নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা ইউরোপের সিলেবাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে ভুল বিষয় কি থাকা সম্ভব? ★

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৩


আমাদের পাঠ্য পুস্তকে অহরহ ভুল ভাবনা/বিষয়ের দেখা মেলে। অজ্ঞতার কারণে কিংবা ভুলবশত এই ভুলের সৃষ্টি হয়। উন্নত বিশ্বের শিক্ষনীয় বিষয়ে সম্পূর্ণ ভুল ভাবনার উপর প্রতিষ্ঠিত কোন কিছু কি অন্তর্ভুক্ত থাকে? তারা তাদের বাচ্চাদের বছরের পর বছর ভুল বিষয় পড়াবে? আমার কাছে মনে হয় না এটা সম্ভব। ডারউইন বিবর্তন তত্ত্ব দেওয়ার পর আজ পর্যন্ত এটা নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এটা বিজ্ঞানের মানদন্ডে এখনও টিকে আছে। জীব জগতের উৎপত্তি ও বৈচিত্র্যে নিয়ে অনেকেরই অনেক হাইপোথিসিস ছিল কিন্তু ডারউইনের হাইপোথিসিস বিজ্ঞান মহলে এখনো তত্ত্ব হিসেবে স্বীকৃত। এরচেয়ে ভাল কোন হাইপোথিসিস আসলে বিজ্ঞানীরা ডারউইনের তত্ত্বকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে সেটাকে তত্ত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করবে না। বিবর্তন তত্ত্বকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে অনেক সমস্যাই সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে, তাই এর জনপ্রিয়তা এখনো সবচেয়ে বেশি। আবার এই তত্ত্ব দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হচ্ছেনা কিন্তু একই সাথে সেই সমস্যা অন্য কোন তত্ত্ব দিয়েও সমাধান করা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে বিবর্তন তত্ত্বকেও অপ্রয়োজনীয় বলা সম্ভব হচ্ছে না।

আমাদের নতুন পাঠ্যপুস্তকের বিজ্ঞানের বইতে এই বিবর্তন তত্ত্বটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা বাচ্চাদের দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা নিয়েই গত বেশ কয়েকদিন ধরে তুলকালাম অবস্থা। যারা দাবি করছে এই ভুল ভাবনাটি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা ঠিক হয়নি তারা ধর্মীয় চিন্তা ভাবনা থেকে এমনটি বলছে। কিন্তু তারা এটা ভাবছে না যে, বিবর্তন তত্ত্বটি যদি ভুল হয় এবং এই ভুলটি যদি ভুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হয় তাহলেও বাচ্চাদের এই সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হবে। কোন তত্ত্ব যে ভুল, বিজ্ঞানের মানদণ্ডে সঠিক নয় এটা জানতে হলেও তো সেই বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হবে। এখন আপনি যদি সেটা নায়ই পড়েন, নায়ই বুঝেন তাহলে এটা যে ভুল সেটা আপনি কিভাবে নিশ্চিত হবেন!
আপনি এখন যে বাচ্চাদেরকে এই তত্ত্বটি ভুল বলে পড়া থেকে বিরত রাখছেন, এমনও হতে পারে বিবর্তন নিয়ে এসব তথ্য পড়ার পর এই বাচ্চারাই কোন একদিন নিজের অর্জিত জ্ঞান দিয়ে প্রমাণ করে দেবে বিবর্তন তত্ত্বটি ভুল ছিল। সেদিন তার এই সাফল্য তাকে ডারউইন থেকেও জনপ্রিয় করে দিতে পারে!

যাই হোক সারা পৃথিবীতে জীব বিজ্ঞানের বহুল চর্চিত একটি তত্ত্বকে আপনি বাচ্চাদের পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন। পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন, করুন তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি এই তত্ত্বটি আসলেই ভুল ধারণা বা ভাবনার উপর প্রতিষ্ঠিত হতো, আমেরিকা, কানাডা, ফিনল্যান্ড, বৃটেনের মানুষজন এটা সরানোর জন্য অনুরোধ করতো না বরং কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করতো। একটা ভুল ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে তারা তাদের শিক্ষা কারিকুলামে বছরের পর বছর চলতে দিত না।
আজ থেকে ১৫০ বছর আগে ডারউইন তার এই বিবর্তন তত্ত্বটি সবার সামনে প্রকাশ করেছে। যেটি এখনো বিজ্ঞানমহলে ভালো ভাবেই টিকে আছে। একটি ভুল ভাবনা, ভুল তথ্য এত দীর্ঘ সময়ে বিজ্ঞান মহলে টিকে থাকার কথা নয়। যখন একটি তত্ত্বকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য এই বর্তমান জেনারেশনের কাছে প্রয়োজনীয় টুলস ব্যবহার করে সত্যতা যাচাই করা বেশ সহজ। আজকে আপনি জীবজগতের উদ্ভব ও বৈচিত্র্য নিয়ে একটি হাইপোথেসিস তৈরি করুন এবং সেটি বিশ্ববাসীকে জানান। দেখুন সেইটি কত বছর লাগে বিজ্ঞানীদের ভুল কি সঠিক বের করার জন্য? আমার বিশ্বাস খুব বেশি সময় লাগবে না।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:


আদি যুগের গল্পগুলো মনে রাখাটা সহজ; যাদের মেমোরী কার্ড ছোট তাদের জন্য এগুলোই ভালো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিজ্ঞান চর্চা করতে হবে। এ ভিন্ন কোনো উপায় নেই।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: পাঠ্যবই থেকে কেবল বিবর্তনতত্ত্ব বাদ দিলেই হবে না। এখানে ধপাসতত্ত্ব যুক্ত করতে হবে। মেডিকেলের বইয়ে পানি পড়া, তেল পড়া, কলাপড়া, ঝাড়ফুক, জীন তারানো ও জিনকে কীভাবে বোতলে বন্দি করা করা হয় তা যুক্ত করতে হবে এবং হাতে কলমে শিক্ষা দিতে হবে।
প্রতিটি সরকারী হাসপাতালে অভিজ্ঞ কবিরাজের মাধ্যমে ঝাড়ফুক বিভাগ স্থাপন করতে হবে। তিনবার কসম খাওয়ার বিনিময়ে ইসলামী ব্যাংকগুলি যেন তার গ্রাহকদেরকে সুদমুক্ত ঋণ দেয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হাহাহা:)

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বিবর্তনবাদ বিশ্বের বহু দেশে বহু সময় ধরে আন্ডাররেটেড থাকবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা একটি জটিল তত্ত্ব, সাথে ধর্মীয় বিষয় চলে আসে।এই জন্য এটা নিয়ে আলোচনার আগেই সমালোচনা শুরু হয়।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৩৭

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের সব থেকে বড় সমস্যা কি জানেন। এখানে পাগল ছাগল জ্ঞ্যানীদের বিচার করে। বিবর্তন তো অনেক বড় বিষয় পানির বিভাজন যাদের কাছে হাস্যকর লাগে তারা যদি আসে জ্ঞ্যানীদের নিয়ে আলোচনা করতে তা হলে যা হবার তাই হইছে। গ্রাম্য ভাষায় একটা কথা আছে যা শুনতে খুবি অরুচিকর তা হলো ধো** নাই বন্ধুক কান্দে নিয়ে হাটে। যে সকল আসর জমানো মৌসুমি মৌ-লোভী বিবর্তন নিয়ে রসের আলোচনা করেন তারা আসলে ওই গ্রাম্য কথার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেগুলোতে তারা কোনো কিছু উদ্ভাবন করতে চায় না, অন্য কেউ উদ্ভাবন করলে ব্যবহারকারী হতে চায়। সমালোচনা ও ভুল ধরতেও যোগ্যতা লাগে, পড়াশোনাও করতে হয় কিন্তু কিছু মানুষ আছে না জেনেই সমালোচনা শুরু করে দেয়। এই দেশে ঐসব মানুষের সংখ্যাই বেশি।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪৯

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: ভাইয়া খুব ভাল লিখেছেন।
আমি ও আপনার সাথে এক মত।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: যার Evolution বা selection pressure এই সব ওয়ার্ড বানান করতেও কলম ভাংবে তারা আসে পৃথিবীর বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীদের ভুল ধরতে.... কিছুদিন আগে একজন স্বল্পশিক্ষিত কে দেখলাম ব্রেইন এর ওজন দিয়ে হা হা হা রিয়েক্ট করে পোস্ট দিয়েছেন...উনি যে বিবর্তন কিভাবে হয়, তার ব ও বুঝেন না তা প্রমানিত হল এমন সোজা সরলীকরন...বিবর্তন এক সোজা লাইনে ঘটা কোন বিষয় নয়.....নানা শাখা/প্রশাখা আছে (Evolutionary tree)....
উনাকে শুধু একটা প্রশ্ন: নীচের এক্সপেরিমেন্ট এ চোখের সামনে কেমনে এক প্রজাতির ব্যাক্টিরিয়া সিলেকশান প্রেশারে পড়ে কিভাবে অন্য 'প্রজাতি' তে পরিনত হল কিছুদিনের মাঝেই..... মানুষের বিবর্তন হাজার লক্ষ কোটি বছর ধরে.....।Bacteria Evolve under selection pressure of antibiotics

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিষয়টি এটাই, কোনো কিছুকে ভুল বলতে হলে সেটা সম্পর্কে জানতে হবে, এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে। না জেনে না বুঝে এক কথায় সেটাকে ভুল বা অপ্রয়োজনীয় বলে দেওয়া ঠিক নয়।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা দীর্ঘ সময় নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র পড়েছি স্কুলে। বিদেশের স্কুলেও পড়ান হয়েছে। কিন্তু নিউটনের মহাকর্ষ ল যে ত্রুটিপূর্ণ সেটা বলেছেন আইন্সটাইন। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অনেক ব্যাপারে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র কাজ করে না।

এমন কি আইন্সটাইনের জেনারেল রিলেটিভিটিও সব কিছু ব্যাখ্যা দিতে পারে না। কিন্তু পারার কথা ছিল।

এগুলি সবই পড়ান হচ্ছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: নিউটনের সূত্র কার্যকর তবে কোয়ান্টাম জগতে গিয়ে অকার্যকর হয়ে যায়। সেখান থেকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর আবির্ভাব হয়।এজন্য আপনি কোন কিছুকে ভুল বলতে গেলে অসম্পূর্ণ বলতে গেলে সেটা সম্পর্কে বিস্তার জানতে হবে। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বটি প্রায় দেড়শ বছরের বেশি টিকে আছে। এটাকে ছুড়ে ফেলার মত এখনো কোন অবস্থা তৈরি হয়নি। যেদিন তৈরি হবে এটা আপনা আপনি বাদ হয়ে যাবে।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের সব থেকে বড় সমস্যা কি জানেন। এখানে পাগল ছাগল জ্ঞ্যানীদের বিচার করে। বিবর্তন তো অনেক বড় বিষয় পানির বিভাজন যাদের কাছে হাস্যকর লাগে তারা যদি আসে জ্ঞ্যানীদের নিয়ে আলোচনা করতে তা হলে যা হবার তাই হইছে। গ্রাম্য ভাষায় একটা কথা আছে যা শুনতে খুবি অরুচিকর তা হলো ধো** নাই বন্ধুক কান্দে নিয়ে হাটে। যে সকল আসর জমানো মৌসুমি মৌ-লোভী বিবর্তন নিয়ে রসের আলোচনা করেন তারা আসলে ওই গ্রাম্য কথার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

সহমত ।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কোনো একটা জিনিসকে অপছন্দ হলে বা নিজের পক্ষে না এলে তার ভুল ব্যাখ্যা করায় আমরা ওস্তাদ। এটা নতুন কিছু না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পৃথিবীতে সব মানুষের সব কিছু পছন্দ হবে না। বিজ্ঞান কারো পছন্দ অপছন্দ দিয়ে এগিয়ে যায় না। বিজ্ঞান এগিয়ে যায় যুক্তি তর্কে। এ যুক্তি তর্কে আমরা অংশগ্রহণ করি না, চোখ বন্ধ করে নিজের মতামতকে প্রাধান্য দেই।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

তানভির জুমার বলেছেন: পাঠ্য বই যে হিন্দুত্ববাদ ঢুকিয়েছে ঐগুলো কি ঠিক আছে?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হিন্দুত্ববাদ নিয়ে আমার পোস্ট নয়। তারপরও জানতে চাচ্ছি কি এমন হিন্দুত্ববাদ পাঠ্যপুস্তকে ঢুকিয়েছে যা উচিত হয়নি?

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০০

নতুন বলেছেন: মাঝে মাঝে বিনেদনের দরকার হইলে ফেসবুকের কমেন্ট পড়ি। কারন বর্তমানে সবার হাতেই ফেসবুক। আর সেখানে কমেন্টে জ্ঞানের ছড়াছড়ি দেখলে নিজের ছবির কথাই মনে পড়ে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাঙ্গালী অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে তর্ক করে, যেটা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই সেটা নিয়ে তর্ক করে আরো বেশি।

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোয়ান্টাম জগতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না গ্রহ নক্ষত্রের জগতেই নিউটনের মহাকর্ষ সুত্র ভুল তথ্য দেয়। পৃথিবীর বুকে নিউটনের সুত্রের ত্রুটি আমাদের নজরে আসে না কারণ পৃথিবীতে মহাকর্ষের প্রভাব খুব সামান্য। নিউটনের মহাকর্ষ সুত্রের মৌলিক সমস্যা আছে। এই সূত্র টাইম এবং স্পেসকে বিবেচনায় নেয় না। মার্কারির অরবিট সহ গ্রহ নক্ষত্র পর্যায়ের অনেক কিছুর ক্ষেত্রেই নিউটনে সূত্র ভুল তথ্য দেয়। এগুলির ব্যাখ্যার জন্য আইনস্টাইনের সুত্রের প্রয়োজন হয়।

কোয়ান্টাম জগতের ক্ষেত্রে আইনস্টাইনের সূত্রকেও এক নিয়মে আনা যায় না। বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন আইনস্টাইনের সুত্রের সাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সমন্বয় করার।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:০৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একটা সময় সব কিছুরই অসঙ্গতি থাকলে সেটার সমন্বয় করতে হয়, আর এর জন্যই পড়তে হয় জানতে হায়।

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি বহু বছর ধরে বিদেশে আছি। আমার বাচ্চারা বিদেশে জন্মগ্রহন করেছে এবং এখানে স্কুল কলেজে পড়াসোনা করছে। ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ১০ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞান বইতে আমি বিবর্তন তত্বের দেখা পাইনি।

বিবর্তনবাদ বিষয়টা শুধু ইসলাম ধর্মই নয়, প্রায় সব ধর্মের সাথেই সাংঘর্ষিক।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:০৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমিরিকাও একটা সময় বিবর্তন কিছু স্টেটে পড়ানো নিষেধ ছিল শুধুমাত্র ধর্মীয় কারনে এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে ভুল এজন্য না।
আপনার বাচ্চারা কোন দেশের কোন স্কুলে পড়ছে?

১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৩৬

কামাল১৮ বলেছেন: উন্নত বিশ্বে বিবর্তন পড়ানোর দরকার নাই।তারা বিবর্তনের বাইরে কিছু পড়ায় না।তাদের বইতে নাই দুইজন মানুষ থেকে সমস্ত মানব জাতির বিকাশ।তাদের ধর্ম গ্রন্থে আছে কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে নাই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:১০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জীব জগতের বৈচিত্র্য পড়াতে গেলে বিবর্তনের ইতিহাস আনতেই হবে।

১৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৪৩

ঈশ্বরকণা বলেছেন: "উন্নত বিশ্বের শিক্ষনীয় বিষয়ে সম্পূর্ণ ভুল ভাবনার উপর প্রতিষ্ঠিত কোন কিছু কি অন্তর্ভুক্ত থাকে? তারা তাদের বাচ্চাদের বছরের পর বছর ভুল বিষয় পড়াবে? আমার কাছে মনে হয় না এটা সম্ভব। ডারউইন বিবর্তন তত্ত্ব দেওয়ার পর আজ পর্যন্ত এটা নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এটা বিজ্ঞানের মানদন্ডে এখনও টিকে আছে।

আপনার লেখার শুরুর এই কথাগুলো পড়ে মনে হলো আপনি বা আপনারা যারা বিবর্তনকে ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন তারা বিবর্তন আর মনোথিস্ট ধর্মগুলোর আদমের (আঃ) আবির্ভাব বা সৃষ্টির বিষয়ে দ্বন্ধটা ঠিক কি সেটা বুঝতে পারেন নি । প্রথম কথাটা হলো মনোথিস্ট কোনো ধর্মই কিন্তু বিবর্তন মিথ্যে সেটা বলছে না। কুরআন যেমন পরিস্কার করেই বলছে সব কিছু পানি থেকেই সৃষ্টি। কিন্তু পানি দিয়ে মানুষ বা লতাপাতা সরাসরি বানানো যাবে না (যদিও অকুয়াম্যান বলতে একটা ফ্যান্টাসি চরিত্র আছে সেটা মানা করছি না !) । তাহলে খুব ক্লিয়ারলি একটা বিবর্তনের ব্যাপার এসেই যাচ্ছে প্রাণী আর উদ্ভিদের সৃষিটর ক্ষেত্রে। বিবর্তনের সাথে এখানে ধর্মের কোনো দ্বন্দ্ব খুঁজে পেলেন কি এই এই কুরআনিক বর্ণনায়? তাছাড়া আরেকটা কথাও আছে এখানে। কুরআন বা অন্য কোনো মনোথিস্ট ধর্মের রিভিলেশনগুলোই কিন্তু এই যে অসংখ্য উদ্ভিদ বা প্রাণী আমরা পৃথিবীতে এখন দেখি বা যে সব প্রাণী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তাদের সম্পর্কে খুব বেশি বলেনি ।তাহলে সেই প্রাণীগুলো বিবর্তনের মাধ্যমে হতেই পারে । ধর্মতো বলছে না সেগুলো বিবর্তন দিয়ে হতেই পারে তাই না ? আমিতো ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে তাতে কোনো সমস্যা দেখি না । তেমন করে হোমোসেপিয়েন্সের আগের মানবগোষ্ঠীগুলো বিবর্তনের ফলে হতেই পারে এ'নিয়েও মনোথিস্ট ঘর্মগুলো কোনো কথাই বলেনি। তাহলে তাদের ব্যাপারেও ধর্মকে বিজ্ঞান বা বিবর্তনের প্রতিদ্বন্ধি বানাবার এই প্রচেষ্টাটা কিন্তু খুব সৎ না। মনোথিস্ট ধর্মগুলোর মানব ইতিহাসের শুরু হলো আদমের (আঃ) থেকে। আদমের (আঃ) আবির্ভাবের কুরআনিক (আর মনোথিস্ট অন্য ধর্মের) বর্ণনা আর বিবর্তন একই সাথে সত্যি হতেই পারে। এর খুব বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা আছেও ।সে নিয়ে কি মেইনস্ট্রিম বৈজ্ঞানিকদের আলোচনার কিছু কখনো শুনেছেন ? না শুনে থাকলে একটা কবিতা: "দ্বার বন্ধ করে ভ্রমটারে রুখি /সত্য বলে আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি "। পড়ুন বেশি বেশি করে । এখনকার মেইনস্ট্রিম বৈজ্ঞানিকদের ডিস্কাশনগুলো পড়ুন তাহলেই বুঝবেন আদমের (আঃ) আবির্ভাবের কুরআনিক (আর মনোথিস্ট অন্য ধর্মের) বর্ণনা আর বিবর্তন একই সাথে সত্যি হতেই পারে। নইলে ভ্রম রুখতে গিয়ে সত্যের দেখা কিন্তু কখনোই পাবেন না ।

ও আপনার জন্য আরেকটা তথ্য। আমেরিকার নয়টা স্টেটের স্কুলে বিবর্তন পড়ানো কিন্তু নিষিদ্ধ । আমেরিকান ৩০% স্কুলে বিবর্তন পড়ানো হয় না তার মানেতো বুঝলেন ?এই স্টেট্গুলোতে বিশ্বাস করা হয় বিবর্তন বা বিবর্তনের ব্যাখ্যাটা ভুল মানুষের সৃষ্টির সাথে ! আপনার লেখার শিরোনামটাও তাই দ্ব্যর্থবোধক হলো না তাই না ?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমি আসলে পোস্টে কোথাও বিবর্তনকে ধর্মের মুখোমুখি দাঁড় করায়নি। বলতে চেয়েছিলাম বেশিরভাগ ধার্মিকরা বিবর্তনকে ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক ভেবে এটা নিয়ে অধ্যয়ন করতে চায়না। আমি ওই জায়গাটাই ফোকাস করেছি। আমি অনেককেই ইদানিং দেখছি বিবর্তন তত্ত্বের সাথে ধর্মেকে কম্বাইন করতে। এটাকে আমি খারাপ বলছিনা, ইসলামিক স্কলাররা গবেষণা করে হয়তো বিবর্তনের সাথে ধর্মের সাংঘর্ষিকতা এই বিষয়টি বাদ দেবেন। আমি উপরের একটি মন্তব্যতে বলেছিলাম আমেরিকার অনেক স্টেইটে বিবর্তন পড়ানো হতোনা, এখন হয় কিনা জানিনা। নিচে কামাল ভাই মন্তব্য করেছেন আমেরিকায় এখনো অনেক জঘন্য জঘন্য আইন আছে বিভিন্ন স্টেট বেধে। উনার কথার সাথে সহমত। আমেরিকায়ও একসময় উইচ হান্টিং এর নামে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হতো।
একসময় চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ, বিদ্যুৎ চমকানো, ঝড়-বৃষ্টি, পৃথিবী গোলাকার, সূর্যের চারদিকে ঘুরে বিগব্যাং এগুলোকেও ধর্মের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। সময়ের সাথেসাথে সেগুলোকে ধর্মের সাথে কম্বাইন করা হয়েছে। এখনো বিবর্তনবাদকে ধর্মের সাথে কম্বাইন করার চেষ্টা চলছে এটা ভালো লক্ষণ।

১৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২১

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকাকে আর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশ বলা চলে।সুইডেন সহ ঐ অঞ্চলের দেশগুলো আমেরিকাকে জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত দেশ বলে না।এদিক থেকে অনেক এগিয়ে আছে ইউরোপ।আমেরিকাতে অনেক জংলী আইন চালু আছে।

১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিবর্তন নিয়ে দেশে এখন প্রচুর বিতর্ক চলছে, আগে যা শুধু অনলাইনেই হতো। একদিক দিয়ে ভালো হইছে, মানুষ অন্তত বিষয়টা জানতে পারছে, এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। একজন জাফর ইকাবাল স্যার যা করেছেন গত ১০ বছরে হাজার জন ব্লগার মিলেও তা করতে পারে নি।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্রতিটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নিয়েই তর্ক-বিতর্ক হয়। আমাদের এদিকে একটু দেরিতে শুরু হয় এই যা!

১৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোচনাটি ভালো লেগেছে।
বিজ্ঞান চর্চা করতে হবে। এ ভিন্ন কোনো উপায় নেই (১ নং প্রতিমন্তব্য) - এর সাথে কোন দ্বিমত নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.