নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মকর্ম মানুষকে পরিশুদ্ধ করেনা।

০৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৩


ঢাকা শহরকে বলা হয় মসজিদের নগরী আবার একই সাথে ঢাকা শহর পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা শহর! এই নোংরা শহরে সবচেয়ে বেশি মসজিদ গড়ে উঠেছে? নাকি মসজিদের শহর নোংরা হয়ে গেছে? না আমি এই দুইটার কোনটার সাথে কোনটা রিলেট করতে চাচ্ছি না। তবে এটা ঠিক এই নোংরা শহরের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন জায়গা হল মসজিদ। মসজিদের ভিতরে সর্বদাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। মসজিদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কে রাখে? আমরা রাখি! আবার মসজিদের বাইরে অপরিষ্কার নোংরা কে করে? আমরাই করি। মসজিদ পরিষ্কার রাখলে সওয়াব পাওয়া যায়, আর রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখলে কি সওয়াব পাওয়া যায় না?

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের অঙ্গ। এই ঈমান মসজিদের ভিতরে ঠিক থাকে বাসা বাড়িতেও মোটামুটি ঠিক থাকে, রাস্তায় আসলে এই ঈমানের অঙ্গহানি হয়ে যায় কেনো? রাস্তায় পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ করার সময় ঈমান ঠিক থাকেনা কেনো? ড্রেনেজ, ডাস্টবিন এসবের কাজে যে বরাদ্দ হয় সেগুলো থেকে সরিয়ে নিজের পকেটে নেওয়ার সময় ঈমান ঠিক থাকেনা কেনো! আমি অনেক কোটিপতি দেখেছি, বিসিএস ক্যাডার দেখেছি যারা নিজ হাতে মসজিদ ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে কিন্তু রাস্তায় নেমে রাস্তার মাঝে থুথু, সিগারেটের খোসা ফেলে! পরিষ্কারের ব্যাপারটা এরা মসজিদের ভিতরে সীমাবদ্ধ রেখেছে।

আসলে আপনি চাইলেও ঢাকা শহর, করাচি শহর, কাবুল শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারবেন না। এসব শহরের বেশিরভাগ মানুষ ধর্ম কর্ম করে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঈমানের অঙ্গ এই কথাটিও জানে। এরা ধর্মের জন্য মসজিদে গিয়ে ইবাদত বন্দেগী করবে কিন্তু ধর্মের ভালো ভালো উপদেশ গুলি পালন করতে চাইবেনা। যেসব উপদেশগুলি পালন করতে অর্থ খরচ হয়, দুর্নীতি করা যায়না, ঘুষ নেওয়া যায়না, সৎ হতে হয়, বিবেক বুদ্ধি খাটাতে হয় সেগুলি তারা করতে চাইবে না। আমাদের নবীর অপমানে আমাদের অনুভূতিতে মারাত্মকভাবে আঘাত করে কিন্তু ঘুষ-দুর্নীতি নিজের শহর নোংরা করা আমাদের অনুভূতিতে আঘাত হয় না। অথচ এই আঘাতটা আমাদের জন্য সবচেয়ে দরকারি ছিল।
মানুষের যদি আর্থিক সামর্থ্য আসে তাহলে ঢাকা শহর, করাচি শহর, কাবুল শহর একরাতে অর্ধেক খালি হয়ে যাবে। এই নোংরা শহরগুলিতে ধর্ম-কর্ম বেশি হয় কিন্তু মানুষের সতেজ নিঃস্বাস নেওয়ার জন্য কোনো কাজ হয়না। ঘুষ, দুর্নীতি, ধাপ্পাবাজি, ভেজাল এই শব্দগুলি এই শহর গুলির নামের সাথে মিলে একাকার হয়ে গেছে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৭

সাসুম বলেছেন: ঢাকা শহর দুনিয়ার সবচেয়ে বাটপার আর নস্ট শহর গুলার একটা। বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকা করলে প্রতি বছর সবার তলানিতে নাম আসে এই শহরের।

যাই হোক- আমি সব সময় একটা কথা বলে আসি, ধার্মিক মানেই কিন্তু সৎ আর বুদ্ধিমান না। ধর্ম আর জ্ঞান সব সময় আলাদা আলাদা পথে চলে।

কোন সুস্থ মানুষ, কোন জ্ঞানী মানুষ, কোন যুক্তিবাদী মানুষ এর পক্ষে দেশের রাজধানী কে এভাবে ফেলে রাখা এভাবে নস্ট করা সম্ভব না। এই শহর নস্ট করার জন্য, দেশ নস্ট করার জন্য শুধু নেতা বা শাসক রা দায়ী নয় বরং এর মানুষ রা আরো বেশি করে দায়ী।

ধর্ম কখনো শুদ্ধ মানুষ বা পরিপূর্ন সমাজ ক্রিয়েট করতে পারেনা। যদি তাই পারত- তাহলে দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি মসজিদের শহরে, দুনিয়ার সবচেয়ে ধার্মিক মানুষের শহরে এত অন্যায়, এত পাপ জমা হত না।

বিঃদ্রঃ আপনাকে মাদ্রাসা এর বল্গ দিয়ে ইন্টারনেট চালানো আস্তিক রা এসে নাস্তেক ঘোষণা দিল মাত্র।

০৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি সঠিক মন্তব্য করছেন।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: আমি যেখানে আহার করবো, সেখানেই মলত্যাগ করবো। তারপর বলে বসবো "পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। পরক্ষনেই আহার, মলত্যাগ ও মুখ নিসৃত বানী;চমতকার চক্র।

০৫ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই দেশের মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে রাস্তাঘাট, পার্কে বসার স্থান, অপরের জায়গা নোংরা করে।

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ম মানুষকে নৈতিক করে না ,মানুষকে নৈতিক করে মানবিকতা।ধর্ম মানুষকে মমিনুল হকের কতো মুমিন বানায়।মমিনুল হকের মতো নৈতিক হতে শিক্ষা দেয়।

০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক বলেছেন।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: ধর্ম কখনই মানুষ কে বিপথে নেয় না, বিপথে নেয় ধর্মে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে যারা মুনাফা লোটে দুঃখের বিষয় মুনাফাখোরদের সংখ্যাই বেশি।

০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:২৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্মকর্ম যতদিন থাকবে ধর্ম ব্যবসাও ততদিন থাকবে।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ঘটা করে ধর্মপালনকারীদের দেশ ছেয়ে আছে দুর্নীতি আর বিচারহীনতায়।
যেখানে ঘুষের টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে কসাইকে জিজ্ঞেস করা হয় গরু হালাল উপায়ে জবাই করা হয়েছিল কিনা, সেখানে ধর্মের নীতিবোধই তাদের স্পর্শ করতে পারে না, পরিশুদ্ধতা তো আরো পরের কথা।

সুন্দর পোস্টের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন হিরণ ভাই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৫০

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের সমস্যা হইলো তাদের নৈতিকতার ভিক্তি ধর্ম ভিক্তিক।

আর মানুষ এখন আগের মতন ধর্মের সাজায় ভীত না।

তাই তারা নামে মুসলমান, পোষাকে মুসলমান কিন্তু অন্যর ক্ষতি হয় এমন কাজে খারাপ বোধ করেনা।

তাই যতদিন না আমাদের সমাজের এই ধর্ম ভিক্তিক নৈতিকতার শিক্ষা বদলে মানবতা ভিক্তিক নৈতিকতার শিক্ষা শুরু হবে ততদিন দূনিতি, সমস্যা কমবেনা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাকি গুলো থাক, ধর্মে কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কথা জোর দিয়েই বলেছে। ধর্ম নৈতিক ভিত্তি হলে অন্তত এই নীতিটি মেনে চলা দরকার।

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:১৫

ঈশ্বরকণা বলেছেন: নূর আলম হিরণ,
এক সময় আপনাকে একটু কান্ডজ্ঞান সম্পন্ন ব্লগারই মনে হতো। কিন্তু ইদানিং আপনাকে মনে হচ্ছে চূড়ান্ত ইসলাম বিদ্বেষী আর চিন্তাভাবনাহীন কোনো ব্লগার। সবকিছুতেই ইসলামী জূজূ দেখলেতো মুশকিল।

একটা আরবান এরিয়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে কি থাকবে না সেটাতো ধর্ম দিয়ে ঠিক হয় না । সেটা ঠিক হয় সেখানে নাগরিক সুবিধা কেমন, পার স্কয়ার মাইলে পপুলেশন কত, নগর পরিকল্পনা কেমন, ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম,স্যুয়ারেজ সিস্টেম কেমন, সিটি কর্পোরেশনগুলো কতটা দক্ষ,আইন শঙ্খলা বাহিনী কতটা কর্ম তৎপর সর্বোপরি এলাকার মানুষের ইকোনমিক কন্ডিশন,এডুকেশন রেট কত এ রকমের অনেক ফ্যাক্টর দিয়ে। আরবান স্টাডিজের এই মেট্রিক্সের কোথাও আপনি কিন্তু পাবেন না ধর্মের কথা এই ব্যাপারে কোনো বড় ফ্যাক্টর হিসেবে।মক্কা আর মদিনার কথা ভাবুন মিলিয়ন মানুষ যাচ্ছে প্রতিদিন বা মাসে। কিন্তু কি পরিমান পরিচ্ছন্ন সেই শহর দুটো। এশিয়ার সেরা আর সুন্দর সিটিগুলোর মধ্যে দুবাই,আবুধাবি, শারজাহ চলে আসে সহজেই। অনেক ট্রাভেল অথরিটির হিসেবেই মালদ্বীপ, ব্রুনেই -এর রাজধানী বন্দর সেরি বাগোয়ান এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর আর ক্লিন সিটির মধ্যে গণ্য হয়।এগুলো সবই কিন্তু মুসলিম দেশের শহর ।

আমাদের দেশ যারা চালান তারা চূড়ান্ত অদক্ষ দেখেই, তারা ঠিক নেই দেখেই ঢাকা এতো নোংরা। ঢাকা শুধু নোংরা না এয়ার কোয়ালিটির দিক থেকে পৃথিবীর বিষাক্ততম বাতাসের শহর ! এই হ্যাজারডাস এয়ার পার্টিকেল কিন্তু ইসলামী কায়দায় আল্লাহু আকবর বলে উৎপন্ন হচ্ছে না বুঝতে হবে আপনার ! আমাদের এই ব্যর্থতাগুলো একটা সিস্টেম ফেইলিওর । আপনার চোখে না পড়লেও এই দেশে নিরক্ষর রিক্সাওয়ালা লক্ষ টাকা পেয়ে ফিরিয়ে দেয়। তার যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ হয়নি সে তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি দেখবেন সেটা ধর্মীয় নৈতিকতার কারণেই ফিরিয়ে দেয়। মানে পরের টাকা নেয়া অন্যায় এই নীতিবোধ ধর্মের থেকেই আসেতার মতো শিক্ষাহীন একজন মানুষের কাছে। আবার আপনি দেখবেন সেক্যুলার দেশি বিদেশি পড়াশোনার ডিগ্রিধারী ধর্মের নৈতিকতা থোড়াই কেয়ারকারী দেশ সেরা কোনো বিজনেসম্যান হাজার কোটি টাকা ব্যাংকের থেকে চুরি করে বিদেশে চালান করে। সেই গ্ৰুপে হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্টান নির্বিচারে সবাইকেই পাবেন তারতম্য টুকু শুধু জনসংখ্যার শতকরা হারের কম বেশির জন্য। আপনার বিষয়ের সাথে যেই সমস্যা সেটার প্রধান অংশটাই দেশের ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতার সমস্যা।কিন্তু আপনারা এই সব কুকর্মের সাথে ইসলামের জুজুই যে কেন দেখেন সেটাতো বুঝি না। এই ব্লগের সবচেয়ে নোংরা ভাষায় অন্য ব্লগারদের দিনে ওপর দিন আক্রমণকারী কিছু নিক বা নামের দিকে চেয়ে দেখুন বিদেশে থাকা উচ্চ পদস্থ চাকুরের দাবিকৃত সেক্যুলার শিক্ষার আলোকিত মানুষ তারা ! কতটা পরিশুদ্ধ হয়েছে শিক্ষা দিয়ে আপনি বলতে পারবেন সহজেই। তার মানে কিন্তু এই না যে সেই একই সেক্যুলার শিক্ষা পেয়ে আইনস্টাইন বা ডক্টর হকিন্সও বুলি হয়েছিল ।গান্ধীর কথা যদি বলেন সে শিক্ষিত ছিল আবার ধর্ম মানতো, মাদার তেরেসা ধর্ম মানত, মুহম্মদ আলীর কথা ভাবুন শুধু নিজের ধর্মের কথা ভেবে ভিয়েতনাম যুদ্ধে না যাবার জন্য বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের মতো একটা প্রচন্ড লাভবান খেলা ছাড়তে হবে জেনেও অন্যায় যুদ্ধে যায়নি তার প্রাইম টাইমে তিন বছরের জন্য ব্যান হবার ঝুঁকি নিয়েও। আসল ব্যাপারটা হলো ধর্ম কর্ম শিক্ষা কোনোটাই মানুষকে পরিশুদ্ধ করতে পারবে না যদি সেটা ঠিকঠাক মতো দেয়া না হয়। বাংলাদেশে ইসলামিক শিক্ষা যারা দেন তাদের যোগ্যতা সৃষ্টির ব্যবস্থা না করে ঢালাও শুধু ধর্মকে অভিযুক্ত করার কোনো কারণত আমি দেখি না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি পোস্ট ঠিকমতো পড়লে এতবড় কমেন্ট করতেন না। বেশিরভাগ সময়ই আপনি পোস্টের কন্টেক্স থেকে দূরে গিয়ে লম্বা মন্তব্য করেন। মন্তব্য লম্বা হলেই সঠিক হয় না।
আমি এক জায়গায় লিখছি “মসজিদ পরিষ্কার রাখে কে? আমরা। রাস্তা অপরিস্কার করে কে? আমরা।” এই লাইনটুকু বুঝলে আপনার এত বড় কমেন্টের দরকার হতো না।

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৪

ঈশ্বরকণা বলেছেন: নূর আলম হিরণ,
আপনার সমস্যা হলো আপনি যা লিখেন সে সম্পর্কে আপনার ধারণা স্পষ্ট না । একটা শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে, কি থাকবে না সেটা ধর্মের বিষয় হতে পারে না। সেটা সিটি গভনরমেন্টের সক্ষমতার প্রশ্ন। একটা শহরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অনেক কিছুই হিউম্যান ডেভোলাপমেন্ট ইন্ডিকেটরগুলো (শিক্ষা, আয় ইত্যাদি) সেই শহরের বাসিন্দাদের জন্য কতটা উঁচু সেটার ওপর নির্ভর করে। সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কিন্তু ধর্মের না।সেটা দেশ যারা চালায় তাদের।সেটা ঠিক না থাকলে এই শহরে সবাই নাস্তিক হয়ে গেলেও অবস্থা একই থাকবে। আপনার লেখার সাথে দ্বিমত এখানেই যে আপনি এই ডেভলাপমেন্ট ইস্যু টাকে ধর্মের সাথে জড়িয়ে ফেলেছেন আর ইসলামকে একহাত নিচ্ছেন প্রতিদিনই । আজকে ঢাকার প্রত্যেকটা মানুষ নিজের দায়িত্ব সচেতন হলেও, ইসলামের নীতিগুলো সঠিক ভাবে মেনে চললেও শুধু সরকার অদক্ষ হলেই জ্যাম কখনো কমবে না। এই জ্যামের কারণে ঢাকার বাতাসে যে হেলথ হ্যাজার্ডাস পার্টিকলগুলো আছে সেটা কমবে না আর আপনার ভালোভাবে সতেজ নিশ্বাস নেবার ব্যাপারটাও ঘটবে না। একটা শহরের স্বাস্থ্য সম্মত বসবাসের জন্য ১৫% স্পেস থাকা উচিত গাছগাছালি দিয়ে পূর্ণ। জনসংখ্যা ঘনত্বের কাৰণে এই স্পেস এরিয়া বাড়তেও পারে। ঢাকায় কি সেটা আছে ? এটা কি ধর্মীয় সচেতনতা দিয়ে করা সম্ভব না এর জন্য কংক্রিট কোনো প্ল্যানিংয়ের দরকার ? কি মনে হয় আপনার ? এই ব্যাপারগুলোর সাথে ধর্মের কোনো যোগ নেই বা একজন ধার্মিক মানুষের আচরণের কোনো যোগ নেই। একজন ধার্মিক মানুষের আচরণের সঠিকতা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। আপনি মনে হয় আরবান প্ল্যানিংয়ের এই ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন না। যাহোক, ব্যাপারটা বুঝতে পারলে একটু লজিকাল কিছু বলেবেন নইলে মন্তব্যের উত্তর দেবার দরকার নেই। চাউ ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার সাথে তর্ক করা অমূলক! আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি আপনি বুঝতেই পারছেন না। আপনার কি মনে হয় আমি জানি না একটা শহর পরিষ্কার রাখতে কি কি দরকার? ধর্মের যে অনুশাসন সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কথা বেশ জোর দিয়েই বলা আছে কিন্তু এই শহরের ধার্মিকরা সেটা মানেই না। মানলে মসজিদের মত রাস্তাঘাটও পরিষ্কার থাকতো। ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দুর্নীতি করতো না।
আপনি যে পয়েন্ট গুলো বলেছেন সেগুলোই কার্যকর একটা শহর সুন্দর ভাবে সাজাতে। ধর্ম কর্ম দিয়ে সম্ভব না। আর এই জন্যই বলছি ধর্ম কর্ম মানুষকে পরিশুদ্ধ করেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.