নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের রাষ্ট্রপতির মতো এত বড় পদটাকে গুরুত্বহীন ভাবার কারণ কী? ★★

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭



আজ আমাদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ দেশের রাজনীতিতে রাষ্ট্রপতির বিষয়টি খুব একটা আগ্রহের জায়গায় নেই। রাষ্ট্রপতি কিভাবে নির্বাচিত হয়, কারা নির্বাচিত হতে পারে, রাষ্ট্রপতির কি কাজ এই নিয়ে কোন আলোচনা নেই। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রপতিকে পুতুল, শো পিস, কাগজের বাঘ এসব বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়। আসলে এভাবে ভাবার কারণ হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রপতিকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজে দেখা মিলে না। উনাকে বিভিন্ন কনভোকেশন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে দেখা যায়, কবর জিয়ারত ও মাঝেমধ্য চিকিৎসার জন্য বিদেশে সফর করার সময় উনার কথা শুনা যায়। এছাড়া উনাকে রাষ্ট্রীয় কোনো গরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে খুব একটা দেখা মিলে না । এত বড় একটা পদ এটাকে সবাই গুরুত্বহীন মনে করার কারণ কী?

আসলে আমাদের সংবিধান রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব করেছে। তারপরেও রাষ্ট্রপতির হাতে যেসব ক্ষমতা ও দায়িত্ব আছে সেগুলিও ঠিকভাবে করা হয় না। গত ১০ বছর থেকে আমাদের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ খান, আগামী মাসে উনার বিদায় হবে। উনার কথা মনে হলে আমি শিউর সবার মনে প্রথমে উনার হাস্যরসাত্মক কিছু বাণী চোখের সামনে ভাসবে। যেগুলি উনি বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন প্রোগ্রামে দিয়েছেন। অথচ উনি কত বিশাল দায়িত্ব ও ক্ষমতা নিয়ে বসেছিলেন উনি টেরই পাননি। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন নিয়ে উনি কোন সেমিনার সিম্পোজিয়াম। উনার অফিসে উনি কখনো শিক্ষামন্ত্রীকে চা খাওয়ার জন্য ডেকেছেন কিনা মনে পড়ছে না। আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্রপতি সরকারের কোন সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে না পারলেও, তদারকি করার ক্ষমতা আছে। উনি ওনার মোরাল অফিসে শিক্ষামন্ত্রী ও সচিবকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিতে পারতেন। উনার উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারতেন। ব্যাঙের ছাতার মত যে রাস্তার মোড়েমোড়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গজিয়েছে এগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে গবেষণামূলক কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিতে পারতেন। সর্বোপরি উনার দায়িত্ব কালে উনি সিগনিফিকেসেন্ট কোন কিছু করেছেন কিনা আমার চোখে পড়েনি। আপনাদের পড়ছে কিনা কে জানে!
এবারের বইমেলায় উনি একটি বই বের করতে যাচ্ছেন উনার জীবনে নিয়ে। সেখানে কিছু পাওয়া যায় কিনা দেখা যাক, বইটি পড়ার ইচ্ছা আছে। হয়তো জাতির অজান্তে উনি অনেক বড় বড় কাজ করেছেন কে জানে! নাকি এপিজে আবুল কালামের দেখাদেখি উনারও নিজের জীবনী নিয়ে বই বের করতে ইচ্ছা জেগেছে!

যাই হোক আমাদের এই রাষ্ট্রপতি চলে যাচ্ছেন। উনার জায়গায় নতুন রাষ্ট্রপতি আসবেন। উনার অবস্থাও বাকি রাষ্ট্রপতিদের মত হবে সেটা আন্দাজ করা যায়। তারপরেও আশা থাকবে নতুন রাষ্ট্রপতি তার হাতে যতটুকু ক্ষমতা ও দায়িত্ব আছে সেগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগ ও পালন করবেন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করবেন, বাকি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে গড়ে তুলতে সহায়তা করবেন। নিজের কর্মজীবনে এমন কিছু জাতিকে দিয়ে যাবেন যাতে সারা জীবন জাতি উনাকে স্মরণ করতে বাধ্য হয়। সামনের দিনগুলোতে মানুষ যেন রাষ্ট্রপতির পদটাকে একটি গুরুত্বহীন পদ মনে না করে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



প্রেসিডেন্ট চেয়ারে বসে উনি দায়িত্ব কেন ঠিকমত পালন করতে পারেন নি,কোথায় কি সমস্যা ছিলো, বইয়ে এসব আসলে ভালো হবে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এগুলো আসলে বইয়ে আসার কিছু নাই। এগুলো এমনিতেই বুঝা যায়, আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে খুব বেশি ক্ষমতা দেয়নি। উনাকে রাজনীতি ও দলের বাইরে রাখতে গিয়ে উনার হাতে নাগরিক অধিকারের বিষয়গুলির মধ্যে শুধুমাত্র শিক্ষা জিনিসটি নিয়ে কাজ করার স্পেস দেওয়া হয়েছে। আমাদের কোন রাষ্ট্রপতি যতটুকু স্পেস আছে সেই স্পেসেও কাজ করেনি।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: যথাযথ পদ ও পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিত্বহীন লোকের জন্যই এই অবস্থা.....

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ব্যক্তিত্বহীন আসলে বলা যায় না। সম্ভবত এখানে গেলে আমাদের রাষ্ট্রপতিরা অলস হয়ে যায়। আর আরাম করে সময় কাটিয়ে দিতে চায়। যার জন্য যতটুকু দায়িত্ব ও ক্ষমতা আছে সে অনুযায়ীও দৃশ্যমান কোন কাজ করে না।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২০০৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন। ফলে দেশে একটা ভয়ংকর সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছিল।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ হলেন রাষ্ট্রপতি। কাগজে কলমে আরও কিছু ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে। যে কোন রাষ্ট্রপতি বেঁকে বসলে প্রধানমন্ত্রী সমস্যায় পড়তে পারেন।

আপনি কিছু কাজের উল্লেখ করেছেন যার সাথে ক্ষমতা বা রাজনীতি জড়িত না। কোন রাষ্ট্রপতি চাইলে এই বিষয়গুলি নিয়ে ভাবতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে পারেন। কিন্তু কোন রাষ্ট্রপতি এই ধরণের কোন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বলে শুনি নাই।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের রাষ্ট্রপতি যে পরিমাণ সময় পায় সে সময় যদি শিক্ষা, গবেষণা ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে কাজ করে তাহলে আমাদের মন্ত্রিসভার উপরে চাপ কমে যায়। আর এতে উনার সরাসরি পর্যবেক্ষণের কারণে দুর্নীতি পরিমাণও কমে যাওয়ার কথা।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: রাষ্ট্রপতি কি কি অবদান রাখলেন সেই হিসাব কার কাছে আছে?
উনি বিভিন্ন ক্যাম্পাসের অনুষ্টানে গেছেন হাস্যকর করেছেন। এর বড় পদে থেকে দেশের জন্য উনি কি কি করেছেন??
কিন্তু উনি উনার দল নিয়ে শারীরিক চেকাপ করাতে লন্ডন গিয়েছেন। খরচ্চ হয়েছে কোটি কোটি টাকা।
হাসিনা থাকলে আর কারো দরকার নাই। কাজেই রাষ্ট্রপতি পদটা বাতিল ঘোষনা করা হোক। দেশের অনেক টাকা বেঁচে যাবে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রাষ্ট্রপতি চাইলেই অনেক কিছু করতে পারেন কিন্তু এত বড় পদে গিয়ে সবাই অলস হয়ে যায়।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯

শাহ আজিজ বলেছেন: এ যাবত দেশ পরিচালনায় কি কি ঘাটতি জনিত বিষয় ছিল যা রাষ্ট্রকে ক্ষতি করেছে । এসব বিষয় রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া যেতে পারে যাতে একটা লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হয় । শিক্ষা , স্বাস্থ্য এবং পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় রাষ্ট্রপতিকে দিলে ভাল হবে মনে করি কারন এই গুলোতে ঘাটতি সবচে বেশি । এখানে একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যাক্তিকে দরকার যিনি এসব বিষয় বোঝেন ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য এগুলোতে রাজনৈতিক বিতর্ক কম। এসব জায়গা রাষ্ট্রপতি জাতির জন্য কাজ করতে পারে। এছাড়ও দক্ষ নাগরিক গড়ে তুলতে উনি আলাদা ইনস্টিটিউট খুলতে পারে উনার অধীনে।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: অপ্রয়োজনীয় ফালতু একটা পদের ( হয়তো মুল্যবান ছিল- কিন্তু বিগত প্রেসিডেন্টদের কাজকর্মে তা মনে হয়নি) জন্য বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করার কোন মানে হয় না।
লেখা ভাল লেগেছে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্রয়োজনীয় একটা পদ ক্রমেই অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



ড: কামাল হোসেব সাহেব সংবিধান লেখেননি, ইহা ৩য় বিশ্বের প্রশাসন চালানোর ম্যানুয়েল, অপ্রয়োজনীয়

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের সংবিধানে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদে একটা ভারসাম্য ছিল, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছে।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কারণ গুরুত্বপূর্ণ লোকদের ঐ পদে বসিয়ে তাদের দিয়ে গুরুত্বহীন কাজ করানো হয়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এত বড় পদে বসে কেউ কিভাবে অলস সময় কাটায় কে জানে!

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩

নতুন বলেছেন: প্রথমত আমাদের দেশের রাজনিতিক দলগুলি 'করে নাকো ফুস ফাস মারে নাকো ঢুস ঢাস' এমন মানুষকেই ঐ পদে বসাবে।

আর রাস্টপতি সম্ভবত নিজে কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। নতুবা প্রধানমন্ত্রী তাকে বকে দিতে পারে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটাই হয়ে আসছে। ব্যতিক্রম কিছু হবে না সামনেও।

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশ চলে শেখ হাসিনার কথা মতো। উনি যা বলবেন সেটাই সঠিক। আর কারো কোনো কথার দাম নাই। সবাই দুধ ভাত।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ হাসিনা একা সব চালাতে গিয়ে একাই সব বদনামের ভাগীদার হবেন একদিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.