নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে কার জয় হবে?★

০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ৭:২৭


ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে কে জয়ী হবে, এই কথাটিই পুরোপুরি সঠিক নয়। কারন যে যুদ্ধটা চলছে সেটা আদোতে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ নয়। যুদ্ধটা হচ্ছে ন্যাটো বনাম রাশিয়া। ইউক্রেনকে সামনে রেখে ন্যাটো এই ফ্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে রাশিয়ার সাথে। যুদ্ধ চালাচ্ছে বললে ভুল হবে, বলা যায় আগুন নিয়ে নাড়াচাড়া করছে ন্যাটো। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর সোভিয়েত ফেডারেশনের আগ্রাসন থামাতে ন্যাটো গঠিত হয়। সোভিয়েত ভাঙ্গার পর আসলে ন্যাটোর আর দরকার থাকার কথা না, এবং ন্যাটো আর সম্প্রসারিত করা হবে না এই কমিটমেন্টও করা হয়। কিন্তু সে কমিটমেন্ট রক্ষা করা হয়নি। পুরোনো রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত অনেক দেশকেই ন্যাটোর পেটের ভিতর ঢুকানো হয় তবুও রাশিয়া যুদ্ধ বাঁধায়নি। কিন্তু ইউক্রেন আর জর্জিয়াকে যখন ন্যাটো খোঁচাতে থাকে তখনই রাশিয়া আপত্তি দেখায় এবং এই আপত্তিটা যৌক্তিক কারনেই দেখিয়েছে রাশিয়া।
আমি রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে সমর্থন করছি না কিন্তু এটা তো সত্য ইউক্রেন সীমান্তে ন্যাটোর এটমিক মিসাইল বসলে রাশিয়া নিজেকে অনিরাপদ মনে করবেই। আর এটা একটা এটমিক শক্তিধর দেশ কিছুতেই মেনে নিবে না কোনদিন।

কিউবায় যখন রাশিয়া আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইল বসাতে চেয়েছিল তখন আমেরিকা তুমুল আপত্তি তোলে এবং তখনকার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার সাথে এই বিষয়ে সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছিল। পুতিনও কিন্তু স্পষ্ট বার্তা প্রথম দিন থেকেই দিয়ে আসছিল যে, ইউক্রেন কথা দিক তারা ন্যাটতে যোগ দিবেনা তাহলে ইউক্রেন আক্রমন নিয়ে তারা আর সামনে এগুবেনা। আরেকটা বিষয়, রাশিয়া যদি আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে এটমিক অস্ত্র বসায় সেটা আমেরিকা কিভাবে নিবে? রাশিয়া বাদ দিলাম খোদ মেক্সিকো সরকার যদি সীমান্তে মিসাইল মোতায়েন করার সিদ্বান্ত নেয় সেটা আমেরিকা বরদাস্ত করবে কখনো? করবে না। এগুলো জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু, যেটা আমেরিকাও মেনে নিবে না রাশিয়াও না। বাইডেন যেমন বলছে ন্যাটো সরাসরি এই যুদ্ধে জড়াবে না কিন্তু তারা পুতিনকে আস্তেআস্তে বিপর্যস্ত করবে। তার মানে ন্যাটো অলরেডি ফ্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে।

আফগানিস্তানের মত দুর্বল রাষ্ট্রে সোভিয়েত দশ বছর যুদ্ধ চালিয়ে সে ভার বহন করতে পারেনি সেখানে ইউক্রেন প্লাস ছায়া ন্যাটোর সাথে যুদ্ধ করে রাশিয়া বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভবনা আছে। আর এটাই মনে হচ্ছে আমেরিকার কৌশল। তবে আমেরিকার এটাও মনে রাখতে হবে এখন এটমিক অস্ত্রের যুগ তাই যুদ্ধ সবাইকে অনেক বেশিই চিন্তিত করে। এটমিক শক্তিধর একটা দেশকে নিয়ে এমন এক্সপেরিমেন্ট করা সত্যিই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বাইডেন প্রশাসন এতে ব্যর্থ হলে আমেরিকা সহ পুরো ইউরোপকে এর চড়া মূল্য দিতে হবে। আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোর তো অলরেডি মূল্য দেওয়া শুরুই হয়ে গেছে।
আমেরিকা ও ন্যাটো চাইলে এই যুদ্ধ অতিস্বত্তর থামাতে পারে অন্যথায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ চলার সম্ভবনা বেড়েই চলছে। যুদ্ধ কখনোই কারো কাম্য নয়, যুদ্ধ অনেক কিছুই কেড়ে নেয় তবে সবার আগে কেড়ে নেয় নৈতিকতা!

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:২২

জ্যাকেল বলেছেন: আসলে জয়টা হবে পশুত্বের। যুদ্ধে খুব কম সময়ই মানবতার জয় হয়। তাই উক্রাইন যুদ্ধের ফল নিয়ে অপরিস্কার ধারণা কম বেশি সবারই হয়ে গেছে।
বিশ্বের সমুদয় ভান্ডার আমেরিকার মধ্যে অথচ আফগানে তারাই তল্পিতলা ঘুটিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। রাশাও তাই বেশিদিন পারবে না। বিশ্বের মধ্যে আর যাই হোক অস্ত্র/যুদ্ধ সবচেয়ে ব্যয়বহুল ব্যাপার স্যাপার। তাই আর কি করা, উভয় পক্ষই (ন্যাটো ও রাশা) টেবিলে বসে সমাধা করে নিতে পারে, যা মানবতার জন্য মংগলজনক।
আপনার পোস্টের সাথে আমি একমত।

০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাশিয়ার এই সামরিক সীমাবদ্ধতা আমেরিকা ন্যাটো জানে, তাই এমন উস্কানি দিয়ে রাশিয়াকে যুদ্ধে নামিয়েছে। আমেরিকা সামরিক ক্ষমতা ভালো, একই সাথে কয়েকটা দেশের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। সে হিসেবে রাশিয়ার এমন সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা নেই।

২| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:২৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এ যুদ্ধের জন্য দায়ি ন্যাটো। তাদের কি দরকার ছিল রাশিয়ার ঘারের উপর নিঃশ্বাস ফেলা?

০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ন্যাটো বলতে আসলে আমেরিকা। আমেরিকা রাশিয়াকে সামরিক ভাবে দুর্বল করতে চাচ্ছে।

৩| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:


লাভবান হচ্ছে চীনের বলয়।

০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পুতিন নিজেও একবার বলেছিল তাদেরকে ন্যাটতে নিতে। তাহলে সমস্যা সমাধান হয়ে যায় কিন্তু আমেরিকা রাজি হলো না। আমেরিকার বুদ্ধিজীবীরা এই ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে কি ভাবছে বা তাদের প্রতিক্রিয়া কি?

৪| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:০৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সোভিয়েত না ভাঙলে কি হতো?

০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমেরিকা আজকে যা তাই হতো। তবে সোভিয়েত ভেঙ্গে যাওয়াটা অবশ্যম্ভাবী ছিল কারন এত ভার হলে গাছ নুয়ে পড়বেই।

৫| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১০

বিটপি বলেছেন: রাশিয়ার কি অধিকার আছে যে ন্যাটোতে যোগ দিয়ে চায় - এই অভিযোগে কোন দেশে আক্রমণ চালানো? তাকে সুযোগ দিতে পারত, যুদ্ধের হুমকি দিতে পারত। হুমকি ধামকিতে কাজ না হলে তখন হামলা করতে পারত। কোন ধরণের উস্কানি ছাড়া একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে হামলা কোন সভ্য মানুষ সমর্থন করতে পারেনা।

০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি রাশিয়ার ইউক্রেন হামলাকে জাস্টিফাই করছি না, তবে রাশিয়ার কিছু যৌক্তিক কারন তো আছেই এই হামলার পিছনে। যেমনটি বলেছিলাম পুরোনো রাশিয়া ভাঙ্গার সময় কথা ছিল ন্যাটো আর পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ করবে না কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি। রাশিয়া নিজেও ন্যাটোতে যোগ দিতে চেয়েছিল তো তাদের কেনো ন্যাটোতে নেওয়া হলো না! আবার আমেরিকা অন্য স্বাধীন রাষ্ট্রে যুদ্ধে যেমন সাধারণ মানুষের উপরেও বোম্বিং করেছে সেক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত রাশিয়া কিছুটা ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। তবে এই ধর্য্য কতক্ষন থাকে সেটাই বড় বিষয়।

৬| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আর কতো দিন চলবে এই খেলা কে জানে।

০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ন্যাটোর উপর নির্ভর করছে এই খেলা কতদিন চলবে।

৭| ০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিছু কুকুরের বাচ্চা জল্লাদের প্রশ্রয় ও ইশারায় নোংরামির আশ্রয় নিয়ে জনম জনম যুদ্ধ করে যাবে। যুদ্ধ করাই যে এদের একমাত্র কাজ। আজ এই বাহানা কাল ঐ বাহানা দিতে দিতে সব নষ্ট করে দিল।

০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যুদ্ধ হচ্ছে কোনো দেশকে অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে খর্ব করার মাধ্যম। মানুষ জন্ম থেকেই কর্তৃত্বপরায়ন আর যার জন্যই এসব যুদ্ধ লাগে।

৮| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: কে জয়ী হবে- সেটা সময়ের উপর ছেড়ে দিন। তবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে গোটা দিনিয়ার সাধারণ মানুষ।

০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে সামরিক যুদ্ধে কেউই জয়ী হতে পারে না। সবাই পরাজিত হয়। বিশ্ব কঠিন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

৯| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪০

নতুন বলেছেন: যুদ্ধে জয়ী হয় কিছু মানুষের ইগো। পরাজিত জয় বিশ্বের সকল মানুষ। :|

০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটাই চিরন্তন সত্যি।

১০| ০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০২

রাজীব নুর বলেছেন: জয় হবে রাশিয়ার।

০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যুদ্ধে আসলে কেউই জয়ী হয়না।

১১| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৫

অক্পটে বলেছেন: এটা উইপন বিক্রির কৌশল। রাশিয়াই একমাত্র দেশ যা আমেরিকাকে থাপ্পর দিতে পারে। আমেরিকা চাইছে রাশিয়াকে আরো পদানত করতে। এটা আমেরিকা অনেক বেশি দুঃসাহস করে ফেলেছে।

০৯ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৩১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যুদ্ধে আমেরিকা উইপন বিক্রি এখনো করতে পারছে না। বরং প্রচুর পরিমানে অর্থ ও অস্ত্র ইউক্রেনকে ফ্রি দিতে হচ্ছে। যদি এটা মার্কিটিং হয় তাহলেও এত ডলারের অস্ত্র বিক্রি করতে বেশ সময় লাগবে। এখানে আসলে রাশিয়াকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যেই মুখ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.