নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
এদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর সেই স্বাধীনতার পর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে বিভিন্ন উপায়ে আক্রমণ হয়েছে। সম্ভবত আর কয়েক বছর পর নিতাই রায়, অপু উকিল, গয়েশ্বর বাবু ছাড়া আর তেমন হিন্দু খুঁজে পাওয়া যাবে না। হিন্দুরাও এ দেশকে নিজেদের দেশ বলে ভাবতে দ্বিধাবোধ করবে। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব সংবিধানে ভুরাজনৈতিক ও পশ্চিমাদের নেকদৃষ্টি পাওয়ার জন্য সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি জুড়ে দেয়। মূলত সেকুলারিজম মানে ধর্মনিরপেক্ষতা না করে সেকুলারিজম অর্থ সার্বজনীন বলাটাই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু অশিক্ষিত বাঙালি ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষিত বাঙালিরাও এই সেকুলারিজমকে ধর্মহীনতা ভাবতে থাকে।
যদি সেকুলারিজম এর কথা বলতে হয়, তাহলে বলা যায় আমাদের ধর্মগ্রন্থ ও নবী মুহাম্মদ হল সবচেয়ে বড় সেক্যুলার। কেননা আল্লাহ সরাসরি কোরআনেই বলে দিয়েছেন এই ধর্মগ্রন্থটি সার্বজনীন অর্থ্যাৎ সবার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
যাক এত কিছুর পরেও আমাদের হিন্দু সংখ্যালঘুরা কোনোমতে দিন কাটাচ্ছিল এই দেশে। শেষমেশ সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য হুসাইন মু: এরশাদ আমাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলে ঘোষণা দেয়! এতে হিন্দু জনগোষ্ঠী আরো বিপাকে পড়ে যায়। তাদের উপর আরো বেশি অত্যাচার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বাড়তে থাকে। মুহাম্মদ এরশাদ এই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার পর এটাকে আর কেউ সরানোর মত সাহস দেখায়নি। তাই বলা যায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করাটা যতটা না ইসলামের জন্য তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
আসলে রাষ্ট্রের ধর্ম থাকলে এটা কারো জন্য কোন ভালো ফলাফল নিয়ে আসে না। এটা শুধুমাত্র একটু মনের আত্মতুষ্টি দেয়। যেমন বার্সেলোনা রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে আপনি যেই ক্লাবের সমর্থন করেন সেই দল জিতলে কিছুটা আত্মতুষ্টি পান তেমনি রাষ্ট্রধর্ম থাকলে শুধু মনের মধ্যে আপনার সামান্য আত্মতুষ্টি আসে। নাগরিকদের জন্য এটা বাড়তি কি সুবিধা দেয় কেউ জানলে বলবেন।
এতকিছু বলার কারন হচ্ছে, রাষ্ট্রধর্মের মত একটা অপ্রয়োজনীয় জিনিস রাষ্ট্রের ভিতর বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে। এই অপ্রয়োজনীয় জিনিসের সমর্থকের সংখ্যা অনেক, কি কারনে তারা রাষ্ট্রধর্ম সমর্থন করে বলা মুশকিল। আমেরিকা, ভারতের মতো দেশে কোনো রাষ্ট্র ধর্ম নেই কেননা তারা সারা বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে চায়, সবার জন্য সার্বজনীন হতে চায়। যেখানে আমাদের ধর্মের নবী সবার জন্য সার্বজনীন একই ভাবে ধর্মগ্রন্থও, সেখানে আমরা রাষ্ট্রের একটা ধর্ম দিয়ে নিজেদেরকে আবদ্ধ করে ফেলছি। বর্তমান এই সময় এসে রাষ্ট্রধর্মের আসলে তেমন দরকার নেই; এতে ধর্মের কিংবা ধার্মিকদের কোন উপকার হয় না, উপকার হয় ভন্ড রাজনীতিবিদদের।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম থাকলে বেশ কিছু অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু থাকলে কি সুবিধা? রাষ্ট্রধর্ম রাখাটা কি আপনি রাজনৈতিক নাকি ধর্মীয় মনে করেন?
২| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পান থেকে চুন কষলেই এখন ধর্ম অবমাননা।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কোনো ধর্মকে অবমাননা করা সম্ভব না,অবমাননা হয় ধর্মান্ধদের ইগোর।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৪
কামাল৮০ বলেছেন: তবে সাম্প্রদায়িক নবী কে?আল্লাহ সবথেকে বড় সাম্প্রদায়িক।সে ইসলাম ছাড়া বাকী ধর্মকে ঘৃনা করতে শিখায়।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাকি ধর্মের প্রতি সহনশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০১
সোনাগাজী বলেছেন:
রাজনীতি সময়ের সাথে পরিমার্জিত হয়ে, দেশ চালনার নতুন নতুন পন্হার প্রয়োগ ঘটাচ্ছে, ধর্ম মানুষকে সামন্তবাদের জীবনে নিয়ে গেছে।
১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্মকে যারা কালচার হিসেবে নিয়েছে এবং ব্যক্তিপর্যায় রেখেছে তারা ভালো করছে
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
রাষ্ট্র ধর্মের দায়িত্ব নিলে ক্ষতি বেশি হয়।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:২০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাষ্ট্র চলবে সংবিধান অনুযায়ী, ধর্ম যার যার মত করে পালন করবে।
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৩
কামাল৮০ বলেছেন: কোথায় বলা হয়েছে।হাদিস কোরান থেকে দেখান।বাতিল আয়াত এনে দেখাবেন না।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ‘হে ঈমানদারগণ! তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব দেবদেবীর পূজা-উপাসনা করে, তোমরা তাদের গালি দিও না। যাতে করে তারা শিরক থেকে আরো অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিয়ে না বসে। ’ -সূরা আনআম: ১০৮
‘ধর্মের ব্যাপারে জোরজবরদস্তি নেই। ভ্রান্ত মত ও পথকে সঠিক মত ও পথ থেকে ছাঁটাই করে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। ’ -সূরা বাকারা :২৫৬
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম থাকলে বেশ কিছু অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু থাকলে কি সুবিধা? রাষ্ট্রধর্ম রাখাটা কি আপনি রাজনৈতিক নাকি ধর্মীয় মনে করেন?
দুটোই।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমার কাছে পুরোটাই রাজনৈতিক মনে হয়, ধর্মীয় কোনো ভালো সুবিধা রাষ্ট্রধর্ম থাকার ফলে হয় বলে মনে হয়না।
৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৭
স্বাধীন বাংলা ৭১ বলেছেন: গত নয় বছরে হিন্দুদের উপর সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে ২০১৪ সালে।
ওই বছরের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল। এর পরবর্তী সহিংসতার শিকার হন হিন্দুরা। ৭৬১টি হিন্দু বাড়ি-ঘর, ১৯৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ২৪৭টি মন্দির-মণ্ডপে হামলা হয় ওই বছর। তখন নিহত হন একজন।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হিন্দুদের উপর হামলা ট্রেডিশন হয়ে যাচ্ছে। তবে এসব মামলার মধ্যে কিছু মামলা আছে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সেগুলোকেও সাম্প্রদায়িক হামলা হিসিবে নথিভুক্ত করেছে বিচার ও সালিশ কেন্দ্র।
৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @কামাল৮০, ব্যাটা কয় কি? আল্লাহ সবথেকে বড় সাম্প্রদায়িক! আল কোরআন কি পড়েছেন ভাই। নাকি শুনে শুনে হয়েছেন নাস্তিক।
১০| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৩৯
অগ্নিবেশ বলেছেন: বাবলুকাকা, নেটে এই সব লেখা টেখা দেখে কামাল হাসানের ইমান নড়ে গেছে, আপনে একটু চেষ্টা করে এই সব উটকো নাস্তিকদের একটা দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়ে আসেন প্লিজ। এদের লেখা পড়লে ইমান থাকেনা।
https://www.shongshoy.com/ইসলামি-শরিয়া-রাষ্ট্রে-অম/
১১| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৪৫
অগ্নিবেশ বলেছেন: কুরআনে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে কটুক্তি
“অমুসলিমরা নির্বোধ”
সূরা বাকারাহ-এর ১৭১ নং আয়াতে, যারা ঈমান আনে নি তাদেরকে গরু-ছাগলের সাথে তুলনা করা হয়েছে। আবার, বধির, বোবা ও অন্ধও বলা হয়েছে
2:171
وَ مَثَلُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا کَمَثَلِ الَّذِیۡ یَنۡعِقُ بِمَا لَا یَسۡمَعُ اِلَّا دُعَآءً وَّ نِدَآءً ؕ صُمٌّۢ بُکۡمٌ عُمۡیٌ فَہُمۡ لَا یَعۡقِلُوۡنَ ﴿۱۷۱﴾
English – Sahih International
The example of those who disbelieve is like that of one who shouts at what hears nothing but calls and cries cattle or sheep – deaf, dumb and blind, so they do not understand.
Bengali – Bayaan Foundation
আর যারা কুফরী করেছে তাদের উদাহরণ তার মত, যে এমন কিছুর জন্য চিৎকার করছে, হাঁক-ডাক ছাড়া যে কিছু শোনে না। তারা বধির, বোবা, অন্ধ। তাই তারা বুঝে না।
Bengali – Mujibur Rahman
আর যারা অবিশ্বাস করেছে তাদের দৃষ্টান্ত ওদের ন্যায় – যেমন কেহ আহবান করলে শুধু চীৎকার ও ধ্বনি ব্যতীত আর কিছুই শোনেনা, তারা বধির, মুক, অন্ধ; কাজেই তারা বুঝতে পারেনা।
“অমুসলিমরা জালিম”
সূরা বাকারাহ-এর ২৫৪ নং আয়াতে, কাফির বা যারা ইসলামে বিশ্বাস করে না তাদেরকে জালিম বলা হয়েছে।
2:254
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡفِقُوۡا مِمَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ یَوۡمٌ لَّا بَیۡعٌ فِیۡہِ وَ لَا خُلَّۃٌ وَّ لَا شَفَاعَۃٌ ؕ وَ الۡکٰفِرُوۡنَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۲۵۴﴾
English – Sahih International
O you who have believed, spend from that which We have provided for you before there comes a Day in which there is no exchange and no friendship and no intercession. And the disbelievers – they are the wrongdoers.
Bengali – Bayaan Foundation
হে মুমিনগণ, আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা হতে ব্যয় কর, সে দিন আসার পূর্বে, যে দিন থাকবে না কোন-বেচাকেনা, না কোন বন্ধুত্ব এবং না কোন সুপারিশ। আর কাফিররাই যালিম।
Bengali – Mujibur Rahman
হে বিশ্বাসীগণ! আমি তোমাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করেছি তা হতে সেদিন সমাগত হওয়ার পূর্বে ব্যয় কর যেদিন ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব ও সুপারিশ নেই, আর অবিশ্বাসীরাই অত্যাচারী।
“অমুসলিমরা পশুর চেয়ে অধম”
সূরা আল-ফুরক্বান-এর ৪৪ নং আয়াতে, অবিশ্বাসীদেরকে পশুর চেয়েও অধম বলা হয়েছে।
25:44
اَمۡ تَحۡسَبُ اَنَّ اَکۡثَرَہُمۡ یَسۡمَعُوۡنَ اَوۡ یَعۡقِلُوۡنَ ؕ اِنۡ ہُمۡ اِلَّا کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ ہُمۡ اَضَلُّ سَبِیۡلًا ﴿٪۴۴﴾
English – Sahih International
Or do you think that most of them hear or reason? They are not except like livestock. Rather, they are (even) more astray in (their) way.
Bengali – Bayaan Foundation
তুমি কি মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ লোক শোনে অথবা বুঝে? তারা কেবল পশুদের মতো; বরং তারা আরো অধিক পথভ্রষ্ট।
Bengali – Mujibur Rahman
তুমি কি মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ শোনে ও বুঝে? তারাতো পশুরই মত; বরং তারা আরও অধম।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৪০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কুরআনে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে কটুক্তি
“অমুসলিমরা নির্বোধ”
সূরা বাকারাহ-এর ১৭১ নং আয়াতে, যারা ঈমান আনে নি তাদেরকে গরু-ছাগলের সাথে তুলনা করা হয়েছে। আবার, বধির, বোবা ও অন্ধও বলা হয়েছে!
যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, অন্য দেশের সাথে সম্পর্ক রেখে নিজের দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন তাদের সম্পর্কে সরকার এবং জনগণের মনোভাব কি, তাদেরকে কি আরো কঠিনভাবে কটুক্তি করা হয় না?
১২| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৫১
অগ্নিবেশ বলেছেন: কোরান ঘাটলে এই রকম শয়ে শয়ে সেক্যুলার এর উদাহরন পাওয়া যাবে।
১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: Secular শব্দের অর্থ হোল যেখানে ধর্মের কোন ভুমিকা নেই। english to english অভিধানে এটার অর্থ দেয়া আছে;
1. not connected with religious or spiritual matters
2. Non-religious
3. Worldly Earthly
আমাদের নবী কখনই সেকুলার ছিলেন না। কোন বিষয়ে যখন ধর্ম চলে আসে তখন সেটা আর সেকুলার থাকে না। সেকুলার বলতে বুঝায় যেখানে ধর্মের কোন ভুমিকা নেই। সামাজিক নিয়ম নীতি দিয়ে সব কিছু পরিচালনা করা হবে। যে কোন ধর্মের প্রবেশ ঘটলেই তখন ব্যাপারটা আর সেকুলার থাকে না। এটার অর্থ হোল ধর্ম একটা গণ্ডির মধ্যে থাকবে কিন্তু সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কোন বিষয়ে ধর্ম নাক গলাবে না। বহু আগে খৃস্টান চার্চের নিয়মে পশ্চিমের দেশগুলি চলত। সেটা থেকে বেড়িয়ে আসার জন্যই এই সেকুলারের ধারণা এসেছে।
মদিনা রাষ্ট্র পরিচালিত হতো ইসলামি বিধান অনুযায়ী। রসূল (সা) তার ২৩ বছরের জীবনে যে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ইসলামের বিধান অনুসরণ করতেন। তাই তাকে সেকুলার বলার কোন সুযোগ নেই। রসূল (সা) তাঁর নবুয়ত পরবর্তী জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন অন্য ধর্মের মানুষকে ইসলামের দিকে আনার প্রচেষ্টায়। কখনই অন্য ধর্ম সঠিক বা ভালো এই কথা বলেননি। অনেক যুদ্ধ ও সন্ধি হয়েছে অন্য ধর্মের লোকদের সাথে। উনি ধর্ম নিয়েই থাকতেন সব সময় এবং জীবনের সব ক্ষেত্রে ধর্ম প্রয়োগ করেছেন। তাই ওনাকে সেকুলার বলা যাবে না। সেকুলার তাকে বলা যায় যে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মকে আনে না।
সেকুলার বলতে বুঝায় যে ব্যবস্থায় কোন ধর্মেরই কোন ভুমিকা থাকে না। ধর্ম থাকবে মানুষের বাড়িতে আর মনের মধ্যে। এটাকে বাংলায় বলা হয়ে থাকে 'ধর্ম নিরপেক্ষ'। তবে এটার ব্যাখ্যা আমি উপরে বলার চেষ্টা করেছি।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৫৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে পারিভাষিক শব্দ যারা নির্ধারণ করে তারা কি অর্থে ব্যবহার করেছে সেটাই মুখ্য, শব্দভাণ্ডারে সেটা তখন কি অর্থে আছে সেটা গৌণ হয়ে যায়। আমাদের সংবিধানে সেকুলারিজম সম্পর্কে ধর্মনিরপেক্ষতার কথায় বলা হচ্ছে আর ধর্মনিরপেক্ষতার যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সেটাকে আমার কাছে সার্বজনীন বলেই মনে হয়েছে। আর কোরআন ও আমাদের নবীকে সার্বজনীন করেই প্রেরণ করা হয়েছে।
এক সাহাবী নবীজিকে (স.) এ কথাও বলেছিল যে, আপনি মুসলিমদের বাদ দিয়ে অমুসলিমদের মাঝে গনিমত বণ্টন করে ইনসাফ করেননি।’ নবীজি (স.) তখনই ভবিষ্যদ্বাণী করেন, এদের মতো একদল লোক হবে, চরম উগ্রতাসহ যারা আত্মপ্রকাশ করবে শেষ জামানায়।
১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের নবী অবশ্যই সেকুলার ছিলেন।
একটি সমাজ ব্যবস্থায় যদি সচল অর্থনীতি এবং ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন অক্ষুন্ন থাকে সেই সমাজ সেকুলার থাকতে বাধ্য। মুখে সেগুলার সেকুলার বলার কোন দরকার নেই, সেকুলার শব্দ অনেক পরে আবিষ্কৃত হয়েছে, ধর্মীয় সভ্য সমাজ সেকুলার মানে ধর্মনিরপেক্ষ। আইন সবার জন্য সমান ছিল।
সমাজে একটি ধর্ম সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলেও সেকুলার থাকবে। যদি সমাজ সভ্য থাকে।
সভ্য সমাজ মানেই সেকুলার আইন সবার জন্য সমান সব ধর্মের জন্য সমান।
রসুলের আমলে মদিনা শাসনামলে মদিনার ইহুদীরা সুন্দরভাবেই ব্যবসা-বাণিজ্য ধর্ম কর্ম পালন করতে পেরেছিলেন। কারণ আইনের শাসন ছিল সমাজ সভ্য ছিল।
মক্কা দখলের পরেও মক্কা বাসি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনি এর পরেও তারা অর্থনীতি চালাতে পেরেছে আইন সবার জন্য সমান ছিল। তথা ধর্ম নিরপেক্ষ ছিল।
রসুলের মৃত্যুর পর আইনের শাসন ছিল না যুদ্ধবিগ্রহ ছিল অসভ্যরা সেকুলারকে অস্বীকার করে। সভ্যতাকে অস্বীকার করে। আইন সবার জন্য সমান এটা মানতে চায় না।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: নবী মৃত্যুর পর হাদিস, ফতোয়া মতয়া এসে ইসলামকে দূষিত করে ফেলেছে। আপনি সঠিক মন্তব্য করেছেন
১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আমাদের ইসলাম ধর্মে কিন্তু অন্য ধর্মের লোকদের নিরাপত্তা দিতে বলেছে। তা জান মাল এর নিরাপত্তা প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কোরআনে এই সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশ আছে। সমস্যা হচ্ছে আমাদের ধর্মীয় লিডাররা আমাদের কোরআনের কাছে ভিড়তে দেয়না, হাদিসের চোরাবালিতে নিয়ে ফেলে দেয়।
১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৭
বিটপি বলেছেন: ভারত নামক রাষ্ট্রের কোন ধর্ম নেই। কিন্তু এই রাষ্ট্রেই ধর্মীয় সংঘাত সবচেয়ে বেশি হয়। ইরান ইসলামী প্রজাতন্ত্র। কিন্তু এই দেশে অমুসলিমদেরকে কোন রকম শোষন করা হয়না বললেই চলে।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইরাক ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তানে সৌদিতে জ্যামিতিক হারে ভিন্নধর্মাবলম্বী কমেছে। এরপরেও এসব দেশে স্বস্ব ধর্মের উপদল নিয়ে মামলা হামলা হয়।
১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৪
সোনাগাজী বলেছেন:
@বিটপি ,
ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে অন্য ধর্মের লোকদের উপর "শোষন" কম ও শীঘ্রই মোটেই থাকবে না; কারণ, এসব দেশ থেকে অন্য ধর্মের লোকদের মোটামুটভাবে বিতাড়িত করে করেছে।
১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৮
নতুন বলেছেন: ভন্ডামী নামক ভাইরাসে আমাদের দেশের মানুষ আক্রান্ত।
এখানে সবাই নামে ধামিক, যারা লুটপাট করেছে তারা একটা তাদের লাভের জন্যই করেছে। এর সাথে ধর্মভীরুতার কোন সংম্পর্ক নাই।
গ্রামের ভিলেজ পলেটিক্সের কারনে এই হামলা হয়েছে, যার বাহানা হয়েছে ধর্মীয়অনুভুতিতে আঘাত।
সরকারের উচিত লুটপাট যাার করেছে তাদের সাজা দেওয়া তখন বাটপারেরা ভয় পাবে যে ধর্ম ব্যবহার করে অপরাধ করে পার পাওয়া যাবেনা।
পদ্মাসেতুতে নাট খুলার ভিডিও আর আসবেনা সেটার ওষুধ সরকার দিয়েছে, তেমনি যারা আক্রমন করেছে, লুটপাট করেছে তাদের ধরে সাজা দিন, আমাগীতে লুটপাট কমে আসবে।
কোন শিক্ষিত মানুষ, মানবিক ভাবনার মানুষ কখনোই লুটপাট করতে যাবেনা, তাহলে কারা গিয়েছিলো? যারা এইসব কাজে অভস্থ তারাই ধর্মের দোহাই দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করেছে।
ভন্ড বাটপারেরা জানে দেশে ধর্ম আর রাজনিতির নামে কিছু করলে সাজা পেতে হয় না।
এই লুটপাটে যারা অংশগ্রহন করেছে তাদের ৫০-১০০ জনকে চিন্হিত করে গ্রেপ্তার করে সেটার প্রচার ঠিক মতন করলে আগামীতে এমন লুটপাট কমে যাবে।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এসব হামলার স্থায়ী সুরাহা কেউ করতে চায়না, এসব থেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা করে। সরকার প্রশাসন আন্তরিক হলে এসব অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেতো।
১৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৩
নতুন বলেছেন: আর যেখানে ধর্মের প্রসঙ্গ আছে সেখানে সেকুলার কথাটা থাকেনা।
রাসুল সা: মক্কাবিজয়ের পরে বির্ধমীদের নিরাপ্ত্তা দেওয়া হয়েছিলো। তারা সম্ভবত একটা টেক্স দিতো।
এটা ভালো শাসনের বিষয়। এটা বলতে পারেন রাসুল সা: এর সময়ে বির্ধমিরা ট্যাক্স দিতো এবং সরকার তাদের দেখাশুনা করতো।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেকুলার শব্দটি দ্বারা আসলে আমি ধর্মহীনতা বা ধর্ম না থাকার বিষয়টি বলতে চাই না। সেকুলার সমাজে সকল ধর্মেই থাকবে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় ভাবনা নিয়ে, এতে কেউ অযাচিত হস্তক্ষেপ করবে না।
২০| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩১
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এসব হামলার স্থায়ী সুরাহা কেউ করতে চায়না, এসব থেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা করে। সরকার প্রশাসন আন্তরিক হলে এসব অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেতো।
মাশরাফী তার ফেসবুকে এই বিষয়ে লিখেছিলেন। কিছু মানুষ ঝামেলা বাধানোর উদ্দেশ্যেই এমন কাজ করে। দেশের বেশিরভাগ মানুষই র্ধমান্ধ। ৫ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লেও ধর্মনুভুতিতে আঘাতের প্রতিবাদে স্লোগান ঠিকই দেবে।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই দেশে ধার্মিক এর চেয়ে ধর্মান্ধের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি।
২১| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫
নতুন বলেছেন: সত্যিকারের ধর্ম পালন করে কত % ???
৫% মানুষ খুজে যাবেন যারা সত্যি তাদের ধর্ম অনুসরন করে? অন্যায় করেনা?
১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম সঠিক ভাবে পালন করা খুবই কঠিন। নামাজ,রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত দেওয়া কঠিন কিছু নয়, কিন্তু সৎকর্ম করা, পরনিন্দা না করা, ওয়াদা রক্ষা করা, প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেওয়া এগুলো কঠিন কাজ। ধর্মে এগুলো সম্পর্কে কঠিন দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে।
২২| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধর্মনিরপেক্ষতা আর সার্বজনীনতা কি এক হল ? আপনি নবীকে ভূলভাবে উপস্থাপন করছেন। পোস্টের শিরোনাম পাল্টে দিন।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের নবী ও কোরআন সবার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে সে জন্য এটা সার্বজনীন। সেক্যুলার বলতে কেনো আমি সার্বজনীন বলছি সেটা উপরে কয়েকবার ব্যাখ্যা করেছি।
২৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
তানভির জুমার বলেছেন: সেক্যুলার মানে কি শুধু ধর্মনিরপেক্ষ? আপনাদের মতে যারা তথাকথিত জ্ঞান-বিজ্ঞানে সবচেয়ে উন্নত জাতি সেই ইসরাইল কিন্তু ইহুদিবাদী রাষ্ট্র। ইসরাইল ২০% এর মুসলিম বসবাস করে। ইহুদি ধর্ম পরিচয় ছাড়া অন্য কাউকে ইসরাইল গুনায় ধরে না।
২৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
তানভির জুমার বলেছেন: সেক্যুলারিজম হচ্ছে আল্টিমেটলী ধর্মহীনতা। যে দেশগুলো সেক্যুলারিজম পুরোপুরি কায়েম করেছে তারা আজ ধর্মহীন রাষ্ট্র। ইসলাম ধর্মের বা মুসলিমদের অন্যকোন মতবাদ গ্রহন করার দরকার নেই। এক ইসলামেই সবকিছু আছে। ইসলাম ধর্ম শ্রেফ একটা ধর্ম নয় ইহাতে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি সবই ক্লিয়ারলী ডিফাইন করা আছে।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেক্যুলার মনে ধর্মহীনতা আপনার মত এটা বুঝার মানুষ এই দেশে অনেক। সমস্যা এই জন্যই সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রের ধর্মের দরকার নেই যেখানে আল্লাহ নিজেই বলছেন ইহুদি, খ্রিস্টান, আহলে কিতাব, সাবেঈনরাও জান্নাতে যেতে পারে সেখানে আলাদা করে রাষ্ট্রের ধর্ম রাখার দরকার নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: পাকিস্তানের জন্ম ধর্মভিত্তিক, বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। ভুলে গেলে চলবে না যে "সর্ব ভারতীয় মুসলিম লীগ" এর জন্ম ঢাকার মাটিতে আর এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ। পরবর্তীতে "আওয়ামী মুসলিম লীগ" হলো, সেখানেও মুজিব ছিলো, ভাসানী ছিলো। সেখানে রাষ্ট্রধর্ম থাকাটা কি অবাক করার মতো কোন বিষয়? এতে সম্প্রীতি কিভাবে নষ্ট হলো সেটা ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন রয়েছে। এটা মেনে নিতে সমস্যা কোথায় যে "বাঙালী মুসলিম" রা প্রকৃত মুসলিম হতে পারে নি। সমস্যা রাষ্ট্রধর্ম থাকাতে নয়, সমস্যা প্রকৃত ইসলামিক মূল্যবোধ না বুঝতে পারায়। প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষার, মহানবীর দেখানো পথে চলার চেষ্টা করা প্রতিটি মুসলিমের যেমন দায়িত্ব, তেমনি দায়িত্ব বাংলাদেশের মাটিতে সনাতন ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা দেয়া। তাদেরকে তাদের রীতি-নীতি অনুসরণ করতে দেয়া। এই দেশ সবার, সকল ধর্মের অনুসারীদের।
আমার কাছে ভারতকে তথাকথিত সেক্যুলার ধারনার দেশ মনে করা আর জেগেে জেগে ঘুমানো একই কথা।