নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপাতত দুই জনের শরীরে পরীক্ষামূলক ভাবে নতুন ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৫


সারাহ গিলবার্ট ও তার দল গতকাল মানবদেহে নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালিয়েছে। বুহস্পতিবার ২ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগ করা হয় এই ভ্যাকসিন। তিন মাসের গবেষণা শেষে এ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন সারাহ। বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যু, উদ্বেগ। ভয়াবহ এ মহামারি রোধে বিশ্বের নানা প্রান্তে চলছে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন ও ওষুধ আবিষ্কারের প্রচেষ্টা।

ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে গতকাল মানবদেহে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য ৮শ সেচ্ছাসেবীর তালিকা থেকে প্রথমে দুই জনের শরীরে প্রয়োগ করা হয় প্রতিষেধক।

স্বেচ্ছাসেবী এলিসা গ্রানাতো বলেন, আমি নিজে একজন বিজ্ঞানী তাই বৈজ্ঞানিক যেকোন প্রচেষ্টার অংশ হতে আমি সবসময়ই আগ্রহী। কিন্তু ভাইরাস নিয়ে আমি কখনোই কাজ করিনি। কাজেই চলমান সংকটে যদি এভাবে কাজে আসতে পারি তা আমার জন্য আনন্দের। এর আগে মার্স ভাইরাসের জন্যও ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যা বেশ সফলতা পায়। ভ্যাকসিনটি কাজ করছে কিনা তা জানতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যার ওপর নির্ভর করতে হবে। আক্রান্তের সংখ্যা কমলে বুঝতে হবে প্রতিষেধকটি কাজ করছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, আমরা আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের দুই ভাগে ভাগ করেছি। তাদের একাংশকে ম্যানিনজাইটিস ও বাকিদের দেয়া হয়েছে নতুন কভিড-নাইন্টিন ভ্যাকসিন। এরপর আমরা দেখবো কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলে কি না। যদি আক্রান্তদের সবাই ম্যানিনজাইটিস টিকা দেয়া দলের হয় আর কভিড নাইন্টিন দলের কেউ আক্রান্ত না হয় তাহলে বুঝতে হবে ভ্যাকসিনটি কাজ করছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের আরেকটি দলও ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে দুটি গবেষক দলকেই দেয়া হয় ৪০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি তহবিল।

তবে পরীক্ষা বা গবেষণা চললেও আগামী বছরের আগে করোনার কোন প্রতিষেধক বা ওষুধ বাজারে আসছে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা।

সূত্রঃ বিবিসি

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অধীর আগ্রহ নিয়ে বিশ্ব অপেক্ষা করছে শুভ খবর নিতে

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আশাকরি ভালো কিছুই শুনতে পাবো।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: দেখা যাক কি হয়!!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভালো কিছু হোক সেটাই চাই।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাত্র ২ জন? আমাদের ব্লগার 'ভুয়া মফিজ' তো ঐ দেশে আছেন, উনি হয়তো ভলনটিয়ার হবেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভলান্টিয়ার হতে ৮শ আবেদন করেছে এখন দুইজনকে দিয়েছে পর্যায়ক্রমে ৫১০জনকে দেওয়া হবে।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: যদি ভুল না হয় কোথায় যেন পড়লাম এই টীকার পরীক্ষার রেজাল্ট সাফল্য মন্ডিত হয় নি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: না, এটার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার এটা পরীক্ষামূলক ভাবে ইনজেক্ট করা হয়েছে। আরো কয়েকদিন লাগবে এর রেজাল্ট আসতে।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২১

জাফরুল মবীন বলেছেন: একটা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার পর বিভিন্ন ট্রায়াল ফেজ পার করে সেটার বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে অনেক সময় লাগে যা আপনি আপনার পোস্টে শেষাংশে উল্লেখ করেছেন।ইবোলার ভ্যাকসিন ২০১৪ সালে মানুষের উপর ট্রায়াল শুরু হয় আর সেটা অনুমোদন পায় ২০১৯ সালের শেষে।আর এটিকে বলা হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবচেয়ে দ্রুত প্রিকোয়ালিফাই করা ভ্যাকসিন।সুতরাং আপাতত ১বছর কোন সুখবর নেই।ততদিনে করোনার ধ্বংসযজ্ঞ মানবসভ্যতার জন্য আতংকের।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ, এসব ভ্যাকসিন খুব দ্রুত বাজারজাত করার বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সামান্য ভুলে অনেক বড় ধরনের মাশুল পৃথিবীকে দিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.