নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গালী জাতির জন্য আধুনিক ভাবনায় এখনো কেউ ভাবেনি।

২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২১


দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে কোন ঘটনাটি আপনাকে বেশি কষ্ট দেয়? ৭৫ এর ১৫ আগস্ট, ৭৪এর দুর্ভিক্ষ, জামাত শিবিরের রাজনীতি ও ক্ষমতার কাছাকাছি থাকাটা, নাকি অন্য কিছু? না, আমাকে খুব বেশি কষ্ট দেয় দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির সকল সন্তানদের ফ্রিতে শিক্ষা দিতে না পারা! সঠিকভাবে শিক্ষা দিতে পারলে জাতির আজকের অবস্থান ও উপরের ঘটনা গুলো অন্যরকম হতে পারতো। এই ঘটনা গুলোর জন্য কাকে দায়ী করবেন আপনি? প্রথম দায়ভার নিতে হবে শেখ মুজিব ও তাজউদ্দীন আহমেদকে। এর পর জেনারেল জিয়া হয়ে এরশাদ, বেগম জিয়া এবং শেখ হাসিনাকে। শেখ মুজিব বুঝতেন জাতির কিসে ভালো হবে কিন্তু উনি সে লক্ষ্যে কাজ করার মত দক্ষ ও অভিজ্ঞ ছিলেন না। উনি দেশে এসে একটি মূল্যবান কথা বলেছিলেন, উনি বলেছেন “ কেরানী বানানোর এই শিক্ষা ব্যবস্থা উনি চান না, বাচ্চাদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। উনি নিজেও হয়তো বুঝেননি উনি কত মূল্যবান একটা কথা বলে ফেলেছেন! যাক উনার কথা কথাই থেকে গেছে, কাজের কাজ তেমন কিছু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে কেরানীর পাশাপাশি ছাত্রলীগ, জাসদ, মাসদ বেরুতে লাগলো, যারা উনাকে সবসময় অকাজে ব্যস্ত রাখতে শুরু করলো।
উনার বিশ্বস্ত তাজউদ্দীন আহমেদ দৃশ্যমান কোনো কাজেই করতে পারেননি। যুদ্ধ শেষে অস্ত্র জমা নেওয়ার সময় একটু দৌড়াদৌড়ি করেছেন, শুধু এটুকু বুঝা গেছে। এরপর উনি অসহায় জাতিকে সাহায্য করার জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। শেষমেষ জাতিকে হতাশও করলেন সাথে নিজের জীবনটুকুও রাখতে পারেননি।

মেজর জিয়া ক্ষমতায় জাতির প্রয়োজনে আসেনি। তাই জাতির জন্য কাজ করার দরকার পড়েনি, উনার নিজের জীবনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য উনি যা যা প্রয়োজন করেছেন। জামাতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন, দেশে ক্যাপিটেলিজম চালু করেছেন, ধনীদের আরো ধনী বানিয়েছেন। উনি জাতিকে শিক্ষিত কি করবেন নিজের দুই ছেলেকেই সঠিকভাবে শিক্ষিত করতে পারেননি। যাক উনি যে পথে এসেছেন সে পথে চলে গিয়েছেন। মাঝখানে জাতিকে ক্যাপিটেলিজমের ফাঁদে ফেলে দিয়ে গেছেন।

জেনারেল এরশাদ মেজর জিয়ার কর্মকান্ড খুব কাছ থেকে দেখেছে, জিয়াকে সে অনুসরণ করতো, জিয়া করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি সে করেছে জাতীয় পার্টি। জিয়া নিয়েছে ধানের শীষ সে নিয়েছে ধান চাষ করার লাঙ্গল। শুধু মেজর জিয়া প্রাণ বাঁচানোর জন্য যে ভুল গুলো করেছে সে সেগুলো এড়িয়ে গেছে। আর তাইতো তার মৃত্যু তার গুরুর মতো হয়নি। অবশ্য তার প্রাণ মেজর সাহেবের বউয়ের হাতেও ছিল, দয়ালু হয়ে অথবা সাহসের অভাবে সে প্রাণ নেননি, নাকি অন্য কোনো কারণ ছিল! এই এরশাদ নয় বছর জাতির মাথার উপর বসে শুধু কাঁঠাল ভেঙেছে, নিজের এলাকার মঙ্গা, ভাতের অভাব পর্যন্ত দূর করতে পারেনি। উত্তরবঙ্গের মানুষকে এমন বেকুব বানিয়ে রেখেছে যে তারা তাকে এখনো বীরপুরুষ ভেবে আনন্দ পায়!

বেগম জিয়া নিজেও তেমন শিক্ষিত মানুষ ছিলেন না তাই হয়তো জাতিকে শিক্ষিত করার ব্যাপারে উনি এতটা সিরিয়াস হননি। উনি হয়তো ভেবেছিলেন আট ক্লাস পাশ করে যদি আমি দেশ চালাইতে পারি বাকিরা পারবে না কেনো! উনি ঠিকই দেশ চালিয়েছেন যার জন্য উনাকে জেল খাটতে হয়েছে, উনার ছেলে দেশে আসতে পারছে না, আরেক ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে মারা গেছে। উনার সাথে ফাতেমা নামের এক কিশোরী, যে প্রাথমিক পাস করে উনার সাথে যুবতী থেকে বৃদ্ধ হওয়ার পথে আছে। তাতেই বুঝা যায় উনি শিক্ষার গুরুত্ব কতখানি বুঝেন! জাতিকে উনি ফাতেমার মতোই ভাবতেন।

এদের পরে শেখ হাসিনা এসে এদের পথেই হেঁটে যাচ্ছেন। উনার বাবা যেসব ভুলের কারণে প্রাণ দিয়েছেন উনি সেটা অনুধাবন করছেন এবং সেসব দুষ্ট পথ অনেকটাই বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছেন। কিন্তু উনি এমন এমন আজব লোকদের উনার মন্ত্রিসভায় স্থান দেন যারা দেশের প্রকৃত সমস্যা বুঝতেই পারেনা। শেখ হাসিনার কাছে বড় সমস্যা ছিল বিএনপি জামাতকে থামানো উনি এতে সফল হয়েছেন। এই সফলতা জাতির জন্য দরকার ছিল কিন্তু উনি এই সফলতার সদ্ব্যবহার করছেন না। দেশের জন্য কাজ করার সকল ক্ষমতা ও শক্তি উনার এখন আছে, যেটা নেই সেটা হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনাকারী ও সৎ লোকের অভাব। দীপু মনি, মুহিত, ক্রিকেট কামাল, ওবায়দুল কাদের, জয়কে দিয়ে উনি হাল চাষ করাতে গিয়ে লাঙল, কোদালে জং ধরিয়ে ফেলেছেন! উনি এই জং ধরা লাঙ্গল, কোদালে সান দেওয়ার মত কাউকে তৈরি হতেও দিচ্ছেন না। জাতিকে শিক্ষিত করার গুরুত্ব উনি কতখানি বুঝেন সেটা দীপু মনির মন্ত্রী হওয়ার পর আরো স্পষ্ট হয়েছে!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ন একমত।

২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে এই ব্যপারে সবারই একমত হওয়ার কথা, আমাদের জন্য মায়াকান্না করার শাসক এসেছে, সঠিক বুদ্ধিমত্তার শাসক আসেনি।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দেশের কোন সরকার কর্মসংস্থানের জন্য উল্লেখযোগ্য কোন কাজ করেনি। নেতারা এই ব্যাপারটাই মনে হয় বোঝেন না। সাধারণ মানুষ সরকারের/ নেতাদের কাছে তেমন কিছু চায় না। তারা চায় নিরাপদে বাঁচতে আর আয় রোজগার করার পরিবেশ। সেটা ব্যবসা, পেশা হোক আর চাকরী হোক। আমাদের দেশের মানুষও ব্যবসা-বাণিজ্য, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ইত্যাদি আয় রোজগার সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক ভুল ও সনাতনী ধারণা নিয়ে জন্ম নেয় এবং বৈশ্বিক মানের চিন্তা করতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে এটা ঠিক কিন্তু তখন যে আমাদের অনেক শম্ভবনাও ছিল সেটা নেতারা বুঝতে পারেনি। আমরা আমাদের শক্তি না বুঝে নিজেদের মিসকিন ভাবতে পছন্দ করেছি। তখন দেশ ছিল মুলত কৃষি নির্ভর। তাই যুদ্ধে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এটা পুনর্নির্মাণ করা যেত কয়েক বছরেই। দেশে ভালো উদ্যোক্তা শ্রেণী গড়ে ওঠেনি। গার্মেন্টস শিল্প দাঁড়িয়েছে কিন্তু এদের বেশীরভাগ শোষক। কিছু সেক্টরে আমাদের এখনও শম্ভবনা আছে কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের ব্যবসায়ীক দৃষ্টিভঙ্গি উদ্যোক্তাদের নাই। আর নেতারা এখনও সনাতনী মোড়লি কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। ফলে আধুনিক রাষ্ট্র, অর্থনীতি, বাণিজ্য এরা আসলে বোঝেন না।

২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের সরকার এখনই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বলে হাউকাউ করছে অথচ দেশ এখনো তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের যথাযথ ব্যবহার করতে পারেনি। আপনার অবজারভেশন গুলো সঠিক।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার দৃষ্টিতে দেশের রাজনীতিবিদ সব ময়লা আবর্জনা। লেখাটাও তাই । বাঙ্গালীর জন্য এখন ভাবছে মৌদি

২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ময়লা আবর্জনা থেকেও বায়োগ্যাস হয়, আমাদের বেশিভাগ রাজনীতিবিদ থেকে জাতির জন্য কিছুই বের হয়না। আপনিও আমাদের জন্য লিখেন, আমরা পড়ি।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতিকে ফ্রি পড়ানো সম্ভব?

২৬ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অবশ্যই সম্ভব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান, পোল্যান্ড ইউরোপের অনেক দেশই বেশ অর্থনৈতিক সংকটে ছিল কিন্তু তারপরেও তারা শিক্ষাকে ফ্রি রেখেছিল।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

স্থিতধী বলেছেন: এই লেখাটার একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হল যে এটা পড়লে মনে হচ্ছে যেনো ব্লগার চাঁদগাজী সাহেবের ডিক্টেশানে লেখা একটা পোস্ট পড়ে যাচ্ছি। কারন এই কথা আর থীমগুলো ওনার বেশীরভাগ পোস্টগুলোতে রিপিট হয়েছে অনেকবার।

নেতাদের আধুনিক করার আগে সম্ভবত আমাদের জনগণকেও একবার ভাবতে হবে আমরা আসলেও আধুনিক হতে চাই কিনা। শিক্ষা কে আমরা আধুনিক হবার অস্ত্র হিসেবে দেখি নাকি শোষণ - পীড়ন - দুর্নীতির লাভবান অংশীদারি হবার সোপান হিসেবে দেখি সেটাও একটা বিষয়।

২৬ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনার কিছু কথা আমার মাঝে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। এই জন্যই হয়তো লেখার মাঝে সেসব কথা চলে আসে। জনগন অনেক কিছুই ভাববে আসল কাজ করতে হবে দেশ পরিচালনাকারীদের। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বাকি আধুনিক বিশ্বের মত নয়। এখনো বেশিরভাগ আদি সিলেবাস ভিত্তিক। এছাড়াও শিক্ষকরাও অদক্ষ ও সৃজনশীল নয়।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:০০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সব কাজই শেখ হাসিনা করবে বাকি আঠারো কোটি লোক আছে কি ঘোড়ার ঘাস কাটার জন্য।জনগনের কাজটাই কি জনগন করছে।
সমাজ গঠনে,অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করার কেউ নেই।জনগন যেমন সরকার তেমন হয়,এটাই নিয়ম।

২৬ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:০০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জনগণ থেকে ভালো কিছু বের করতে হলে তার মৌলিক অধিকার গুলো নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। মানুষ সৃজনশীল হয় যখন তার জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.