নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের আমলা, রাজনীতিবিদরা নিজেদের ভালো বুঝার মতও জ্ঞান রাখেনা!

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৭


আমাদের সমাজে একটা প্রচলিত প্রবাদ আছে, “নিজে বাঁচলে বাপের নাম” এই পৃথিবীতে সকল প্রাণীর প্রধান কাজ হচ্ছে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার পরেই প্রয়োজনীয় বাকি সকল কাজ গুরুত্বপূর্ণ। নিজের প্রাণকে বাঁচানোর জন্যই মানুষসহ সকল প্রাণী সর্বোত্তম পন্থা অনুসরণ করার চেষ্টা করে। কথাগুলো বলার কারণ হচ্ছে আজ ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে একটি কর্মশালা হয়েছে। যেখানে আমাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, “আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি এখন আমাদের দরকার নিরাপদ খাদ্য।” আমাদের জন্য আগে কোনটার দরকার ছিল বেশি, নিরাপদ খাদ্য নাকি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন হওয়া? বাংলাদেশ প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে একজনের কিডনি ও হার্টের সমস্যা আছে এবং এই সমস্যার প্রধানতম কারণ হচ্ছে খাদ্যে ভেজাল বা নিরাপদ খাদ্যের অভাব। এছাড়াও শিশুখাদ্যের মত সংবেদনশীল খাদ্য এখনো শতভাগ নিরাপদ নয়। বাংলাদেশ চাল, মাছ, মুরগি, দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিন্তু এসব খাদ্যে উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত যে পরিমাণ ভেজাল মিশ্রিত হয়, তা আপনার চোখের সামনে তুলে ধরলে আপনি না খেয়েই স্ট্রোক করে ফেলতে পারেন!

পত্র-পত্রিকা, মিডিয়া এমনকি এই ব্লগেও খাদ্যে ভেজাল নিয়ে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর ভিডিও, রিপোর্ট, আর্টিকেল পাবেন। সামান্য বেশি কিছু মুনাফা লাভের জন্য খাদ্যপণ্যে কি পরিমান বিষ মিশানো হয় তা কল্পনার বাইরে। এসব বিষ মিশ্রিত খাদ্য আমরা সকলেই খাচ্ছি। সামান্য সান্তনার বিষয় এই যে, এই বিষ মিশ্রিত খাদ্য আমি আপনি যেমন খাচ্ছি তেমনি আমাদের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে আমাদের মন্ত্রী, এমপি, সচিবরাও এসব খাচ্ছে। গত ৫০ বছরেও এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটা নিয়ে কেউ সিরিয়াসলি কাজ করেনি।

একটা জাতি যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার না পায় তদুপরি যেটুকু পায় তার মধ্যেও যদি ভেজাল থাকে তাহলে সেই জাতির কর্মদক্ষতা হ্রাস পায়। এছাড়াও চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি হয়ে আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। অকালে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারাতে হয়। সর্বোপরি একটা পরিবারে হঠাৎ করে বিপর্যয় নেমে আসে। আপনার আশেপাশের অনেক পরিবার কিংবা আপনি নিজেই হয়তো এরকম পরিস্থিতিতে পড়ে গেছেন।

যাইহোক আজকে আমাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এটা নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন। তবে পরিতাপের বিষয় হবে যদি উনার এই কথাটি এই কর্মশালার মধ্যেই থেকে যায় এবং আগামী বছরও উনি কোন এক কর্মশালায় একই কথা পুনরাবৃত্তি করেন। আর এরচেয়েও বড় পরিতাপের বিষয় যেটি সেটি হলো আজকে যদি উনি এই কর্মশালায় আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি এখন দরকার নিরাপদ খাদ্যে নিশ্চিত করা এই কথাটি না বলে, বলতে পারতেন আজকে আমরা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পেরেছি এখন আমাদের দরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন হওয়া।
শেষ কথা এই যে, আমাদের নীতিনির্ধারকদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তাঁদের নিজেদের স্বার্থেই তাঁরা এই নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা লক্ষে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করুক।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: মূলত যারা রাজনীতিতে আসেন বা বর্তমানে যারা আছেন তাঁরা দেশ বা মানুষের জন্য রাজনীতি করেন না। তাঁরা টাকা এবং ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: খাদ্যে ভেজাল কিন্তু সেও ভিকটিম। চাইলেই এড়িয়ে যেতে পারা দরুহ। সুস্থ্য না থাকলে টাকা আর ক্ষমতা অর্থনীহ হয়ে যায়।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: তারা অসুস্থ হলে তাদের টাকা আছে। মুহুর্তে লন্ডন, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর চলে যাবে। ভিসা লাগানোই থাকে।
বর্তমানে একজনও ভালো লোক নেই রাজনীতিতে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: চিকিৎসা বাবদ এই দেশের প্রচুর টাকা ইন্ডিয়া, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, লন্ডনে চলে যায়।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৩৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যে ভেজাল দেয় সে ভাবে আমিতো খাচ্ছি না,অজান্তে সেও খেয়ে নেয়।ভেজালের বিরোদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভেজাল খাদ্য সব সময় সব মানুষের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর আলম হিরণ ,





একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথা লিখেছেন - "নিরাপদ খাদ্য"। স্বাস্থ্যই যেখানে সকল সুখের মূল সেখানে আমরা ( নীতি নির্দ্ধারকরা সহ) প্রতিবেলা জেনে বুঝেও অনিরাপদ খাবার খেয়ে সে সুখের জলাঞ্জলী দিচ্ছি। অর্থাৎ অসময়ের মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। গায়ে মাখছিনে কিছুই।

কিন্তু এই ভেজালের বহর নেই কোনখানে ?

দুধে মেশানো হয় পানি তাও খাল-বিলের। গরুর শরীরে পিটুইটারি ইনজেকশন দিয়ে দুধের পরিমাণ বাড়ানো হয় যেটাও একরকম ভেজাল। এতে ভোক্তার শরীরে পিটুইটারি হরমোনের আধিক্য ঘটতে পারে। টাটকা ও তাজা দেখানোর জন্য শাকসবজি কপার সালফেট পানিতে (তুঁতে) ডুবিয়ে রাখা হয়। জলে ডোবানো এইসব শাকসবজি খেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে যকৃত বা লিভারের।
আম, লিচু ও জামের মতো ফলে দেওয়া হয় কারবাইড ও ফরমালিন। ফল গাছে থাকতেই ছিটানো হয় হরমোন ও কীটনাশক। সিরিঞ্জ দিয়ে তরমুজের ভেতরে তরল পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট ঢুকিয়ে লাল রং করা হয়। কলা পাকানো হয় ক্যালসিয়াম কারবাইড দিয়ে। মসলায় ইটের গুঁড়া, হলুদে লেড ক্রোমেট বা লেড আইয়োডাইড, চায়ের সঙ্গে চামড়ার ছোট টুকরো, কফি পাউডারের সঙ্গে তেঁতুলের বিচির গুঁড়াও মেশানো হয় যা পাকস্থলী বা অন্ত্রের ক্ষতি করে। লেড ক্রোমেট বা লেড আইয়োডাইড মেশানো হলুদের গুঁড়ো ব্যবহারে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। ইউরিয়া মেশানো মুড়ি ভাজা খেলে কিডনির ক্ষতি হয়। মেটালিক ইয়েলো বা কিশোরী রং মেশানো খাবারে চোখের ক্ষতি হতে পারে। খাবারে কীটনাশকের উপস্থিতির কারণে অ্যালার্জি হতে পারে। এ ছাড়া চোখ, ত্বক ইত্যাদির ক্ষতি হয়। পাশাপাশি পেট খারাপ, বমি, চুলকানি, এনকেফেলাইটিস, রক্তস্বল্পতা, গর্ভপাত এবং বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হতে পারে।
এতোদিনে আমরা জেনে গেছি, ফরমালিনযুক্ত খাবার খেলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া ফরমালিন খাদ্য পরিপাকে বাধা দেয়, পাকস্থলীর ক্ষতি করে, যকৃতের অ্যানজাইম নষ্ট করে এবং কিডনির কোষ ধ্বংস করে।

ভেজালের এই তালিকা আরও অনেক দীর্ঘ হলেও আমরা যেন কিছুতেই জেনে বুঝেও সচেতন হতে পারছিনে। আর শেষ কথা, আমরা আমজনতা করতেই বা পারি কি , ভেজালের সিন্ডিকেট যখন চলে কর্তাব্যক্তিদের অঙুলি হেলেনে?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হুম, ভেজালের লিস্ট ও প্রক্রিয়া দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৫:৫৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে ব্যস্ত নেতৃত্ব ও তার অনুসারীরা আশেপাশে কি ঘটলো তা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামায় না। ভাবে আমার টু পাইস রোজগার হলেই হলো, পাবলিক কি খেলো না খেলো কিভাবে বেঁচে থাকলো তাতে আমার কি ?
দুর্ভাগ্যজনক হলেও এই গোষ্ঠীই আবার আশা করে তাদের আশেপাশে একটি অপরাধ ও সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশের।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক বলেছেন।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
আসলে রাজনীতি থেকে খাদ্য নীতি, মানুষ থেকে মানবিকতা কোথাও বিন্দুমাত্র সততা নাই। সর্বত্র কূটিলতা আর স্বার্থপরতায় জর্জরিত।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বলা হয় নিজের ভালো পাগলেও বুঝে কিন্তু আমাদের আমলারা নিজেদের রোগমুক্ত রাখার ভালোটুকুও বুঝে উঠতে পারছে না।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জুল ভার্ন।

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হোক দেশে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেটাই। তবে দায়িত্বশীলদের এসব চেষ্টা যদি সভা-সেমিনারে আটকে থাকে সেটাই আপসুসের বিষয় হয়ে যায়।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ''নিরাপদ খাদ্য'' নামে একটা সরকারের প্রতিষ্ঠান আছে। শালারা করে কি? শুধু মাস শেষে বেতন নেয়?

২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এমন প্রতিষ্ঠান আছে নাকি! থাকলে উহা মরা মাছের মত পড়ে আছে কেনো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.