নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
সারা বিশ্বে বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং সামনের বছরে আরো বড়সরো বিপদ আসার সম্ভাবনা আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই বিপদ সম্পর্কে আমাদেরকে আগাম সতর্ক করছেন এটা ভালো। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে আগাম বুঝতে পারছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে উনি আগাম বুঝে মানুষকে কি সব ভয় লাগানো কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। কয়েকদিন আগে বললেন দুর্ভিক্ষ হবে, তাই মানুষকে কম খেতে, চাষবাস করতে। আজকে বললেন অর্থনৈতিক মন্দার ঘনিয়ে আসছে মানুষ যেন কম খরচ করে। আপেল, কমলা, আঙ্গুর ফল যেন কম খায়, তেল ছাড়া রান্না শিখতে। এগুলো কোনো গুরুত্বপূর্ন কথা হলো? মানুষের পকেটে টাকা না থাকলে মানুষ এমনিতেই আপেল, কমলা, আঙ্গুর ফল খাওয়া ছেড়ে দিবে। এছাড়া বাংলাদেশের কতজন মানুষই বা এই ধরনের বিদেশি ফল খায়! এদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। যারা এসব নিয়মিত খায় তারা দেশে দুর্ভিক্ষ লাগলেও এগুলি খাবে, প্রধানমন্ত্রী বললেও খাবে না বললেও খাবে।
দুর্ভিক্ষ বা অর্থনৈতিক মন্দা যাই হোক না কেন সেটার ধারণা শেখ হাসিনা দিয়েছেন। কিন্তু উনি শুধু এ ধারণা দিয়েই ক্ষান্ত রয়েছে এবং দুর্ভিক্ষ বা অর্থনৈতিক মন্দা সম্পর্কে উনি কম গুরুত্বপূর্ণ ও অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলছেন। এতে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কথা। উনার আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জাতিকে জানানো দরকার। এই উদ্ভূত পরিস্থিতি আসলে তা মোকাবেলা করার জন্য উনার সরকারের কি কি প্ল্যান আছে। দেশের খাদ্য গুদামের খাদ্য মজুদের কি অবস্থা, সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। জাতীয় উৎপাদন যেন হ্রাস না পায়, তারজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মূলক কথাবার্তা বলা। দেশের রিজার্ভ ডলারের অপব্যয় যেন না হয় সে সম্পর্কে বলা। বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স নিয়ে আসার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া।
উনি সব কথার মধ্যে একটি দরকারী কথা বলেছেন, সেটা হচ্ছে যার যে পরিমাণ জমি আছে সে জমিতে চাষবাস করার কথা। কিন্তু যারা চাষবাস করে বা চাষবাস করতে জানে তাদের জমির মালিকানা খুব বেশি নেই। বড় বড় বিল্ডার্স কোম্পানিরা বিশাল পরিমাণ চাষযোগ্য জমি কিনে তার মাঝখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে রেখেছে। এসব সাইনবোর্ড দেখলে সাধারণ মানুষ ভয়ে এর থেকে দুই মাইল দূর দিয়ে হাটে। এসব জমিগুলোকে আপাতত খালি না রেখে চুক্তিভিত্তিক চাষ করার ব্যবস্থা উনি করতে পারেন। এটা ভালো কাজ দিতে পারে, সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে।
যাই হোক আগামী দিনগুলোতে বড় ধরনের সমস্যা আসতে যাচ্ছে আপাতত তেমনটিই মনটি মনে হচ্ছে। আমাদের সরকার প্রধান আমাদেরকে সতর্ক করছেন কিন্তু উনি যে কায়দায় সতর্ক করছেন তাতে মানুষ ভীত হচ্ছে। জানিনা উনি সতর্ক করছেন নাকি মানুষকে ভীত করার জন্যই এভাবে কথা বলছেন। আগামীতে আসন্ন এই সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য আসলে যার যতটুকু খালি চাষযোগ্য জমি আছে তাতে চাষবাস শুরু করা। এতে যদি দুর্ভিক্ষ বা অর্থনৈতিক মন্দা নাও আসে তাহলেও নিজের জমিতে উৎপাদিত ফ্রেশ ও ভেজাল মুক্ত খাওয়ার একটা উৎস তৈরি হবে। এই ব্যাপারটাও বা কম কি। আমাদের ঘরের ছাদে দুটি মরিচ গাছ, পাঁচটি বেগুন গাছ, ছয়টি ডেরস গাছ, দুটটি করলা গাছ ও কয়েকটি পুইশাক গাছ লাগিয়েছি। এগুলোতে সবজি আসার পর থেকে মোটামুটি বাজার থেকে খুব বেশি সবজি কিনার দরকার হয়নি। গত বছর পাঁচটি টমেটো গাছ থেকে যে পরিমাণ টমেটো হয়েছে তা আমরা খেয়ে শেষ করতে পারেনি।
আমি মনে করি এই পরিমাণ শাকসবজি চাষ করার মত সবারই জায়গা আছে, শুধুমাত্র সামান্য একটু পরিশ্রম ও পরিচর্যা করলেই সম্ভব।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ব্যবসায়ীরা ওনার থেকে বেশি প্ল্যান করছে এটা সঠিক এবং উনি এটা জানেনও। উনি এত কিছু জানেন এটা না জানার কথা না। এগুলির বিরুদ্ধে উনি বা উনার সরকার ব্যবস্থা নিতে পারার মতো সৎ ও দক্ষ নয়।
বিদেশি ফল না খাওয়ার কথা বলার কোন অর্থ নেই, এগুলি আমদানি করা আপাতত বন্ধ করে দিলেই খাওয়া না খাওয়ার কথা আসেনা।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার ধারনা বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষে পরবে না। তবে অর্থনৈতিক মন্দা চরম আকার নিবে। দেশে খাবারের কিছুটা অভাব থাকবে। তবে তার চেয়েও খারাপ যেটা হবে সেটা হচ্ছে- ব্যবসায়িরা চরম রকমের ব্যবসা করবে খাবার নিয়ে।
- অর্থনৈতিক মন্দা কাটানো বেশ কঠিন হবে। বাকি গুলি খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করার উপায় থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করা হবে না। অন্ত এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোনো রকম প্রস্তুতি বা প্রয়াস দেখা যাচ্ছে না।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমারও একই ধারণা বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কথা না। অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষের সময় অসৎ খাবার ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ নেয়। তবে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো আমাদের সরকারের যোগ্যতা কিংবা দক্ষতা কোনটাই নেই।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ন কথা বলেছেন নূর আলম হিরণ ভাই। মানুষকে ভয় দেখানো কথা বলে আসলেই কিন লাভ নেই। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পরিকল্পনা কি তা নিয়ে কথা বলাটাই যুক্তিযুক্ত।
খারাপ সময় আসলে তা মোকাবেলার জন্য, আদতেই কি সরকারের কোন পরিকল্পনা আছে? বোধহয় নেই। কোন একটা আগাম সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি কি, পরিকল্পনা কি এই নিয়ে যদি আলোচনা সমালোচনা হতো তাহলে বেশ ভাল হতো।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি আলোচনা কাদের সাথে করেন কে জানে! ওবাদুল কাদের সাহেব, হাসান মাহমুদ, সালমান রহমানের সাথে করেন হয়তো। উনারা উনাকে কি পরামর্শ দিবেন বুঝা বেশ কঠিন কিছু নয়।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: স্বাধীনতার পর থেকে তেমন কোন যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির নেতৃত্ব বাংলঅদেশ পায় নি। অবশ্য বংশ পরম্পরায় পাওয়া ক্ষমতা দিয়ে আর যাই হোক যোগ্য নেতৃত্ব আশা করাটাও বোকামি। পারিবারিক প্রথা বজায় থাকলে আমার আপনার জীবদ্দশায় ঐ নেতৃত্ব দেখে যাওয়া সম্ভবও নয়। সবাই ক্ষমতার লোভে আর পকেট ভরার রাজনীতি করে, জনগণের সেবা করার জন্য নয়।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই দেশে ক্ষমতাসীন করো বংশ তালিকায় থাকলে সহজে ক্ষমতার কাছাকাছি কিংবা ক্ষমতায়ই চলে যাওয়া যায়। সব যোগ্যতার মাঝে এটা বড় যোগ্যতা।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: ফের উনি নাকি আবার বলেছেন দুঃসময়ের জন্য খাদ্য মজুত রাখতে- এইটা কোন কথা হইল!!! এইটাতো ব্যাবসায়ীদের কথা, সবাই মজুত শুরু করলে, হু হু করে দাম বাড়া শুরু হবে।
উঁনার ইদানিংকালের কথা বার্তায় আমি খুব শঙ্কিত- উঁনি সম্ভবত হাল ছেড়ে দিয়েছেন।
ভাল লিখেছেন।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বলেছেন: খাদ্য মজুদ করবে সরকার। উনার মজুদ এর গোডাউনে কি আছে সে সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যাচ্ছে না। এই মজুদের কথা বলে উনি ব্যবসায়ীদেরকে উৎসাহ দিচ্ছেন।
উনি হালই বা ধরছেন কখন! উনি যদি হাল ধরতেন তাহলে ২০০৮ সালেই সবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতেন, দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়ে সত্যিকার অর্থে জিরো টলারেন্স দেখাতেন, উনার মন্ত্রিসভায় এক্সপার্টদের স্থান দিতেন। যিনি হাল ধরেননি তিনি হাল ছেড়েছেন বলা যাবে না।
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৫
বাংলার এয়ানা বলেছেন:
অর্থনৈতিক মন্দার কারন হিসাবে সরাকার রির্জাভ ও ডলার সংকট এর করন বলছেন, আর তা হয়েছে ইউক্রেন - রাশিয়া যুদ্ধের ফলে। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। ইউক্রেন - রাশিয়া যুদ্ধের ছয় মাস আগ থেকেই রির্জাভ ক্ষয় শুরু হয় যা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবরনেই পাওয়া যায়। আর ডলার সংকট এর মূল কারন অর্থ পাচার ও মুদ্রা বাজারের সীমাহিন দূর্নিতি। ইউক্রেন - রাশিয়া যুদ্ধে সরাকারের জন্যে সাপে বর হয়েছে, যা তারা ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করছেন।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক বলেছেন। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের দেশে যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবে প্রভাব পড়ার কথা না। ডলার সংকটের আরো প্রধান কারণ হচ্ছে বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যেগুলির অর্থ ডলারে পরিশোদ করা শুরু হয়ে গেছে। আগামী বছর থেকে এর পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বাড়বে। তার জন্য রিজার্ভের স্থিতিশীলতা বেশ প্রয়োজনীয়। কিন্তু ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কথা বলে ডলারের যে সংকট বলা হচ্ছে আদত তা মূল কারণ তা নয়।
৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৮
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সত্যকথাই ত বলেছেন দেশ ও মানুষ কে নিয়ে কত ভালবাসার চিন্তা করে
ভালবাসাটা দেখলেন না এত বড় দেশপ্রেম আর কোন নেতার নেই-------
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনার দেশপ্রেম উনার দলীয় লোকজনের জন্য। ছাত্রলীগ যুবলীগের জন্য। এর বাইরেও যে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে উনি সে সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন না।
৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৮
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: প্রত্যেক এমপি, তাদের সন্তানরা কানাডা, আমেরিাকা, মালেশিয়া, সিংগাপুর এ থাকে
রেমিটেন্স আসুক বা না আসুক, তাদের মাজারে নাজরানা পৌছে যাবে।
দেশ যাক গোল্লায়।
শ্রিলংকার প্রেসিডেন্টের কি হাল হয়েছিলো মনে আছে তো?
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেশ শ্রীলঙ্কা হবে না। তবে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে মানুষকে ভালোভাবেই ভুগতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের কথা সরকার প্রধান থেকে শোনা দরকার। উনি অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর আলোকপাত করছেন বেশি।
৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
কলাবাগান১ বলেছেন: অপ্রাসংগিক মন্তব্য:
নভেম্বর ৩ তারিখে খালেদ মোশারফ ক্যু করেন কিন্তু উনার ক্যুতে তিনি চাইলেন রক্তপাত হীন ভাবে, তাই জিয়া কে না মেরে গৃহ বন্দী, ডালিম ফারুক গং দের 'সসন্মানে' দেশ ত্যাগের দেন দরবারেই ৩-৭ তারিখ পর্যন্ত্য কাটালেন....
আর তার প্রতিপক্ষ ডানপন্হী (জাসদ বাদে) কতটা নৃসংশ ছিল তা জেল হত্যা, মুক্তিযোদ্ধা আর্মি অফিসার হত্যা, খালেদ মোশারফ হত্যার মাঝেই ফুটে উঠে... যেখানে খালেদ মোশারফ ইচ্ছে করলেই মোশতাক, জিয়া, ডালিম গং কে ৩ তারিকেই হত্যা করতে পারতেন..।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বরের সাইড ইফেক্ট এর কারণে দেশে বিএনপি নামক একটি দলের জন্ম হয়েছে। বিএনপি'র কর্নেল তাহেরের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত, যদিও তাদের নেতা বিনা বিচারে তাকে হত্যা করে। ৭ নভেম্বর বিএনপি ভুলভাবে পালন করে।
১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭
রানার ব্লগ বলেছেন: এখানে উল্টা পাল্টা কি দেখলেন উনি যদি আপেল কমলা আঙ্গুর কম খেয়ে আমড়া তরমুজ বেশি খেতে বলেন এতে সমস্যা খানা কি ? আপেল কমলা আঙ্গুর আমদানি করতে হয় । আর আমড়া তরমুজ বিনা আমদানী করেই পাওয়া যায়। দেশীয় ফল খেতে উৎসাহিত করায় উনি কি এমন দোষ করে ফেললেন ?
তবে আপনি এটা অবশ্যই বলতে পারেন দেশি মজুতদারদের বিরুদ্ধে তিনি ও তার সরকার কিছুই করতে পারছেন না। আর এই মজুতদারদের সাথে শুধু সরকার না রাজনৈতিক সকল নেতা হোক সে সরকারি বা বেসরকারি সকল নেতা পাতি নেতা ছাগ নেতা সরাসরি জড়িত । যারা এখন হায় হায় করছে তারা আসলে কম পাচ্ছে যারা নাই নাই করছে তারা তাদের টার্গেট পুরা করতে পারছে না তাই এতো সব হইচই ।
এই যে বিএনপি হই হড্ডগোল করছে তা কি আমাদের অর্থাৎ আম জনতার জন্য করছে ?? একদম না ! তারা তাদের সময়ে যে চান্দা পেতো এই সময় সেই চান্দার ভাগ অন্যদের দিতে হচ্ছে এটাই মানতে পারছে না তাই এই হড্ডগোল । এই যে তারেক চোরা লনডন থেকে বড় বড় ভুল্ভাল বুলি কপচাচ্ছে এতো বছর দেশের বাহিরে ওনার সোর্স কি আয়ের ? কিছুই না । হ্যা সোর্স একটা আছে তা হলো আমজনতার পকেটের কষ্টার্জিত টাকা যা তারা জোরজবরদস্তী করে নিচ্ছে মজুতদারী বা চান্দার মাধ্যমে ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেখুন এই ধরনের বিদেশি ফল আমদানির বিপরীতে এলসি না দিলেই এগুলি আর আসবেনা। বাজারে আপেল কমলা আঙ্গুর না থাকলে কেউ হায় হুতাশ করবে বলে মনে হয় না। এগুলোর জন্য আলাদাভাবে সতর্ক করার দরকার নেই। বলার দরকার ছিল গার্মেন্টস একসেসোরিজ যেসব বিদেশ থেকে আসে সেগুলি লোকাল উৎস থেকে সংগ্রহ করার জন্য। টেক্সটাইল কোম্পানিগুলোকে আরো উন্নত করার জন্য যাতে ক্রেতাদের চাহিদা মত কোয়ালিটি সম্পন্ন ফেব্রিক্স উৎপাদন করা যায়।
বিএনপি গত ১৪ বছর যাবত অভুক্ত। তাদের পেট ভালোভাবে মোচড় দিয়ে উঠেছে। এজন্য ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কোন রোড ম্যাপ নেই। জনগণের জন্য কি কি করবে, আওয়ামী লীগের ভুলগুলো কি কি ছিল সেগুলি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবে এ ধরনের কোন বক্তব্য শোনা যাচ্ছে না। তারা যদি ক্ষমতায় আসে এবং সেসময় দুর্ভিক্ষ কিংবা অর্থনৈতিক মন্দা সত্যি সত্যিই চলে আসে সেটাকে কিভাবে ট্যাকেল দিবে তার কথাও বলছে না। তারা শুধু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাচ্ছে। আসলে বিএনপি যদি পৌনে তিনশ আসনও জিতে যায়, তাহলে তাদেরকে সরকার গঠন করতে দেওয়া উচিত হবে না।
১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: আগামী বছর কি দেশে মানুষ না খেয়ে মারা যাবে?
আগামী বছর যা হবে সেটা হচ্ছে- জিনিস পত্রের দাম আরো বাড়বে। এজন্য দায়ী সরকার। সরকার যদি দেশে দূর্নীতি বন্ধ করতে পারতো- তাহলে দেশে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীণ ভাবে বাড়তো না। মূলত আগামী বছর হবে ব্যসায়ীদের টাকা কামানোর বছর। সেই সুযোগ শেখ হাসিনা করে দিচ্ছেন খুব ভালো করেই।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক পরিকল্পনা ও দূরদর্শিতা না থাকলে জাতি প্রতিনিয়তই বিপদে পড়ে। আগামী বছর অন্য বছরের তুলনায় একটু বেশি বিপদে পড়বে।
১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একজন রাস্ট্রপ্রধান হিসেবে আগাম দুর্ভিক্ষের ঘোষনা দেয়ায় মনে হচ্ছে উনি একটা দুর্ভিক্ষ লাগাতে চাইছেন। দুর্নিবাজ ব্যবসায়ীরা একে নাচুনি বুড়ি, তার উপরে আগাম পন্য মওজুদ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ঢোলে বাড়ী দিয়েছেন।
সরকার থেকে দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় আগাম কোন প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছেনা। এখনো কোটি কোটি টাকার বিলাসী প্রকল্প অনুমোদন পাচ্ছে। সরকারি লোকজন আর আমলাদের দলবল নিয়ে বিদেশ সফর অব্যাহত রয়েছে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সরকার এসব ব্যাপারে আগাম ধারণা দেওয়া ভালো বিষয় কিন্তু উনি আগাম ধারণা দিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলছেন। এজন্য সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছে। উনার দরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করা। এখন পর্যন্ত এ উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য উনি বিজ্ঞজনদেরকে নিয়ে একটা কাউন্সিল গঠন করতে পারেনি, এটার দরকার ছিল।
১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫১
তানভির জুমার বলেছেন: অর্থনীতির খোজ খবর যারা রাখেন তারা মোটামুটি সবাই একমত বর্তমান অর্থনীতির সংকট আওয়ামী লুটপাটের জন্য তৈরী হয়েছে। করোনা-ইউক্রেন যুদ্ধ এইসবের প্রভাব ৩-৫% থাকতে পারে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে মানুষ দুর্ভিক্ষের গান শুনায়।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এ দেশের লুটপাট সব সময় ছিল। কোন কোন সময় এখনকার চেয়েও বেশি ছিল। আমাদের সরকার গুলো সবকিছু মিলিয়ে সঠিক পরিকল্পনা নিতে ব্যর্থ হয় তাই তিনিও অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৬
সোনাগাজী বলেছেন:
উনি 'ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের' কথা ভুলে গেছেন; ওরা কিন্তু বসে নেই, ওরাই বেশী প্লয়ান করছে।
বিদেশী ফল আনতে "ডলার" লাগে; দেশী ফল বিদেশী ফল থেকে ভালো।