নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রেন কাবুলে চলে এসেছে, যাত্রীরা নেমে পড়ুন-৪

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৪


গত কয়েকদিন আফগানিস্তানে আমেরিকানদের বিরুদ্ধে তালেবানদের চুক্তিভিত্তিক বিজয়ে এদেশের অনেক মানুষ যেভাবে অভিনন্দন জানিয়েছে মনে হচ্ছে আমরা আফগানিস্তানেই আছি। তালেবানরা আমাদেরকে শাসন করবে, আমাদের দেশ চালাবে। ফেসবুকে এমন অবস্থা হয়েছে এই সময় ফেসবুকেই লগইন করিনি। অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত অনেকেই তালেবানদের পক্ষে এত সুন্দর সুন্দর বানী লিখেছেন যা পড়ে আর ফেইসবুকে ঢুকতে ইচ্ছে হয়নি। ব্লগে অবশ্য এমন অভিনন্দন বেশি একটা চোখে পড়েনি। কারন ব্লগে এসব বাণী লিখলে তির্যক মন্তব্যের জবাব দিতে হবে।
আমার ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় ঢাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তার ফেইসবুকে একটা ছবি দিয়ে লিখেছেন, “এই বিজয় আল্লাহর পক্ষ থেকে” আমি নিচে মন্তব্য করলাম, আল্লাহর ২০ বছর কেনো লেগেছে এই বিজয় দিতে?
উনি বলেছেন “আল্লাহ পরীক্ষা নেন, যে সময় যা উত্তম তাই তিনি করেন।” আমি আবার লিখলাম, আপনার ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা জানতে আপনি কত বছর ধরে পরীক্ষা নিতেন? উনি এই উত্তর দেননি!
এই হলো আমাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের অবস্থা! পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিক লব্ধ জ্ঞানের উন্নতি সাধিত হয়। আর আমরা এখনো প্রাকৃতিক কর্ম করার সময় কোন দোয়া মুখস্থ রাখতে হবে সেটা নিয়ে চিন্তায় থাকি!

তালেবানদের যারা অভিনন্দন জানিয়েছে তাদের মধ্যে বিশাল একটি অংশ নিজেরাও তালেবানি শাসনের মধ্যে কয়দিন থাকলে আর থাকতে চাইবে না। তারপরেও তারা মনে করে তালেবানি শাসন উত্তম শাসন। এর কারণ আছে, স্বাধীনতার পর থেকে আসলে এই দেশের নাগরিকরা কখনোই উত্তম শাসক ও শাসনের মাঝে ছিলো না। অধিকাংশ মানুষ বাকি আধুনিক বিশ্বের শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখে না। যারফলে ধর্মীয় মনোভাব থেকে তালেবান, আলকায়েদা, আইএস কিংবা দেশীয় হেফাজত ইসলামের দর্শনকে পুরোপুরি না বুঝে সঠিক মনে করে। স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের সময়ই এই মনোভাবের মানুষ সবচেয়ে বেশি তৈরি হচ্ছে। এর কারণটিও সোজা। সাধারণ মানুষ, প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের মাঝে সঠিক সমন্বয় নেই। মানুষ সঠিক নির্বাচন ব্যবস্থা, যোগ্যতাসম্পন্ন রাজনীতিবিদ ও দক্ষ প্রশাসনের সাথে পরিচিত নয়। এই তিনটি গুরুত্বপুর্ন বিষয়ের অনুপস্থিতির কারণে মানুষ ভুল রাজনৈতিক দর্শনের প্রতি ধাবিত হচ্ছে।

যাইহোক, তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলির মাঝে ধর্ম ব্যক্তিগত জীবন হতে সামাজিক ও রাষ্ট্রের সাথে এমন ভাবে মিশে গেছে আপাতত এটাকে আর আলাদা করা প্রায় অসম্ভব। অতীতে যেসব দেশ সমাজ ও রাষ্ট্রের থেকে ধর্মকে আলাদা করতে পেরেছে তারাই ভালো করছে। তাদের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে সর্বোপরি প্রাকৃতিক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় অনেক এগিয়ে গিয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকেই ভেবেছিলেন এবার সম্ভবত কিছুটা পরিবর্তন হবে। কিন্তু না তাঁর সরকারও এই সিস্টেম থেকে বের হতে পারেনি এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে এর বিকল্প বের করতেও আগ্রহ দেখায়নি। উনি ট্রেনের গতিপথ পরিবর্তন না করে কাবুলেই নিয়ে ট্রেন থামিয়েছেন।
ট্রেন মনে হয় কাবুলে চলে এসেছে, যাত্রীরা নেমে পড়ুন-১
ট্রেন মনে হয় কাবুলে চলে এসেছে যাত্রীরা নেমে পড়ুন-২
ট্রেন মনে হয় কাবুলে চলে এসেছে, যাত্রীরা নেমে পড়ুন-৩

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এতে ধর্মের কোনো ক্ষয় বা ক্ষতি হচ্ছে না, আমরাই আমাদের সর্বনাশ করছি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম মানুষের প্রয়োজনে মানুষ সৃষ্টি করেছে আবার অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে এর গুরুত্ব কমিয়েছে। যারা সেটা পারেনি তারা পিছিয়ে পড়ছে।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



পোষ্ট ভালো হয়েছে, ধারণাগুলো সঠিক।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই ব্যাপার গুলো খুবই সহজ ব্যাপার কিন্তু এগুলো বুঝতেও বেশির ভাগ শিক্ষিত মানুষের কষ্ট হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

নিমো বলেছেন: আমিতো জানতাম দেশজুড়ে বন্যা এসেছে। আপনার পোস্ট পড়েই এই মহান ঘটনার কথা জানতে পারলাম। অবশ্য ব্লগের তালেবানী ব্লগারদের পোস্ট পড়লে দেশ ও বিশ্ব থেকে করোনা নির্বাসিত হয়েছে ধারণা হতে পারে। অবশ্য ব্লগ থেকে আরও বিচিত্র বিষয় জানা যায়, যেমন দেশে জাতীয় পতিতা থাকলেও জাতীয় পতিত কেউ নেই। কিংবা থাকলেও তাকে নিয়ে আলওচনা করতে হলে সার্কাসের সিংহ হতে হবে। একই সাথে নবী মারা যাওয়ার সময় ব্লগের কতিপয়ের কাছে ধর্মের ইজারাদারিটা দিয়ে গেছেন। উনারা নিজেদের হিদায়াত প্রাপ্তির ব্যাপারে এতটাই সুনিশ্চিত যে, অন্যদের হিদায়াত করাটাই উনাদের পেট্রোডলার প্রাপ্তির একমাত্র উপায়। লেখা ভালো হয়েছে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বলেছেন: মানুষ যখন ধর্ম সম্পর্কে বেশি ভাবনায় লিপ্ত হয় তখন সে নিজেকে বাকিদের চেয়ে বেশি জ্ঞানী ও আলাদা ভাবতে শুরু করে। অন্যকে হেয়ও করার চেষ্টা করে তার মতের সাথে না মিল হলে। যেকোনো বিষয়ে সমাধান দিতে ধর্মকে টেনে আনবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: তালেবানরাতো তালেবানী শাসন পছন্দ করবেই।পড়ে মুগ্ধ

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তালেবানি মানসিকতার মানুষের সংখ্যা এই দেশে প্রচুর। এরা তালেবানদের পছন্দ করলেও আফগানিস্তানে যেতে চাইবে না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শাহ আজিজ বলেছেন: তালেবানদের যারা অভিনন্দন জানিয়েছে তাদের মধ্যে বিশাল একটি অংশ নিজেরাও তালেবানি শাসনের মধ্যে থাকলে আর থাকতে চাইবে না

এটিই চরম সত্য । একজন নিবেদিত কমিউনিস্ট নেতাকে বলেছিলাম চীনের গ্রামে গিয়ে ওদের সাথে কয়েক মাস থাকতে । তিনি গম্ভীর হয়ে আমায় বললেন আমি তোঁ শাসন কাজে থাকব , গ্রামে থাকা কি আমার পোষায় ?

এই হচ্ছে ধান্ধাবাজ বিপ্লবিদের অবস্থা । আমি এই দেশে সঠিক পথের বিপ্লবী দেখি না ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক বলেছেন আজিজ ভাই।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আমি আবার লিখলাম, আপনার ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা জানতে আপনি কত বছর ধরে পরীক্ষা নিতেন? উনি এই উত্তর দেননি

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি এই উত্তর হয়তো খুঁজে পাননি। ধার্মিক মানুষ ফ্যালাসি করে খুব বেশি শিক্ষিত হোক আর অশিক্ষিত হোক।

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৮

অধীতি বলেছেন: তালেবানের বিজয় দু'ভাবে দেখে।
১/কিয়ামতের আলামত হিসেবে। (ইসলামের জয়)
২/আমেরিকার পরাজয়।
আমেরিকা,ভারত এদের কোনঠাসা আবস্থায় দেখলে অধিকাংশই মজা পায়।সাম্রাজ্যবাদকে সবাই ঘৃণা করে। এখন আমেরিকার লক্ষ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কিয়ামতের আলামতে কি তালেবানদের কথা বলা হয়েছে?

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৮

বংগল কক বলেছেন:

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: লিংক কাজ করছে না।

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৭

বিটপি বলেছেন: অধীতির বক্তব্যের সাথে আমি একমত। তালেবানদের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র সমর্থন নেই। কিন্তু ২০০১ সালে মিথ্যা অপবাদে বিশ্বের দরিদ্রতম একটি জাতির উপর বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জাতিগোষ্ঠী উন্নততম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যেরকম জানোয়ারের মত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, ২০ বছর পর তাদেরকে মাথা হেট করে ময়দান ছাড়তে দেখে আমি অত্যন্ত খুশী।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে আমেরিকার লাভ হয়েছে নাকি ক্ষতি হয়েছে।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩১

বিটপি বলেছেন: আমেরিকার লাভ হয়েছে। এই অভিযানের কারণে (আমেরিকার সমর্থন ছাড়া) কোন ইসলামী চরমপন্থী গ্রুপ মাথা তুলে দাঁড়াবার সাহস করেনি। আমেরিকার অস্ত্র কোম্পানিগুলোর লাভ হয়েছে। তারা নিরীহ মানুষের উপর সফল ট্রায়াল দিতে পেরেছে। লাদেন হত্যার নাটক সাজিয়ে পাকিস্তানকে পদতলে রাখতে পেরেছে। শত্রু রাশিয়া এবং চীনকে এখন ইসলামী জুজুর ভয় দেখাতে পারবে।

মুসলিম বিশ্বের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। অভিযান ব্যর্থ হবার কারণে এখন বিভিন্ন মুসলিম দেশে চরমপন্থী গ্রুপগুলো মাথাচাড়া দেবার সাহস দেখাবে। মুসলিম সরকারগুলো তাদের দমনে আমারিকান কনসালটেন্ট ভাড়া করতে বাধ্য হবে - এই চান্সে আমেরিকার সুবিধা হবে গণতন্ত্র বিক্রির নামে অস্ত্রের জমজমাট ব্যাবসা করতে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আল্লাহ কার সাথে আছে, আমেরিকার সাথে নাকি মুসলিম দেশ গুলোর সাথে? মুসলিম দেশ গুলো আল্লাহর সাহায্য না চেয়ে আমেরিকার কনসালটেন্ট ভাড়া করবে কেনো? আপনি কয়েকটি পয়েন্ট ধরে কনক্লুশনে চলে এসেছেন, মুসলিম দেশ গুলোর নেতারা আপনার থেকে কম বুঝে কেনো?

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫০

বিটপি বলেছেন: আপনি কি এভাটার সিনেমাটা দেখেছেন? সেখানে একটা ডায়ালগ আছে, 'প্রকৃতি মা কারো পক্ষ নেয়না, সে শুধু ভারসাম্য রক্ষা করে'। আল্লাহ্‌র সৃষ্টি বিশ্বের সমস্ত মানুষ। তাই আল্লাহ কারো পক্ষ নেননা - তবে তার পছন্দের মানুষ, যারা তার অনুগত, তাঁদের তিনি উৎসাহ দেন, যাতে তারা বিজয়ী হয়। আল্লাহ যদি প্রয়োজন মনে করেন, আমেরিকার সাথেও থাকতে পারেন, আবার মুসলিম দেশগূলোর সাথেও। আল্লাহ হচ্ছেন সুবিবেচক।

মুসলিম দেশগূলো কনসালটেন্ট ভাড়া করবে, কারণ তা না করে তাদের আর কোন উপায় থাকবেনা। আমেরিকা সরকার ও বিদ্রোহী উভয়পক্ষকেই ব্যাকআপ দেবে। তারপর যারা পেমেন্ট করতে গড়িমসি করবে, তাদেরকে ব্যাকআপ দেওয়া বন্ধ করে দেবে।

মুসলিম দেশগুলোর নেতারা কম বুঝে তা না। কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। বিশ্বের অর্থনীতি এখন ইহুদীদের পুরো কন্ট্রোলে। কোন মুসলিম দেশ যদি তাদের নিজেদের বুদ্ধিতে চলতে চায়, তাহলে তাদের অর্থনীতি ধ্বসে যায়। লিবিয়ার গাদ্দাফী এমন বুদ্ধি করেছিল যাতে তাদের দেশের অর্থনীতি বাইরের কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে। তার করুণ পরিণতি তো দেখলেনই।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মুসলিমদের এইভাবে ইহুদিদের বেড়াজালে আটকে যাওয়ার কারণ কি বলে মনে করেন? ইহুদীরা কিভাবে এত উন্নতি করেছে যে সারা মুসলিম বিশ্ব তারা কন্ট্রোল করছে বলে মনে করছেন?

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২২

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রতিটা সুখানুভূতির একটা নিদৃষ্ঠ ব্যাপ্তিকাল আছে ঠিক তেমনি তালেবানদের নামকাওয়াস্তের বিজয় দেখে যারা সুখানুভূতি অনুভব করছেন তাদেরও থেমে যেতে হবে, প্রকৃতি কখনই তার চিন্তাভাবনা থেকে সরে যায় না, আমেরিকার ২০০+ এনজিও কর্মি আফগানিস্তানে আছে তাদের ফেলেই চলে এসেছে আমেরিকা, এমনি এমনি না।

আফগান সিমান্তবর্তি অঞ্চলে পাকিস্থানে ২১০০+ ইউ এস সৈন্য মজুদ করে বসে আছে আমেরিকা। এমনি এমনি না।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই জন্যই আমি পোস্টের প্রথমেই বলেছি তালেবানদের চুক্তিভিত্তিক বিজয়। আমেরিকা আফগানিস্তানে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে এই এক্সিট প্ল্যান করেছে। তবে এই ক্ষতি পুষিয়ে না নেওয়া ছাড়া তারা চূড়ান্ত এক্সিট করবে না কখনোই।

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের প্রতি আপনার প্রশ্নগুলো ছিল জাহেলের মত, সেজন্য উনি আর তর্কে যেতে চান নি। তালিবানদের ব্যাপারে আপনার কথাও ধারণাপ্রসূত বা পশ্চিমা মিডিয়ার শেখানো বুলি যার বিশ্বাসযোগ্যতা খুবই কম। আফগান জনগণকে তাঁদের দেশ নিয়ে ভাবতে দেন, তাঁদের দেশ গড়তে দেন। তালিবানরা সন্ত্রাসী নয়, মুক্তিযোদ্ধা। দখলদার দেশ ছেড়ে গেছে, এটা একটা স্বস্তির কারণ। তারা যেন আল্লাহর হুকুম এবং রাসূল (সঃ) এর সুন্নাহ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে পারে সেজন্য দোয়া করুন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বুঝা যাচ্ছে আপনি তালেবানদের অভিনন্দন জানানো সে বেকুব শিক্ষকের ছাত্র।

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪

পঞ্চগড়ের বাসিন্দা বলেছেন: তালেবান নিয়ে ভারত বাংলাদেশের মানুষ যত চিন্তিত তত চিন্তিত মনে হয় খোদ আফগানিস্তানিরাও না, এদের হাউকাউ আর অনর্থক বিশ্লেষণ বলে দেয় দেশে অর্থহীন লোকের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্লেনের চাকায় করে আমেরিকায় কেনো যাচ্ছে তালেবানদের সুশান রেখে?

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৪

বিটপি বলেছেন: মুসলিমদের এইভাবে ইহুদিদের বেড়াজালে আটকে যাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে সূদভিত্তিক অর্থনীতি, যার পূরোটা কন্ট্রোল ইহুদীদের হাতে। এই বেড়াজাল থেকে কেউ বের হবার চেষ্টা করলে তার পরিণতি বাদশাহ ফয়সাল, সাদ্দাম বা গাদ্দাফির মত হয়ে যাবে। তাই কেউ সাহস করেনা।

কেবল বিশ্ব অর্থনীতি হাতে থাকার কারণে ইহুদীরা কেবল মুসলিম বিশ্ব নয়, সারা বিশ্বই কন্ট্রোল করে চলেছে। বিশাল খনিজ সম্পদ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক অর্থনীতির কারণে ইরানের এখন একটা সুপার পাওয়ার হয়ে যাবার কথা - কিন্তু কেবল ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে কোমর সোজা করে দাঁড়াতেই পারছেনা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে আপনাকে অনেক গুলো প্রশ্ন করলেও আপনি মূল পয়েন্টে আসতে পারছেন না কিংবা বলতে চাচ্ছেন না। শুধু ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র বলে যাচ্ছেন। মুসলিম দেশ গুলোর আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রাকৃতিক জ্ঞান আহরণ করা, ধর্মীয় বিধিনিষেধ নিয়ে অতিরিক্ত মাথা ঘামানো এগুলোকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন না। ওয়াজিদের মত সব দোষ ইহুদি নাসারাদের কাঁদে দিয়ে দিচ্ছেন।
আপনি সম্ভবত এই কাহিনী জানতে পারেন যে সৌদি আরবের প্রথম যখন বেতার সংযোগ দেওয়া হয় তখনকার গ্র্যান্ড মুফতি এটাকে শয়তানের কারসাজি বলেছেন। বলেছেন রেডিও বেতার হারাম, কিন্তু এরপর যখন সৌদি বাদশা ফয়সাল বেতার থেকে নিজে প্রথম কোরআন তেলোয়াত করেন তখন তিনি আবার বলেছেন শয়তানের পক্ষে কোরআন তেলাওয়াত করা সম্ভব না। ইহা হালাল। এই রকম মনোভাব কে কি আপনি দায়ী করবেন না মুসলিম দেশ গুলোর পিছিয়ে পড়ার জন্য!

১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২১

বিটপি বলেছেন: গ্রান্ড মুফতিরা অনেক ফালতু ফতোয়া দেয় - কিন্তু এগুলো কেউ আমলে নেয়না। রেডিও টিভি হারাম বলে জারি করা ফতোয়া কেউ বিশ্বাস করেনি। তাই এগুলো চলছে। সমস্যা হচ্ছে সূদ যে তার চেয়েও বড় হারাম - এটা মুসলমানের মাথায় আসেনা। যেদিন সারা বিশ্বের মুসলিম সূদ থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ধরণের অর্থনীতি কার্যকর করতে পারবে - সেদিন থেকে ইহুদীরা আর মুসলিম জাহানকে কন্ট্রোল করতে পারবেনা। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য তা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। আমরা অপেক্ষায় আছি একজন নেতার যে আমাদেরকে এই করূণ দুরাবস্থা থেকে মুক্তি দেবে।

মুসলিম দেশ একটাও ফালতু আলেমের ফতোয়ার তোয়াক্কা করেনা। তাই এই রকম মনোভাবকে আমি কোনভাবেই দায়ী করবনা। একমাত্র দায়ী করব সূদভিত্তিক অর্থনীতির উপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল হয়ে যাওয়াকে।

১৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১১

মোঃ আফছার উদ্দিন বলেছেন: বিষয়টা হলো যে যেখানে যে পরিবেশে শিক্ষালাভ করেছে তার কাছে সেটিই মূল শিক্ষা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.