নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মে আকৃষ্ট করার জন্য আমরা বিজ্ঞান ব্যবহারকে ভুল কৌশল হিসেবে নিচ্ছি।★

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২২



আজ থেকে অনেক বছর আগে একটা সময়ে মানুষের প্রয়োজনে ধর্মগুলি পৃথিবীতে এসেছে। ধর্মের নীতিকথা গুলি মানুষকে রিফাইন করেছে। মানুষ ধর্মের মাধ্যমে সমাজে একটা স্থিতি অবস্থা এনেছে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ধর্মের প্রধান বা কোর বিষয়গুলোকে দূরে ঠেলে দিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে অতিমাত্রায় প্রাধান্য দিয়ে ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলছে। যে যার মত করে ধর্মের ব্যাখ্যা ম্যানুফ্যাকচারিং করা শুরু করেছে।
ইসলাম ধর্মে হিজাব, নেকাব, দাঁড়ি, টুপি নিয়ে রক্তারক্তি হচ্ছে! নবীজী মাটির তৈরি না নূরের তৈরী, রওযায় জীবিত না মৃত এসব নিয়ে তুলকালামকান্ড বাধাচ্ছে! আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে দর্শন বিজ্ঞান সব এক করে ফেলেছে! আল্লাহ যেখানে বিশ্বাস করতে বলেছেন সেখানে সেটা প্রমান করার জন্য দিনরাত এক করে ফেলছে! বিজ্ঞানের সাথে ধর্মকে মিশিয়ে প্রজন্মকে ব্রেইনওয়াশ করে দিচ্ছে! যার কোনোটিই আল্লাহ করতে বলেননি।

দেখুন নিচের বিষয় গুলো, এই গুলো করলে আপনার কি ধর্মের বিজ্ঞাপন দেওয়া লাগবে? আল্লাহ আছে কি নেই সেটা প্রমান করার জন্য ঘাম ছুটাতে হবে?
■ একজন মুসলমান বাঁচা মরার মাঝখানে মিথ্যে বলবে না।
■ প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটা রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
■ নিজের বিশ্বাস জোর করে অন্যের উপর চাপিয়ে দিবে না।
■ ক্ষুদায় কষ্ট পেলেও চুরি করে না, প্রতারনার আশ্রয় নেয় না, ধর্য্য ধারণ করে।
■ আমানতের খেয়ানত করে না, অপচয় করেনা।
■ কারো অনুপস্থিতে তার দোষত্রুটি নিয়ে আলোচনা করে না। কারো নামে মিথ্যাচার করে না।
■ অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না, অযথা সময় নষ্ট করে না, সৎকর্ম করে।
■ নিজের আচরণের কারনে কারো মনে কষ্ট দেয় না, সর্বউত্তম ব্যবহার করে।
■ চাকুরিতে অসদুপায় অবলম্বন করে অর্থ উপার্জন করে না।
■ ব্যবসায় খারাপ পণ্য বিক্রি করে না, ওজনে কম দেয় না, ভেজাল মেশায় না।
■ অহংকার, হিংসা, লোভমুক্ত। যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট।
■ নিজের অসহায় প্রতিবেশীকে সাধ্যমত সাহায্য করে।

এই বিষয় গুলোর চর্চা যদি আপনি করেন আপনার কাউকে ইসলামের জন্য দাওয়াত দিতে হবে? আল্লাহ আছে কি নেই প্রমান করতে ব্যতিব্যস্ত হতে হবে? ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে বেড়াতে হবে?
আসলে সব ধর্মেরই কম বেশ মূল কথা এগুলোই। আমি ইসলাম সম্পর্কে জানি তাই কোরআন থেকেই এগুলো বললাম।

মন্তব্য ১০৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যে বলে আল্লাহ নেই। থাকলে প্রমাণ দাও তাকে কি বলতে হবে? আর প্রমাণ যখন আছেই তবে দিতে সমস্যা কি? আজ হুমায়ুন আজাদের আমার অবিশ্বাস পড়ছিলাম। এখন আমার বিশ্বসের কথা যদি আমি না বলি তবে তো সবাই হুমায়ুনের দলে চলে যাবে। সুতরাং আমাকে আমার দল ঠিক রাখতে কাউন্টার কথা বলতেই হবে। আল্লাহ নিজেই নিজের অনেক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন, সেসব আমি প্রচার করতে গেলে দোষটা কোথায়? নবির (সা।) কথা, কাজ ও অনুমোদনের অনুসরন করতে হয়। নবিও (সা) অনেক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। তাঁর প্রমাণগুলো না মানায় তিনি মোবাহালাও করেছেন। সুতরাং আপনি ইসলাম সম্পর্কে আগে নিজে ভালোভাবে জানেন, তারপর সে বিষয়ে কথা বলেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আল্লাহ প্রমাণের বিষয় নয়, বিশ্বাসের বিষয়। কে বিশ্বাস করলো আর কে বিশ্বাস করলো না সেটা নিয়ে আমাদের বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই। কেউ যদি হুমায়ুন আজাদের আমার অবিশ্বাস পড়ার পর তার ঈমান ছুটে যায় তার তো মুসলমান হওয়ারই যোগ্যতা নেই! কেউ হুমায়ুন আজাদের দলে গেল আপনাকে আল্লাহ প্রমান করতে হবে কেনো, আপনি বলবে আল্লাহকে বিশ্বাস করতে এবং এটাই আমাদের আল্লাহ করতে বলেছেন। আপনি দুনিয়ায় ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, বায়োলজি নিয়ে আসার দরকার কি, আপনি এগুলোতে এক্সপার্ট?
আমি ইসলাম সম্পর্কে জানি বিধায় বলছি আল্লাহ তাকে বিশ্বাস করতে বলছে প্রমান করতে বলেনি। আর অবিশ্বাসীদের সাথে কি হবে সেটা আল্লাহ আল্লাহর হাতেই রেখেছেন।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনাকে ইসলাম বুঝাতে প্রমাণ লাগে না, কিন্তু আরেক জনকে ইসলাম বুঝাতে প্রমাণ লাগে। সে প্রমাণ ছাড়া কিছুই গ্রহণ করে না। সুতরাং যে ক্ষেত্রে প্রমাণ লাগে সে ক্ষেত্রে প্রমাণ দেওয়াটাই যুক্তিসংগত। আর আল্লাহর সব কথা কি আপনি মুখস্ত বলতে পারেন? তাহলে আল্লাহ কি বলেছেন, আর কি বলেননি আপনি কেমন করে জানেন?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি উপরে যে পয়েন্ট গুলো বলেছি যা আল্লাহ করতে বলেছেন, আপনার কি মনে হয় এগুলো যদি আপনি অনুসরণ করেন তাহলে আপনার আল্লাহ আছে প্রমান করতে হবে?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাকে না কাউকে ইসলামে আনতে আপনার প্রমান লাগবে না, আমাদের নবী প্রমান দিয়ে দিয়ে লোকজনকে ইসলামে আনেননি। আপনি নবীর চেয়ে একধাপ এগিয়ে যেতে যাচ্ছেন।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ২ বাকারা, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আমি আমার বান্দার (মুহাম্মদের) প্রতি যা নাযিল করেছি, যদি তোমরা তাতে সন্দিহান হও তবে তার অনুরূপ একটি সূরা নিয়ে আসো এবং তোমাদের সেই সাহায্যকারীদের ডেকে আন, যারা আল্লাহ থেকে পৃথক; যদি তোমরা সত্যবাদী হও।সূরাঃ ২ বাকারা, ২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৪। আর যদি; তোমরা তা’ করতে না পার এবং তোমরা তা’ কখনও করতে পারবে না, তাহলে তোমরা সেই আগুনকে ভয় কর যার ইন্ধন মানুষ আর পাথর- যা কাফেরদের জন্য প্রস্তত করে রাখা হয়েছে।

* প্রমাণ বিষয়ে আল্লাহ প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত করলেন। আর আপনি বলছেন, প্রমাণ লাগবে না। আপনার কাহিনীটা কি?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: লোকেরা আল্লাহর বানীকে অস্বীকার করছে তাদের এমন একটি সূরা আনতে বলেছে তারা আনতে পারেনি ব্যাস। আল্লাহই তাদের জবাব দিয়েছেন। আপনি বলেন বা একটা আয়াত দেখান যেখানে আল্লাহর অস্তিত্বকে তখন কেউ অস্বীকার করেছে? অস্বীকার করেছে আল্লাহর নবীকে এবং বানীকে। তার জন্যই আল্লাহ এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণের চ্যালেঞ্জ আল্লাহ ছুড়ে দেননি।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যে লড়াই করে সে বুঝে তার লড়াই করতে কোন অস্ত্র প্রয়োজন। বিশ্বাস দিয়ে এখন আর অবিশ্বাসের তীব্রতা ঠেকানো যাচ্ছে না। সুতরাং এখন বিশ্বাসের সাথে সহায়ক হিসাবে প্রমাণকে সাথে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে বিজ্ঞানকেও সাথে নেওয়া হবে। সাকুল্য কথা হলো জয় পেতে যা লাগবে তার কিছুই বাদ দেওয়া যাবে না। এটাই শেষ কথা।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নবি প্রমাণ দিতে গিয়ে চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করলেন। নবি প্রমাণ দেননি আপনাকে কে বলেছে?

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৯

জ্যাকেল বলেছেন: @মহা সাহেব

কেহ যদি দাবি করে আল্লাহ নাই তবে তার সাথে তর্ক করাই লাগবে কেন? মনে করেন কেহ দাবি করল যে বাতাস দেখি না, বাতাস বলতে কিচ্ছু নাই সব বাতাস! তবে কি তাহার সাথেও বাহাস হইতে হইবে?

জানেন ত, লেবু বেশি চিপলে আর টক থাকে না। তিতে হইয়া যায়।

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০২

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি এমন ভাব করতেছেন যেন মানুষ গুহা থেকে এসেছে, সময়ের প্র‍য়োজনে ধর্ম এসেছে সেই সুত্র ধরে। বিজ্ঞানের নাম করে এমন ভেক ধরতেছেন যে মানুষ আসার/ধর্ম আসার প্রক্রিয়াটাই আপনি ১০০% জেনে ফেলেছেন। অথচ এইসব নিয়ে বিশাল বিতর্ক রহে গেছে।

আমি মনে করি আদম, হাওয়া আঃ থেকেই মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমি ছাড়াও বিশ্বের অন্তত ৫০০ কোটি মানুষ এই কথা বলবে। এখন বলেন, আপনি কেন এত মানুষের জানা'কে পাত্তাই দিচ্ছেন না?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষ কি থেকে এসেছে আমি সেটা কোথায় বলেছি! পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেন নাকি না পড়েই মন্তব্য করেন? মানুষের প্রয়োজনে ধর্ম এসেছে এখানে গুহা, মুহা কোত্থেকে নিয়ে আসলেন? আদম হাওয়া আমার আলোচ্য বিষয় নয়, মানুষ ধর্ম থেকে নিজেদের রিফাইন করছে সেটা আলোচনা করছি। ধর্মের কোর বিষয়গুলো থেকে মানুষ সরে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মাতামাতি করছে সেটা বলতে চেয়েছি।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৫

সাসুম বলেছেন: ইয়া আল্লাহ, উনারে যে সামু ব্লগে আইনা ছাইড়া দিছিল তুমি তার বিচার কইরো মাবুদ!!!

এত যন্ত্রনা আর সয়না!

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি আসলে বুঝতে পারছেন না, উনি যা করছেন আল্লাহ উনাকে তা করতে বলেননি।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নবি (সা)কি করেছেন, আর কি করেননি আপনি কি করে জানলেন? আপনি নবির (সা) দশ লক্ষ হাদিস পড়েছেন কি? মুখস্ত কথা কোথা থেকে বলেন? এ যুগ মুখস্ত কথার যুগ নয়। এ যুগে প্রমাণ ছাড়া সব অচল। আমি যএদর সাথে ফাইট করি তারা আমার কাছে সপ্রমাণ চায় আমি প্রমাণ দেই। আপনি মুমিন সেটা আপনার বিষয় নয়। আপনার এ বিষয়ে কথা না বললেও চলবে। আমি প্রমাণ দেওয়া দীনের অনুসারী। আপনি প্রমাণ না দেওয়া দীনের অনুসারী। আপনার দীন আপনার আমার দীন আমার। আমার দীনের জবাব আমি দেব। আপনাকে আমার দীনের জবাব দিতে হবে না। সুতরাং আমার নিকট যে প্রমাণ চাইবে আমি তাকে প্রমাণ দেবই দেব -ইনশাআল্লাহ। সে ক্ষেত্রে আপনার মত অজ্ঞ লোকের নসিহত মানতে আমি বাধ্য নই।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি নবীর হাদীস পড়ার দরকার মনে করিনি কারন যাহা আল্লাহ কোরানেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন সেখানে হাদিসে যাওয়ার দরকার নেই। আল্লাহর উপর ঈমান আনার দাওয়াত দিতে আল্লাহ বলেছেন, প্রমান করার দায়িত্ব দেননি।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সেকালে নবিকে অস্বীকার করেছে। একালে আল্লাহকেই অস্বীকার করছে। অস্বীকারের ধরন পাল্টেছে। সুতরাং জবাবের ধরনও পাল্টাবে।

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মানুষ এত দিন যা জেনেছে একদল মানুষ বলছে সবি ভুল সবি ভুল। এখন এত দিনে জানা যে ভুল নয় সেটার প্রমাণ না দিলে সে নিজের ভুল স্বীকার করবে কেন?

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আগে জ্ঞান ছিল, বিজ্ঞান ছিল না। এখন বিজ্ঞান এসে জ্ঞানের অনেক কথাই বাতিল করে দিচ্ছে। এখন সে বাতিলের তালিকায় যদি আমার ধর্মের অনেক কথা থাকে তাহলে তো আমাকে বলতেই হবে আমার এ জ্ঞান বাতিল নয়। আর তখন আমার জ্ঞান যে বাতিল নয় বিজ্ঞান ভক্তকে আমার সে প্রমাণও দিতে হবে। মুমিনদেরকে এসব বিষয়ে নজর না দিলেই হয়। কারণ মুমিন তো যে যা বলে সেটাই বিশ্বাস করে বসে থাকে। মুসলিমদের এক মুমিন বলছে আল্লাহর আকার আছে, অন্য মুমিন বলছে আল্লাহর আকার নাই। তখনই তো কোনটা ঠিক সেটা বুঝার জন্য প্রমাণের দরকার হয়।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিজ্ঞানের এক কথায় যার ঈমান নড়ে যায় তাকে আপনি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপনের কথাই বারবার বলবেন। সে যদি বৈজ্ঞানিক প্রমান চায় আপনি তাকে বলবেন বিশ্বাস বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করার কথা আল্লাহ বলেননি। আমরা নিঃসঙ্কোচে আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং এটাই করবো। এরপর সে সন্তুষ্ট না হলে নেই তার জন্য কি নির্ধারিত সেটা আল্লাহই বলে দিয়েছেন। যে বিজ্ঞান তার বিশ্বাস নাড়িয়ে দিয়েছে সেই বিজ্ঞান দিয়ে আপনি তাকে ফিরাতে পারবেন না। কারন আপনি বিজ্ঞানের সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত নয়।

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি তাফসির সহ কোরআনের সবটা জানেন না। অযথাই আপনি কোরআন জানার দাবী করছেন। আপনার বক্তব্যে ধারণাই প্রধান্য পাচ্ছে, জানা নয়।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৬

জ্যাকেল বলেছেন:

এই যে দেখেন, আপনি ভাব ধরেছেন বিজ্ঞানের নামে প্রচলিত কথাই সত্য। আমি আপনার পোস্টের গভীরে গিয়েছি, আপনি আবারো ভেক ধরতেছেন যে আমি আপনার পোস্ট অনুসারে কমেন্ট করিনি।

পোস্ট নিয়ে বলার কিছু আছে তবে সেই কিছু-টা বলার পরিবেশ এখানে একজন নাই করে দিছেন। তাই ঠিক ১ নম্বর লাইনেই আমার আপত্তি যাহা প্রকাশ করেছিলাম।

পিরিয়ডঃ আপনার তালগাছ আপনার, আমারটা আমার কাছেই থাক। আর কথা বাড়ানর দরকার নাই।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি অনেক বছর আগে বলছি মানে এই নয় ১৫০০বছর বা ২৫০০ বছর আগে। সেটা হতে পারে আদম যেদিন এসেছে সেদিন থেকেই। এখন বলুন আপনার আপত্তি কোথায়?

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৭

জগতারন বলেছেন:
যে যার মত করে ধর্মের ব্যাখ্যা ম্যানুফ্যাকচারিং করা শুরু করেছে।

সকল ঝামেলা এখান থেকেই আরম্ভ হয়!

১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ বিশ্বাস করতে বলেছেন, তাঁকে বিশ্বাস করতে আমার প্রমাণ লাগবে। সুতরাং তিনি সঠিক না বেঠিক সে প্রমাণ আমি খুঁজবই। তিনি বললেও খুঁজব, না বললেও খুঁজব। কারণ আমি অন্ধ বিশ্বাসী নই। আর আমি অন্ধ অবিশ্বাসীও নই। হকিন্স, কার্লমাক্স, আরজআল মাতুব্বর, আলী দস্তি বললেই আমি অবিশ্বাস করব না। আর কেউ বিশ্বাস করতে বললেও আমি বিশ্বাস করব না। আমি দেখব কোনটা সঠিক অথবা কোনটা বেঠিক। আমি সঠিকটা বিশ্বাস করব, বেঠিকটা অবিশ্বাস করব। এর পর কেউ একজন বলল, সঠিক/বেঠিক কেমনে বুঝলেন? তখন তাকে বলব আমার নিকট প্রমাণ আছে। আর সেজন্য আমি প্রমাণ রেডি করে রেখেছি। সেটা মুমিনদের জন্য নয়। সেটা তাদের জন্য যারা বলে তারা মুমিন নয়। যেমন হুমায়ুন আজাদ বলেছেন তিনি মুমিন নন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যাক আপনার প্রমাণের যে নমুনা আমি হলফ করে বলতে পারি এই প্রমাণ দিয়ে আপনি একজন অবিশ্বাসীকেও বিশ্বাস স্থাপন করাতে পারবেন না। কিন্তু অনেকের বিশ্বাস নাড়িয়ে দিতে পারবেন।

১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সব জান্তা পৃথিবীতে কেউ নয়। আমি যতটুকু জানি ততটুকু দিয়েই লড়াই করব। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, যার যাে আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়। তিনি স্বপ্নে আমাকে দেখা দিয়ে বুকে চেপে পিট চাপড়ে দিয়েছেন। আর তাতেই আমার সাহস অনেক গুণ বেড়ে গেছে।

১৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হুমায়ুন আজাদ তাঁর অবিশ্বাস নিয়ে সিংহের মত হুঁংকার ছেড়েছেন। আমি আমার বিশ্বাস নিয়ে ছাগলের মত ভ্যা ভ্যা করলে কেমন হবে?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে ভ্যা ভ্যা করবেন না। আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে আমি পোস্টে যে পয়েন্ট গুলো উল্লেখ করেছি সে গুলো করবেন।

১৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩২

সোবুজ বলেছেন: মানুষের কোনকোন প্রয়োজন অসম্পূর্ণ ছিলো যেটা ধর্ম পূর্ণ করেছে?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষের অনেক প্রয়োজনই অসম্পূর্ণ ছিল, আছে, থাকবে। তার কতক ধর্ম পুরুন করেছে কতক মানুষ নিজে বের করে নিয়েছে।

২০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তো আর কি করবে। বিজ্ঞানের সাথে অসামঞ্জস্য হলে তো ইসলাম বিদ্বেষী গন তো ইসলাম ধর্ম ও ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক নিয়ে কটুক্তি করছে। একজন সাধারণ ধার্মিক তার ধর্মের পক্ষে যুক্তি তর্ক করবেন এটাই তো স্বাভাবিক।

২১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



সৃষ্টিকর্তা কি মানুষের সাথে কখনো যোগাযোগ করেছেন?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের সনেট কবির সাথে হয়তো করতে পারে :)

২২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি কেন বিশ্বাস ছেড়ে অবিশ্বাসী হব না আপনি আমাকে এটা বুঝান। স্যার হুমায়ুন আজাদ তো ‘আমার অবিশ্বাস’ গ্রন্থ দিয়ে আমাদেরকে অবিশ্বাসী হওয়ার নসিহত করেছেন। তো আমি কেন গুরুর বচন শুনবা না? আপনি জ্ঞানী মুমিন, আপনি দয়া করে আমাকে এটা বুঝান। আমি কিন্তু নগদেই, ‘‘আমার অবিশ্বাস’ বইখানি পড়ছি।

আমার কথা হলো আমি ইসলামী আকিদার বিষয়গুলো আগে প্রমাণ করে রাখব। তারপর দেখব কোথায় কি লেখা আছে। কথায় বলে আগের কাজ আগে তুমি সার, পরের কথা ভাববে পরে আরো। আর যারা বলে এটা কোরআনে নেই সেটা কোরআনে নেই, আমি আবার তাদের কথা বিশ্বাস করি না। কারণ তারা সাবাই মিথ্যা বলে। বাস্তব কথা হলো এক ব্যাটাও আসলে তাফসির সহ পুরা কোরআন জানে না। আমি পরীক্ষা নিলে তারা ডাহা ফেল করবে।

২৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আল্লাহ যেখানে বিশ্বাস করতে বলেছেন সেখানে সেটা প্রমান করার জন্য দিনরাত এক করে ফেলছে!


নব্য হুজুরদের মাথায় এই বিষয়টা কেনো ঢুকে না সেইটাই বুঝি না।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জাকের নায়েক এবং হালের প্যারাজাদ এটাকে উস্কিয়ে দিচ্ছে।

২৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেউ আমার বিপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করলে আমি তার বিপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করবই। এতে ভুল হলে পরে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চেয়ে নেব। আল্লাহ তো ক্ষমাশীল করুণাময়। কিন্তু কেউ আমাকে অপদস্ত করতে আসলে আমি অবশ্যই ছেড়ে কথা বলব না। আর আমার কথায় কি হয়, নাকি না হয় সেটাও আমি দেখব। আমার সাথে একবার দুই নাস্তিকের মন্তব্য- প্রতি মন্তব্য হয়েছিল সাড়ে তিনশত। তারপর তারা তাদের ভুল স্বীকার করেছে। পৃথিবীটাই শক্তের ভক্ত নরমের জম। অবিশ্বাসীরা আমাদেরকে অন্ধ বিশ্বাসী বললে আপনি সেটা মানতে পারলেও আমি সেটা মানতে পারব না। আর অন্যের নয় আমার নিজের বিশ্বাসের জন্যও প্রমাণ লাগে। কারণ আমি অন্ধ বিশ্বাসী নই। যারা অন্ধবিশ্বাসী তাদের কোন প্রমাণ লাগে না।

২৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৪

গরল বলেছেন: বুঝা যাচ্ছে যে ধর্ম নিজেকে নিয়ে চিন্তায় আছে যে টিকবে কিনা, তাই কিছু গুজামিল দিয়ে যদি অন্তত আরও কিছুদিন টেকা যায় সেই চেষ্টাই করছে।

২৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: @ গড়ল: ধর্ম প্রমাণকে থোড়াই কেয়ার করে। সুতরাং ধর্মকে টলাতে পারে সাধ্য কার? এখনো ৮০% মানুষ কোন না কোন ভাবে ধর্ম মানে। এই যে রাজীব নুর ধর্ম মানে না ধর্ম মানে না বলে, তথাপি তার ধর্ম প্রদত্ত নামটা অদ্যাবধি চেঞ্জ করেনি। সে দিক থেকে আপনি গড়ল হিসাবে আপনার শ্রেণীর ভালোই আদর্শ।

২৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৩

গরল বলেছেন: @সনেট কবি ভাই, নাম তো লিগাল বিষয় যেটা পরিবর্তন করা যায় না। আরবের কাফেররাও কিন্তু মুসলমান হওয়ার পর তাদের নাম পরিবর্তন করে নাই। এমন কি মোহাম্মাদ নামটাও তো উনার নবী হওয়ার মানে মুসলমান হওয়ার আগের নাম। তবে আপনি ঠিক বলেছেন ধর্ম প্রমাণের কোন বিষয় না।

২৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মানুষকে কে শিক্ষিত হতে বলেছে?? শুধু প্রমাণ চায়,বিশ্বাসে কত শান্তি!

২৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। কিন্তু সুন্দর আলোচনা হচ্ছে না। বিশেষ করে মহাজাগতিক কি মন্তব্য করছেন আপনি বুঝতে পারছি না। উনার মন্তব্যে লজিক থাকে না কেন?

৩০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৫৮

সোবুজ বলেছেন: একটা বলেন যেটা ধর্ম পুরন করেছে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একজন মানুষ নিজের জীবনের বিনিময় আরেকজন মানুষের ঘাড়ে কোপ দিয়ে মেরে ফেলছে, নিজে বিপদে পড়ছে, পরিবারকে বিপদে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে, নিজের অন্যান্য মুসলিম ভাইদের কঠিন সমস্যায় ফেলে দিচ্ছি। সে এমন কঠিনতম কাজ করার ইচ্ছাশক্তি কই পাচ্ছে? পাচ্ছে কারন কেউ একজন তাকে বুঝিয়েছে এটাই ইসলাম। এখন কেউ যদি বুঝাতে পারে পাপ কাজ করো না, অন্যকে কষ্ট দিও না, সৎকর্ম করো, দয়ালু হয়, কাউকে হত্যা করো না। তোমার আল্লাহ তোমাকে দেখেছে। তখন তো সে মানুষটি একজন প্রকৃত মানুষই হবে।

৩১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:১৭

সোবুজ বলেছেন: @গড়ল, মুহাম্মদ কোন নাম না।মুহাম্মদ হলো প্রশংসিত।প্রশংসিত কোন নাম হতে পারে না।ঐ সময় ঐ এলাকায় আর কারো নাম মুহাম্মদ ছিল না।হঠাৎ তার নাম মুহাম্মদ হবে কেন?

৩২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: অতি ধার্মিকেরা যদি কেবল মাত্র নিজের বিশ্বাস অন্যের উপরে চাপিয়ে দেওয়া বন্ধ করে তাহলে ধর্ম সংক্রান্ত প্রায় সকল সমস্যা দুর হয়ে যাবে । কে হিজাব পরলো কে নামাজ কিভাবে পড়লো কে কার সাথে থাকলো এসব কেবল তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে দাও ! তোমার এখানে কিছু বলার নেই - এই সহজ কথাটা ধার্মিকেরা বুঝে না !
একজনের যদি মনে হয় যে পহেলা বৈশাখ পালন করা হারাম, তাহলে কে পালন করবে না । ঝামেলা শেষ । ঝামেলা বাঁধে তখন যখন সে আমাকেও পালন করতে মানা করবে, বাঁধা দিবে ! ধর্মের নাম নিয়ে যে এ যে নিজের বিশ্বাস অন্যের চাপিয়ে দেওয়া এটা থেকে সকল সমস্যার শুরু !

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক।

৩৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৯৮ বায়্যিনার ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফুরী করেছিল তারা এবং মুশরিকরা আপন মতে অবিচল ছিল যে পর্যন্ত না তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসলো।

* সুতরাং কোরআনে প্রমাণের কথা বলা আছে। সুতরাং ইসলামকে প্রমাণহীন বিশ্বাস বলার সুযোগ নাই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেখানে কি আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণের কথা বলা হয়েছে! আল্লাহ কিভাবে তার কিতাব প্রমান দিয়েছেন আপনি কিভাবে দিচ্ছেন? আপনার এই আয়াত গুলো আমি জানি যে গুলো আপনি প্রমাণের কথা বলে আনছেন। এগুলো একটাও আল্লার অস্তিত্বের প্রমাণের জন্য আল্লাহ বলেন নি। এবার বলুন আমি যদি আপনাকে আল্লার উপর শুধু ঈমান আনার সুস্পষ্ট ঘোষণা সম্বলিত ১৭টা আয়াত দেখাতে পারি আপনি সেটার উপর বিশ্বাস করে আজ থেকে প্রমান করা ছেড়ে দিবেন? আপনি দুই তিনটা আয়াত দিবেন সেখানে আবার আল্লার অস্তিত্বের ব্যাপারও নয় প্রমাণের সেগুলোর ওপর বেসিস করে প্রমান করতে যাচ্ছেন। আর ক্রিস্টাল ক্লিয়ার বিশ্বাস করার কথা বলা আয়াত আপনি বিশ্বাস করছেন না! আপনার ঈমান নিয়েই তো এখন প্রশ্ন থেকে যাবে!

৩৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: @ গড়ল: অবিশ্বাস কি প্রমাণের বিষয়? বিশ্বাস/অবিশ্বাস কোনটাই যদি প্রমাণের বিষয় না হয় তাহলে কোনটা কিভাবে গৃহিত হবে?

৩৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৫৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: গতকাল রাতে মহান হুমায়েকু আমাকে স্বপ্ন দেখায়েছেন, তিনি বাংলাতে বলেছেন তিনিই আমাদের সৃষ্টিকর্তা। এর সাথে তিনি পুর্ববর্তী ধর্মগুলো বাতিল করে দিয়েছেন। যারা হুমায়েকুকে সৃষ্টিকর্তা এবং আমাকে শেষ নবী বলে অস্বীকার করবেন তাদের জন্য র‍য়েছে ভয়ংকর হেলের আগুন, আরা আমাকে মান্যতা দেবেন তাদেরকে দেওয়া হবে ভালহালার অনন্ত সুখ, আর অগনিত সানি লিওন, নারীদের জন্যও র‍য়েছে অগনিত হৃত্তিক। হাসি পাচ্ছে? ভাবছেন পাগল? ভাবছেন ভন্ড?

৩৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৫৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: ঠিক যে যুক্তিতে আমাকে ভন্ড বলবেন, সেই একই যুক্তিতে আমি হযরতকে ভন্ড মনে করি। সনেটকা এখন প্রমান করে দেখান যে মহান হুমায়েকু আমাকে স্বপ্নে দেখা দ্যান নাই। প্রমান করতে না পারলে তো আমাকে মেনেই নেবেন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনার এসব প্রমান টমানের কারণেই কিন্তু আপনি নবীকে এমন কথা বলতে পেরেছেন। এর দায়ভার কিন্তু উনার উপরেই পড়বে।

৩৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: @ অগ্নিবেশ: হযরতের সত্য বলার সামাজিক সনদ রযেছে, আপনার নেই। সুতরাং হযরত এবং আপনি এক রকম নন।

৩৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: সনেটকা হজরতের সত্য বলার সেই সামাজিক সনদ কোথায় আছে? প্রমান ট্রমান নিয়ে আসেন।

৩৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: আর আমি যে মিথ্যা বলছি তারও প্রমান চাই।

৪০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: @ অগ্নিবেশ: হযরতের সত্য বলার প্রমাণ ইতিহাসে আছে। সেখান থেকেই আপনি দেখে নিতে পারেন।

৪১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: @ অগ্নিবেশ: আপনার সত্য বলার কোন প্রমাণ নেই। সেজন্য আমার কথা সত্য মানা যায় না।

৪২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪১

এভো বলেছেন: @ মহাজাগতিক চিন্তা ---- আপনি যা দাবি করবেন ,, তখন সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব আপনার । আল্লাহর প্রমাণের জন্য আপনি যে পন্থা অবলম্বন করছেন -- তাকে বলা হয় -- Circular logic Fallacy অথবা চক্রাকার কুযুক্তি বা ফ্যালাসি
। যেমন এর প্রমাণ হোল । আবার প্রমাণ হোল । বাস্তব সত্য হোল ক এবং খ এই সত্তা দুটি প্রমাণীত নহে কিন্তু এদের সাপোর্ট পরস্পরের উপর নির্ভরশীল প্রমাণ করার জন্য।

প্রশ্ন-১ বাইবেল যে সত্য তার প্রমাণ কী?
উত্তর-১ বাইবেল সত্য কারণ ঈশ্বর বলেছেন বাইবেল সত্য।
প্রশ্ন-২ ঈশ্বর যে সত্য তার প্রমাণ কী?
উত্তর-২ ঈশ্বর সত্য কারণ বাইবেলে লেখা আছে ঈশ্বর সত্য।
-------
প্রশ্ন-১ কোরান যে সত্য তার প্রমাণ কী?
উত্তর-১ কোরান সত্য কারণ আল্লাহ বলেছেন কোরান সত্য।
প্রশ্ন-২ আল্লাহ যে সত্য তার প্রমাণ কী?
উত্তর-২ আল্লাহ সত্য কারণ কোরানে লেখা আছে আল্লাহ সত্য।

উপরের দাবী দুটো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, একটি দাবী আরেকটি দাবীকে সত্য প্রমাণ করতে চাচ্ছে। এই দাবী দুটো একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। এর কোনটাই প্রমাণিত নয়, তবে একটি আরেকটি দাবীর প্রমাণ হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছে। যুক্তিবিদ্যায় একে বলে চক্রাকার যুক্তি বা সার্কুলার লজিক। এটি একটি কুযুক্তি বা ফ্যালাসিই বটে।

ঠিক এই চক্র কুযুক্তি ফালাসি আপনি করে যাচ্ছেন আল্লাহর প্রমাণ করার জন্য । আল্লাহর প্রমাণ কি --- তখন বলেন ,ঐ যে কোরানের ওমুক ওমুক আয়াতে লিখা আছে । ঐ আয়াত গুলো যে সত্য তার প্রমাণ কি --- তখন বলেন ঐ যে আল্লাহ বলেছে ঐ আয়াত গুলো সত্য । এখানে একটার প্রমাণ আরেকটার উপর নির্ভরশীল কিন্তু কোনটাই প্রমাণীত বিষয় নহে । বিশ্বাষের বিষয় ।
এই চক্র যুক্তিবাজী করে কোন দিন কিছুই প্রমাণ করতে পারবেন না ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আল্লাহ, ঈশ্বর প্রমান করতে হলে মানুষের যে সীমিত জ্ঞান তাতে ফ্যালাসি করা ছাড়া কোনো পথই নেই। বিশ্বাস করলে কোনো ফ্যালাসির প্রয়োজন পড়বে না।

৪৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। মন্তব্য গুলো দেখতে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পোস্টে মন্তব্যে সব এলোমেলো হয়ে গেছে। ফরমেটিভ আলোচনা হয়নি।

৪৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: লেখক বোধ হয় আল কোরআন পড়েন না। কারন আল কোরআন নিয়মিত পড়ে থাকলে এ ধরনের লেখা তিনি লিখতেন না। আল কোরআন কোন নিতী বিজ্ঞান এর বই নই। আল কোরআন হলো উপদেশ ও নিদর্শন। সরাসরি বলা আছে আল্লা সৃষ্টি করেছে দু’টি শ্রেণি। একটি মুমিন বা বিশ্বাসী ও অপরটি কাফির বা অবিশ্বাসি। একে অন্যের দন্দ বিষয়টি স্বাভাবিক। সুরা ইয়াসিনের ১ম তম আয়াত “ ইহা বিজ্ঞানময় কোরআন”। অতএব আল কোরআন বুঝতে হলে বিজ্ঞান জানতে হবে।

লেখক সাহেব হয়তো জানেন না এখন বিজ্ঞান এখন দুভাগে বিভক্ত। একটি বিশ্বাসের বিজ্ঞান আর একটি অবিশ্বাসের বিজ্ঞান। আল কোরআনের সুরা বাকারাতে সুরা নিসাতে আল্রার অস্তিত্ব প্রমানে অসংখ্য আয়াত আছে। আল কোরআন পড়ুন বুঝতে পারবেন। ‘তারা কি ভূপৃষ্ঠে ভ্রমণ করে না, যাতে তারা জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন হৃদয় ও শ্রুতিসম্পন্ন শ্রবণের অধিকারী হতে পারে! বস্তুত চক্ষু তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে তাদের হৃদয়।’ (সূরা হজ : ৪৬)
নিশ্চয় তিনি কাফেরদের ভালবাসেন না। কুরআন ৩০ঃ৪৫ আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশীল, প্রতিশোধ গ্রহণকারী। কুরআন ৩ঃ৪ ‘যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা এই জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা জালেম।
সে বলল, এই জনপদে তো লূতও রয়েছে। তারা বলল, সেখানে কে আছে, তা আমরা ভাল জানি। আমরা অবশ্যই তাকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করব তাঁর স্ত্রী ব্যতীত; সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত থাকবে।’
কুরআন 29:31/32

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মন্তব্য করার দরকার তাই মন্তব্য করেছেন! বিজ্ঞান মানে হল বিশেষভাবে অর্জিত জ্ঞান। কোরআনের বিজ্ঞান আর আমাদের প্রচলিত বিজ্ঞান কি এক জিনিস হল? কোরআনে যে বিষয়ে আমাদেরকে আল্লাহ বিশেষভাবে জানতে বলেছেন, মানতে বলেছেন আমরা সেগুলো কে বিশেষভাবে জানবো ও মানবো। সেটাই কোরআনের বিজ্ঞান। এখন ডারউইন, আইনস্টাইন, নিউটন, হকিং-এর বিজ্ঞানকে কোরআনের বিজ্ঞানের সাথে তুলনা করে আপনি কূলকিনারা কিছুই করতে পারবেন না। আর সূরা ইয়াসিনের যে বিজ্ঞানময় গ্রন্থ বলছেন সেটা আসলে হবে প্রজ্ঞাময়গ্রন্থ।

৪৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আইনস্টাইন নিউটন হকিং যা বলছে পরে দেখা যাচ্ছে তা ধর্মেগ্রন্থে আছে। আপনি নিউটনের কথা বলছেন! নিউটনের আপেল মাটিতে পড়ার ঘটনা। এটি বহু পুর্বেই ধর্মগ্রন্থে ছিলো। ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে, তাঁরই নির্দেশে আসমান ও যমীন স্থিতিশীল থাকে।’ সুরা রুম আয়াত ২৫। গ্রহ গুলোর মধ্যাকর্ষন শক্তি আছে ধর্ম গ্রন্থগুলো আমাদের বহুবছর পুর্বেই বলেছে। আপনি ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব নিয়ে কথা বলবেন। বিবর্তনের মাধ্যমে এক থেকে বহু হয় সেটা সত্য বিবর্তন বহু আঙ্গিক সৃষ্টি করে। ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্ৰ্য। এতে তো অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য। সুরা রুম আয়াত ২২। বিবর্তনের কারনে সৃষ্টি পরিবর্ধিত হয়। আরেক রুপ পায়। কিন্তু তাই বলে যদি আপনি বলেন বানরের থেকে মানুষ হয়ে গেছে আমরা মানবো না। কারন একটা অনুমান কখনও কারন হতে পারে না। আল কোরআন বলে উহারা তো শুধু অনুমানে বিশ্বাস করে। এবার বলি আইনষ্টাইনের কথা। (আইনস্টাইন ১৯১১ সালে তার সাধারণ আপেক্ষিকতার নতুন তত্ত্ব ব্যবহার করে তার গণনা অনুযায়ী অন্য একটি নক্ষত্রের আলো সূর্যের মাধ্যাকর্ষণের কারণে বেঁকে যাওয়া উচিত। ১৯১৯ সালের ১৯ মে এর সূর্যগ্রহণের সময় এই গণনাটি স্যার আর্থার এডিংটন নিশ্চিত করেছিলেন। এই পর্যবেক্ষণগুলি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল, যা আইনস্টাইনকে বিশ্বখ্যাত করে তুলেছিল। ১৯১৯ সালের নভেম্বরে শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টাইমস একটি ব্যানার শিরোনাম ছাপায় যেটিতে লেখা ছিল: "Revolution in Science – New Theory of the Universe – Newtonian Ideas Overthrown" (বিজ্ঞানের বিপ্লব - মহাবিশ্বের নতুন তত্ত্ব - নিউটনিয় ধারণা নিপাতিত)। [৭২] Click This Link;) সত্যেনবসু উদ্ঘাটিত ফোটন কনা বা আলো যা আল কোরআনে ব্হু পূর্বেই নূর অর্থে বোঝানো হয়েছে। “প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, আর সৃষ্টি করেছেন অন্ধকার ও আলো [নূর]” [আল-আন‘আম 6: 1]” নুর যা বস্তু যা দ্বারা অন্ধকার নির্বাপিত হয়।

আর হকিং কে নিয়ে লেখা বড় করে লাভ নেই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেখুন আপনি নিজেই একদিকে নিউটনের বিজ্ঞান মানছেন আবার আরেকদিকে ডারউইনের বিজ্ঞান মানতে পারছেন না! এভাবে আপনি মানুষের আয়ু বাড়ানোর যে বিজ্ঞান সেটা মানতে পারবেন না, ইনর্গানিক থেকে অর্গানিক সৃষ্টির বিজ্ঞানকে মানতে পারবেন না। ঘুরে ফিরে আল্লাহ কোরআনে যা বলেছে তার বাহিরের কোনো বিজ্ঞানকে আপনি নিতে পারবেন না। তাই কোরআনের বিজ্ঞান আর প্রচলিত বিজ্ঞানকে এক করলে বিপত্তি বাড়বে বৈ কমবে না।

৪৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি অবাক হলাম বিজ্ঞান আর প্রজ্ঞার মধ্যে পাথক্য খুজে বেড়োচ্ছেন। আপনি বিজ্ঞানের যে ব্যাক্ষা তুলে ধরেছেন তা আমিও জানি কিন্তু কথা কোরানের বিজ্ঞানটা ১৪০০ বছরের পুর্বের তাই আপনার বর্তমান সময়ের বিজ্ঞানের সাথে মেলাতে পারছেণ না্। বিশেষভাবে অর্জিত জ্ঞান। যারা বিশেষভাবে জ্ঞান অর্জন করেছেন তারা সবাই স্রষ্টা বিরোধী ছিলেন না। বেশির ভাগই আস্তিক ছিলেন। নাস্তিক তো ইদানিং কালের কয়েকজন অতি উৎসাহি বিজ্ঞানী। এরা বিজ্ঞানকে বাপের সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিজ্ঞান তো এদের বাপের সম্পত্তি নাই। অনেক বিখ্যাত আস্তিক এই বিশেষভাবে অজির্ত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। ‘জর্জ ল্যামাইতার’একাধারে পাদরি এবং বিশ্বরহস্যের গবেষক। জর্জ লেমাইত্রে। ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠলেন নিজের কৃতিত্বে। নতুন করে নামকরণ হল ব্রহ্মাণ্ডের এক তত্ত্ব বিগ ব্যাং তত্ত্ব। যিনি খ্রিষ্টান ধর্মেরে গীর্জার পাদ্রী ছিলেন। ডিএনএ অনুর জনক গ্রেগর ইয়ােহান মেন্ডেল (১৮৬০ এর দশকে) একজন ধর্ম যাজক ছিলেন। নাকি আপনি বলবেন তারা নাস্তিক ছিলো।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:২৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনিই বলুন বিজ্ঞান আর প্রজ্ঞার মাঝে কি পার্থক্য নেই? আজকে যে বিজ্ঞানকে আপনি শ্বাশত ধরে আল্লাহর কথা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন কাল সে বিজ্ঞান পরিবর্তন হলে আপনি কি আল্লাহকে মিথ্যুক বানিয়ে দেওয়ার জন্য শাস্তি পাবেন না মনে করছেন!

৪৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:০৩

এভো বলেছেন: @ রাশিদুল ইসলাম লাবলু
‘আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে, তাঁরই নির্দেশে আসমান ও যমীন স্থিতিশীল থাকে।’ সুরা রুম আয়াত ২৫
-----------
আসমান যমীন কিভাবে স্থির , এরা নিজের কক্ষে বা বৃত্তে আবৃত হচ্ছে । এগুলোর কোনটাই স্থির নহে ।

কিন্তু তাই বলে যদি আপনি বলেন বানরের থেকে মানুষ হয়ে গেছে আমরা মানবো না।

এমন কোন কথা বিবর্তন তত্ত্বে বলা হয় নি । বলা হয়েছে মানুষ এবং বাদর একটা কমন আদি প্রাইমেট থেকে বিবর্তিত হয়ে আলাদা প্রজাতির রুপ নিয়েছে । ঐ আদি প্রাইমেটটা এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে । ঐ প্রাইমেটটা প্রথমে বিবর্তিত হয়ে লেজহিন এবং লেজ বিশিষ্ঠ প্রাইমেটে বিবর্তিত হয় । লেজবিহীন প্রাইমেটটাকে এপ বলা হয় এই এপ বিবর্তিত হয়ে মানুষ সৃষ্ঠি হয় ।
মানুষ সরাসরি বাদর থেকে এসেছে -- এই কাহিণী ওয়াজের হুজুরদের কাহিণী।

৪৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১০

এভো বলেছেন:
@ রাশিদুল ইসলাম লাবলু
সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩০
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
Do not the Unbelievers see that the heavens and the earth were joined together (as one unit of creation), before we clove them asunder? We made from water every living thing. Will they not then believe?

----এই আয়াত অনুযায়ি পৃথিবী এবং আকাশ একত্রে ছিল এবং মুখ খুলে দেওয়া হয়েছে । তাহোলে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা , তাহোলে ৪ বিলিয়ন বয়স হোল কি করে । পৃথিবী এবং আকাশ মন্ডলি যদি একত্রে আগেই তৈরী করা থাকে তাহোলে পৃথিবীর বয়স তো ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা ?

আল্লাহ পৃথিবী, গাছপালা প্রাণিজগত আগে সৃষ্টি করেছেন, এরপরে সপ্ত আকাশ বা মহাকাশ (যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ ) ।

বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
কুরআন ৪১ঃ৯-১২

তোমাদের জন্য তিনি ভূ-মন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভমন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের প্রতি দৃষ্টি দিয়া ইহাকে সাত স্তরে বিভক্ত করিয়াছেন, তিনিই সকল বস্তু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।

------------------------------------------------------------------------------
কোরান অনুযায়ি সবার আগে পৃথিবী সৃষ্ঠি করেছেন , তারপার প্রাণী গাছ পালা --- সব শেষে সূর্য, নক্ষত্র ইত্যাদি । অতচ পৃথিবী সৃষ্ঠি হয়েছে ৪ বিলিয়ন বৎসর আগে , সুর্য থেকে বিছিন্ন হয়ে ।
বিজ্ঞানের সাথে মিলছে কি ?

৪৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল কোরআন হলো সব সময়ের বিজ্ঞান। নতুন কোন বিষয় যদি উদঘাটিত হয় এবং বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। তবে সেটা আল কোরআনে থাকবে। এটাই সত্য আর আমরা বিজ্ঞানকে ধর্মগ্রন্থের ছাকনিতে যাচাই করে দেখবো। আপনার মতো দু’ একজন মুনাফেক নাস্তিকদের হেরে যাওয়াকে জয়ি করার বৃথা চেষ্টা করে বেশি লাভবান হতে পারবেন না।

৫০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @লেখক, এই হলো আপনাদের সমস্যা ডারউইন আবার বিজ্ঞান হলো কবে ভাই। ডা্রউইন হলো একটা থিওরি। অনুমান। অনুমান কখনও সত্য নই। প্রমান পাওয়া যাই নাই। বিরোধী পক্ষ অনেক শক্তিশালী। ফ্যাক্ট হলো কবে ভাই? এখানেই আপনি বিশেষ ভাবে অর্জিত জ্ঞানকে আপনি তালগাছে উঠিয়ে দিলেন। তালগাচ আপনার তাহলে তো আর কিচু বলার নেই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ডারউইন আবার বিজ্ঞান হলো কবে!!! আর কিছু বলার নেই! আপনি বিজ্ঞান সম্পর্কেও জ্ঞাত নয়, ধর্ম সম্পর্কেও না! ভালো থাকবেন।

৫১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মনে রাখবেন আল কোরআনের সাথে সামঞ্জস্য বিজ্ঞান কখনই পরিবর্তন হতে পারে না। সেটা ফ্যাক্ট। প্রমানিত।

৫২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯

এভো বলেছেন: রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @লেখক, এই হলো আপনাদের সমস্যা ডারউইন আবার বিজ্ঞান হলো কবে ভাই। ডা্রউইন হলো একটা থিওরি। অনুমান। অনুমান কখনও সত্য নই। প্রমান পাওয়া যাই নাই। বিরোধী পক্ষ অনেক শক্তিশালী। ফ্যাক্ট হলো কবে ভাই?
------------ ডারউইন হোল একটা থিওরি ??? হা হা হা
আসলে বিবর্তনবাদের বর্তমান টাইটেল হোল থিওরি । এটা যখন থিওরি তখন অবশ্যই এটা প্রমাণীত । ডারউইন যখন এই মতবাদটা দেন তখন এটাকে হাইপোথিসিস হিসাবে বিবেচিত হোত ।প্রমাণীত হওয়ার পর এটাকে থিওরি বলা হয় ।
আইনষ্টানের আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রথমে হাইপোথিসিস ছিল , প্রমাণীত হওয়ার পর এটা থিওরির মর্যাদা পায় ।
এবার প্রশ্ন হোল বিবর্তনবাদ কিভাবে প্রমাণীত হোল ?
--- এই বিবর্তনবাদ প্রমাণীত হোল ডিএনএ টেস্ট আবিষ্কার হওয়ার পরে , যখন ফসিল সমুহের ডিএনএ টেস্ট করা শুরু হোল তখন জেনেটিক সিমিলারিটি পাওয়া গেল , এর পরে বিবর্তনবাদ হাইপোথিসস থেকে থিওরিতে মর্যাদা পেল ।
পৃথিবী বেশিরভাগ জীববিজ্ঞানী এই থিওরিকে গ্রহন করেছে -- একটু গুগোল সার্চে এই বাক্যটা লিখে সার্চ করুন -- level of acceptance of evolution theory
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মনে রাখবেন আল কোরআনের সাথে সামঞ্জস্য বিজ্ঞান কখনই পরিবর্তন হতে পারে না। সেটা ফ্যাক্ট। প্রমানিত।

আপনি আমার কমেন্ট নাম্বার ৪৮ এর জবাব দিবেন কি ?

৫৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো, আপনার সাথেও আমকে তর্ক করতে হবে! এই সব বিষয়বস্তু নিয়ে বহু বছল পুর্বেই লিখেছি। আমার কিছু লেখা পড়লেই আপনি এসব বুঝতে পারতেন। ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে, তাঁরই নির্দেশে আসমান ও যমীন স্থিতিশীল থাকে।’ সুরা রুম আয়াত ২৫----------- আসমান যমীন কিভাবে স্থির , এরা নিজের কক্ষে বা বৃত্তে আবৃত হচ্ছে । এগুলোর কোনটাই স্থির নহে । অবাক করা বিষয় হলো আল্রা ঠিকই বলেছেন-উহারা অন্ধ ও বধির। কি অবাক বিষয় আল্লা বললো আম আর আপনি শুনলেন জাম। ভাইরে ‘তারই নির্দেশে আসমান ও জমিন স্থিতিশীল থাকে’- এই কথার অর্থ আপনি পৃথিবীকে গতিশীল বানিয়ে দিলেন! অবাক করা অন্ধত্ব। আল্রাহর নির্দেশে আসমান ও জমিনের স্থিতিশীলতা বলতে এখানে মহাবিশ্বের চেইন অব কমান্ড বা একটার সাথে আরেকটার সম্পৃক্ত থাকা বা কোন অদৃশ্য প্রভাবের দ্বারা সমস্ত কিছু স্থিতিশীল থাকাকে বুঝাচ্ছে। যেমন নিউটন বলেছে মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু একে অন্যকে টানছে আর এই টানাটানির কারনে প্রতিটি বস্তু নিজস্ব সীমার মধ্যে বিদ্যমান। আল্ল কোরআন ঠিক এরকম একটি বিষয় তুলে ধরেছেণ। সেটা মধ্যাকষন মহাকর্ষ শক্তির প্রভাবেই হোক অথবা কসমিক ষ্ট্রিং জাতীয় কিংবা ডার্ক এনাার্জির মাধ্যমেই হোক প্রতিটি বস্তু একটি সিষ্টেমে স্থিতিশীল আছে। এই বিষয়টি আলকোরানে বলা আছে। আল কোরানকে বুঝতে হবে। পৃথিবীর গতি তুলে ধরলেন কেনো বুঝলামন না। আসমান কি গতি প্রশ্ন আসে? গ্রহগুলোর গতির কথা আল কোরানে আছে ‘উহারা সকলে নিজস্ব কক্ষপথে ঘুরছে।” বলুন বুঝলেন স্থিতিশীলতা মানে কি? মানে নিউটনের তত্ত্ব। মহাকর্ষ তত্ত্ব।

৫৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩

এভো বলেছেন: রাশিদুল ইসলাম লাবলু

গ্রহগুলোর গতির কথা আল কোরানে আছে ‘উহারা সকলে নিজস্ব কক্ষপথে ঘুরছে।”
পৃথিবী কি গ্রহ নহে ? পৃথিবী কি নিজ কক্ষে ঘুরছে না ? তারমানে একবার বলা হচ্ছে পৃথিবী স্থির আবার বলা হচ্ছে নিজ কক্ষে ঘোরে --
মহাবিশ্বের কোন কিছুই স্থির নহে সব কিছুই ঘুড়ছে , এমন কি সুর্য তারা সবাই ঘুড়ছে ।
ভাইরে ‘তারই নির্দেশে আসমান ও জমিন স্থিতিশীল থাকে’- এই কথার অর্থ আপনি পৃথিবীকে গতিশীল বানিয়ে দিলেন!
আচ্ছা বলুন পৃথিবী যদি না ঘুরে স্থির থাকে তাহোলে দিন এবং রাত কি করে হচ্ছে ? পৃথিবী গ্রহ নক্ষত্র সবাই নিজ কক্ষে অবস্থান করে গতিশীল ।

৫৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
Do not the Unbelievers see that the heavens and the earth were joined together (as one unit of creation), before we clove them asunder? We made from water every living thing. Will they not then believe?
----এই আয়াত অনুযায়ি পৃথিবী এবং আকাশ একত্রে ছিল এবং মুখ খুলে দেওয়া হয়েছে । তাহোলে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা , তাহোলে ৪ বিলিয়ন বয়স হোল কি করে । পৃথিবী এবং আকাশ মন্ডলি যদি একত্রে আগেই তৈরী করা থাকে তাহোলে পৃথিবীর বয়স তো ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা ?

উদাহরন স্বরুপ আমি বলি একটি মোটর সাইকেল আমি কিনেছি । গত ৩ বছর হলো। আমাকে কেউ জিঙ্গাসা করলেই আমি বলি এর বয়স ৩ বৎসর। কিন্তু আসলে কি সত্যি? আপানার আমার দৃষ্টিকোনে সত্যি হলেও আসলে তা নয়। কারন এই মোটরসাইকেল তৈরী হয়েছে ইংল্যান্ডে (আনুমানিক) ফ্যাক্টরীতে। সেখান থেকে এসেছে কোম্পানীর মেইন ডিপোতে। আবার মেইন ডিপো থেকে ঐ মটরসাইকেল টি এসেছে ঢাকার পাইকারী আমদানীকারক। পাইবারী আমদানীকারক আবার সে কোন জেলার এজেন্টকে দিলো। এবং আমি সেখান থেকে কিনলাম ৩ বৎসর আগে। আমি এ গল্পটি বললাম এই কারনেই যে ব্যাপারটি ঠিক এই রকম। মহাবিশ্বের সৃষ্টির সময় মহাবিশ্বের সকল বস্তু তথা সকল গ্যালাক্সি এবং এই হেরিটেবল জোন পৃথিবী আদি গোলক ক্ষুদ্র আকারেই ছিলো। এই পর হলো বিস্ফোরন। অসংখ্য ভাগে বিভক্ত গ্যালাক্সি। এই অসংখ্য গ্যালাক্সির ভিতর আমাদের গ্যালাক্সিতেই থাকলো হেরিটেবল জোন। লক্ষ্য করুন মেইন বিস্ফোরন থেকে গ্যালাক্সি সৃষ্টি হবার মধ্যে অনেক সময় অতিক্রম করেছে। এবার প্রতিটি গ্যালাক্সির ভিতর শুরু হলো সুপার নোভা জাতীয় বিস্ফোরন যার ফলশ্রুতিতে গ্রহ উপগ্রহ সৃষ্টি হলো। আমাদের পৃথিবী হেরিটেবল জোন আমাদের গ্যালাক্সির সুপারনোভা বিস্ফোরনে সৃষ্টি।” আমি কি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি যে আপনি পৃথিবীর বয়স টা মাপছেন সুপার নোভা বিস্ফোরন থেকে। সেই কারনেই আপনি পৃথিবীর বয়সের এই ভূল করছেন।

৫৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন।


@ এভো - এই আয়াতের মধ্যে আমি তো হাসির কোন খোরাক পেলাম না। বরং গোপন নিগুঢ় তত্ত্ব পেলাম। যে তত্ত্ব 1400 বছরের পুরানো আল কোরআনে কিভাবে এলো এটাই এখন ভাবার বিষয়? আল কোরআন যদি স্রষ্টার তথ্য না হতো তবে এত গভীর বিজ্ঞান কি করে পেলো সেই 1400 বছর আগে? এই নিয়েই আমি আরো রিতীমতো স্তম্ভ হয়ে যাচ্ছি।

এবার আসুন আমরা আসল কথায় আসি। ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী মারকুইস ডি ল্যাপলাস 1796 খ্রিস্টাব্দে সৌরজগতের উৎপত্তি সংক্রান্ত তার নীহারিকা মতবাদ প্রকাশ করেন। মতবাদটি তার "Exposition of the Solar System"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন। এই মতবাদটি 1755 খ্রিস্টাব্দে ইমানুয়েল কান্টের দেওয়া নীহারিকা মতবাদ এর তুলনায় অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত। মারকুইস ডি ল্যাপারাস ছাড়াও অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, আদিতে পৃথিবী ও সৌরজগৎ অবস্থান ছিল এক ধোঁয়াশার মধ্যে। সেটা ছিল সুবিশাল আকৃতির নীহারিকা। মহাকাশে ঘূর্ণায়মান লক্ষ লক্ষ মাইল ব্যাপী ধুলোর মেঘ একত্র হয়ে এই নীহারিকা গড়ে তুলেছিল। পরে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে নীহারিকার মধ্যে বিভিন্ন অণু-পরমাণু যতই পরস্পরের নিকটবর্তী হয়েছে, ততই পরস্পরের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং তাদের গতিশীলতা থেকে উদ্ভূত শক্তি তাপে রূপান্তরিত হয়ে তাদের গতিশীলতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

পরবর্তীতে তাপ বিকিরণের ফলে নীহারিকাটি সংকুচিত হতে থাকে এবং সংকুচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার গতিবেগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময় ঘূর্ণন বেগ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যে সেই নীহারিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলে অভিকর্ষজ বল এবং কেন্দ্র বহির্মুখী বল পরস্পর সমান হয়। নীহারিকাটি যখন আরো সংকুচিত হয় তখন নীহারিকার বাইরের বলয় আকার অংশ সংকোচনে অংশগ্রহণ না করে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওজন শূন্য অবস্থায় নিজের জায়গায় স্থির ভাবে ভাসতে থাকে। নীহারিকাটি সংকুচিত হতে থাকায় একাধিক বলয় আকার অংশ বিচ্ছিন্ন হয়। বিচ্ছিন্ন বলয় আকার অংশ একত্রিত এবং ঘনীভূত হয়ে গ্রহের সৃষ্টি হয়। গ্রহগুলির ক্রমশ সংকুচিত হওয়ায় বলয় আকার অংশ বিচ্ছিন্ন হয়। বিচ্ছিন্ন বলয় গুলি একত্রিত হয়ে উপগ্রহের সৃষ্টি করে। নীহারিকার কেন্দ্রীয় অংশ সূর্যরূপে অবস্থান করে।
নীহারিকা অনুকল্প নামের এই বহুল পরিচিত ও সর্বজনগৃহীত মডেলটি প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন Emanuel Swedenborg, ইমানুয়েল কান্ট এবং পিয়ের সিমোঁ লাপ্লাস, সেই ঊনবিংশ শতাব্দীতে। পরবর্তীতে বিজ্ঞানের অনেকগুলো শাখার সক্রিয় অংশগ্রহণে মডেলটির উন্নতি ঘটেছে যার মধ্যে রয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব এবং গ্রহ বিজ্ঞান। ১৯৫০-এর দশকে মহাকাশ যুগের সূচনা ঘটা এবং ১৯৯০-এর দশকে বহির্গ্রহ আবিষ্কৃত হতে শুরু হওয়ার পর অনেকেই এই মডেলের পুনর্বিশ্লেষণ বা সমালোচনা করছেন। নতুন আবিষ্কারগুলোকেও এই অনুকল্পের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায় কিনা সেটিই তাদের প্রশ্ন।


প্রাথমিক অবস্থা থেকে সৌরজগৎ অনেক বিবর্তিত হয়েছে। কোন গ্রহের চারদিকে আবর্তনরত গ্যাস ও ধূলিকনার চাকতি থেকে তার উপগ্রহ তৈরি হয়ে থাকতে পারে, আবার কিছু উপগ্রহ ভিন্ন জায়গায় উৎপন্ন হয়ে পরবর্তীতে গ্রহের মহাকর্ষীয় বন্ধনে ধরা দিতে পারে।
আমি আয়াতটি আরো একবার তুলে ধরছি। আয়াতটি হলো হামিম সিজদা সুরা এর 12 নং আয়াত - “অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ। অতঃপর তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস।’ আয়াতটিতে ধুম্রপুঞ্জ বা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকার কথা বলা হয়েছে। নিম্নের চিত্রের দিকে লক্ষ করুন । A অংশ টুকু লক্ষ করুন। আগুন আগুন ধোয়া ধোয়া। যেটি একটি নীহারিকা। এই নীহারিকা পরবর্তী রুপ B অংশ। অগ্নিময় ধোয়াময় গ্যাসীয় নীহারীকার মাঝে অগ্নিময় হয়ে উঠছে ও সকল দিকে ঠান্ডা হচ্ছে। পরবর্তী C অংশ দেখুন সকল অংশ প্রায় ঠান্ডা হয়ে গেছে শুধু সূর্য অংশটুকুই অগ্নিময়। তারপর দেখুন D অংশটুকু ঠান্ডা হয়ে গ্রহ জন্ম নেওয়া শুরু করেছে । এবং পরবর্তী E অংশে সকল গ্রহের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং গ্রহের গতিশীলতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

৫৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন:

৫৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৬

এভো বলেছেন: @ ল্যাবলু সাহেব,,,কমেন্ট ৫৫
আপনি সাইকেল যদি ২০১৯ সালে কিনেন তবুও সাইকেলের বয়স ৩ নহে, যে ইয়ারের মডেল, সেই ইয়ারে এবং সাইকেলের গায়ে ইয়ার মডেল লিখা থাকে। সাইকেলটা ২০১৭ মডেল হয় এবং যদি ২০১৯ কিনেন তাহোলে ও সাইকেলের বয়স হবে ৫ বছর।
আপনি কি কমেন্ট ৪৮ এর নীচের অংশ পড়েন নি, সুরা৪১ এর ৯ থেকে ১২ নাম্বার আয়াত গুলো। যেখানে লিখা আছে সবার আগে পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তারপর গাছ গাছরা জীব যন্তু সৃষ্টি করার পর সুর্য নক্ষত্র সৃষ্টি করা হয়েছে।
তাহোলে কোরান অনুযায়ী পৃথিবীর বয়স ১৪ বিনিয়ন হওয়ার কথা, সুর্যের বয়স এখন ৪.৫০ বিনিয়ন তাহোলে সুর্য সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবী সৃষ্টির ৮.৫ বিলিয়ন বছর পরে।
সুপার নোভা কাকে বলে জানেন? কোন তারা যখন সকল জালানি শেষ হয়ে যায়, তাকে সুপার নোভা বলে।
সুরা ৪১ এর আয়াত ৯ থেকে ১২ আবার পড়ুন, দেখবেন পৃথিবীর সৃষ্টি সবার আগে ,

৫৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২১

এভো বলেছেন: সুরা ৪১ আয়াত ৯ থেকে ১২

বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।

৬০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো-“আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি” ।আরবী এবং ইংরেজীতেও তুলে ধরলাম।
وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِّلشَّيَاطِينِ ۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ
And we have, (from of old), adorned the lowest heaven with Lamps, and We have made such (Lamps) (as) missiles to drive away the Evil Ones, and have prepared for them the Penalty of the Blazing Fire.

এখানে হাসির কি আছে! আমি বুঝলাম না। খুবই প্রাঞ্জল ভাষায় একটি কথা বলা আছে। যার মধ্যে লুকিয়ে আছে ব্যপক বৈজ্ঞানিক তথ্য। আল কোরআন বুঝলে তো কোন সমস্যা থাকে না।যার অর্থ দাড়ায় “আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি” । আল্লা আকাশে এমন কিছু উপকরন প্রদীপমালা রেখেছে যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়। এমনকি কোন উপকরণ নাই যা দিয়ে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়? মনুষ্যরুপী শয়তানদের কথা বা ভূলে যাচ্ছেন কোনো? এ গুলো কি পৃথিবীতে আঘাত হানে নাই? এমন বহু সভ্যতা ধ্বংশ হয়েছে উল্কাপিন্ড বা গ্রহানুর আঘাতে। গ্রহানুর আঘাতে ফলে ভুমিকম্প সুনামি বহু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে বিলীন হয়ে গেছে মনুষ্য সভ্যতা! আল কোরআনকে বুঝতে হবে। আল কোরআনের রুপক অর্থ বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে।



এরকম আরেকটি আয়াত আমি তুলে ধরলাম। আমার লেখা পূববতী সংখ্যায় আরেক নাস্তিকের হাসির খোরাক সুরা হা মীম সিজদার একটি ১২ নং আয়াত “অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশের নিকট তার কর্তব্য ব্যক্ত করলেন। আর আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং তাকে করলাম সুরক্ষিত।এ সব পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।” ১৩ নং আয়াতে বলা হচ্ছে। “এর পরেও যদি ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (ওদেরকে) বল, আমি তো তোমাদেরকে এক ধ্বংসকর শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছি; যেরূপ শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিল আ’দ ও সামূদ;”। ১২ আয়াতে লক্ষ্য করুন একই কথা বলা হচ্ছে নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দেওয়া হয়েছে সুরক্ষিত করার জন্য। যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ। প্রিয় পাঠক আপনি কি বুঝতে পারছেন সেই প্রদীপমালা কি যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করার জন্য সৃষ্টি করা! বুঝলেন না! তাহলে হামীম সিজদার পরবর্তী আয়াত শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ টা দিয়ে আদ ও সামুদ জাতিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিলো? বুঝলেন কি? আকাশে এমন কিছু প্রদীপমালা সৃষ্টি করেছেন যা দিয়ে পৃথিবীতে শয়তান দ্বারা প্রলুদ্ধ জাতি স্বত্ত্বা ধ্বংশ করে দেওয়া হয়। আল কোরআনের এমন অসংখ্য জাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা আল্লার ক্রোধে দ্বারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে ধ্বংশস্তুপে পরিনত হয়েছে, বিলীন হয়েছে। আল কোরআনে বলা আছে “৭৩. সূর্যোদয়ের সময় মহানাদ তাদের আঘাত করে। “৭৪. অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম ও তাদের ওপর কঙ্কর বর্ষণ করলাম। ৭৫. নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে। ৭৬. পথের পাশে ওই জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। (সুরা : হিজর)

আজ থেকে ৩১০০ বছল পূর্বে বর্তমান জর্দান ও ঈসরাইলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ডেড সী বা মৃত সাগরের স্থানটিতে ছিলো সদম ও গোমরাহ নগর। তারা উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হওয়ার কারণে সীমা লঙ্ঘনকারী জাতিতে পরিণত হয়েছিল। পূর্বেকার ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলির ন্যায় তারা চূড়ান্ত বিলাস-ব্যসনে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল। অন্যায়-অনাচার ও নানাবিধ দুষ্কর্ম তাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি পুংমৈথুন বা সমকামিতার মত নোংরামিতে তারা লিপ্ত হয়েছিল, যা ইতিপূর্বেকার কোন জাতি এতটা ব্যাভিচার করতো না। লুত আঃ এই জাতিকে ক্ষ্যান্ত হতে বলে এবং আল্লার পথে আসতে বলে। এই সকল পাপ মুক্ত সুন্দর জীবন ব্যবস্থার কথা বলে। ক তারা সমূলে ধ্বংস হয়ে যায়। লুত (আ.)-এর জাতির পাপীদের ওপর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশাল এক গ্রহানুর আঘাত এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো নগরটি সম্পূর্ণ উল্টিয়ে ধ্বংশস্তুপে পরিনত করে দেন পাশাপাশি আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো গ্রহানু নিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে সমগ্র সভ্যতা বিলীন হয়ে যায় এবং সেখানে একটি মৃত সাগরে পরনিত হয়। যা আজ ডেড সী নামে পরিচিত। ফিলিস্তিন ও জর্দান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে বিশাল অঞ্চলজুড়ে নদীর রূপ ধারণ করে আছে এটি। জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ নিচু। এর পানিতে তেলজাতীয় পদার্থ বেশি। এই পানিতে কোন কিছু ডোবে না। এতে কোনো মাছ, ব্যাঙ, এমনকি কোনো জলজ প্রাণীও বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণেই একে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়। সাদুম উপসাগরবেষ্টিত এলাকায় এক ধরনের অপরিচিত উদ্ভিদের বীজ পাওয়া যায়, সেগুলো মাটির স্তরে স্তরে সমাধিস্থ হয়ে আছে। সেখানে শ্যামল উদ্ভিদ পাওয়া যায়, যার ফল কাটলে তার মধ্যে পাওয়া যায় ধুলাবালি ও ছাই। এখানকার মাটিতে প্রচুর গন্ধক পাওয়া যায়। এই গন্ধক উল্কাপতনের অকাট্য প্রমাণ। এ শাস্তি এসেছিল গ্রহানুর আঘাত, ভয়ানক ভূমিকম্প, সুনামি ও অগ্নি উদিগরণকারী বিস্ফোরণ আকারে। ভূমিকম্প সে জনপদকে ওলটপালট করে দিয়েছিল।

এরকম আরেকটি আয়াত আমি তুলে ধরলাম। আমার লেখা পূববতী সংখ্যায় আরেক নাস্তিকের হাসির খোরাক সুরা হা মীম সিজদার একটি ১২ নং আয়াত “অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশের নিকট তার কর্তব্য ব্যক্ত করলেন। আর আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং তাকে করলাম সুরক্ষিত।এ সব পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।” ১৩ নং আয়াতে বলা হচ্ছে। “এর পরেও যদি ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (ওদেরকে) বল, আমি তো তোমাদেরকে এক ধ্বংসকর শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছি; যেরূপ শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিল আ’দ ও সামূদ;”। ১২ আয়াতে লক্ষ্য করুন একই কথা বলা হচ্ছে নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দেওয়া হয়েছে সুরক্ষিত করার জন্য। যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ। প্রিয় পাঠক আপনি কি বুঝতে পারছেন সেই প্রদীপমালা কি যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করার জন্য সৃষ্টি করা! বুঝলেন না! তাহলে হামীম সিজদার পরবর্তী আয়াত শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ টা দিয়ে আদ ও সামুদ জাতিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিলো? বুঝলেন কি? আকাশে এমন কিছু প্রদীপমালা সৃষ্টি করেছেন যা দিয়ে পৃথিবীতে শয়তান দ্বারা প্রলুদ্ধ জাতি স্বত্ত্বা ধ্বংশ করে দেওয়া হয়। আল কোরআনের এমন অসংখ্য জাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা আল্লার ক্রোধে দ্বারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে ধ্বংশস্তুপে পরিনত হয়েছে, বিলীন হয়েছে। আল কোরআনে বলা আছে “৭৩. সূর্যোদয়ের সময় মহানাদ তাদের আঘাত করে। “৭৪. অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম ও তাদের ওপর কঙ্কর বর্ষণ করলাম। ৭৫. নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে। ৭৬. পথের পাশে ওই জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। (সুরা : হিজর)

আজ থেকে ৩১০০ বছল পূর্বে বর্তমান জর্দান ও ঈসরাইলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ডেড সী বা মৃত সাগরের স্থানটিতে ছিলো সদম ও গোমরাহ নগর। তারা উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হওয়ার কারণে সীমা লঙ্ঘনকারী জাতিতে পরিণত হয়েছিল। পূর্বেকার ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলির ন্যায় তারা চূড়ান্ত বিলাস-ব্যসনে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল। অন্যায়-অনাচার ও নানাবিধ দুষ্কর্ম তাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি পুংমৈথুন বা সমকামিতার মত নোংরামিতে তারা লিপ্ত হয়েছিল, যা ইতিপূর্বেকার কোন জাতি এতটা ব্যাভিচার করতো না। লুত আঃ এই জাতিকে ক্ষ্যান্ত হতে বলে এবং আল্লার পথে আসতে বলে। এই সকল পাপ মুক্ত সুন্দর জীবন ব্যবস্থার কথা বলে। ক তারা সমূলে ধ্বংস হয়ে যায়। লুত (আ.)-এর জাতির পাপীদের ওপর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশাল এক গ্রহানুর আঘাত এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো নগরটি সম্পূর্ণ উল্টিয়ে ধ্বংশস্তুপে পরিনত করে দেন পাশাপাশি আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো গ্রহানু নিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে সমগ্র সভ্যতা বিলীন হয়ে যায় এবং সেখানে একটি মৃত সাগরে পরনিত হয়। যা আজ ডেড সী নামে পরিচিত। ফিলিস্তিন ও জর্দান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে বিশাল অঞ্চলজুড়ে নদীর রূপ ধারণ করে আছে এটি। জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ নিচু। এর পানিতে তেলজাতীয় পদার্থ বেশি। এই পানিতে কোন কিছু ডোবে না। এতে কোনো মাছ, ব্যাঙ, এমনকি কোনো জলজ প্রাণীও বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণেই একে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়। সাদুম উপসাগরবেষ্টিত এলাকায় এক ধরনের অপরিচিত উদ্ভিদের বীজ পাওয়া যায়, সেগুলো মাটির স্তরে স্তরে সমাধিস্থ হয়ে আছে। সেখানে শ্যামল উদ্ভিদ পাওয়া যায়, যার ফল কাটলে তার মধ্যে পাওয়া যায় ধুলাবালি ও ছাই। এখানকার মাটিতে প্রচুর গন্ধক পাওয়া যায়। এই গন্ধক উল্কাপতনের অকাট্য প্রমাণ। এ শাস্তি এসেছিল গ্রহানুর আঘাত, ভয়ানক ভূমিকম্প, সুনামি ও অগ্নি উদিগরণকারী বিস্ফোরণ আকারে। ভূমিকম্প সে জনপদকে ওলটপালট করে দিয়েছিল।

এখানে নিকটবর্তী আসমান বলতে সৌরজগৎ এবং সৌরজগৎ এর ভিতর প্রদীপমালা এবং শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরন বলতে এ্যাস্টেরয়েড বেল্ট বোঝানো হয়েছে। এবার বলুন @ এভো আপনি কি পেয়েছেন আপনার ৪৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর।

ধর্মকে বিশ্বাস করা শিখুন আর বিজ্ঞানকে বন্ধূ ভাবুন দেবতা নয়। আপনার বন্ধু ভূল করতেই পারে। সে দেবতা নয় যে ভূল হবে না।

৬১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪৫

এভো বলেছেন: ল্যাবলু সাহেব আপনি সুরা হামমিম সেজদার ১২ নং আয়াতের আগে ৭,৮,৯,১০ পড়েন। খালি ১২ নিয়ে কেন পোরে আছেন,,,
বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
------ এই আয়াত গুলো থেকে বোঝা যায় পৃথিবী সবার আগে বানান হয়েছে, তারপর সেখানে প্রাণের সম্ভার করার পর সুর্য তারা সৃষ্টি করা হয়েছে, যেটা নীচের আয়াতে দেওয়া হয়েছে,

অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।

অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।

৬২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @এভো - কমেন্ট ৫৮ অনুসারে আপনাকে জননান্দন রায় এর একটি লিখা উদ্ধুতি করি। ----তাহা হইলে তোমরা বুঝিতে পারিতেছ, নক্ষত্রেরা যেমন এক-একটা নীহারিকা হইতে জন্মিয়াছে, সূর্য্য ও তাহার উপগ্রহেরা ঠিক্ সেই প্রকার একটা নীহারিকা হইতে জন্মিয়াছে। তাহা হইলে দেখ,—যে পৃথিবীতে আমরা এখন বাস করিতেছি, তাহার মাটি-পাথর এমন কি তোমার আমার দেহের অণুপরমাণু এক দিন প্রকাণ্ড নীহারিকার আকারে আকাশে জ্বলিয়া জ্বলিয়া ঘুরপাক্ খাইত। কত দিন এই রকম জ্বলা-পোড়া চলিয়াছিল জানি না,—হয় ত কোটি কোটি বৎসর চলিয়াছিল এবং তার পরে ঠাণ্ডা হইয়া, সূর্য্য, বুধ, শুক্র, পৃথিবী, চন্দ্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি প্রভৃতি গ্রহ-উপগ্রহদের সৃষ্টি করিয়াছিল।

তোমরা হয় ত ভাবিতেছ, একটা প্রকাণ্ড নীহারিকা ঠাণ্ডা হইলে, একটা জিনিদেরই সৃষ্টি করিতে পারে; সূর্য্যের চারিদিকে যে ছোট-বড় আটটি গ্রহ এবং যে-সব উপগ্রহ আছে, তাহাদের উৎপত্তি কি রকমে হইল? জ্যোতিষীরা এই প্রশ্নের উত্তর দিয়াছেন এবং উত্তর দিতে গিয়া যে-সকল কথা বলিয়াছেন, তাহা বড়ই আশ্চর্য্য।

সূর্য্য এখন আকাশের যে জায়গায় গ্রহ-উপগ্রহদের লইয়া আছে, তাহা কত বড় আগেই তোমাদিগকে বলিয়াছি। জ্যোতিষীরা বলেন, এই প্রকাণ্ড জায়গা জুড়িয়া সৃষ্টির পূর্ব্বে একটি বড় নীহারিকা জ্বলিত এবং তাহার বাষ্পরাশি ঝড়ের বাতাসের মত পাক্ খাইত। তোমরা বুঝিতেই পারিতেছ, যে বাষ্পরাশি আকাশের এতটা জায়গা জুড়িয়া থাকে, তাহা কখনই খুব ঘন হইতে পারে না। ঐ নীহারিকার বাষ্প প্রথমে ঘন ছিল না; হয় ত তাহা আমাদের বাতাসের চেয়েও হাল্‌কা ছিল।” পৃথিবী বলতে হেলিটেবল জোন। হেরিটেবল জোন বলতো যে স্থানে প্রান সৃষ্টি হতে পারে। এই বিষয়টি সৃষ্টি করতে বেশি সময় লাগার কথা। আমি এর মধ্যে কোন ভূল খুজে পাচ্ছি না।
@ এভো আল্রার রুপক অর্থটা বোঝার চেষ্টা করুন।

৬৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @এভো আমি এত কিছু বোঝানোর পর আপনি ৫৪ নং কমেন্ট কেনো করলেন বুঝলাম না। আসমান ও জমিনের স্থিতিশীলতা বলতে নিউটনের মহাকর্ষ ও মধ্যাকষন শক্তির কথা বলা হয়েছে। একটি নির্দেশ বা চেইন অব কমান্ড সমগ্র বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ থাকার। গতিশীল এই পৃথীবিটা মহাকর্ষ শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ছিন্ন ভিন্ন হয় না। একটি কক্ষপথেই ঘোরে। একটি নির্দীষ্ট নিয়ম দ্বারা আবদ্ধ।

৬৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো @ লেখক আমি একটি অনিচ্ছাকৃত ভূল করেছি। একটি শব্দ সংযোজন না করার কারনে। আর সেটি হলো। হাইপোসিস শব্দটি সংজোযন না করার কারনে। বাক্যটি এভাবে আসছে বিবর্তনবাদ একটি হাইপোথিসিস। অনেকেই থিউরি হিসেবেও মানেনা।

৬৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:



সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ এবং তাঁর সৃষ্টি

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।

* তাতে সব বিলিন হয়ে আল্লাহ বাকী থাকার কারণে তাতে আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই ছিল না।

সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?

* তাতে আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই না থাকায় আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি। কারণ আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করতে হলে তাতে আল্লাহ ছাড়াও কেউ একজন থাকার দরকার ছিল। তো তাতে আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই যখন ছিল না তখন আল্লাহকে আর কে সৃষ্টি করবে?

সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৩০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। যারা কুফুরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিল ওতপ্রতভাবে। অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি। আর প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তথাপি কি তারা ঈমান আনবে না?

* তাতে আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই সৃষ্টি না হওয়ায় তাতে আল্লাহকেই সব কিছু সৃষ্টি করতে হয়েছে। আল্লাহ তাঁর এক সৃষ্টিকে অন্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েছেন। তারমানে তিনি সৃষ্টির পূর্বে সৃষ্টির উপাদান সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি সৃষ্টির সীমা দিয়েছেন, তারপর তাতে এর প্রয়োজনীয় উপাদান যোগ করেছেন। তারপর ‘হও’ বলেছেন। তারপর সৃষ্টি হয়েছে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ১৬৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৬৪।নিশ্চয়ই আকাশমন্ডল ও জমিন সৃষ্টিতে, রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তনে, যা মানুষের হিত সাধন করে তা’ সহ সমুদ্রে বিচরনশীল নৌযান সমূহে, আল্লাহ আকাশ হতে যে বারিবর্ষণ দ্বারা ধরিত্রীকে তাহার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন তাহাতে এবং তার মধ্যে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তারনে, বায়ুর দিক পরিবর্তনে, আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে।

* নিদর্শন হলো এসবের পিছনে প্রবল ক্ষমতাশালী একজন আল্লাহ রয়েছে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।

* আল্লাহ চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ। সুতরাং তাঁর ইবাদত করে কেউ এর প্রতিফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না এবং কেউ তার অবাধ্য হয়ে তাঁর শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।

# শুরুতে সব কিছু বিলিন হয়ে আল্লাহ বাকী থাকায় বুঝাগেল আল্লাহ অসীম এবং অন্য সব কিছু সসীম। সসীম বলেই তারা ফুরিয়ে গিয়ে বিলিন হয়েছে এবং অসীম বলেই আল্লাহ অফুরন্ত বিধায় তিনি বিলিন না হয়ে বাকী থেকেছেন। আর অসীম বলেই তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।কোন আকার অসীম নয় বিধায় অসীম আল্লাহ নিরাকার। কিন্তু তাহলে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সাথে দেখা দিবেন কেমন করে?

সূরাঃ ১৯ মারিয়াম, ১৬ নং থেকে ৩৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৬।বর্ণনা কর এ কিতাবে উল্লেখিত মারইয়ামের কথা, যখন সে তার পরিবার হতে পৃথক হয়ে নিরালায় পূর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।
১৭। অতঃপর তাদের থেকে সে পর্দা করলো। অতঃপর তার নিকট আমরা আমাদের রূহকে পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করলো।
১৮। মারইয়াম বলল, আল্লাহকে ভয় কর যদি তুমি মুত্তাকী হও। আমি তোমা হতে দয়াময়ের আশ্রয় চাই।
১৯। সে বলল, আমি তো তোমার প্রতি পালক প্রেরিত, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য।
২০। মারইয়াম বলল, কেমন করে আমার পুত্র হবে, যখন আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি।আর আমি ব্যভিচারিণীও নই।
২১। সে বলল, এমনটাই হবে।তোমার প্রতিপালক বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং আমি তাকে এ জন্য সৃষ্টি করব যেন সে মানুষের জন্য এক নিদর্শন হয়। আর আমার নিকট হতে এক অনুগ্রহ হয়।এটা তো এক স্থিরকৃত ব্যাপার।
২২। অত:পর সে তাকে গর্ভে ধারণ করলো। অত:পর সে তাকেসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেল।
২৩। প্রসব বেদনা তাকে এক খেজুর গাছের নীচে আশ্রয় নিতে বাধ্য করলো। সে বলল হায় এর পূর্বে আমি যদি মরে যেতাম ও লোকের স্মৃতি হতে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হতাম!
২৪। ফিরিশতা তার নিকট পার্শ্ব হতে আহবান করে তাকে বলল, তুমি দু:খ করবে না, তোমার পাদদেশে তোমার প্রতিপালক এক নহর সৃষ্টি করেছেন।
২৫। তুমি তোমার দিকে খেজুর গাছের কান্ড নাড়া দাও! তা’ তোমাকে সুপক্ক তাজা খেজুর দান করবে।
২৬। সুতরাং আহার কর, পান কর ও চক্ষু জুড়াও।মানুষের মধ্যে কাউকে যদি দেখ তখন বলবে, আমি দয়াময়ের উদ্দেশ্যে মৌনতার মান্নত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কথা বলব না।
২৭। অত:পর সে সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হলো, তারা বলল হে মরিয়ম! তুমি তো এক অদ্ভুত কান্ড করে বসেছ!
২৮। হে হারূণের বোন! তোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিল না এবং তোমার মাতাও ছিল না ব্যভিচারিণী।
২৯। অত:পর মরিয়ম সন্তানের প্রতি ইঙ্গিত করল, তারা বলল, কোলের শিশু, তার সহিত আমরা কেমন করে কথা বলব।
৩০। সে বলল, আমি তো আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আমাকে নবি করেছেন।
৩১। যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেনআমি যত দিন জীবিত থাকি তত দিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে।
৩২। আর আমাকে আমার মাতার প্রতি অনুগত করেছেন। তিনি আমাকে করেননি উদ্ধত ও হতভাগ্য।
৩৩। আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্ম লাভ করেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় উত্থিত হব।
৩৪। এই মরিয়ম পুত্র ঈসা। আমি সত্য কথা বললাম, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করে।
৩৫। সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নহে। তিনি পবিত্র মহিমাময়। তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন বলেন হও এবং তা’ হযে যায়।

* পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করার পর মরিয়ম (আ.) তাঁকে দেখেছেন। তার আগে তিনি তাকে দেখেননি। আল্লাহও কোন আকারে আত্মপ্রকাশ করার পর কেউ তাঁকে দেখবে।

আল্লাহর সৃষ্টি পানি পর্বতে বরফ, সাগরে পানি এবং পৃথিবীর সর্বত্র জলীয় বাস্প। পানি বরফ অবস্থায় পর্বতে আছে বলে উহা জলীয় বাস্প অবস্থায় পৃথিবীর সর্বত্র নেই ঘটনা এমন নয়। সুতরাং আল্লাহ আকারে প্রকাশ পেলেও তখনও তিনি নিরাকার এবং অসীম অবস্থায় সর্বত্র বিরাজমান থাকেন। কেন্দ্রীভূত অবস্থাতেও আল্লাহ বিভিন্ন স্থানে থাকেন এবং একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করেন। যেমন নিম্নচাপে কেন্দ্রীভূত জলীয় বাস্প একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে। অকেন্দ্রীভূত জলীয়বাস্প তখন স্বস্থানে অবস্থান করে। আল্লাহর নিরাকার অবস্থাতেও তাঁর একটা কেন্দ্রেীভূত অবস্থা আছে। সে অবস্থায় তিনি একই সময় বিভিন্ন স্থানে থাকেন এবং প্রয়োজনে সেই স্থান পরিবর্তন করেন।

৬৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৮

এভো বলেছেন: লাবলু সাহেব,,,, আমি যে বিষয়ে কোন প্রশ্ন করি নি, সে বিষয় নিয়ে লেখেন না, আপনি সুরা হামমিম সিজদার ১২ নং আয়াত নিয়ে কেন পরে আছেন, ৮, ৯,১০,১১ গুলো পড়ে তারপর ১২ নং আয়াত পড়ুন, তারপর তার উত্তর দিন।

আপনাকে বিবর্তনবাদের গ্রহন যোগ্যতার লেভেল সার্চ করার জন্য উপদেশ দিয়েছিলাম এবং নিজে সার্চ করে দেখুন ৯৭% জীব বিজ্ঞানি একে গ্রহন করেছে আর বা ৩% হ্যা না কিছুই বলেনি।
এই হাইপোথিসিস প্রমাণিত হয়েছে ডিএনএ টেস্ট আবিষ্কার হওয়ার পরে, ফসিল সমুহের ডিএনএ টেস্ট করার পরে। এর পর একে থিওরি বলা হয়েছে।
সুরা ৪১ হাম্মিম সেজদার ৭ থেকে ১২ নাম্বার আয়াত গুলো পড়ে কি বুঝলেন দয়া করে জানান।

৬৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩৩

এভো বলেছেন: মমহাজাগতিক চিন্তা,,,,, আপনার উদ্দেশ্যে ৪২ নং মন্তব্যটা করেছিলাম, সেটা একটু পড়ে আসেন, আপনি আবার চক্রবাজি ফালাসি শুরু করেছেন, আপনার চক্রবাজি আচরনের ব্যখ্যা করা হয়েছে আমার ৪২ নং কমেন্টে

৬৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: @ এভো: এ পোষ্টে আমি সৃষ্টিকর্তার প্রমাণ নিয়ে হাজির হইনি। আমি শুধু পোষ্ট দাতাকে বুঝাতে চেয়েছি যারা মুমিন নয় তাদেরকে মুমিন বানাতে গেলে প্রমাণ লাগবে। প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস/অবিশ্বাসের যে কোন একটি কিভাবে গ্রহণ করা যাবে? কে সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করতে পারলো কি পারলো না সেটা মূখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো প্রমাণটা দরকারী কিনা। প্রমাণ লাগবে আমার নিজের জন্য এবং অপরের জন্য। আমার নিকট যা প্রমাণ আছে তা’ আমার নিজের জন্য যথেষ্ট। তা’ আমি ছাড়া আর কারো জন্য যথেষ্ট হলে সেটা তার কাজে লাগবে। আর সেজন্যই আমি বই লিখেছি বা আরো লিখব। আর আমার উপস্থািপিত প্রমাণ যাদের কাজে লাগে না তাদের জন্য মূলত আমার কিছুই করার নেই। আল্লাহ নিজেই তো সবাইকে তাঁর কথা বুঝাতে পারেননি। এখনো বেশী সংখ্যক মানুষ তাঁর কোরআনকে তাঁর বাণী মানে না। সুতরাং আমিও যদি অনেক লোককে বুঝাতে অক্ষম হই তাতেও কোন সমস্যা নেই। হুমায়ুন আজাদ কি তাঁর অবিশ্বাস সবাইকে বুঝাতে পেরেছেন? সৃষ্টির কর্তার বিশ্বাস/অবিশ্বাস বুঝানোর ক্ষেত্রে সাফল্য/ব্যর্থতা সবার আছে এবং থাকবে। তথাপি যে যা বুঝে সে অন্যদেরকে সেটা বুঝাতে চেষ্টা করে এটা সচরাচর দেখা যায়। একদল লোক বলছে এ বুঝানোটাই ঠিক না। তাদের কথাতেও সবাই একমত হতে পারছে না। আপনি আমার কথা বলছেন, কিন্তু আপনি আপনার কথা কাকে কতখানি বুঝাতে পেরেছেন? তথাপি আপনার কথা আপনার বুঝানো কি বন্ধ আছে? তাহলে আমার কথা আমার বুঝানো বন্ধ হবে কেন? তথাপি মডু আমাকে ব্যান মেরেছে। আমিও ফেসবুকের অনেক গ্রুপে পোষ্ট দিয়ে এসেছি। অনেক গ্রুপে এরমধ্যে আমার পোষ্ট এপ্রুভও হয়েছে। এভাবেই দিন কেটে যায়। কেউ পথ আগলে দাঁড়ালেও কেউ পথ ছেড়ে দেয়। আর এভাবেই যাত্রা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে এসলাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং মুসলিম সংখ্যা বেড়েই চলছে। আমাদের সাকুল্যে ইচ্ছা মুসলিম বাড়ানো তবে তা’ হচ্ছে তো। কাজেই আমরা হতাস নই।

৬৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এভো আপনার ধৈর্য আছে। আপনার ধৈর্য্যের প্রশংসা করি। সনেট কবি ও লাবলু ভাই আপনারা সহ যারা মন্তব্যে করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ।

৭০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: @ এভো: ৬৫ নং কমেন্টে আমি কোরআনের কয়েকটি আয়াত ও হাদিস কি বুঝালাম সেটা উপস্থাপন করেছি। রাসূল (সা) বলেছেন, তাঁর পক্ষ থেকে একটি আয়াত হলেও প্রচার কর। এ পোষ্টে অনেক লোক সমাগম বিধায় আমি কয়েকটি আয়াত প্রচার করলাম। এর দ্বারা কেউ উপকৃত হলে ভালো, না হলেও কিছু করার নাই। আমি তো রাসূলের (সা) আদেশ পালন করলাম। আশাকরি এতে আমার আমাল নামা সাওয়াব যোগ হবে।

৭১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

এভো বলেছেন:
@ মহাজাগতিক চিন্তা -----
কোরান ৪৮:১৬ – তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ-না তারা মুসলমান হয়ে যায়।

একটু ব্যাখা করবেন কি ? মুসলমান না হওয়া পর্যন্ত কেন যুদ্ধ করে যেতে হবে ? তারা যদি কাফের থেকে সারেন্ডার করে , সেটা চলবে না -- মুসলমান হতেই হবে ?

সুরা তওবার ৫ নং আয়াত -- অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


এই আয়াতটা কোন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছিল বলবেন কি ?
মনে রাখবেন সুরা তওবা নাজিলের ক্রম অনুযায়ি ১১৩ তম সুরা । মহা নবী মারা যাওয়ার কয়েক মাস আগে নাজিল হয়েছিল এবং তখন মক্কা মদিনা সহ আশে পাশের সব আরব ভূমি মুসলমানদের দখলে । এই আয়াত মককা মুশরিকদের উদ্দেশ্যে নাজিল হয়ে ছিল ।

তাদের হত্যা করার কথা বলা হয়েছে -- যদি তারা তওবা করে , নামাজ কায়েম করে , যাকাত আদায় করে ---- অর্থাৎ তারা যদি মুসলমান হয়ে যায় তাহোলে ছেড়ে দিতে হবে এবং যদি মুসলমান না হয় তাহোলে হত্যা করতে হবে । ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে বেচে যাবে , না করলে মেরে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ আছে এই আয়াতে ।
বাচতে চাও তো ইসলাম ধর্ম গ্রহন কর , না করলে মৃর্তু
একটু ব্যাখা করবেন কি ?
এই আয়াত টা যেহেতু শেষের দিকের সুরার তাই নীচের এই আয়াত গুলো সব মানসুখ বা বাতিল হয়ে যায় । সুরা তাওবার ৫ নাম্বার আয়াত নাজিল হওয়ার সাথে সাথে নীচের আয়াত গুলো মানসুখ হয়ে গেছে ।

লাকুম দীন নুকুমওয়ালিয়া দীন ( তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে) অথবা লা ইকরাহা ফি দীন ( ধর্মে কোন জবরদোস্তি নেই ) , ইউনুস ৯৯ − “তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তি করিবে ইমান আনিবার জন্য?” কাহ্ফ ২৯ − “যার ইচ্ছে বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক।” নিসা ৮০ − “আর যে লোক বিমুখ হইল, আমি আপনাকে (হে মুহম্মদ!) তাহাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করি নাই।”

৭২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




সাসুম বলেছেন: ইয়া আল্লাহ, উনারে যে সামু ব্লগে আইনা ছাইড়া দিছিল তুমি তার বিচার কইরো মাবুদ!!!

এত যন্ত্রনা আর সয়না!



হা হা হা……
I’m sorry I can’t stop laughing =p~



৭৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১০

সোনালি কাবিন বলেছেন: মহা সমন্বয় নিজে তো ছিল অবিশ্বাসী। কিন্তু এই বাকোয়াজ উদ্ভট কুযুক্তিবিদ ধর্মান্ধকে কেন যে এই ব্লগ চিনাইল!!

আল্লাহ! আল্লাহ তুমি বিচার কর।

৭৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: লাবলু সাহেব,,,, আমি যে বিষয়ে কোন প্রশ্ন করি নি, সে বিষয় নিয়ে লেখেন না, আপনি সুরা হামমিম সিজদার ১২ নং আয়াত নিয়ে কেন পরে আছেন, ৮, ৯,১০,১১ গুলো পড়ে তারপর ১২ নং আয়াত পড়ুন, তারপর তার উত্তর দিন।
ভাইগো আমি তো সুরা সেজদা’র ৮,৯,১০, ১১, ১২ নং আয়াত বারে বার পড়েছি।
“নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার” আয়াত৮
এর আয়াতটির অর্থ আপনাকে বুঝানো লাগবে না আপনি নিশচয় বুঝতে পারছেণ।
“বলুন, তোমরা কি তাঁর সাথেই কুফারী করবে। যিনি যমীন সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ তৈরী করছ? তিনি সৃষ্টিকুলের রব্ব্‌!” আয়াত ৯
এ আয়াতটি আপনাদের বলা হচ্ছে কারন যারা স্রষ্টার বিপক্ষে বিজ্ঞানকে দাড় করাচ্ছে। মানুষেরই সৃষ্টি বিজ্ঞানকে মানুষেরই দেবতা বানায়ে দিচ্ছেন। আয়াতটিতে দুটি দিনের বর্ননা করা হচ্ছে।
১ম ইওম বা দিন : ১৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে বিগ ব্যাংয়ের সংঘটন। এর মাধ্যমে বস্তু ও শক্তি অস্তিত্ব লাভ করে। বিজ্ঞানের মতে সৃষ্টির শুরুতে এই মহাবিশ্ব ক্ষুদ্র একক বিন্দুর মত ছিল এবং কোন অন্তর্বস্তু ছিল না, অর্থাৎ সৃষ্টির শুরু হয়েছিল শুন্যতা বা অনস্তিত্ব থেকে। (২:১১৬), (২:১১৭) ও (২০:৩০) ইত্যাদি আয়াতগুলো পর্যালোচনা করলে এই ইংগিত পাওয়া যায় যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এর মাঝে যা কিছু আছে সবই সর্বশক্তিমান আল্লহতায়ালার অসীম শক্তির মাঝে বিলীন ছিল এবং তাঁরই একান্ত অনুগত ছিল। (৫১:৪৭) নং আয়াতে দেয়া তথ্য অনুসারে যেহেতু সকল শক্তির আধার আল্লাহ মহান স্রষ্টা, সুতরাং শক্তি থেকেই যে সৃষ্টির শুরু হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বিজ্ঞানও অর্থাৎ অপেক্ষবাদ এবং কণাবাদী বলবিদ্যা শক্তি থেকে বস্তু সৃষ্টি অনুমোদন করে। মহান আল্লহতায়ালা যখন সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তখন থেকেই অর্থাৎ সেই অসীম শুন্যতা বা অনস্তিত্ব (২:১১৭) বা বস্তুহীন পরিবেশে কোন এক অজ্ঞাত ক্ষণে সৃষ্টিকালীন সময়ের ( ১ম ইওম বা দিনের ) সূচনা ঘটে। (৫১:৪৭) নং আয়াতে সামা- আ বলতে সম্ভবত এমন এক আকাশকে বোঝান হয়েছে যে আকাশ শুধুমাত্র বলবাহী মৌল-কণিকা দ্বারা ভরপুর ছিল এবং ডাইমেনশন বা মাত্রাগত পার্থক্য না থাকায় সেই আদি একক আকাশে কোন স্তর-ভেদ ছিল না। ফলে সপ্ত-আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির আদি পর্যায়ে একক আকাশ রূপে একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল। পরবর্তীতে মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর অসীম ক্ষমতাবলে সেই একক আকাশকে মহাসমপ্রসারীত করেন এবং ডাইমেনশন বা মাত্রাগত ছকে সাজিয়ে পৃথিবী ও সপ্ত-আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেন। আমরা হয়ত সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার ক্ষণটি অর্থাৎ ভরবাহী মৌল কণিকা গঠনের ক্ষণটিকে সঠিকভাবে খুঁজে পাবার সামর্থ রাখি। কিন্তু মহাবিশ্ব সৃষ্টির ক্ষেত্রে বস্তুহীনতা বা অনস্তিত্ব বা চরম শুন্যতার একটা পর্যায় ছিল এবং সেই অসীম শুন্যতায় শুধু অসীম শক্তি বিরাজমান ছিল। এভাবে যে কতটা সময় অতিবাহিত হয়েছে তা সঠিকভাবে নিরুপণ করা কখনই সম্ভব নয়। কারন আমাদের জীবন ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা স্থান ও কালের যে মাত্রা বা ডাইমেনশনের বেড়াজালে আবদ্ধ, সৃষ্টিকালীন আদি বা প্রাথমিক পর্যায়টি ছিল সেই মাত্রা বা ডাইমেনশন বহির্ভূত ঘটনা। কারণ তখন স্থানের কোন অস্তিত্ব ছিল না। সুতরাং মহাবিশ্ব সৃষ্টির আদি পর্যায়ের ঘটনাচক্র ও আদি কাল বা সৃষ্টি শুরুর সময় সম্পর্কে আমরা অনুভবের আলোকে কিছুটা ব্যাখ্যা করতে পারলেও পূংখ্যাণুপূংখভাবে বিশ্লেষণ করা সত্যিই অসম্ভব।

উপরের আলোচনা থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার ইচ্ছা থেকে কোন এক অজ্ঞাত সময়ে সৃষ্টিকালীন ১ম-ইওম বা দিনের সূচনা ঘটে এবং তখন আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহাশক্তি অর্থাৎ (২৪:৩৫) জ্যোতির উপর জ্যোতি সম্ভবত প্রচন্ডতম তাপশক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ব্যাপী প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ বলবাহি মৌল কণিকাগুলো ( গ্লুয়ন, ফোটন ইত্যাদি ) (২:১১৬) সম্মিলিতভাবে ঘনিভূত ও তরলিত শক্তিরূপে বিরাজ করছিল। বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, বলবাহী মৌল কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি ( Exclusion principle ) মানে না। আর যে কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি মানে না তারা সবাই চুপসে মোটামুটি একরকম ঘন একটি স্যুপ ( Soup = hot, dense plasma) তৈরী করে। সুতরাং সৃষ্টিকালীন প্রাথমিক পর্যায়ে কল্পিত বলবাহী মৌল কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি বিবর্জিত অবস্থায় উত্তপ্ত, ঘনিভূত ও তরলিত (hot, dense plasma) শক্তিরূপে একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ ছিল এবং তখন (১১:৭) সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহতায়ালার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (আরশ) সেই স্যুপ অর্থাৎ উত্তপ্ত, ঘনিভূত ও তরলিত গন্ডিবদ্ধ শক্তির (পানির) উপর নিবদ্ধ ছিল। সৃষ্টির আদি পর্যায় থেকেই যে এই মহাবিশ্বে পানির উপস্থিতি ছিল (১১:০৭) নং আয়াতটি সেই সাক্ষীই বহন করছে। এভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় ( অতি ক্ষুদ্র বা বৃহৎ কাল ) অতিবাহিত হবার ফলে *[ দূর্বল কেন্দ্রকীয় বলের ( Weak neuclear force ) উদ্ভব হবার পূর্বে ]* বলবাহী মৌল কণিকাসমূহের মধ্যে পারস্পরিক অভিক্রিয়া শুরু হয় এবং ১ম-ইওম বা দিনের সমাপ্তি ঘটে।

২য়-ইওম বা দিন সৃষ্টিকালীন ১ম-দিনের সমাপ্তির সাথে সাথে ৯ বিলিয়ন বছর আগে বলবাহী মৌল কণিকাগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক অভিক্রিয়া শুরুর ক্ষণ থেকে ২য়-ইওম বা দিনের সূচনা ঘটে এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহাশক্তি ( নিয়ন্ত্রিত তাপশক্তি+বলবাহী মৌল কণিকাসমূহের মধ্যকার পারস্পরিক অভিক্রিয়া ) একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ( ২য় দিন ) ব্যাপী প্রয়োগের ফলে দূর্বল কেন্দ্রকীয় বলের ( Weak nuclear force ) উদ্ভব ঘটে। এই বলের প্রভাবে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ভরবাহী মৌল কণিকা ( কার্ক, নিউট্রিনো ইত্যাদি ) সৃষ্টি করা হয়। যেহেতু বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, অর্ধেক চক্রণ বিশিষ্ট কণিকা অর্থাৎ ভরবাহী মৌল কণিকাগুলো দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত পদার্থ গঠিত হয়েছে। সুতরাং (৪১:৯) নং আয়াত অনুসারে সৃষ্টিকালীন দুই দিনে অর্থাৎ ১ম ও ২য় দিনের ( দুটি নির্দিষ্ট সময়েয় ) পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অর্ধেক চক্রণ বিশিষ্ট ভরবাহী মৌল কণিকা যেমন কার্ক, নিউট্রিনো ইত্যাদি সৃষ্টির ক্ষণ থেকেই পৃথিবী সৃষ্টির ভিত্তি বা সূচনা ঘটে।

৭৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮

এভো বলেছেন: রাশিদুল ইসলাম লাবল-- আপনার ৭৪ নং কমেন্টটা পড়ে আমার গরুর রচনার কথা মনে হোল । এক ছাত্র গরুর রচনা মুখস্ত করে এসেছিল কিন্তু পরিক্ষায় এসেছে নদির রচনা, তখন সে গরুকে নদিতে ফেলে দিয়ে গরুর রচনা লিখা শুরু করেছে ।

৪১--৯ বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
এখানে সবার আগে আল্লাহ পৃথিবীকে সৃষ্ঠি দুই দিনে , এবং পৃথিবীকে যে সবার আগে তৈরী করা হয়েছে সেটা সমর্থন করে এই আয়াত ---- সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩০
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? ------ এই আয়াত থেকে বোঝা যায় আকাশ মন্ডলি এবং পৃথিবী আগে থেকেই তৈরি ছিল কিন্তু তাদের মুখ বন্ধ ছিল । যখন আল্লাহ মুখ খুলে দেয় তখন পৃথিবী এবং আকাশমন্ডলি ( যেটা ধুম্রকুঞ্জ ছিল ৪১-১১) বেরিয়ে আসে , সে হিসাবে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন বৎসর হওয়ার কথা ।

৪১-১০ তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
------ এই আয়াত থেকে বোঝা যায় প্রথম দুই দিনে পৃথিবীকে ফর্ম করার পরে তৃতিয় দিনে অটল পর্বত মালা স্থাপন করা হয় এবং চতুর্থ দিনে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন । তারে মানে চতুর্থ দিনে সব প্রাণী গাছ পালা সৃষ্ঠি করেছেন , তানা হোলে কাদের জন্য ৪ নং দিনে খাদ্যের ব্যবস্থা কোরলেন ।

৪১-১১ অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম
---- চার দিন পার হওয়ার পরে আল্লাহ আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যেটা ছিল ধুম্রকুঞ্জ ---- তারমানে তখন কোন তারা সুর্য নক্ষত্র সৃষ্ঠি হয় নি , সব ছিল ধুম্রকুঞ্জ

৪১-১২ অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
-- তার আকাশকে বিন্যাশ করলেন সুর্য নক্ষত্র সৃষ্ঠি কোরলেন ।

কি বুঝলেন এখন ? পৃথিবী সৃষ্ঠি হয়েছে সূর্যের আগে , সুর্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবী সৃস্ঠি হয় নি । সুর্য এবং তারাকা রাজি সৃষ্ঠি হওয়ার আগে পৃথিবীতে জীব যন্তু গাছ পালা সৃষ্ঠি হয়ে গেছে এবং তাদের খাদ্যের ব্যবস্থ হয়েছে চতুর্থ দিনে ।
তাহোলে ৫ম দিনে সুর্য নক্ষত্ররাজিকে সৃষ্ঠি করা হয়েছিল ।
এবার বলুন চারদিন পর্যন্ত তো কোন সুর্যই ছিল না -- তাহোলে দিন টা হোল কি করে সুর্যের আলো ছাড়া । সুর্যের আলো এবং তাপ ছাড়া পানি বাস্পায়িত হোয়ে তারপর মেঘ হয়ে বৃষ্ঠি পাত কি করে হোল এবং গাছ গাছরা কি ভাবে শালোক সংশ্লেসন করে খাদ্য গ্রহন করে বাচা থাকলো ।
বিজ্ঞান বলে ৪ বিলিয়ন বৎসর আগে পৃথিবী সুর্য হতে বিছিন্ন হয়ে সৃষ্ঠি হয়েছে কিন্তু কোরান অনুযায়ি পৃথিবীকে প্রথম ২ দিনে বানান হয়েছে -- ৩য় ও দিনে পাহাড় পর্বত এবং ৪র্থ দিনে প্রাণী সৃষ্ঠি করে , তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করে , ৫ম দিন হতে সুর্য নক্ষত্র কে সৃষ্ঠি করে বিন্যাশ করা হয়েছে ।
সুর্য আলো সৃষ্ঠি হয় ৫ম দিন হতে -- তাহোলে প্রথম ৪ টা দিন কি করে দিন হোল যদি সুর্য ৫ম দিনে সৃষ্ঠ হয় ? প্রথম চারটা তথাকথিত দিনে তো সুর্যই ছিল না ।

৭৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:২৬

এভো বলেছেন:


৭৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার বোঝা উচিত ছিলো ১০, ১১, ১২ আয়াত সম্পর্কে এখনও লিখি নাই। কোন কারনে লেখা অসম্পূর্ন । আপনার প্রশ্ন করার দরকার ছিলো আয়াত গুলে আমি লিখি নাই কেনো? অথচ বাজে এক কমেন্ট করলেন কমেন্ট নাং ৭৫। বিরোধীতা করার জন্য বিরোধীিতা করেন নাকি বুঝি না। হ্যা পৃথিবী সৃষ্টি করার টোটাল ২ দিনের হিসাব দিয়েছি কমেন্ট নং ৭৪। আপনার প্রশ্নের উত্তর তো দিবোই। ব্যস্ততার ভারে লিখতে সময় লাগছে।

৭৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এবার আমি ১০ নং আয়াতের ব্যাক্ষা দিচ্ছি। শোনেন.......।
“আর তিনি স্থাপন করেছেন অটল পর্বতমালা ভূপৃষ্ঠে এবং তাতে দিয়েছেন বরকত এবং চার দিনের মধ্যে এতে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন সমভাবে যাচ্ঞাকারীদের জন্য।”
@ এভো এই আয়াতের ব্যাক্ষা আপনাকে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি যথেষ্ট বোঝেন। তারপরও আপনাকে বলতে হবে কারন আপনি নাস্তিক। নীহারিকা মতবাদে পৃথিবী বা জমিন সৃষ্টি হলেও মেঘ বায়ুমন্ডল সমস্তটাই এক ঐক্যবদ্ধ ছিলো। ঐক্যবদ্ধতার মধ্যদিয়েই পবর্ত সৃষ্টি হতে থাকে ভুকম্পন অনুভূত হয়। পর্বত সৃষ্টির কারণ হলো ভূ-ত্বকের শিলারাশিতে প্রবল পার্শ্ব চাপ। তবে এই পার্শ্ব চাপের উদ্ভব ঠিক কিভাবে ঘটেছে সেই সম্পর্কে অবশ্য ভূ-ত্ত্ববিদগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এই সম্পর্কিত প্রধান প্রধান ধারণাগুলো হলোঃ উত্তপ্ত পৃথিবীর শীতলতা লাভের সময় এর শিলাসমূহের গাঠনিক ও ভৌতগুণাবলীর ভিন্নতার কারণে কোনো কোনো শিলা বা স্থান অধিক দ্রুত শীতল হলেও এর পার্শ্ববর্তী শিলা বা স্থানগুলো তখনও উত্তপ্ত অবস্থায় থাকার ফলে তাদের মধ্যে একপ্রকার টানের সৃষ্টি হয়; যার ফলে এধরনের স্থানগুলোতে অসমান ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়। আলফ্রেড ওয়েগনার তার ভাসমান ভূ-ভাগ বিষয়ক ধারনায় এই মতবাদ ব্যক্ত করেন যে, পৃথিবীর প্রধান প্রধান প্লেটগুলো সর্বদা সচল থাকার ফলে যখন সেগুলো পরস্পর সন্নিকটবর্তী হয় ভূ-ভাগ প্রবল চাপে উথ্খিত ও অবনত হয়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি করে। তাছাড়া পৃথিবীর অন্তর্জাত শক্তির ফলে সৃষ্ট টান বা প্রসারন এবং সংকোচন বা পার্শ্বচাপের ফলে ভূত্বকে যে ফাটল বা চ্যুতির সৃষ্টি হয় সেই ফাটল বা চ্যুতি বরাবর ভূত্বকের কোন একটি অংশ উপরে উঠে গিয়ে বা পার্শ্ববর্তী অংশ নিচে বসে গিয়েও পর্বতের সৃষ্টি হয়।
এই পর্ব ত সৃষ্চির কালে জমিনের অভ্যন্তস্থ মেঘমা পৃথিবীর অভ্যন্তরে ক্রীয়া বিক্রীয়া ঘটাতে থাকে। তারা ভূমীর অভ্যন্তরস্থ জমাট বাধলেও ভূমীর অভ্যন্তর থেকে বেরেোতে পারে নাাই। পর্বত সৃষ্টির সাথে বরকত শব্দটির অর্থ কি বুঝলেন বিভিন্ন খনিজ সম্পদ যা ভুমীর অভ্যন্তরে এবং পবর্তময় সৃষ্টি হয়েছিলো।
ভূমীর অভ্যন্তরে এমন কিছু উপাদান ছিলো যা পৃথিবীতে প্রাণ উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিলো। জমিনের অভ্যন্তরে এমন কোন ব্যপক চাপ সৃষ্টি করতে পারে নাই যাতে পৃথিবীময় অগ্নুৎপাত ঘটবে। আর এই ব্যপক তাপ ও চাপের কারনে ভূমীর অভন্তরে সৃষ্টি হতে থাকে উদ্ভিদ জাতীয় প্রান ও প্রাণ সৃষ্টির বিভিন্ন উপকরণ যা পরবতীর্তে প্রাণ সৃষ্টিতে ভূমীকা রেখেছে এই প্রাণ সৃষ্টির উপাদানকে খাবার বলে অভিহিত করা হয়েছে।

৭৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:১০

জ্যাকেল বলেছেন:


এই মহাবিশ্ব আন-স্টেবল। যেকোন সেকেন্ডে এই স্টেবল ইউনিভার্স শেষ হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞান বের করতে পারেনি এই অস্বাভাবিকতার রহস্য। কারণ আল্লাহর নির্দেশেই এই মহাবিশ্ব স্থির হয়ে আছে। আল্লাহর অন্য নির্দেশ যখন আসবে তখনই সম্ভবত কেয়ামত সংঘটিত হবে যাহা অবিশ্বাসীরা অস্বীকার করে। তারা এই সীমিত পরিমাণ জ্ঞান নিয়ে যে গরিমা দেখাচ্ছে সেটা সাগরের এক বিন্দু পানির মত। এই তুচ্ছ জ্ঞানকে ধর্মের মত যারা মান্য করতেছে তাদের কাছে আল্লাহর পবিত্র জ্ঞান নিয়ে এত কথা বলাটাই অযৌক্তিক। এদের অন্তরে সম্ভবত আল্লাহ তাআলা মোহর মেরে দিয়েছেন, দুর্ভাগ্য তাদের।
তাই লাবলু সাহেব'কে বলব- তর্ক করার জন্য যারা তর্ক করে আপনি কখনোই তাদের হারাতে পারবেন না।

৮০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:১১

জ্যাকেল বলেছেন:

৮১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৪২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ। অতঃপর তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস।’ ওরা বলল, ‘আমরা তো অনুগত হয়ে আসলাম” আয়াত নং ১১
“তারপর তিনি দু’দিনে আসমানসমূহকে সাত আসমানে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেক আসমানে তার কার্যাবলী ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন। আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।” আয়াত নং ১২

@ এভো ১১ নং আয়াতে আপনি আসমান বলতে সুর্য গ্যালাক্সি এসব বুঝলেন কেনো আমি বুঝলাম না? আল কোরানে আসমান বলতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে বোঝানো হয়েছে। কোথাও আসমান জমিন বলতে শক্তি ও বস্তু মিনিং করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আসমান বলতে বায়ুমন্ডল বোঝানো হয়েছে। ঠিক এরকমই একটি আয়াত আছে আলকোরানে এই আয়াতটির সাপেক্ষে। এরপর সুরা আম্বিয়ার ৩২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে , ⦁ وَجَعَلْنَا السَّمَاءَ سَقْفًا مَحْفُوظًا ۖ وَهُمْ عَنْ آيَاتِهَا مُعْرِضُونَ ⦁“ আর আমি আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ, কিন্তু এ সবের নিদর্শন থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। ” এখন এই আয়াতে উল্লিখিত একটি শব্দ পাওয়া যাচ্ছে যেটা হচ্ছে ( سَقْفًا ) সাক্কফান । এই শব্দের দুটি অর্থ আছে সেই দুটি অর্থ নিম্নরূপঃ ⦁ ছাদ , চাল , ছাউনি ⦁ আচ্ছাদান , আবরণ । প্রথমেই বলে নেয়া ভালো যে , এখানে সুরক্ষিত বলা হয়েছে একটি কারণে । এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে , আকাশ কিভাবে সুরক্ষা প্রদান করে ? তাহলে এর উত্তর টা বেশ সহজ । প্রথমেই বলে নেয়া ভালো যে , এখানে সুরক্ষিত বলা হয়েছে একটি কারণে । অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে , আকাশ কিভাবে সুরক্ষা প্রদান করে ? এর উত্তর টা বেশ সহজ । আমরা জানি আকাশকে বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু স্তরে ভাগ করেছেন এইসকল স্তরগুলো হচ্ছে , ⦁ ট্রপোস্ফিয়ার Troposphere) ⦁ স্ট্রেটোস্ফিয়ার (Stratosphere) ⦁ ওজোন স্তর ( Ozone Layer ) ⦁ মেসোস্ফিয়ার (Mesosphere)
⦁ থার্মোস্ফিয়ার(Thermosphere) ⦁ আয়নোস্ফিয়ার(Ionosphere) ⦁ এক্সোস্ফিয়ার( Exosphere) ( সূত্রঃ উইকিপিডিয়া ) ।
এখন প্রশ্ন হল এইসকল স্তর কিভাবে পৃথিবীকে সুরক্ষতি রাখবে ? আসলে স্তরসমূহ পৃথিবীর জন্য ঢালের ( Shield ) এর মত কাজ করে । এই স্তরের মধ্যে ওজোন স্তর (Ozone layer) হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। এই স্তর থাকে প্রধানতঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কি:মি: উপরে অবস্থিত । বায়ুমণ্ডলে ওজোনের প্রায় ৯০ শতাংশ স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওজোনস্তরে ওজোনের ঘনত্ব খুবই কম হলেও জীবনের জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি এটি শোষণ করে নেয়। ওজোন স্তর সূর্যের ক্ষতিকর মধ্যম মাত্রার(তরঙ্গদৈর্ঘ্যের) শতকরা ৯৭-৯৯ অংশই শোষণ করে নেয়, যা কিনা ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থানরত উদ্ভাসিত জীবনসমূহের সমূহ ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম। ঠিক এভাবে বিভিন্ন স্তর আকাশের অর্থাৎ এককথায় আকাশ পৃথিবীকে সুরক্ষিত করে রেখেছে। আচ্ছাদিত করে । এই আয়াত দ্বারা আমরা বুঝলাম আকাশ বলতে বায়ুমন্ডল যা মানুষকে ছাদ হিসেবে রক্ষা করছে মহাকাশের বিভিন্ন রে থেকে। বায়ুমন্ডলই হচ্ছে েএকমাত্র ব্যাক্ষা।

@ এভো “অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ। অতঃপর তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস।’ ওরা বলল, ‘আমরা তো অনুগত হয়ে আসলাম” পুথিবীর বায়ুমন্ডল এবং পানি যা অক্সিজেন হাইড্রোজেন গ্যাস রুপে পৃথিবীর সাথে সাথেই গতিময় ছিলো। পৃথিবী নামক উত্তপ্ত গ্রহ সাথে ধুম্রপুঞ্জ রুপে গ্যাসিয় বায়ুমন্ডল দুটিকে আল্লাহ এক ও ঐক্যবদ্ধ করার বাসনা করলেন। সৃষ্টি করলেন বায়ুমন্ডলের ৭ টি স্তর। এবং মেঘমালা। যা পৃথিবীর সাথে এক ঐক্যবদ্ধ একটি সিষ্টেমে পরিনত করলেন। এবার লক্ষ্য করুন 12 নং আয়াতের পরবর্তী অংশ“

আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।” আয়াতের এই অংশটুকু নিয়েও দেখলাম হাসাহাসি করেছেন। আসলে অংশটুকু বোঝার চেষ্টা করেন নাই। এই সুসজ্জিতি প্রদীপমালা তিনি কিভাবে সৃষ্টি করলেন? আসলে বিষয়টি বোঝেন। পৃথিবীর পাশ্ববর্তী একটি বৃহৎ সাইজের গ্রহ ছিলো
যা অকস্মাৎ ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে এস্টেরিয়েড বেল্টে পরিনত হলো। যা পৃথিবীর মতো ঘুরতে থাকলো। আমি আল কোরানের আরেকটি আয়াত দ্বারা প্রমান করার চেষ্টা করি। “আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি” । সিুরা মূলক আয়াত নং ৫।আরবী এবং ইংরেজীতেও তুলে ধরলাম।
وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِّلشَّيَاطِينِ ۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ
And we have, (from of old), adorned the lowest heaven with Lamps, and We have made such (Lamps) (as) missiles to drive away the Evil Ones, and have prepared for them the Penalty of the Blazing Fire.
খুবই প্রাঞ্জল ভাষায় একটি কথা বলা আছে। যার মধ্যে লুকিয়ে আছে ব্যপক বৈজ্ঞানিক তথ্য। আল কোরআন বুঝলে তো কোন সমস্যা থাকে না।যার অর্থ দাড়ায় “আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি” । আল্লা আকাশে এমন কিছু উপকরন প্রদীপমালা রেখেছে যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়। এমনকি কোন উপকরণ নাই যা দিয়ে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়? মনুষ্যরুপী শয়তানদের কথা বা ভূলে যাচ্ছেন কোনো? এ গুলো কি পৃথিবীতে আঘাত হানে নাই? এমন বহু সভ্যতা ধ্বংশ হয়েছে উল্কাপিন্ড বা গ্রহানুর আঘাতে। গ্রহানুর আঘাতে ফলে ভুমিকম্প সুনামি বহু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে বিলীন হয়ে গেছে মনুষ্য সভ্যতা!
১২ নং আয়াতে “ আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।” তিনি আসমানকে প্রদীপমালা দিয়ে সজ্জিত করেছেরন বলেছেন আবার ১৩ নং আয়াতে বলা হচ্ছে। “এর পরেও যদি ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (ওদেরকে) বল, আমি তো তোমাদেরকে এক ধ্বংসকর শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছি; যেরূপ শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিল আ’দ ও সামূদ;”। তাহলে আদ ও সামুদ জাতিকে ধ্বংশ করা হয়েছিলো গ্রহানুর আঘাতে যে গ্রহানু সৃষ্টি করার কথা তিনি বলেছিলেন প্রদিপমালা রুপে। আল কোরআনকে বুঝতে হবে। আল কোরআনের রুপক অর্থ বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। আমি কি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি? আপনি কি বুঝতে পারছেন সেই প্রদীপমালা কি যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করার জন্য সৃষ্টি করা! বুঝলেন না! হামীম সিজদার পরবর্তী আয়াত শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ টা দিয়ে আদ ও সামুদ জাতিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিলো? বুঝলেন কি? আকাশে এমন কিছু প্রদীপমালা সৃষ্টি করেছেন যা দিয়ে পৃথিবীতে শয়তান দ্বারা প্রলুদ্ধ জাতি স্বত্ত্বা ধ্বংশ করে দেওয়া হয়।

আল কোরআনের এমন অসংখ্য জাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা আল্লার ক্রোধে দ্বারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে ধ্বংশস্তুপে পরিনত হয়েছে, বিলীন হয়েছে। আল কোরআনে বলা আছে “৭৩. সূর্যোদয়ের সময় মহানাদ তাদের আঘাত করে। “৭৪. অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম ও তাদের ওপর কঙ্কর বর্ষণ করলাম। ৭৫. নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে। ৭৬. পথের পাশে ওই জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। (সুরা : হিজর)

শেষ হলো হামিম সিজদা সুরা আপনার নির্ধারিত আয়াত গুলো ব্যাক্ষা । এরপরও যদি আপনি না বোঝেন তাহলে আমি ভাববো আপনি হলেন সেই লোক যাকে আলকোরআনের ভাষায় মানসিক অসুস্থ অভিহিত করছে। আল কোরআন বলে তুমি তাকে যতই বোঝাতে চেষ্টা কর সে বুঝিবে না। কারন আমি তাকে দু চোখে পর্দা দিয়েছি দু কানে পর্দা দিয়েছি”।

৮২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৪১

এভো বলেছেন: লাবলু সাহেব ------ আপনি তো সিকোয়েন্সটা সম্পুর্ন এড়িয়ে গেলেন, যে মন গড়া ব্যাখ্যা দিলেন সেটা কি কোন বিখ্যাত তফসিরে আছে। আমার ৭৬ নাম্বার কমেন্টে যে ভিডিও দেওয়া হয়েছে সেটা দেখেছেন কি।
আপনার আকাশ বিন্যাস নিয়ে যে ব্যাখা কোরলেন, যদি আপনার কথা ধরে নি, তাহোলে ওই বিন্যাস হয়ে ছিল পঞ্চম দিনে, আকাশ বিন্যাস না হোলে পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব হোত না।
কিন্তু পৃথিবিতে প্রাণের সঞ্চার গাছপালার সৃষ্টি হয়ে গেছে চতুর্থ দিনে।
সুরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতে কি বলা হয় নি পৃথিবী এবং আকাশের মুখবন্ধ ছিল, যেটা তিনি খুলে দিয়েছিলেন। সে আকাশ ছিল ধুম্রকুজ্ঞ সেটা ৪১-- ১১ বলা হয়েছে।
আকাশ বিন্যাস হওয়ার আগে চতুর্থ দিনে প্রাণী জগত সৃষ্টি হোল কি করে, তাদের খাদ্য ব্যবস্থা হোল কি করে।
সুরা ৪১ এর ৯, ১০, ১১ এব্ং ১২ পড়ে জানা গেল
১ & ২ দিনে পৃথিবী ফর্ম করা হয়েছে
৩য় দিনে পাহাড় পর্বত
৪ র্থ দিনে প্রাণী জগত সৃষ্টি এবং তাদের খাদ্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৫ম দিন ধুম্রকুজ্ঞময় আকাশকে বিন্যাস করা হয়েছে, সুর্য নক্ষত্র সৃষ্টি করা হয়েছে।
এগুলো কি বিজ্ঞানের সাথে মিলে?
এই বিষয়ে আরো সুন্দর ভাবে ব্যাখা করা হয়েছে ৭৬ নং কমেন্টের ভিডিওতে।

৮৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: লাবলু সাহেব ------ আপনি তো সিকোয়েন্সটা সম্পুর্ন এড়িয়ে গেলেন, যে মন গড়া ব্যাখ্যা দিলেন সেটা কি কোন বিখ্যাত তফসিরে আছে।
এই সব তাফসীরের কারনে আপনাদের মতো নাস্তিকদের জন্ম হয়েছে। নইলে আল কোরআনের বিরুদ্ধে টু শব্দ করার ক্ষমতা আপনাদের ছিলো না। কিন্তু বাধ্য হয়ে আবারও নিরুপার হয়ে আপনার সুরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে গেলাম।
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল*, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, আর আমি সকল প্রাণবান জিনিসকে পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না? আপনি কি লক্ষ্য করেছেন এই আয়াতটিতেই পানির কথা বলা হয়েছে এবং বোঝানো হয়েছে পানি হতে প্রাণ সৃষ্টি করা হয়েছে। ভাইরে পানিতো এই পৃথিবীতেই আছে নাকি? তাহলে আপনি বারেবার কেনো আসমান বলতে গ্যালাক্সি সুর্য বুঝে নিচ্ছেন। আসমান হলো বায়ুমন্ডল। পানি রাশির মেঘমালা। যে পানি রাশি থেকেই প্রাণ উৎপাদন সৃষ্টি করা হয়েছে।

আর আমি আসমানকে সৃষ্টি করেছি একটি সুরক্ষিত ছাদরূপে, কিন্তু তারা তার নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে । (সুরা আম্বিয়া- ২১ঃ ৩২) ।

পৃথিবীকে চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে বায়ুমন্ডল বলে। যা পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে। এই বায়ুমন্ডল পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। শ্বাস-প্রশ্বাস ও সালোকসংশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত বায়ুমন্ডলীয় গ্যাসসমূহ প্রাণ তথা জীবনের কাচামাল হিসোবে ব্যবহত হয়। বাতাসে ৭৮.০৯% নাইট্রোজেন,২০.৯৫% অক্সিজেন, ০.৯৩% আর্গন,২০.৯% কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং সামান্য পরিমাণে অন্যান্য গ্যাস থাকে। বাতাসে এছাড়াও পরিবর্তনশীল পরিমাণ জলীয় বাষ্প রয়েছে যার গড় প্রায় ১%। স্থলজ উদ্ভিদ ও স্থলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত বাতাস কেবল এই পৃথিবীর ট্রপোমণ্ডল এবং কৃত্রিম বায়ুমণ্ডলসমূহে পাওয়া যাবে। এই বায়ুমন্ডলকে প্রকৃতির দান বলা যেতে পারে। বলা যেতে পারে আল্লাহর অনুগ্রহ। এটিই আসমান বা ছাকনী। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ কিভাবে বোঝায় জানিনা তবে আমাদের ইসলা এর আধুনিক জজ্ঞান এটাই বোঝাই।

জীবনের অবিরাম গতিধারা বজায় রাখার জন্য বায়ুমণ্ডল বেশ গুরত্বপূর্ণভাবে কাজ করে যা‪চ্ছে। যখন ছোট-বড় বহু উল্কা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, তখন বায়ুমণ্ডল এদের বেশিরভাগকেই ভূপৃষ্ঠে পতিত হতে দেয় না। বায়ুমন্ডলেই জ্বালিয়ে দেয়। এভাবে পৃথিবীর জীবজগতকে উল্কা পতনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচিয়ে দেয় বায়ুমণ্ডল। তা ছাড়া মহাশূণ্য থেকে জীবিত বস্তু সমূহের জন্য ক্ষতিকর যে রশ্মি নির্গত হয় তাকে ফিল্টার করে বা ছেঁকে শোধন করে বায়ুমন্ডল। পৃথিবীতে জীবণ বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই সমস্ত দ্রব্যগুলির বিকীরণের উপস্থিতি অনস্বীকার্য। যেসব রশ্মিসমূহ জীবের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং উপকারী। সূর্য থেকে যে অতি গাঢ় আল্ট্রভায়োলেট রশ্মি নির্গত হয়, তা বায়ুমন্ডলের ওযোন স্তর দিয়ে ফিল্টার হয়; এভাবে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির অত্যন্ত সীমিত আর অতি প্রয়োজনীয় অংশ ভূপৃষ্ঠে এসে পোঁছে। বায়ুমন্ডলের সুরক্ষার কাজ এখানেই শেষ হয়না, মহাশূণ্যের প্রায় -২৭০০ সেলসিয়াসের মতো বরফ ঠাণ্ডা তাপমাত্রা থেকেও বায়ুমন্ডল পৃথিবীকে রক্ষা করে থাকে। এই বায়ূমন্ডল মহাশুন্যের হিম শীতলতাকে ভিতরে ঢ়ুকতে তো দেয় না বরং এই বায়ুমন্ডল সুর্য থেকে তাপ শোষন করে পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রাখে। এবং হিমশীতলতাকে দুরীভূত করে।

পৃথিবীকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য শুধুমাত্র এই বায়ুমন্ডলই কাজ করে না । বরং এই বায়ুমন্ডলের সাথে ভ্যান এ্যালেন বেল্ট নামে একটি চুম্বকীয় ক্ষেত্র রয়েছে । যেটা একই ভাবে সমস্ত ক্ষতিকারক বিকীরণের বিপরীতে রক্ষাকবচ বা ঢাল হিসাবে কাজ করে । বায়ুমন্ডল এবং ভ্যান এলেন বেল্ট না থাকলে আজ হয়তো আমরা মানুষেরা এই পৃথিবী রাজত্ব করতে পারতাম না। স্যার Van Allen পৃথিবীবাসীর কাছে গবেষনালব্ধ ফলাফল প্রকাশ করে বলেন যে, আমাদের পৃথিবী পৃষ্ঠের নীচে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী Magnetic field আছে যা আমাদের বায়ুমণ্ডলের চারপাশে একটি বেল্টের মতো বলয় সৃষ্টি করেছে, পরবর্তীতে আরো অনেক গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীগণ এ বিষয়ে নিশ্চিত হন। ‘ভ্যান এলেন বেল্ট’ নামক এই প্রানীকূল রক্ষাকারী বুহ্যটি পৃথিবী হতে ১০০০ কি:মি: পযর্ন্ত বিস্তৃত যা পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভাগ বা এর কেন্দ্রের Iron Core (আইরন কোর) চুম্বক ক্ষেত্র তৈরীতে গুরুর্ত্বর্পূণ ভূমীকা রাখে। এই চুম্বক ক্ষেত্রটি পৃথিবীর কেন্দ্রের চুম্বকীয় ধাতু লোহা নিকেল দ্বারা সৃষ্টি হয়। এই Iron Core টির দুটি অংশ আছে Outer Core এবং Inner Core। Inner Core কঠিন পর্দাথ দ্বারা তৈরী এবং Outer Core তরল পদার্থ। এ দুটি লেয়ার পরস্পর বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে এবং তাদের এই ঘুর্ননের কারনে ভূচুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরী হয়। এই চুম্বকীয় ক্ষেত্র বায়ুমন্ডলের স্তরকে ধরে রাখে।

যদি মানতে ন চান! অযথা তর্ক করতে চান তাহলে আর তর্ক করবো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.