেমিটেন্স ভাল আসছে।
অর্থনীতির সব সূচক যখন নিম্নমুখী তখন এত প্রবৃদ্ধি কিভাবে হয়?
সব লোক দেখানো ধাপ্পাবাজি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অর্থনীতির এসব বিষয় নিম্নমুখী থাকলেও প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যায়, বৃদ্ধি করা যায়। কারণ সরকার সরকারী ও বেসরকারি উৎস থেকে ঋণ নিয়ে বড় বড় অবকাঠামো তৈরি করছে যা প্রবৃদ্ধির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। তবে এসব কাজ সরকার নির্দিষ্ট কিছু লোক বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করার কারনে বিশাল পরিমান অর্থ কিছু মানুষের কাছে পঞ্জীভূত হয়ে যায়। এতে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও অর্থনীতির ভিত মজবুত হয়না।

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাই, প্রবৃদ্ধি টাকার অংকে হিসেব করা হয়।
৫০০ টাকার বালিশ ৫০০০ টাকায় কিনলে প্রবৃদ্ধি বাড়ে।
পদ্মা নদী ভরাট করে আবার কাটলেও প্রবৃদ্ধি হবে।
এই প্রবৃদ্ধি বাস্তব নয়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেটাই বলতে চাচ্ছি, প্রবৃদ্ধি নয়, সুষম প্রবৃদ্ধি দরকার।

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৭

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: বুঝিনা আমরা কি চাচ্ছি আর কি পাচ্ছি ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে বিশাল গ্যাপ। অর্থনীতির নিয়ম মেনে পরিকল্পনাকারীর অভাব আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.