নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্যের ভিতরে ফোটন কণার দুঃখ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৬


সূর্য! আমাদের এই সৌর জগতের মধ্যমনি।
হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দ্বারা ঘটিত এক বিশাল আগুনের গোলক! দশ লাখ কিলোমিটার ব্যসের এই অগ্নি গোলটি আমাদের পৃথিবীর ব্যসের থেকে ১০৯গুন বড়। আমরা হাজার বছর থেকে এই সূর্যকে দেখে আসছি সাথে আকাশের ঐ দূরের তারা গুলোও। কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি আমাদের এই সূর্যও একটি তারা আর দূরের ঐ তারা গুলোও এক একটি সূর্য। আসুন আজ এই সূর্যের ভিতরে প্রবেশ করে দেখি এর ভিতরে কি কি হচ্ছে।

সূর্য একটি গরম গ্যাসের গোলক। এর ভর খুব একটা বেশি নয় প্রতি ঘনসেন্টিমিটারে ১.৪১ গ্রাম মাত্র। পানির ঘনত্বের মত। তবে এর কেন্দ্রের ঘনত্ব ১১৩গ্রাম, বলা যায় সীসার ঘনত্বের ১০গুন। সূর্যের একেবারে ভেতরে যদি যেতে পারেন তাহলে আপনাকে ১০মিলিয়ন ডিগ্রি তাপ পোহাতে হবে আর বাহিরে দিকে যা ৬০০০কেলভিনের মত। ভিতরে এত তাপমাত্রার কারনে গ্যাস সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয় যার ফলে দেখবেন এর অনু থেকে ইলেকট্রন পরমাণুটি আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও দেখবেন এর অনুগুলো ও আয়নরাশি পরস্পরকে আকর্ষণ করছে, যার ফলে সূর্য গোলাকার আকার ধারন করেছে। সূর্যের ভিতর আরেক এলাহী কান্ড প্রত্যক্ষ করবেন, বুঝতে পারবেন এর কেন্দ্রের দিকে সব কিছুকে টানছে প্রবল আকর্ষণে। আর বাহিরের গ্যাস গুলো সৃষ্টি করে যাচ্ছে প্রচন্ড বহির্মুখী চাপ। এই ব্যাপারটির আবার একটি দাঁতভাঙ্গা বৈজ্ঞানিক নামও আছে: হাইড্রোস্ট্যাটিক ইকুলিব্রিয়াম! এই টান আর চাপের কারণেই সূর্য তার ভারসাম্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়।

যাইহোক অন্যান্য তারা গুলোর মতো সূর্যে হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম ছাড়াও পাবেন সামান্য পরিমাণ লিথিয়াম, বোরন, কার্বন, নাইট্রোজেন, বেরিলিয়াম, ফ্লোরিন, অক্সিজেন, নিয়ন। সূর্যের কেন্দ্রের মধ্য যে শক্তি উৎপন্ন প্রক্রিয়াটি দেখছেন সেটা তার ১লাখ কিলোমিটার ব্যসের মধ্যেই উৎপন্ন হয়। এই এলাকায় পারমানবিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয় তাপ জন্ম নেয় আলোর কণা ফোটন! আর এই ফোটন কণারা ছড়িয়ে পড়ে এই মহাশূন্য! আলোকিত করে আমাদের এই সৌরমন্ডলকে আমাদের পৃথিবীকে। তবে যে ফোটন কণা আপনি কেন্দ্রে উৎপন্ন হতে দেখলেন সেটা কিন্তু সাথে সাথেই সূর্যের কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসতে পারেনা। প্রচন্ড আকর্ষণ থেকে মুক্ত হতে এক একটি ফোটন কণার লেগে যায় দশ লাখ বছর!
অথচ এই আকর্ষণ না থাকলে মাত্র দুই সেকেন্ডে বের হয় আসতো প্রতিটি ফোটন কণা। মাত্র দুই সেকেন্ডের পথ পাড়ি দিতে হয় দশ লাখ বছর ধরে! বিলিয়ন বিলিয়ন ফোটন কণার মুক্ত হওয়ার যুদ্ধ আপনাকে ব্যাথিত করবে।

ফোটনের এই বন্ধিদশার কারনে সূর্যের কেন্দ্রে যদি শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় সেটা বুঝতে আমাদের সময় লাগবে দশ লাখ বছর! কি অবিশ্বাস্য! এই যে এতক্ষন সূর্যের ভিতর শক্তি উৎপাদনের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখলেন এটা কি প্রক্রিয়া হয় তা জানা গেছে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সূত্র থেকে। তিনিই বলেছেন বস্তু এবং শক্তি আলাদা কিছু নয়, একটিকে রূপান্তর করা যায় আরেকটিতে। সে বিখ্যাত সূত্রটি হচ্ছে ই=এমসি^
এখানে ই হচ্ছে মোট উৎপন্ন শক্তি, এম হচ্ছে যে বস্তুটিকে শক্তিতে রূপান্তর করা হবে তার ভর, আর সি হচ্ছে আলোর গতি। এতক্ষন আমাদের এই সূর্যের ভিতর যে পারমানবিক বিক্রিয়া শক্তি উৎপন্ন হতে দেখলেন সেটা এই সূত্র মেনেই উৎপন্ন হচ্ছে গত ৪০০কোটি বছর ধরে।
তবে এর বাহিরে আরো একটি সূত্র আছে যেটা আমাদের নুরু ভাই ও নতুন নকিব ভাই ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। যে সূত্র মেনে সূর্য সৃষ্টিকর্তার আরশের নীচে সেজদা দেয়। :)

ছবি: গুগল

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



গ্যাসগুলো পোড়ার ফলে তাপ উৎপন্ন হচ্ছে, নাকি অন্য কোন কারণে তাপ উৎপন্ন হচ্ছে?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঠিক পোড়া বলা যায় না, পিউশন বিক্রিয়ার ফলে হাইড্রোজেন কণা গুলো হিলিয়ামে রূপান্তরিত হয় আর তখনই প্রচন্ড তাপ ও শক্তি উৎপন্ন হয়।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর ওজন দিন দিন বেড়েই চলেছে। পৃথিবীর ওজন যেন আর না বাড়ে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কি জন্য পৃথিবীর ওজন বাড়ছে?

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৪১

লাতিনো বলেছেন: এই সিজদার অর্থ ঐ সমস্ত জিনিসের আল্লাহর নিয়ম-বিধির অনুগত হওয়া। কারো এ শক্তি নেই যে, সে বিধির অন্যথা করে। তাঁদের নিকট সিজদা বলতে আনুগত্য ও ইবাদতের সিজদা নয়; যা একমাত্র জ্ঞানসম্পন্ন জীবের সাথে সম্পৃক্ত। তবে কিছু কিছু ব্যাখ্যাকারিগণ তা মূল অর্থেই ব্যবহার হয়েছে বলে মনে করেন। তাঁরা বলেন, প্রতিটি সৃষ্টি নিজ নিজ পদ্ধতিতে সিজদা করে থাকে। যেমনঃ 'যারা আকাশমন্ডলীতে আছে' বলতে ফিরিশতাগণ, 'যারা পৃথিবীতে আছে' বলতে প্রত্যেক মানুষ, জীন ও পশুপক্ষী এবং অন্যান্য সব কিছুকে বুঝানো হয়েছে। এরা সবাই নিজ নিজ ভঙ্গিমায় আল্লাহকে সিজদা করে এবং তাঁর মহিমা ঘোষণা করে।

মহান আল্লাহ বলেন, সপ্ত আকাশ, পৃথিবী এবং ওদের অন্তর্বর্তী সব কিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং এমন কিছু নেই যা তাঁর সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না; কিন্তু ওদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। (সূরা ইসরা ১৭;৪৪) এখানে চন্দ্র সূর্য্য নক্ষত্রমন্ডলীর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু মুশরিকরা এদের ইবাদত করত তাই। আল্লাহ বললেন, তোমরা এদেরকে সিজদা কর, অথচ এরা আল্লাহকে সিজদা করে ও তাঁর আজ্ঞা পালন করে। অতএব তোমরা এদেরকে সিজদা করো না, বরং সিজদা তাঁকে কর, যিনি এদের সৃষ্টিকর্তা। (দেখুন, ফুসসিলাত ৪১;৩৭)

সহীহ হাদীসে এসেছে, আবু যার (রাঃ) বলেন, একদা নবী (সাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি কি জানো, সূর্য কোথায় যায়?" আমি বললাম, 'আল্লাহ ও তাঁর রসূলই ভাল জানেন।' তিনি বললেন, "সূর্য যখন ডুবে যায় তখন আরশের নীচে গিয়ে আল্লাহকে সিজদা করে। তারপর তাকে পূর্বাকাশে উদিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু একদিন এমন আসবে, যেদিন বলা হবে, তুমি ফিরে যাও; অর্থাৎ যেখান হতে এসেছ, ওখানেই ফিরে যাও।" (বুখারী, মুসলিম) এভাবেই একজন সাহাবীর কথা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি স্বপ্নে গাছকে নিজের সাথে সিজদা করতে দেখেছেন। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ১০৫৩নং) পাহাড় ও গাছের সিজদায় তাদের ছায়া পূর্ব-পশ্চিমে ঝুঁকে পড়াও শামিল। এ ব্যাপারে সূরা রা'দের ১৩;১৫ আয়াতে ও নাহল ১৬;৪৮-৪৯ আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের নবী যখন যার রা: এ কে বলেছিলেন তিনি কি রূপক অর্থ বুঝেছিলেন নাকি যা বলেছেন সেটাই বুঝে নিয়েছেন? অবশ্যই যা বলেছেন সেটাই বুঝে নিয়েছেন। পরবর্তীতেতে আমাদের ইসলামী স্কলাররা এগুলোকে রূপক মুপক বলে বেরিয়েছে। তখন নবীজী সামনে ছিলেন, আল্লাহ আর জিব্রালের সাথে উনার সরাসরি কানেকশন ছিল উনি যা বলতেন তা সরাসরিই বলার কথা রূপক মুপক বলার কি দরকার ছিল?

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সহীহ হাদীসে এসেছে, আবু যার (রাঃ) বলেন, একদা নবী (সাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি কি জানো, সূর্য কোথায় যায়?" আমি বললাম, 'আল্লাহ ও তাঁর রসূলই ভাল জানেন।' তিনি বললেন, "সূর্য যখন ডুবে যায় তখন আরশের নীচে গিয়ে আল্লাহকে সিজদা করে। তারপর তাকে পূর্বাকাশে উদিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু একদিন এমন আসবে, যেদিন বলা হবে, তুমি ফিরে যাও; অর্থাৎ যেখান হতে এসেছ, ওখানেই ফিরে যাও।" (বুখারী, মুসলিম) এভাবেই একজন সাহাবীর কথা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি স্বপ্নে গাছকে নিজের সাথে সিজদা করতে দেখেছেন। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ১০৫৩নং) পাহাড় ও গাছের সিজদায় তাদের ছায়া পূর্ব-পশ্চিমে ঝুঁকে পড়াও শামিল। এ ব্যাপারে সূরা রা'দের ১৩;১৫ আয়াতে ও নাহল ১৬;৪৮-৪৯ আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সূর্যের আকার, ফিউশন , নিজ অক্ষের উপর ঘুরা, তাপমাত্রা, ওজন এসব কোনো কিছুই তখনকার কেউ জানতো না। যার কারনে এসব কথা প্রচার পেয়েছে।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

লাতিনো বলেছেন: বিজ্ঞানের জগত আর আধ্যাত্মিক জগতের ব্যখ্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়। কুরআনে এমন কিছু আয়াত আছে, যার ব্যখ্যা এখনো কেউ জানেনা। তবে সেই কুরআনে আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে যা কিছু আছে, তাতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন বলা আছে। কাজেই সাহাবীরা রাসূলের (স) সব কথা অন্ধবিশ্বাসে মেনে নিতেন - এটা ভাবা ভুল হবে। তাঁরা তাদের মত চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু তখন কন বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা আবিষ্কৃত না হওয়ায় তাঁরা সব কিছুর ব্যাখ্যা এভাবে দিতেন - এ সম্পর্কে আল্লাহ্‌ই ভালো জানেন।

কাজেই, আমাদের কাছে যখন সব কিছুর ব্যখ্যা আছে এবং এই ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিক সূত্রের মাধ্যমে প্রমাণিত, তাই আমরা কুরআনের আয়াতের ব্যখ্যা এভাবেই করে নেই। তবে সেই ব্যখ্যাও যে ১০০% সঠিক - সেই দাবী কেউ কিন্তু করেনা। সব কথার শেষ কথা হচ্ছে - এ সম্পর্কে আল্লাহ্‌ই ভালো জানেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আল্লাহ ভালো জানেন এই উত্তরটি সবার জন্য সহজ উত্তর।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি বিজ্ঞানের ছাত্র নয়, তবে এই বিষয়গুলো জানতে ভালো লাগে। পোস্টে অসঙ্গতিও থাকতে পারে। আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব ইন্টারেষ্টিং বিষয়। মনে অসংখ্য প্রশ্ন ভীড় করে।
পতিত পানির বিন্দু গোল কারন সারফেস টেনশন, আসলে অনুগুলোর ম্যাগনেটিক আকর্ষন।
হাইড্রোজেন যদি নিউট্রাল গ্যাস হিলিয়ামে পরিনত হয় তাহলে হাইড্রোজেনের কারখানা কোথায়? :D
এত মিলিয়ন মিলিয়ন তাপে কোন গ্যাসই মলিক্যুলার পর্যায়ে না থেকে এটমিক পর্যায়ে থাকার কথা, সে ক্ষেত্রে লিথিয়াম কার্বন বোরন ইত্যাদি ইত্যাদি নিজস্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য বজায় রেখে এক্সিষ্ট করার কথা নয়।
অথচ বিজ্ঞানীরা এগুলো ডিটেক্ট করছেন অবাক লাগে। তারা বর্ণালী বিশ্লেষন করে হয়তো গ্যাসের কথা বলছেন।
এই বর্ণালী আবার ফোটন নির্ভর!!
রংধনুর সাতটি রং কি বিভিন্ন কালারের ফোটন!?? নাকি ম্যাগনেটিক আয়ন অরোরা বোলিয়ারিসের মত ??
মাথায় কত প্রশ্ন আসে -- হা হা হা ???? :D

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই প্রশ্ন গুলো আমারও মনে আসে, অভিজ্ঞরা ভালো বলতে পারবে।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৮

পুলক ঢালী বলেছেন: একটা কথা বলতে ভুলে গেলাম সূর্য তার অস্তিত্ব প্রকাশ করতে দশ লক্ষ বৎসর সময় নিয়েছে। মারা গেলেও দশ লক্ষ বৎসর পর জানা যাবে।
কিন্তু সূর্যের মৃত্যুর পর তার ছেলে মেয়েরা পরিবার পরিজনরা কতদিন তাকে কেন্দ্র করে পরিভ্রমন করবে জানতে ইচ্ছে করে। নাকি সূর্যের আলো থাকতে থাকতেই আমরা আবার কোন তারার পেছনে ছোটার জন্য ইঁদুর দৌড়ে সামিল হবো ??? :D
আমরা আমাদের গ্যালাক্সীর বাহিরে যেতে পারবোনা। আমাদের গ্যালাক্সীর চেয়েও লক্ষ কোটি গুন বড় বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সী রয়েছে।
একটা কুয়ার ভেতর থেকে একটা ব্যাং যেটুকু আকাশ দেখতে পায়, আমরা পৃথিবী থেকে মহা বিশ্বকে ব্যঙ এর আকাশের ক্ষুদ্রাংশও দেখতে পাইনা।
মহাবিশ্বের সাথে তুলনায় পৃথিবীর অস্তিত্ব =০
সুতরাং আমরা নেই চিন্তা দুঃশ্চিন্তা করার কিছুই নেই। =p~

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলেই খুবই ছোট অংশকে আমরা জানতে পেরেছে আর এতেই অনেক বিস্ময়কর বিষয় আমাদের সামনে চলে এসেছে। পৃথিবীর অস্তিত্ব শূন্য হলে পৃথিবীর বাসিন্দা হিসেবে আমরা তো মাইনাসে চলে যাবো।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

লাতিনো বলেছেন: @পুলক ঢালি, হাইড্রোজেন আসলে হিলিয়াম গ্যাসে পরিণত হয়না। দুইটি গ্যাসই আলাদা আলাদাভাবে উৎপন্ন হয়। এই উৎপন্ন কিন্তু আজকে হয়নি। প্রায় চৌদ্দশ কোটি বছর আগে বিগ ব্যাংয়ের সময়েই এই গ্যাস দুটির উৎপত্তি। এই গ্যাস দুটি কোন বিক্রিয়াতেই রূপান্তরিত হয়না। আসলে সূর্য থেকে যখন ফোটন কণা বাইরে বেরিয়ে আসে, তখনই হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম অস্তিত্বে আসে। এই কাজেই এক মিলিয়ন বছর লেগে যায়।

সূর্য যখন মারা যাবে, তার আগে এটি একটি বিশাল লাল নক্ষত্রে পরিণত হবে এবং তখন ইউরেনাস এবং নেপচুন ছাড়া বাকি সবগূলো গ্রহকেই গিলে খাবে। আর তারপর প্রচন্ড মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণে সাদা বামন নক্ষত্রে পরিণত হবে এবং সৌরমন্ডলের সবকিছুই নিঃশেষ হয়ে যাবে। আমাদের গ্রহগুলোর সূর্য ছাড়া আর কোন ঠিকানা নেই। সবচেয়ে কাছের নক্ষত্রটি সাড়ে তিন আলোকবর্ষ দুরে অবস্থিত - এত দূর থেকে তার মহাকর্ষ কাজ করবেনা।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হুম। সঠিক।

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @লেখক, আপনি যেমন ফোটনের দুঃখ অনুভব করেন, নুরু বা নকিব সাহেব তেমনি সিজদার ব্যাপারটি অনুভব করেন। ভালো বিষয়ের উপর পোস্টকে খুঁচিয়ে নষ্ট করার মানে নেই।

সূর্যের ব্যাস প্রায় ১৪ লক্ষ কিলোমিটার। ৯ নম্বর লাইনে ইলেকট্রনকে পরমাণু বলছেন। ভুল ঠিক করে নিন। ১০ নম্বর লাইনের ব্যাখ্যা স্পষ্ট নয়। সূর্যের কেন্দ্রে শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের জানতে ১০ লাখ বছর লাগবে কেন? এখন যে এত কিছু ঘটছে, তা জানতে কি মানুষের ১০ লাখ বছর লেগেছে। সূর্যের ভেতর অস্বাভাবিক কিছু ঘটলে বুঝতে সময় লাগবে না, যেমন শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে, নিউট্রিনো আসা কমতে থাকবে, ডিটেক্টরে ধরা পড়বে।

@পুলক ঢালী, সুন্দর কিছু প্রশ্ন করেছে। রঙধনুকে কিন্তু রঙ মাত্র ৭টি নয়, অসংখ্য। মানুষের চোখ সবগুলো আলাদা করে ধরতে পারে না

১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কি জন্য পৃথিবীর ওজন বাড়ছে?

অন্তত নক্ষত্র বীথিকে নানান রকম উপকরন পৃথিবীর গায়ে পড়ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.