নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উস্কানি যেই দিক, রক্ত ঝরে নিরীহ গাজাবাসীর!

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩১


১ শতাংশ জমির দাম ৫০হাজার টাকা সেই জমি নিয়ে মামলা হামলা করতে করতে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছে, এমন উদাহরন আমার আপনার আশেপাশে অনেক পাবেন। আপনার থেকে যদি আপনার প্রতিপক্ষ গায়ের জোরে কিংবা অর্থের দিক থেকে শক্তিশালী হয় তাহলে আপনার হেনস্তা হওয়ার সম্ভবনা অনেক। গত ৭০ বছর ধরে এই ফিলিস্তিন ইসরাইল সমস্যাটি চলমান আছে। আরও কত বছর যে চলবে তা এখনও ধারণা করা যাচ্ছে না। মধ্যপ্রাচ্যের এই সমস্যাটি আসলে খুব জটিল আকার ধারণ করেছে অথচ এ সমস্যাটি ১৯৪৭ সালেই সমাধান হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। তৎকালীন সময়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যে ভাগবাটোয়ারা হয়েছে সেটা আরব নেতৃবৃন্দ তখন যদি মেনে নিত তাহলেই হতো। মেনে না নিয়ে উল্টো চার দেশ মিলে যুদ্ধ করে ইজরায়েলের কাছে পরাজিত হয়ে সমস্যাটির দীর্ঘমেয়াদি রূপ দান করেছে। ইসরায়েল যুদ্ধে জয়ী হয়ে জাতিসংঘের পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ৫৬ শতাংশের জায়গায় মোট ৭৭ শতাংশ দখল করে নেয়।

৯৩ সালে যে অসলো চুক্তি হয় সেটা ধরে অনেকেই বলে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আসলে আমার মতে এটা সম্ভব না। অসলো চুক্তিতে গাজায় ফিলিস্তিনের যে স্বায়ত্তশাসনের কথা বলা হয়েছে সেটাও কার্যকর করা সম্ভব হতো না, কেননা এর আগেই সেখানে ইজরাইল অনেক অবৈধ স্থাপনা বসিয়ে ফেলেছি। আর গত ৭০ বছরে ইসরাইল মোটামুটি বিশ্বের পরাশক্তি দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন কোন চুক্তি মানা না মানা সম্পূর্ণই তাদের উপর নির্ভর করে। এছাড়া তারা আরব ও আমেরিকায় যে পরিমান নিজেদের প্রভাব বিস্তার করেছে তাতে সেসব দেশ থেকে নূন্যতম চাপ পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। উপরন্ত আরব দেশ গুলো তাদেরকে সহযোগিতা করছে শুধুমাত্র হামাসের কারনে। আর আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল-ফিলিস্তান নীতিতে নিরপেক্ষ অবস্থানের কথা বললেও এটা স্পষ্ট ইজরায়েলের স্বার্থ নিশ্চিত হওয়ার পর তারা নিরপেক্ষ থাকে।

সব মিলিয়ে অদূর ভবিষ্যতে এই সমস্যাটি নিরসন না হওয়ার সবচেয়ে বড় যে কারণ সেটি হচ্ছে ফিলিস্তানের ভিতর দুটি দলের হামাস ও ফাতেহের কোন্দল। হামাস সন্ত্রাসবাদী দল ও ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার করে না, এই অভিযোগে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দলটির সঙ্গে সব সম্পর্ক বর্জন করে। যত দিন না হামাস-ফাতাহ কোন্দল মিটছে, ফিলিস্তিন প্রশ্নে শান্তি চুক্তি বলতে গেলে একপ্রকার অসম্ভব। ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা থাকায় হামাসের ওপর আক্রমণ করেও ইসরায়েল পার পেয়ে যায়, এমনকি নিজেদের নৈতিকভাবে সঠিক দাবি করতে পারে। কিন্তু এটা সত্য যে হামাসের উপর আক্রমণ করতে গিয়ে ইজরাইল নিরীহ ফিলিস্তানিদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করে।

যাইহোক বর্তমান যে পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে এ পরিস্থিতি থেকে ইজরাইল কখনোই ফিলিস্তানের সাথে সমঝোতায় যেতে ইচ্ছুক হবে না। তাছাড়া রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ইজরায়েল শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় তারা এই সমস্যাটিকে জিইয়ে রেখে আরব ও আমেরিকাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করবে। কেননা হামাসকে আরব ও আমেরিকানরা নিজেদের দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে। কোন কোন সময় হামাসের উস্কানিতে ইজরাইল আক্রমণ করে আবার ইজরাইলের উস্কানিতে হামাস আক্রমণ করে। মূলত এসব যুদ্ধ যুদ্ধ খেলাতে গাজার মাটি নিরীহ ফিলিস্তিনীদের রক্তেই রঞ্জিত হয়। আর এটা অনুমেয় এই রক্ত গঙ্গা আরো বহুদিন বয়ে যাবে গাজার মাটিতে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: '৪৭ সালে জাতিসংঘের প্রস্তাবনার ম্যাপ যদি দেখেন, তাহলেই সমস্যা সমাধানে তাদের সদিচ্ছা কতোটা ছিল বুঝতে পারবেন। ছিটমহল কায়দার অরিজিনাল বৃটিশ পরিকল্পনা। পুরাপুরি রাবিশ!!!

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি বলছি না সে ম্যাপে উইন উইন সিচুয়েশন ছিল। কিন্তু আজকের এত রক্তপাত এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বাকি বিশ্বের তখন যা ছিল সেটা এখন কমেছে না বেড়েছে?

২| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সুন্দর আলোচনা।
ভালো লেগেছে।

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সুস্থ্য থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।

৩| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১১

কামাল১৮ বলেছেন: এবার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।আর একমাস যুদ্ধ চললেই মুসলমানদের বিজয় প্রায় নিশ্চিত ছিল।যুদ্ধের পরে দেখলাম মুসলমানরাই বিজয় উৎসব করেছে,তার অর্থ তাদেরই জয় হতো।

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা যুদ্ধ নয়, তলোয়ারের নীচে এসে হামাসের মাথা ঢুকানো খেলা। অনেকে বলে হামাস এবার রকেট ছুঁড়ে উস্কানি দিয়েছে কিন্তু না, গাজায় কয়েকটি পরিবারের ঘর ইসরাইল গুঁড়িয়ে দিলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে এবং এই সুযোগটাই হামাস নিয়ে রকেটে হামলা করে। শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য বাস পার্কিং করা হবে এই অজুহাতে ৬টি ঘর ভেঙ্গে দেয় ইসরাইল কর্তৃপক্ষ।

৪| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে আজকের চোখ দিয়ে দেখলে হবে না, '৪৭ সালের চোখ দিয়ে দেখতে হবে। নয়তো বিষয়টা অনুধাবন করা কঠিন। আপনার বাড়ি আরেকজন দখল করলো। তারপরে এলাকার মাতবররা সেই বাড়ির অর্ধেকের বেশী অংশ দখলদারকে দিয়ে দিল, বাকী অংশ আপনাকে..........আপনি মানবেন?

আর ম্যাপ দেখেন। যেভাবে ভাগ করেছে, এটা ভবিষ্যতে সংঘাত জিইয়ে রাখার একটা পথ ছাড়া আর কিছুই না। এমন ভাগ বৃটিশরা আমাদের উপমহাদেশেও করেছিল। ফলাফল কেমন ছিল, ইতিহাস ঘাটলেই বুঝবেন।

২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:০২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেটাকে আপনি ফিলিস্তিনীদের নিজস্ব নিজস্ব ভূমি কিভাবে বলবেন? কেননা এখানে মিশর জর্দান এই অঞ্চল টুকু দখল করেছিল পরবর্তীতে ব্রিটেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দখল করে। ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ যদি জর্ডান, মিশরের হাতে থাকতো তাহলে তারা কি ফিলিস্তিনিদের আলাদা দেশ হিসেবে অস্তিত্বে আসতে দিতো? অথচ জাতিসংঘের প্রস্তাবিত অংশে দুটি দেশই আলাদা সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারতো।

৫| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ধারণা ও পর্যবেক্ষণ সঠিক। বাঘ মার্কা ব্লগার ম্যাপে ফিলিস্তিন খুঁজে বের করতে ৫ মিনিট সময় লাগবে।

২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:০৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই অঞ্চলটিতে ফিলিস্তিনীদের একক কর্তৃত্ব কোনো কালেই ছিলনা এবং আগামীতেও এমনটি হওয়া সম্ভব না।

৬| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাঘ মার্কা ব্লগার কাঠাল পাতা খায় না, ওইটা ট্রাক্টর মার্কা ব্লগারের কাজ। উজবুকের কাজই হলো মোচড়ামুচড়ি করা আর অন্যের মন্তব্য নিয়ে ছাগলামী করা।

২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যাই হোক আপাতত আমরা ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বিরত থাকি।

৭| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: উস্কানি দিলেই কি লোকে মন্দ কাজ করবে? তাছাড়া উস্কানি দিলেই আরেকজন কেন তা মেনে নিবে? তাঁর কি বিবেক বুদ্ধি নেই?

২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এগুলো ছোটখাট বা কথা দিয়ে উস্কানি নয় যে চুপ থাকবে। রকেট ছুঁড়ে কিংবা কারো বসতবাড়ি ভেঙ্গে উস্কানি দিলে কারোই চুপ থাকার অবস্থা থাকেনা।

৮| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: যাই হোক আপাতত আমরা ব্যক্তি আক্রমণ থেকে বিরত থাকি। এই বাণীটা আপনার ৫ নং মন্তব্যে দেয়া সঠিক হতো। ৫-য়ে খোচা না দিলে ৬ নং মন্তব্যটাই আসতো না। ৫ টপকে ৬-এ এসে এটা বলাতে গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে। আফসোস!!!

২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ৫নং মন্তব্য উনি বলেছেন আপনি মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিন খুঁজে বের করতে ৫ মিনিট সময় নিবেন। এটার জবাব অন্যভাবেও দেওয়া যেত। আপনি বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন। যদি উত্তেজনার কারণ শুধু এই মন্তব্য নয়, আপনাদের মাঝে অন্যান্য পোস্টেও বাকবিতণ্ডা হয়েছে হয়তো তার জন্য।

৯| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কাছে হামাসের জনপ্রিয়তা বা গ্রহণযোগ্যতা কেমন? সাধারণ ফিলিস্তিনিরা কি বিভিন্ন সময়ে প্রস্তাবিত মীমাংসার উদ্যোগগুলিকে সমর্থন করে? আমার মতে একটা দেশের সাধারণ জনগণের ইচ্ছা আকাঙ্খা বেশী গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ জনগণ কি এই বিষয়গুলি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নাকি তারা একতাবদ্ধ? যদি ধরে নেই যে ফিলিস্তিনিরা মীমাংসা প্রস্তাব মেনে নিলো। তারপর কি ঐ অঞ্চলে শান্তি আসবে? ফিলিস্তিন কি তার সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে জনগণের জন্য শান্তি নিশ্চিত করতে পারবে?

উপরের সবগুলিই আমার প্রশ্ন। আমি জানি না তাই জানতে চাচ্ছি।

২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হামাস মূলত গাজা অঞ্চলটি শাসন করে আর পশ্চিম তীর ফাতেহের অধীনে। ইজরাইল প্রসঙ্গে গাজার লোকজন হামাসের সাথেই আছে। কারণ হামাস ইসরাইলের অস্তিত্ব স্বীকার করে না আবার পশ্চিম তীরে ফাতাহ সমর্থক বেশি তারা অবশ্য ইজরাইলের সাথে সমঝোতা করে এই সমস্যার সমাধান করতে চায়। পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা মোটামুটি ভালো অবস্থানে আছে তাদের মাথাপিছু আয় পাঁচ হাজার ডলারের উপরে। তারা যুদ্ধ চায়না তবে গাজায় হামাসের জন্য সেখানকার অধিবাসীরা ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক যুদ্ধ জড়িয়ে যায়।
ফিলিস্তিনিরা মোটামুটি মীমাংসা প্রস্তাব মেনে নিলেও এখানে অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন এস সমাধান হয়ে গেলে দেশে নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আসবে আর নির্বাচনে যেই জিতুক বিপক্ষ দলের সর্বোচ্চ নেতাদের বন্দি/ হত্যা করা হবে। তাই দুই দলই নির্বাচন প্রসঙ্গ এখন আর আনে না। ইসরাইল নিয়েই সেখানকার জনগণকে ব্যস্ত রাখে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.