নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্র হচ্ছে আমার আপনার সবচেয়ে বড় অভিভাবক।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৯


আজকে মামুনুলরা হকরা যাদের শক্তিতে বা ভরসায় এত হুংকার ছাড়ে তারা হলো তাদের মাদ্রাসার এতিম ও গরিব বাচ্চারা। যারা পরিবারের বোঝা হয়ে যাওয়াতে শফি হুজুর তাদের জন্য দু'মুঠো ভাতের ব্যবস্থা করেছিল, সাথে পড়ালেখার নামে এরাবিয়ান কালচার শিক্ষা দিয়েছে। দু'মুঠো খাবারের জন্য এরা তাদের হুজুরদের জন্য জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিচ্ছে! তাদের হুজররা যেটা বলে সেটা চোখ, কান বন্ধ করে সুবহানাল্লাহ, ইনশাআল্লাহ বলে চিৎকার দিয়ে উঠে। এদের অনগ্রসরতার জন্য কে দায়ী? শফি হজুর নাকি মামুনুল হকরা?
না এর জন্য দায়ী এই রাষ্ট্র, রাষ্ট্র যারা পরিচালনা করছে তারা।

আমি যদি আজ মরে যাই, আমার সন্তান এতিম হওয়ার সাথে সাথে কি আমার সন্তানের সব অধিকার, রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে? এই দেশের আলো বাতাস ছাড়া কি তার আর কিছুই পাওনা নেই? সে কি ঘুরেফিরে অনিচ্ছাসত্ত্বেও শফি হুজুরের চালু করা নোঙ্গরখানায় চলে যেতে বাধ্য হবে? যদি তাই হয় তাহলে এই রাষ্ট্রের কাজ কি, দায়িত্ব কি?
আসলে রাষ্ট্রের কাজ অনেক, দায়িত্বও অনেক কিন্তু সেসব পালন করার মত ইচ্ছা ও দক্ষতা কোনোটাই নেই। আজ যদি এসব বাচ্চাদের সঠিক শিক্ষা, সঠিক গাইডলাইন রাষ্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হতো তাহলে শফি হজুর, মামুনুল, বাবু নগরীরদের নিয়ে এত টেনশন, হইচই আর অর্থের অপচয় করা লাগতো না। রাষ্টের অদক্ষতা ও দূরদর্শিতার অভাবে জনসংখ্যার এই বিশাল অংশ নিয়ে এত চিন্তিত হতে হচ্ছে। কাজ রেখে অকাজে সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।

শফি হজুরদের চালু করা মাদ্রাসায় যদি জরিপ চালানো হয়, দেখবেন শতকরা আশিটি বাচ্চা সেসব মাদ্রাসায় পড়তে যেতে চায়নি। তাদের জোর করে কিংবা নিরুপায় হয়ে সেখানে আসতে হয়েছে। রাষ্ট্রের অবহেলা ও আন্তরিক চেষ্টার অভাবে কি বিশৃঙ্খল এবং অপ্রয়োজনীয় একটা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এখান থেকে পাশ করে এরা সম্মানজনক পেশায় যেতে পারছে না। এরা বুঝতেও পারছে না এদের এই অবস্থার জন্য কে দায়ী। নিজেদের ভাগ্যকে দোষ দিয়ে দিয়েই জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দেয় এরা। কয়েকবছর আগে তারা নিরীহ জীবনযাপন করলেও বর্তমানে তাদেরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করা শুরু হয়ে গেছে। শক্ত অভিবাবকহীন হওয়াতে এদের ব্যবহার করা আরো সহজ ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে।

যাক যা হবার হয়ে গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের উচিত হবে এই অপ্রয়োজনীয় শিক্ষা ব্যবস্থাটিকে যেকোন ভাবেই হোক বিলোপ করা। এদের জন্য আধুনিক ভাবনায় ভেবে একটি কার্যকর উপায় বের করা, যাতে করে তাদের শফি হজুর, মামুনুলদের কথায় উঠতে বসতে না হয়। অভিভাবক না থাকলে কোনো বাচ্ছাকেই যেন এতিম বলে এতিমখানায় যেতে না হয়। রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রই যেনো সবচেয়ে বড় অভিবাবকের ভূমিকায় থাকে। শফি হজুর, মামুনুল হকরা যেন এত বড় দায়িত্ব নিজেদের কাঁদে নিয়ে রাষ্ট্রের বোঝা আর ভারী না করে।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



এতিমদের ২ মুঠো ভাতের টাকা তো শেখ হাসিনার কাছে জমা আছে, উনি খরচ করে না, জমায়

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি বাঙ্গালীর লক্ষী গৃহবধূ।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: দেশে যেহেতু ইংরেজী মাধ্যম বা মাদ্রাসা শিক্ষা - কোনোটাই বাতিল করা যাচ্ছে না, তাই দেশের সব শ্রেনী ও পেশার বিজ্ঞ ব্যাক্তির নিয়ে এই্ দুই পদ্ধতি পরিচালনার জন্য এটা সংস্থা গঠন করতে হবে, যেনো বিজাতীয় পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুসারী বা মূর্খ মামুনুলদের কথায় নাচা জঙ্গী-কোনোটাই বের না হয়।[

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একটা কার্যকর উপায় বের করা দরকার সে যে ভাবেই হোক।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর আলম হিরণ,





"রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্যে রাষ্ট্রই যেন সবচেয়ে বড় অভিভাবকের ভূমিকায় থাকে।"
দূরদর্শিতা আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাবেই রাষ্ট্র কখনোই নাগরিকদের অভিভাবক হয়ে উঠতে পারেনি। সেই আন্তরিকতাও নেই।

শুধু শফি সাহেবের মাদ্রাসাই নয় সব মাদ্রাসাগুলোই লাখো এতিম ও দারিদ্রের শিকার শিশুদের অন্তত দু'মুঠো খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সরকার সেটা না পারলেও , এই মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজিয়ে যুগোপযোগী করতে পারে যাতে অথর্ব ও দুনিয়াদারী সম্পর্কে অজ্ঞ একটি সম্প্রদায় তৈরী না হয় এবং তারা সুযোগ সন্ধানীদের রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিনত না হতে পারে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক মন্তব্য করেছেন। এমনটিই হওয়া বাঞ্ছনীয়।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Right you are!

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাষ্ট্র থেকে সঠিক ভাবনা আসা উচিত।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১৮

আব্দুল হাদী আল নাফী খান বলেছেন: রাষ্ট্রের মানুষের দ্বিচারিতাপূর্ণ মনোভাবের কারণেই সমস্যার এতটা গভীরতা। কিছু মানুষ ধর্মকে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দেখতে আগ্রহী, নিজের ব্যক্তি, সমাজ অথবা রাজনৈতিক জীবনে নয়। সেসব মানুষদের অনেকের আর্থিক সততা ও নৈতিক চেতনা ভালো থাকলেও এবং তারা ঠিক আল্লাহর পরিপূর্ণ বান্দা হতে আগ্রহী না। যেখানে জীবনের প্রত্যেকটি কাজের জন্য কোড নির্দিষ্ট করা, সেখানে নিজের খেয়াল প্রতিষ্ঠিত করার এক প্রচেষ্টা থাকে অনেকের। তাদের অনেকের হয়তো ইসলামকে অনেকের চেয়ে ভালো করে বোঝার সক্ষমতা ছিলো, কিন্তু তারা সেটার গভীরে না গিয়ে অন্যের সমালোচনা করতেই লিপ্ত।
আর মাদ্রাসার সবাইকে এতো অনগ্রসর ভাবাটা মনে হয় ঠিক না। অনেকেই প্রপার সেন্স নিয়েই চলাফেরা করেন, হয়তো আলোচনায় আসেন না। সবাইকে অন্যের করুণার উপরও নির্ভর করতে হয় না, বাবা মা আগ্রহ করেই মাদ্রাসায় দেন এখনো।
আলেমদের মাঝে ভালো খারাপ সব সময়ই ছিলো। দরবারি আলেম, দুনিয়াবি আলেম অনেক ছিলো, আছে। তো মুসলমানের কি দায়িত্ব? জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের দায় একটি গোষ্ঠীর হাতে ছেড়ে দেয়া, নাকি নিজে চেষ্টা করা এই কাজের? নিজে কাজ না করে আরেকজনের সমালোচনা করা খুবই সহজ। আমিও তাই করি হয়তো!

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যেসব মাদ্রাসায় পয়সাওয়ালা গার্ডিয়ানরা ইচ্ছে করে পাঠায় সেগুলো শফি সাহেবের মাদ্রাসা নয়। সেগুলোতে এতিম ছাত্ররা পড়তে পারেনা। শফি হজুরদের মাদ্রাসা থেকে যারা ভালো করছে তারা মামুনুল হক হয়েছে হবে। জাতির প্রয়োজনীয় উপকারের এরা আসবে না।
হুম, নিজ দায়িত্ব ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ করা উচিত।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মামুনুল হক বা শফি হুজুরের বাপের টাকায় মাদ্রাসা চলে না ,চলে জনগনের টাকায়।জনগন দায়িত্ব নিলেই এরা বিদায় হয়।নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এবং সরকারের এই সকল মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক পরিকল্পনা ও গাইডলাইন তৈরি না করে দায়িত্ব নিলে সরকার আরো হযবরল করে ফেলবে।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৪

অধীতি বলেছেন: বিলোপের থেকে ওটাকে একটু গতানুগতিক ধারায় নিয়ে আসাটা উপকারী।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যাই করুক যেভাবে করুক , করতে হবে দ্রুত।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৮

জগতারন বলেছেন:
অনল চৌধুরী বলেছেন:
দেশে যেহেতু ইংরেজী মাধ্যম বা মাদ্রাসা শিক্ষা - কোনোটাই বাতিল করা যাচ্ছে না, তাই দেশের সব শ্রেনী ও পেশার বিজ্ঞ ব্যাক্তির নিয়ে এই্ দুই পদ্ধতি পরিচালনার জন্য এটা সংস্থা গঠন করতে হবে, যেনো বিজাতীয় পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুসারী বা মূর্খ মামুনুলদের কথায় নাচা জঙ্গী-কোনোটাই বের না হয়।

সুন্দর চিন্তাশীল, দূর্দান্ত ও দূরদর্শি মন্তব্য।
জ্বনাব অনল চৌধুরী- এর মন্তব্যের সাথে সহমত পোষন করি। আর
জ্বনাব নূর আলম হিরণ আজকে যে দেশ প্রেমে উদবুদ্ধ হয়য়ে বর্তমান দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত
পরিস্থি সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে বের হয়য়ে আসার দেশের জনগনদের সচেতন হওয়ায়
সুন্দর একট প্রবন্ধ রচনা করেছে এর তার সুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানাই।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৩৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ জগতরন আপনাকে।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৯

জগতারন বলেছেন:
এই ব্লগ পাঠক পাঠীকাদের দৃষ্টি আকর্ষ করে বলছিঃ
আপনারা কী লক্ষ করে দেখেছেন এখনকার সময়ে ওয়াজ গুলোতে
ওয়াজী মউওলানাকে আধুনিক যুগে Electric Stand Fan থাকতেও
(মৌলনাদের) ওয়াজ করার সময়ে তাদের হাত পাখা
দিয়ে বাতাস দিতে হয় (!)
কেন ?
তা কি দয়া করে কেহ বলতে পারেন ??
তা কি লোক দেখানো চামচাগিরী; নয় (!) ???

চামচারা = চাটুকর (!)
যে যা চাটতে খুউব মজা (!!)

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের দেশের ওয়াজ গুলো হলো মানুষকে হাজার হাজার বছর আগের গল্প শুনানো, এখনকার সময় থেকে তখনকার সময়কে আধুনিক ভাবা, বিজ্ঞানকে অস্বীকার করা।

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৫

জগতারন বলেছেন:
আজকে জ্বনাব নূর আলম হিরণ এই প্রবন্ধ লিখায় উপরে সুন্দর ও যথাপোযুক্ত একটি ছবি নিয়েছেন।
ছবিটি দেখলে আমার মনে হয়ঃ
সামনে বড় একটি ছাগোল পিছে হেল্প লেস অনেকগুলি ছাগোল।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পিছনে রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকার কথা রাষ্ট্রের কতিপয় শিশু নাগরিক। রাষ্ট্র তাদের প্রতি অবিচার করছে।

১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন। আমি আপনার সাথে সম্পূর্ন সহমত।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নূর আপনাকে।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৩

আল ইফরান বলেছেন: আপনি রাস্ট্রের যেসকল দায়িত্বের কথা বলেছেন, সেগুলো টেক্সটবুকের আইডিয়ালিস্ট স্টেট এর সাথে মিলে, দীর্ঘদিনের লালিত-পালিত দূর্বৃত্ত্বায়নের সাথে নয়। আদর্শ একমুখী শিক্ষা-ব্যবস্থা পৃথিবীর কোন দেশেই আছে বলে মনে করি না, তবে সেটা বাস্তবায়ন করার মত রাজনৈতিক সদিচ্ছা আমাদের রাস্ট্র-ব্যবস্থাতে বিদ্যমান নেই সেই বিষয়ে কারো সন্দেহ আছে বলে মনে করি না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা সমাজবিজ্ঞান বুঝে না।

১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪৮

সোহানী বলেছেন: আমাদের হয়তো অনেক সম্পদ নেই কিন্তু একটি সঠিক ও কঠোর শিক্ষা ব্যবস্থা দিতে পারে এ সমস্যার একটি বাস্তবিক সমাধান। কেউ কি আছে এ নিয়ে চিন্তা করবে?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পরিবারের সদস্য বেশি হয়ে গেলে অভিভাবকদের উচিত সবাইকে কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা। এতে সংসারে আয় রোজগার বাড়ে, সম্পদ সৃষ্টি হয়। এটা সহজ থিউরি।

১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




রাষ্ট্র এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারবে না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:১১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাষ্ট্র অনেক কিছুই এড়িয়ে যেতে পারেনা, কিন্তু দরকারি বিষয় গুলো এড়িয়ে যাবার কারনে রাষ্ট্রকে কঠিন সমস্যা পড়তে হয়।

১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: রাষ্ট্রের সময় ও সম্পদ কোথায় এতিমদের নূন্যতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করার ? রাষ্ট্রের সময় ব্যয় হয় মৃতপ্রায় বিরোধী দলকে সাইজ করায়। আর রাষ্ট্রের সম্পদ একশ্রেণীর রাজনীতিবিদ-আমলা-ব্যবসায়ী চক্র দ্বারা লুন্ঠিত হয়ে মালয়েশিয়া ও কানাডার বেগম পাড়ায় পাচার হয়ে যায়।

হতদরিদ্র ও এতিমদের মৌলিক চাহিদা পূরণের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিতে না পারলে এই হতভাগ্যরা মধ্যপ্রাচ্যের ফাইন্যান্সের মাদ্রাসাগুলোতে গিয়ে নিজের জীবন বাঁচানোর পথই বেছে নিবে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই অবস্থা একদিনে হয়নি। বোঝা বড় হওয়াতে এখন বোঝা সরানো অসম্ভব মনে হচ্ছে। তবে সরানো সম্ভব।

১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আচ্ছা।

১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: জনপ্রতিনিধিরা অধিকাংশ মুসলিম। কিন্তু মুসলিম হলে কি হবে! অনেকের কাজে কর্মে বেঈমানের ব্যাপার থাকে। বরং খৃস্টানদের সে তুলনায় ঈমান অনেক ভাল, শুধু তারা শিরক করে। শিরক বাদ দিয়ে যত রকম যা যা আছে আমাদের নামকে ওয়াস্তে মুসলিম প্রতিনিধিরা করে থাকে, তবে সবাই নয়। এখনও দেশপ্রেমিক ঈমানদার ব্যক্তি আছে বলেই দেশের বিভিন্ন জনপদ কোন রকম চলছে। আর ধর্ম ব্যবসায়ীদের ... থাক আর বললাম না। সরকারের ডিজিটাল আইন আর একদিকে উগ্র ধার্মিকদের ....

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধার্মিকরা রাষ্ট্রের উপকারে কম আসছে। উগ্র ধার্মিকরা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।

১৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: সকল কওমী মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া উচিৎ, যেগুলা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে সেই সকল কওমী মাদ্রাসা গুলি আলিয়া মাদ্রাসার সাথে মার্জ করে দেয়া হোক।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৩৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আলিয়া মাদ্রাসাও সমস্যা আছে শিবিরের ছেলেরা এখানে ট্রেনিং নেয়।

১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:২০

অক্পটে বলেছেন: "এদের অনগ্রসরতার জন্য কে দায়ী? শফি হজুর নাকি মামুনুল হকরা?
না এর জন্য দায়ী এই রাষ্ট্র, রাষ্ট্র যারা পরিচালনা করছে তারা।"

সহমত।
লেখাটি খুব ভাল লেগেছে। আপনার এই লেখায় বাস্তবিক সব কথাগুলো বলা হয়েছে। লেখার শেষ প্যারায় আপনার আশাবাদ এবং করণীয় ব্যক্ত আছে। কিন্তু কথা হচ্ছে আমরা দিনে দিনে মগজহীন জনতায় পরিণত হচ্ছি। জনগণ তার অধিকার হারাচ্ছে প্রতিদিন। আমাদের অভিবাবকের চেয়ারে যারা বসেন তাদেরই দায়িত্ব ছিল সমাজে পিছিয়ে পড়াদের সঠিক পথে নিয়ে আসা। চেয়ারে বসা লোক গুলোই বেশি বেশি দুবৃত্তায়ণকে গতি দিচ্ছে। ধর্মীয় দলগুলোকে তারা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। এরাই টিকিয়ে রাখছে এসব দলকে। শেখ হাসিনাও এর বাইরে নয়। দেশ পরিচালনা জন্য শেখ হাসিনার জনতার রায়ের দরকার হয়নি। ভবিষ্যতেও হবেনা। সম্পুর্ণ পুলিশী শাসনে দেশ চলছে। তাহলে হাসিনার এই ইসলামী দলের দরকার হয় কেন । শেখ হাসিনার হাতে এখন প্রচুর ক্ষমতা এবং সময়। তিনি ইচ্ছে করলেই মাদ্রাসা শিক্ষা বাতিল করে ওদের মেইন ষ্ট্রীমে নিয়ে আসতে পারেন আমাদের জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটি ইট পাথরে এখন বসে আছে দুর্র্ব্ত্ব ঘুষখোর আর লুটেরারা। ওদের ঝেটিয়ে বিদেয় করে ব্রিলিয়ান্টদের দিয়ে যদি জাতীয় শিক্ষাবোর্ড পরিচালন সম্ভব করা হয় তাহলে সব কিছু আবার নতুন করে করা সম্ভব। তাহলেই মাদ্রাসা বন্ধ করা সম্ভব, তাহলে মাদ্রাসা পড়ুয়াদের আর ২য় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে বাচঁতে হবেনা।
কবে কোন সরকার নেবে এই দায়িত্ব?

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা আছে কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা নেই। প্রতিটি জেলায় মদিনা ইউনিভার্সিটি বা আল আহজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি বিশ্ববিদ্যালয় করে বাকি মাদ্রসা গুলো বন্ধ করে দিতে পারে। নিয়োগ করবে সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হবে অব্যশই বহুমুখী। এমন কর্মযজ্ঞ চালানোর মত দক্ষ প্রশাসন আপাতত নেই।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যথার্থ বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.