নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি ভায়োলেট করেছে বিএনপি! ★

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৮


আজকে যে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা কান্নাকাটি করছে এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি ম্যানুপুলেটেড, ভায়োলেট, পুলিউটেড, ডিস্ট্ররয়েড করেছে বিএনপি। সর্বপ্রথম দলটির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া রাজি থাকলে ১ চাপুন, রাজি না থাকলেও ১ চাপুন মার্কা নির্বাচন করে নির্বাচনকে হাসি তামাশার বিষয় বানিয়েছে। ঐ নির্বাচনের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা নির্বাচনীয় সিস্টেমকে আধমরা করেছেন। ওই সময়টুকুতেই আমাদের রাজনীতিতে সরকারি আমলাদের প্রবেশ সবচেয়ে বেশি হয়। এছাড়াও স্বাধীনতা বিরোধীরা রাজনীতিতে একটা স্পেস পায়। যারা বাংলাদেশ চায়নি তারাই বাংলাদেশে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গুলি ভোগ করতে থাকে সবচেয়ে বেশি। মেজর জিয়া তার জীবদ্দশায় আর নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ঠিক করতে পারেননি। জগাখিচুড়ী মার্কা একটা ব্যবস্থাকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের মোড়ক লাগিয়ে বিএনপি'র লোকজন এখনো গর্ভবোধ করে।

বহু চড়াই উৎরাই পার করে আবারও মেজর জিয়ার দল বিএনপি ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসে নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরো কার্যকর করার সুযোগ থাকলেও তা করেনি। তখনো নির্বাচিত সরকারের হাতে নির্বাচন করার সুযোগ থাকে। এখন যেমনটি আছে। কিন্তু তখনও এটার অপব্যবহার প্রথম করে বেগম জিয়ার দল। মাগুরার একটি উপনির্বাচনে যে পরিমাণ কারচুপি হয়েছে তাতে নির্বাচিত সরকারের হাতে নির্বাচন পরিচালনা করার আর কোন সুযোগ থাকলো না। নির্বাচিত সরকারের হাতে নির্বাচন পরিচালনা করার যে সুযোগ ছিল এই মাগুরার উপ-নির্বাচনে অনিয়মের জন্য সে সুযোগ আর রইল না। বিএনপি'র নেতাকর্মীদের মধ্যে এখনো অনেকেই স্বীকার করে মাগুরার নির্বাচনটি বাংলাদেশের নির্বাচনে ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এই মাগুরার উপ-নির্বাচনটি বিএনপির জন্য একটা আদিপাপ, যার ফল এখনো এই দলটি ভোগ করছে। আর এই জন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করার প্রয়োজন পড়ে। আর এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই সর্বপ্রথম আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র ৯৬ সালের ক্ষমতাসীন সরকারই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। যাইহোক আওয়ামীলীগের আন্দোলনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে সিস্টেম চালু হয়েছিল সেটাকেও নষ্ট করে বিএনপি। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সিস্টেম রেখে কিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় তার অপকৌশল বের করার চেষ্টা করে। ১ কোটি ভুয়া ভোটার, নির্বাচন কমিশনার আজিজ এবং বিচারপতিদের মধ্যে গন্ডগোল লাগিয়ে সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে চাওয়া! এই সবকিছু মিলিয়ে এই সিস্টেমটাকেও নষ্ট করে দেয় বিএনপি। যারজন্য সৃষ্টি হয় ওয়ান ইলেভেনের মত ঘটনা।
এখন দেখা যাচ্ছে পরপর তিনবার বিএনপি প্রতিষ্ঠিত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নষ্ট না করে যদি বিএনপি সেখানে আরো কিছু বিষয় যোগ করে কার্যকর করার চেষ্টা করত সেটা জাতির জন্য ভালো হতো। বিএনপি'র এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে আওয়ামীলীগ জাতির উপর এখন জিন্দাবাদের ভূতের মত চেপে বসেছে!

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিএনপির কান্ড জ্ঞানহীন কর্মের ফল এখন তারা ভোগ করছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তাদের জন্যই আজ তারা সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য কান্নাকাটি করছে।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:


মিলিটারীর দল, 'ভোট' চায়, ইহাই তো এক বিশাল 'বিবর্তন'।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হাহাহা । এটা ভালো বলেছেন।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সঠিক সুতরাং সহমত ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ গোফরান ভাই। নতুন পোস্ট লিখুন, মন্তব্য করুন চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই ।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: এখানে বি এন পি আওয়ামিলীগ বলে বলে ভাগ করা যাবে না । সবাই তো বাংলাদেশী বাঙ্গালী। আসলে জাতিগতভাবে আমরা ক্ষমতালোভী ও চাটুকার। অন্যায়কে সহি রূপ দেবার দুর্দান্ত দক্ষতা আছে আমাদের।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই বাঙ্গালীদেরই ৫২, ৬৬, ৬৯, ৭০, ৭১ এর ইতিহাস আছে। এরপর কি যেনো হলো সব এলোমেলো হয় গেলো। অল্প পানির মাছ গভীর পানিতে আসলে যা হয় তাই হলো। আরে গভীর পানিতে বিএনপি হাঙ্গরের ভূমিকা নিয়ে এসেছে।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ বিএনপিকে খেয়ে ফেলেছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পুরো খেতে পারেনি, যতোটুকু খেয়েছে তাতেই এখন বদহজম হচ্ছে।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


নকল প্রতিষ্ঠিত করতে ভায়োল্যান্ট হতেই হয়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ভায়োলেট করেছে বিএনপি। কোন ব্যবস্থার উপরেই তারা আস্থা রাখতে পারছে না।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: দলটি ১৯৯৪ এর মার্চ এ মাগুরার উপনির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি করে সেই সময়ের বিরোধীদেরকে সুযোগ করে দিয়েছিলো ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে। আবার প্রধান প্রধান সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জন সত্বেও ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি আর একটি একতরফা এবং বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে ফেলে যার কোনো গ্রহণযোগ্যতাই ছিলোনা, ফলে বিরোধীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে একই বছর জুন মাসে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।

আবার সেই দলটিই ২০০১ সালে ক্ষমতায় গিয়ে ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাবস্থাটাকে নষ্ট করে দিয়ে এখন আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য কান্নাকাটি করছে। এই হলো আমাদের দেশে গণতন্ত্র চাওয়া দলের নমুনা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। দেখুন এবার যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে এ অবস্থায় যদি দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে নতুন কোনো নির্বাচনী ব্যবস্থা বের করা সম্ভব হয় এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসে তারা আবারও সে ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলবে।

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: বেএনপি এবার মরন খেলায় নেমেছে।হয় দলটি মুসলিম লীগের মতো হয়ে থাকবে নয়তো চীরতরে বিলিন হয়ে যাবে।এটা কোন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হতে পারে না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এ রাজনৈতিক দলটি নিজেদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যক্রম এদেশের জনগণের কাছে কখনোই পরিষ্কার করতে পারেনি।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৩

জগতারন বলেছেন:
অক্টোবরের নির্বাচনের পর সারাদেশে তান্ডব:
২০০১ এর অক্টোবরের সেই ম্যানিপুলেটেড নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয় বিএনপি-জামায়াত।
এই বিজয়ের পর পরই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সারাদেশে তাণ্ডব, শুরু করে।
বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং
ভোটারদেরকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য সশস্ত্র হামলা, আক্রমণ, লুটপাট,
দেশত্যাগে বাধ্য করা, ধ-র্ষণ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।
বাংলাদেশের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ইতিহাসে এটি একটি নৃশংস বড় ঘটনা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এদেশের অপরাজনীতির বেশিরভাগ অংশীদারি বিএনপি।

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

বিটপি বলেছেন: "অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে, কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে"
বিএনপি যে কায়দায় জান নিয়ে কোনমতে টিকে আছে, তাকে টিকে থাকা বলেনা। তেলাপোকার মত আড়ালে আবডালে থাকে, একটু বের হওয়ার চেষ্টা করলেই ঝাড়ু বা স্যান্ডেলের বাড়ি খেয়ে আবার গর্তে ঢুকে যায়। এই রকম কিসিমের একটা দল নিয়ে ব্লগাররা কেন এত আতঙ্কিত - সেটা বোধগম্য হচ্ছেনা।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপি নিয়ে এখন আর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বিএনপিকে খেয়ে আওমিলীগ হস্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে এটা আতঙ্কিত হওয়ার মত বিষয়।

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সবই ঠিক আছে তবে ফজরের আযান দিয়ে ভোট, মধ্যরাতে ভোট, আগের দিনে ভোট এগুলো প্রতিষ্ঠার পিছনে বিএনপির ভুমিকা কতখানি? সুবিধামত কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা এবং আবারো সুবিধামত বাতিল এগুলোতে বিএনপির ভুমিকা কেমন?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি মনে হয় পোষ্টের শেষ লাইন পর্যন্ত আসেননি। আমি বলেছিলাম বিএনপির এসব অপরাজনীতির কারণে আওয়ামী লীগ জাতির ঘাড়ের উপর সিন্দাবাদের ভূতের মত চেপে বসেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.