নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার বুদ্ধি খাটালে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট ভাঙ্গা কঠিন কোনো কাজ নয়।★★

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৮


আমাদের সরকার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করে থাকে। পণ্য বা সেবার যোগান এর চেয়ে এই সিন্ডিকেটের দায়কে বেশি বড় করে দেখা হয়। তবে এই দেখাটা অবশ্যই সত্যি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে শিল্প-কারখানার প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানির ক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেট প্রভাব রাখে। এর আগেও বলেছি মনোপলি ব্যবসার কারনে সাধারণ ব্যবসায়ী ও নাগরিকরা সরকারের অনেক ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। চাইলেও এসব কথিত ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে কেউ ঘাস খেতে পারেনা! সরকার এদের কাছে জিম্মি আবার বলতে গেলে এরাই সরকার!

যাক আপাতত এদেরকে সরকার থেকে আলাদা করে রাখলে এটার সমাধান করা কি সরকারের পক্ষে সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানির ক্ষেত্রে সরকার সিন্ডিকেট আমদানিকারকদের সাথে দেন-দরবার না করে, সাধারণ পাইকারদের মাঝে সমবায় করে দিতে পারে। অথবা তাদের এটার উপকারিতার কথা জানান দিতে পারে। একজন পাইকারের পর্যাপ্ত অর্থ থাকে না আমদানি করার জন্য। তবে যদি ১০০জন পাইকার সমবায়ের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করে সেক্ষেত্রে তারা কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবে। এক্ষেত্রে বাজারের সিন্ডিকেট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। প্রত্যেকেই পণ্যের স্টক সম্বন্ধে জানতে পারবে, পন্যের ক্রয় মূল্য সম্পর্কে ধারণা থাকবে এবং সমবায় হওয়ার কারণে সরকারের সমবায় মন্ত্রণালয়ও সব বিষয়ে জ্ঞাত থাকবে।
এভাবে যদি সরকার উদ্যোগ নিয়ে তেল আমদানিকারকদের একটা সমবায়, ডাল আমদানিকারকদের একটা সমবায়, পেঁয়াজ, আদা, রসুন সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য আলাদা করে বেশ কয়েকটি সমবায় করে দেয় পাইকারদের মাঝে, তাহলে সিন্ডিকেট সিস্টেম ভেঙ্গে পড়বে, আমদানি পর্যায়ে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে।
এছাড়াও সমবায়ের মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের যোগান দেওয়া ও দাম নিয়ন্ত্রণও সহজ হবে। যেসবের জন্য প্রসেনিং দরকার হবে তারজন্য প্রসেনিং ফ্যাক্টরি করে নিবে এবং সেটাও সমবায়ের অধীনে।

এভাবে পর্যায়ক্রমে সরকার নিজ দেশে যে বড় বড় ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কাজ করে তাতে সাধারণ জনগণের ইনভেস্ট করার সুযোগ তৈরি করতে পারবে। মনোপলি ব্যবসায় বেশ বড় ধরনের একটা ধাক্কা লাগবে। সরকার নিজের কাজের ব্যয় অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারবে। দেশে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন বলতে যা বুঝায় তার দিকেই দেশ এগিয়ে যাবে।

যাইহোক ওপরে একটি কথা বলেছিলাম যে, সরকার এদের কাছে জিম্মি আবার এরাই সরকার। সরকারের মাঝে এই ধরনের চিন্তাভাবনা করার মত লোকজন থাকলেও তারা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবে না বা তাদেরকে বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবেনা। এ ধরনের উদ্যোগ নিলে যদি সরকারের পক্ষ থেকে অদৃশ্য বাধা আসে তাহলে কি করনীয়? সরকার যদি সাহায্য না করে তাহলে কি এরকম সমবায় করা সম্ভব?
হ্যাঁ, সম্ভব তবে কঠিন।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: চমৎকার বিষয়

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে সহজ বিষয়, সরকার চাইলে বেশ সহজ।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সিন্ডিকেট গড়া সহজ,নাকি ভাঙা?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সিন্ডিকেট গড়া সহজ, কারন খারাপ ভাবাপন্ন মানুষের সংখ্যা এই দেশে বেশি। আর এতে অবৈধ লাভের ব্যাপার থাকে।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:


সমবায়ই সমাধান।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার লেখা, মন্তব্যে এই বিষয়টিই উল্লেখ করেছেন অনেকবার। আসলে এটাই সমাধান।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এমন সমবায় করতে গেলে আমাদের সরকার সহযোগিতা করবে বলে মনে হয়?

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর আলম হিরণ,



সুবিবেচনা প্রসূত ভাবনা। সিন্ডিকেট ভাঙতে সমবায় পদ্ধতি আসলেই কার্যকর। এমন কথা আমিও বলেছি আমার এই পোস্টে্র মাঝখানে -
মহাবেকুব জাতক কথন - এক

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার পোস্টটি আগেও পড়েছি। মোটাদাগে কথা আসলে এটাই। দেশের শিক্ষিত অংশের ভাবনা এমনই হওয়ার কথা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:


সরকারের লোকেরা ও বড় বড় ব্যবসাগুলো সমবায় করতে বাধা দিবে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এইক্ষেত্রে করণীয় কি হতে পারে?

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: সিন্ডিকেট এমন নিবিড় সখ্যতা গড়েছে সরকারের সাথে তাতে সরকার ভিমরুলের চাকে নাড়া দিতে চাইছে না । সাংসদরা এসব সিন্ডিকেট এর সাথে সম্পৃক্ত । আপনার উদ্যোগ ভাল কিন্তু কে শুরু করবে ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যদিও আমার ব্যবসা যে আইটেমে এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো পণ্যে নেই। তবে বেশিরভাগই চায়না থেকে ইনপোর্টেড পণ্য। আমাদের ব্যবসাটাও তিন চারজন ইমপোর্টার সিন্ডিকেটের মতো করেই ব্যবসা করছে। ভাবছি কয়েকজনকে নিয়ে একসাথে কিছু করা যায় কিনা। মোটামুটি আলাপও চলছে।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সরকার বুদ্ধি খাটানোর প্রয়োজন নেই, শুধু ইচ্ছে খাটানোটাই দরকার। ইচ্ছে নাই বলেই কোনো কিছু হচ্ছে না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইচ্ছেটাই আসলে মেইন। আমার মনে হয় এটা না বুঝার মত কঠিন কিছু না। সমস্যা ভাই সর্ষের মধ্যেই ভুত।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২১

সোবুজ বলেছেন: জনগনের সিন্ডিকেট দরকার।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বড় সিন্ডিকেট ভাঙতে ছোট ছোট সিন্ডিকেট দরকার।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



সমবায় একটি সমাধান, কিন্তু, তা করতে সময় লাগবে।

আর, কৃষকরা নিজেরাই এক নন। আমি মাঠে কাজ করতে গিয়ে টের পেয়েছি। নিজের ফসল কি কারণে বাম্পার দিলো, তা তাঁরা পাশের জমির কৃষকের কাছে শেয়ার করতে রাজি না। তাঁরা সিন্ডিকেটের কাছে নিজেরাই ধরা দেন।

তবে, মধ্যসত্বভোগীদের সংখ্যা কমিয়ে আনলে সিন্ডিকেট অনেক কমে যাবে।

আর, সেজন্যে, ই-মার্কেট বা মোবাইল-মার্কেট সিস্টেম ডেভেলপ করলে অনেক তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যাবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কৃষকদের এটার সুফল বুঝাতে পারলে সম্ভব। সরকার মাঠ পর্যায়ে এসে তাদের সমবায় করে দিতে পারে।

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার চাইলে, জিনিসপত্রের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা সম্ভব। প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করলেই সমস্যা অনেকখানি কমে যাবার কথা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৩৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাজার মনিটরিং করলে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে সিন্ডিকেটের কাছে পাইকার, সরকার সবাই জিম্মি সেটা থেকে মুক্তি পেতে সাধারণ পাইকারদের মাঝে সমবায় সৃষ্টির ভালো বিকল্প আর নেই।

১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৪১

সোহানী বলেছেন: সহমত। খুব প্রয়োজনীয় একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। কিন্তু কেউতো শুনে না.............

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৩৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেখানেই সমস্যা।

১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

বিটপি বলেছেন: সরকার যে দেশের কোষাগার খালি করে ফেলছে - সেদিকে হুঁশ আছে? দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে মাত্র চার হাজার আটশ কোটি ডলার। এই মুহূর্তে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। যে প্রকল্পগুলিতে এই টাকা ঢালা হয়েছে, সেখান থেকে আশানুরূপ রিটার্ন যদি না আসে, তাহলে অবস্থা কি হবে একবার ভেবে দেখেছেন?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশে যে রিজার্ভ আছে তা প্রয়োজনের চেয়ে ১০বিলিয়ন ডলার বেশি আছে। ঋণ নিয়ে বেশি অবকাঠামো উন্নয়ন বেশি হয়েছে এতে সরাসরি রিটার্ন আসবে না তবে জিডিপিতে প্রভাব রাখবে। ঋণের পরিমাণ এখনো বিপদসীমার কাছে যায়নি। হার্ড কারেন্সি ও গার্মেন্টস ভালো ব্যাকআপ দিচ্ছে।
মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করতে হবে আর এতে ছোট ব্যবসায়ীদের মাঝে সমবায়ের ভালো বিকল্প নেই।

১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

বিটপি বলেছেন: স্যরি, এই মুহূর্তে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার।

১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:৪৯

গরল বলেছেন: আমদানিকারকতো হাতে গণা দুএকটা, যেমন তেল আমদানি করে মূলত সিটি গ্রুপ, ডাল আমদানি করে মূলত ACI ও BSM গ্রুপ, গম আমদানি করে বসুন্ধরা ও স্কয়ার গ্রুপ। এরকম দশ বারোটা বড় বড় গ্রুপ দেশের খাদ্যপণ্য আমদানি করে এবং এরা নিজেরাই এক একটা ইনফ্লুয়েন্সিয়াল বডি সরকারের কাছে, অতএব সমিতি এদের দিয়ে করে কি লাভ হবে। আর একজনই হল সিন্ডিকেট, যারা রাজনীতিবিদদের চালায়। সরকার যেটা করতে পারে সেটা হল দেশে কিছু পণ্যের বাফার মজুদ রাখা, সংকটে সময় সেগুলো বাজারে ছেড়ে সমতা আনা। কারণ সরকার রিলিফের জন্য, কাবিখার জন্য ও আপদকালীন সময়ের জন্য কিছু মজুদ করে, সেটা আরো বড় করে বাজার নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগাতে পারে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সমবায় এদের মাঝে না, সমবায় হবে শ্যমবাজার, কাওরান বাজার, চট্টগ্রাম, যশোরের আড়ৎদারদের মাঝে যারা এদের থেকে কিনে আনে। সরকার টিসিবি, কাবিখা,রিলিফের জন্য যা কিনে সেটার অনেক বড় অংশও বসুন্ধরা, সিটি, এসিআই এদের থেকে কিনে।

১৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিন্তু সরকার কি বুদ্ধি খাটাবে? নাকি বুদ্ধি খাটাতে চায়না?

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি যে প্রসেসটি বলেছি এটা করতে পারে। সরকার করতে চায় না, আবার হতে পারে সরকারকে করতে দেয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.