নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সহজ সরল প্রশ্ন আমার।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫২


ছবি(বিদ্যানন্দ): নিহত রাকিবের দাদার আহাজারি।

কোথাও কোন জায়গায় আগুন লাগলে সেটা দুর্ঘটনা হোক বা মনুষ্য সৃষ্টি আগুনই হোক, আমরা প্রায়ই দেখি আমাদের ধর্ম গ্রন্থ কোরআন আগুনে পোড়া যায়নি এরকম ছবি। ধর্মগ্রন্থকে কি আগুনে পোড়ানো সম্ভব নাকি দুনিয়ার সব অসম্ভব কাজের মধ্যে এটি একটি অসম্ভব কাজ? গত কয়েকদিন আগে বরগুনা যাওয়ার পথে একটি জাহাজে আগুন লেগে যায়। সেখানে অনেক গুলো মানুষের জীবন চলে যায় শুধুমাত্র আগুনে পুড়ে! সে জাহাজেও আগুন থেকে বেঁচে যায় আমাদের কোরআন। সে ছবি পোস্ট করে অনেকেই পুলকিত হচ্ছে।
তবে আগুন থেকে কাগজের কোরআন রক্ষা ফেলেও রক্ষা পায়নি কোরআনে হাফেজ মোঃ রাকিব নামের ১৪বছরের এক বাচ্চা ছেলে!

কাগুজে কোরআন তুমি রক্ষা করিল খোদা
হৃদয়ে, মগজে যে ধারণ করিল তোমার বাণী,
তাকে তুমি পোড়ালে কি করে?

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

বিটপি বলেছেন: কাগজের কোরআন না পোড়ার একটা কারণ হতে পারে এর মলাট। এখনকার মুদ্রিত কোরআনের মলাট সাধারণত তাপ প্রতিরোধী ইন্সুলেশন শীট দিয়ে বানানো হয়ে থাকে - তাই আয়াত লেখে ভেতরের অংশগুলো পুড়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু মানুষের চামড়ায় এরকম কিছু থাকেনা বলে মানুষ রক্ষা পায়না - এখানে খোদা নামের কারো কোন দোষ নেই।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটাই সঠিক ব্যাখ্যা।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিটপী একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এটা অনেকাংশে সত্যি। আমি কোনো অলৌকিকতা দেখি না কোরান রক্ষা পাওয়াতে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অনেকেই এসবে অলৌকিকতা খুঁজে পায়। অলৌকিকতা খুঁজে পেল এখানে খোদার উপরই দোষ বর্তাবে।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৪

সোবুজ বলেছেন: বাইতুল মোকাররমে অনেক কোরান পুড়ে ছিল।সেই সময় পত্রিকায় ছবিও ছাপা হয়ে ছিল।বিটপির ব্যাখ্যাটাও গ্রহন যোগ্য।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হুম।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ঠিকই তো। যার হৃদয়ে কোরআন আছে সে কেন রক্ষা পায় নি?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্রশ্নটি আমারও। যে দিনরাত এক করে সর্বশক্তিমানের বাণী হৃদয়ে ধারণ করলো তার পুড়ে যাওয়া ঠেকানো গেলো না।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

নাহল তরকারি বলেছেন: মানুষের থেকে কোরআনের দাম বেশী। মানুষের দাম দুই টাকা। আর কোরআনের দাম কোটি কোটি পাউন্ড দিলেও শোধ হবে না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কাগুজে কোরআনের দাম বেশি আর সে কোরআন যখন কোনো মানুষের হৃদয়ে থাকে তখন তার দাম কেমন হবে?

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: কোরআন পুড়লে সেটার ছবি দিয়ে কেউ নিউজ করবে না। কিন্তু না পুড়লে নিউজ হবে। অর্থাৎ কোরআন (এবং অন্যান্য ধর্মগ্রন্থও) পোড়ে, কিন্তু পুড়লে তো নিউজ করার মত কিছু থাকে না, তাই আমরা দেখি না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেটাই। আগুনে একটা নির্দিষ্ট সময়ে সবই পুড়তে বাধ্য।

৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: কোরআন পুড়ে গেলে বা না পুড়লে ফলাফল তো শূণ্য।
ধরুন আপনার সামনে একজন মানুষ আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে একটা কোরআন পুড়ছে। আপনার হাতে সময় আছে যে কোনো একজনকে বাচানোর। এখন আপনি কাকে বাচাবেন?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষটিকে বাঁচাবো।

৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: কোরাআন হাফেজ হলেই যে মারা যাবে না কথাটা ঠিক নয় মনে রাখতে হবে মৃত্যু হয় কোন অসিলায় সে পুড়ে হোক গাড়ির কাচার তলে পরে হোক- আমরা দোয়া করি জান্নাত বাসি করুন আমিন----

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেটাই। তবে কোরআন বা যেকোনো ধর্মগ্রন্থই হোক সেটা পোড়া যাওয়া খুবই স্বাভাবিক আর যদি নাও যায় সেটা আল্লাহ রক্ষা করেছেন এটা বলা কি ঠিক?

৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

জ্যাকেল বলেছেন: সহজ সরল প্রশ্ন? আপনি ইসলামকে কলংকিত করার চেস্টা করছেন এইটা কুটিলতা বৈ কি?

আপনি সঠিক মানুষ হইলে পোস্টে লঞ্চ দুর্ঘটনার পেছনের কারিগর কারা সেইটা নিয়া পোস্ট দিতেন। এইভাবে সোজা জিনিস বেকা কইরা দেখতেন না।
নাকি সেই প্রশ্ন করলে নিজের লেঞ্জাতেই আগুন ধরে যায়?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার জন্য প্রশ্নটি কঠিন হয়েছে নাকি বিব্রতকর হয়েছে? নাকি শাঁখের করাতের অবস্থা হয়ে গেছে?

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৬

ঈশ্বরকণা বলেছেন: হিরণ,
ইদানিং আপনার অনেক পোস্টই দেখি অনর্থক ইসলাম খোঁচানো পোস্ট হয়ে যাচ্ছে ! এই ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রায় পঞ্চাশজন যাত্রী মনে হয় মারা গেছেন। একই দুর্ঘটনায় লঞ্চ যাত্রী একজন কুরআনের হাফিজও মারা গেছেন, যেতেই পারেন খুবই স্বাভাবিক। হজরত আবুবকরের (রাঃ) খিলাফতে ইয়ামামার যুদ্ধে প্রায় ৪০০ জন হাফিজ মারা গিয়েছিলেন। তারা সবাই ছিলেন রাসূলের (সাঃ)সাহাবী আর খুবই উচ্চমর্যাদার মানুষ । তাই একজন হাফিজের মারা যাবার খবরতো আলাদা করে বড়সড় নিউজ হবার কথা না ।কুরআন কি এই কথা বলেনি 'কুল্লু নাফসুন্ জায়েকাতুল মাউত' -প্রত্যেক জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে ? তাই একজন হাফিজ মারা গিয়েছেন সেটা নিয়ে সরল বা জটিল কোনো রকম প্রশ্ন উঠানো বা ব্লগে পোস্ট করাটা খুব বুদ্ধিদীপ্ত কোনো প্রশ্ন বিষয় সেটা মনে করা কঠিন । কুরআন না পুড়বার বিষয়টা নান কারণেই আলোচিত হয়ে যায় । কুরানটা নিশ্চই কোনো যাত্রী লঞ্চে নিয়ে গিয়েছিলেন। কেবিনে বা যেই জায়গায় যাত্রীর সাথে কুরআন ছিল সেখানে আগুন লাগার পর যাত্রী নিশ্চই বাঁচার জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করেছেন কিন্তু কুরআন কিন্তু একই জায়গায় ছিল । জায়গা বদল করেনি। এখন যাত্রী যদি এতো বাঁচার চেষ্টা করেও না বাঁচতে পারেন আর কুরআন সেই জ্বলন্ত কেবিনে থেকেও কোনো অজানা কারণে না পুড়ে থাকে তাহলে সেটা নিউজ হবেই। ওখানে কুরআন না থেকে যদি একটা ছোট হরিনের বাচ্চা থাকতো তাহলে সেটাও মিডিয়া নিউজ করতো যে -অলৌকিক ভাবে হরিণের বাচ্চার আগুন থেকে রক্ষা - এই ধরণের কোনো হেডিংয়ে । ব্যতিক্রমধর্মী সব বিষয়ই নিউজ হয় । কুরআনের ব্যাপারটাও সেভাবেই নিউজ হয়েছে । ক্রিসমাসের কিছুদিন আগে আমেরিকান কয়েকটা স্টেটে টর্নেডো হলো । দুইশ মাইলেরও বেশি গতিতে এসে টাচ ডাউন করা বাতাসে কেন্টাকির কিছু অঞ্চল বিশেষ করে একটা শহর মুটামুটি পুরো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। টর্নেডোর অবিশ্বাস্য সেই ধ্বংযজ্ঞে গাড়ি বাসার ছাদে, গাছের ওপরে উঠে গেছে সে রকমও হয়েছে । একশো জনের বেশি শুধু কেন্টাকিতেই মারা গেছে । এইসব ভয়াবহ খবরের মধ্যে সিএনএন, এমএসএনবিসি একটা খবর ভিডিওসহ বিরাট করে প্রচার করেছে । সেটা হলো কয়েক মাস বয়সী একটা বাচ্চার রেসকিউয়ের খবর। পুরো ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাসার বেসমেন্টের ওপর জমে থাকা ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে উদ্ধার করা বাচ্চার ঘটনাটা এই শত নিহতের মধ্যেও ন্যাশনাল মিডিয়ায় নিউজ হয়ে উঠলো। অথচ বাচ্চাটার বেঁচে যাবার অনেক কারণ ছিল কিন্তু । টর্নেডোর সময় বেসমেন্টই হলো সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা নিজেকে বাঁচাবার । এখানে বেসমেন্টগুলো মাটির নিচে হয় (মানে বাসার এক তলার নিচে)।বাবা মা সেই বেসমেন্টেরও সবচেয়ে নিরাপদ জায়গায় নিজেদের বাচ্চাকে টর্নেডোর সময় রাখবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাই একটা বাচ্চার বেঁচে থাকবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। খুব বেশি ইল্লজিকাল না ব্যাপারটা। কিন্তু এই ঘটনাটাও নিউজ হয়ে উঠলো এই ভয়াবহ টর্নেডোর ক্ষয় ক্ষতির মধ্যে । মানুষ সব সময়ই আশাবাদী নিউজে স্বস্তিবোধ করে। নিজের বিশ্বাসের সাথে মিলে যাওয়া ঘটনাগুলোতে খুশি হয় । সেগুলোকেই হাইলাইট করে ।বাংলাদেশেও মনে হয় বেশ কয়েক বছর আগে সাভারে একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির বিল্ডিং ধসে যেয়ে হাজার মানুষ মারা যাবার ঘটনায় তিন চারদিন পরে ধ্বংসস্তূপের থেকে উদ্ধার করা একজন কর্মীর অনুভূতি কি সেটা জানতে চেয়েছিলেন একজন খুবই প্রগতিশীল মহিলা সাংবাদিক! সবাই তার ফোর্টিন্থ জেনারেশন উদ্ধার করলেও আমি সহানুভূতির সাথেই তার সাংবাদিকতাকে দেখি।আমার মনে হয় অতি উচ্ছাসের থেকেই এই মহিলা ওরকম ঐতিহাসিক প্রশ্নটি করতে পেরেছিলেন।কুরআন আগুনের থেকে পুড়ে না যাবার ঘটনাটাও যারা প্রচার করছেন তারাও সেভাবেই করেছেন। উচ্ছাসের থেকে । এ নিয়ে খোঁচাখুঁচি পোস্ট দেয়া বা পোস্টে কিছু ব্লগারের খুচাখুচি মন্তব্যের কোনো কারণ আছে বলেতো মনে হয় না। যাক, উইশ ইউ হ্যাপি ব্লগিং ইন নিউ ইয়ার ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বলেছেন: আমার এই সামান্য প্রশ্নের উত্তরে আপনি অনেক বড় মন্তব্য করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। আসলে এই প্রশ্নের উত্তরে এত বড় মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। সহজ উত্তর বলে দিচ্ছি, আসলে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় আল্লাহ সেই ছেলেটিকে রক্ষা করেনি এবং কোরান পুড়ে না যাওয়ার ক্ষেত্রেও উনার কোনো হাত নেই। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আপনি বলেছিলেন সেই জায়গায় যদি একটি হরিণের বাচ্চা বেঁচে যেত তাহলে সেটা নিয়ে আলোচনা হতো। এটা ঠিক সেটা নিয়ে আলোচনা হতো। হরিণের বাচ্চা আর কাগজের বই এক জিনিস নয়। এখানে কোরআন না হয়ে যদি শেক্সপিয়ারের সনেট গ্রন্থ হতো তাহলে কি অলৌকিকতা খুঁজে পেতো কেউ?

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৭

জ্যাকেল বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার জন্য প্রশ্নটি কঠিন হয়েছে নাকি বিব্রতকর হয়েছে? নাকি শাঁখের করাতের অবস্থা হয়ে গেছে?

শাঁখের করাতের অবস্থা তো দেখতেছি আপনার হইয়া গেছে। বেয়াক্কেলি করে পোস্ট দিয়ে এখন না পারছেন গলার এপারে না ওপারে পাঠাতে। ভাবতেছেন সুস্থ মানুষের মত ভাবতে পারিনাই, ইসলামরে টার্গেট কইরা বেক্কলি করে ফেলছি। এখন যে কি করাম।আর যদি এখনো বিব্রত বোধ না করেন তবে ধরেই নেন যে আপনি পীরের সঠিক মুরিদ হইতে পারিছেন। কোন সমইস্যা নাই। ইচ্ছামত ধর্মবিদ্বেষ/চুলকানি পোস্ট পয়দা করতে থাকেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্রতিনিয়ত যে ধর্মীয় বেয়াক্কেলরা ধর্মকে নীচে নামিয়ে দিচ্ছে সেটা নিয়ে বললে ধর্মীয় বেয়াক্কেলদেরই লাগার কথা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.