নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের অর্থনীতির মূল সমস্যা কোন জায়গায়? ★★

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৯


দেশে যে ধরনের অর্থনৈতিক সিস্টেম চলছে তাতে এর সমস্যা অনেক গুলো। কোনোটা থেকে কোনোটা ছোট সমস্যা নয়। ক্যাপেটেলিজম অর্থনীতিতে যা যা সমস্যা তৈরি হয় তার সবই আমাদের অর্থনীতিতে দেখা যাচ্ছে খালি চোখেই। তবে যদি বলি আমাদের অর্থনীতির মৌলিক সমস্যা কোনটি? তাহলে বলা যায় রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি আমাদের অর্থনীতির সবচয়ে বড় সমস্যা। এটা বলার কারন হচ্ছে আমরা যে খাতে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় করি সেটা হচ্ছে তৈরি পোশাক খাত এবং এই রপ্তানি পন্যের বাজারের উপর আমাদের কেনো নিয়ন্ত্রণ নেই। রপ্তানী পণ্যটি কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও নয় অথবা এমন না যে, আমদের বাজারের উপরই শুধু এই পন্যের ক্রেতারা নির্ভরশীল।
এরচেয়ে বড় বিষয় এই রপ্তানি পণ্যে আমরা খুবই কম মূল্য যোগ করি। কারন এর কাচামাল, এক্সসরিজ ও মেশিনারিজ প্রায় সবকিছুই বাহির থেকে আসে। এগুলোর সাথে আমরা যোগ করি শুধু সস্তা শ্রম, যার মূল্য হিসেবে আমরা কারেন্সি পাই। দেখা যাচ্ছে এই সস্তা শ্রম না হলে এই খাতের বাজার আমরা হারিয়ে ফেলবো। অর্থ্যাৎ কাল যদি অন্য কেউ আরো সস্তা শ্রম দেয় তাহলে আমাদের হাত থেকে ক্রেতা ছুটে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
সস্তা শ্রমের কথা যখন বলছি তাতে বলা যায় এই সস্তা শ্রম আসলে আর বেশিদিন পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। এর কারন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের অভাবনীয় সাফল্য। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ হার এই মুহূর্তে বলা হচ্ছে ২:২। যার জন্য একসম়য় শ্রমিক সংকট দেখা দিবে অর্থাৎ শ্রমিকের যোগান কমে যাবে আর তখন বেশি মুজুরী দিয়ে শ্রমিক রাখতে হবে।

আসলে আমরা এমন একটি রপ্তানিযোগ্য পন্যের উপর আমদের অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়েছে যা অন্য দেশের ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার উপর সরাসরি নির্ভর। ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতা কমলে সে চাইলে আমাদের পন্যেটি না কিনে বা কম কিনে চলতে পারবে এবং সেটাই হচ্ছে। ইউরোপ আমেরিকায় চার কোয়াটার ধরে জাতীয় উৎপাদন কমছে আর দুই কোয়াটার কমলেই বড় ধরনের রেসিশন শুরু হয়ে যাবে এবং ক্রেতারা RMG পণ্য ক্রয় কমিয়ে দিবে। যার প্রভাব সরাসরি আমদের অর্থনীতিকে খুব ভালো ভাবেই বিপর্যস্ত করে তুলবে।
আমরা যদি আমদের অভ্যন্তরীণ বাজারকে বড় না করি, গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের মালিকদের দিয়ে ন্যায্য মুজুরী বৃদ্ধি না করি তাহলে অচিরেই আমাদের এই রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি কলাপস করবে।

নতুন চাকুরী সৃষ্টি না করে শুধু জনগনকে শিক্ষিত করেও লাভ নেই। কেননা এতে শুধু অশিক্ষিত বেকারের জায়গায় শিক্ষিত বেকার সৃষ্টি হবে মাত্র আর তেমন কোনো কাজের কাজ হবে না। তাই শুধু শিক্ষার হার বাড়িয়ে গেলেই হবে না একই সাথে এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। আর কর্মসংস্থানের সাথে পুঁজির সম্পর্ক সরাসরি জড়িত। যার জন্য দেশের পুঁজিকে কয়েকটি কোম্পানির কাছে কুক্ষিগত করে রাখা সঠিক হবে না।
বসুন্ধরার সালমান এফ রহমানের আয় ও পাট চাষী নজরুলের আয়কে একসাথ করে মাথাপিছু আয় না দেখিয়ে দুইজনের জন্যই ব্যবসায়ের সুযোগ গুলো সমানভাবে সহজ করা উচিত। আর এটাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আগামী দিনে অর্থনীতিকে সঠিক পথে রাখতে এর বিকল্প কিছু নেই।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সমস্যার শেষ নেই, তবে আমার মতে সবচেয়ে বড় দুটি সমস্যা হচ্ছে: টাকা পাঁচার এবং বৈধ পথে রেমিটেন্স না আসা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ এগুলোও বড় ধরনের সমস্যা তবে এগুলো থাকবেই যত কমিয়ে আনা যায়। কিন্তু যার উপর একটা দেশের অর্থনীতি দাড়িয়ে সে খাত সাস্টেনেবেল না হওয়াটা সবচেয়ে বড় সমস্যা।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:১২

পোড়া বেগুন বলেছেন:
এ সমস্যার কোন সমাধান নাই।
কারণ চোর মরেনা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষ আরো জটিল সমস্যা সমাধান করেছে। সমস্যা হচ্ছে সমস্যাই ধরতে না পারায়। রোগ না ধরে প্রেসক্রিপশন লিখলে রোগ ভালো হবে না।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:১৬

ককচক বলেছেন: নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির বিকল্প নেই।
চায়নিজ পণ্য আমাদের বাজার দখল করে নিয়েছে, ফলে আমাদের হস্তশিল্প, কামার কুমার দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশও ধ্বংস হচ্ছে।
এসব বিবেচনায় নিয়ে আমাদের দেশীয় কাচামালে তৈরী ম্যাটারিয়াল ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করলে বা দেশী কাচামালে তৈরি পণ্য ব্যবহার বাড়ানো গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে, এবং কাজের ক্ষেত্রও সৃষ্টি হবে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: নিজ দেশের কাঁচামাল ব্যবহার করে কোনো পণ্য উৎপাদন না করতে পারলে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও সরকার পুঁজি সহায়তা না দিলে নতুন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। বড় বড় কোম্পানিগুলোই সরকার থেকে যে পরিমাণ পুঁজি সহায়তা নেয় তারা সে পরিমাণ চাকরি সৃষ্টি করে না।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৭

বিটপি বলেছেন: আমাদের দেশে শ্রমিকের অভাব কোনদিনই হবেনা। এদেশে প্রয়োজনের তিন ডবল শ্রমিক এখন মজুত আছে। আমাদের অর্থনীতির এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সরকার কর্তৃক দেদারসে নতুন টাকা ছাপানো - যা নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন যাপনকে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

আমি মানুষের ব্যাপক হারে শিক্ষিত করে তোলার বিরুদ্ধে। যার টাকা আছে, সে যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় না খুলে শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলে, তাহলে এইসব শ্রমিকের একটা গতি হয়। তরুণেরা তাঁদের তারুণ্যের সেরা সময় নষ্ট করে ফেলে পড়াশোনার মত অনুতপাদনশীল কাজে। যা সত্যিই দুঃখজনক।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শ্রমিক সংকট নিয়ে আপনি হয়তো আগামী ১০বছরের কথা বলছেন। আমি অবশ্য ২০ থেকে ২৫ বছর পরের কথা বলছি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যদি এভাবে থাকে আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই শ্রমিক সংকট দেখা দেবে।
মানুষকে অবশ্যই শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে এবং কারিগরি ভাবে দক্ষ করতে হবে। সুশিক্ষার বিকল্প পৃথিবীতে এখনো কিছু আসেনি। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা হলে দেশে শিক্ষক ও শিক্ষা সংক্রন্ত কর্মচারীর চাহিদা তৈরি হবে। তেমনিভাবে সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা হলে দেশের অনেক ডাক্তার নার্স ও এ সংক্রান্ত কর্মচারীর চাহিদা সৃষ্টি হবে। এই বিশাল পরিমাণ চাকুরী সৃষ্টি করা হলে সেটা ঘুরেফিরে জাতীয় আয়ই যোগ হবে। চাকুরী সব সময় যে উৎপাদনশীল খাতে তৈরি হয় তা কিন্তু না, মানুষের মৌলিক অধিকারের যে পাঁচটি বিষয় আছে সে জায়গাও অনেক চাকরির সৃষ্টি করার সুযোগ সরকারের রয়েছে।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৭

বিটপি বলেছেন: এদেশের জনসংখ্যা যদি ২৫ বছর ধরে একই থাকে, অথবা ২/১ কোটি কমেও যায়, তবুও শমিক সংকট এদেশে কখনোই হবেনা। এত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা কেউ কখনও করতে পারবেনা।

মানুষকে শিক্ষিত অবশ্যই করতে হবে, তবে সবাইকে গ্রাজুয়েশন করতে হবে তা নয়। যে ছেলেটার শক্তি আছে মাঠে কাজ করার বা নিজে নিজে উৎপাদনশীল কোন কাজে নিয়োজিত হবার, সে বিএ অনার্স করে ঘরে বসে বসে বাপের অন্ন ধ্বংস করে, কিন্তু কোন কাজ করেনা। তাই আমি চাই, কেবল যাদের ২৫-৩০ বছর বয়েস পর্যন্ত পড়াশোনা করার সামর্থ আছে, কেবল তারাই অনার্স করুক।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: গার্মেন্টসে শ্রমিক সংকট এখনো কিছুটা আছে তবে সেটা মানবিক মুজুরী না থাকার ফলে। জীবন যাত্রার ব্যয় যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এত কম মুজুরীতে শ্রমিক পাওয়া যাবে না যদি না শ্রমিকের যোগান চাহিদার থাকে তিন চারগুণ না থাকে।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অনার্স মাস্টার্স এ যা শিখায় সেটা কর্মজীবনে এসে খুব একটা কাজে লাগে না

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সস্তা শ্রমের সেক্টরে বড় চাকুরী গুলো বিদেশীরা করে হার্ডকারেন্সি নিয়ে যাচ্ছে -এটাও সমস্যা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেশে দক্ষ লোকজন না থাকায় বিদেশিরা ডলারে বেতন নিচ্ছে।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বৈদেশিক মুদ্রা ১ মাসের বেশি রাখা যাবে না সিদ্ধান্ত কে কোন চোখে দেখছেন?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বৈদেশিক মুদ্রা বলতে কি রিজার্ভ বুঝিয়েছেন? দেরীতে রেসপন্স করার জন্য দুঃখিত।

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০

কামাল৮০ বলেছেন: আমাদের অর্থনীতির মূল সমস্যা হলে না পুঁজিবাদী না সামন্তবাদী।মিশ্র অর্থনীতি।গনতান্ত্রীত সোসালিষ্ট অর্থনীতি হলেও দেশ ভালো করতো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক।

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৭

জুন বলেছেন: আমাদের অর্থনীতির মূল সমস্যা হলো প্রতিটি সরকারি সেক্টরে নির্লজ্জ দুর্নীতি। এটা বন্ধ না করলে অর্থনৈতিক সমস্যা থাকবেই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দুর্নীতি বড় সমস্যা অবশ্যই। তবে এসবের পরেও দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত এখনো সাস্টেনেবল অবস্থায় যেতে পারেনি।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার! আলোচনাটি ভালো লেগেছে। + +
আমরা অনেকদিন ধরে গার্মেন্টস রপ্তানী করে আসছি। এতদিনে পোষাক শিল্পের সাথে জড়িত যেসব সামগ্রী বা সেবা আমরা আমদানী করে থাকি, সেসব নিজ দেশেই তৈরী হওয়া উচিত ছিল, অন্ততঃ কিয়দাংশে হলেও।

০৩ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল ভাই। এসব নিয়ে নীতি নির্ধারকদের ভাবা উচিত। আমদানি নির্ভরতা যত কমাতে পারবে ততই অর্থনীতির জন্য ভালো খবর হবে।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২০

নতুন বলেছেন: দেশের অর্থনিতি হরিলটের বাজারের মতন।

যার যেই রকমের ইচ্ছা সেই করে লাভ করার চেস্টা করছে।

লাভের টাকা দেশে বিনিওগ না করে বাইরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া ব্যবসায়ীদের অন্য তম লক্ষ।

বিদেশী শ্রমিক আর রপ্তানির বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে দেশের অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছিলো। কিন্তু যুদ্ধের প্রভাবে বর্তমানের সংকট শুরু হয়েছে।

আমাদের দেশের টাকা দেশের বাইরে পাচার বন্ধ না হলে রিজাভ সমস্যা কমবে না।

০৩ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এক্সেটলি তাই। ধন্যবাদ নতুন ভাই আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.