নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!
আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে বুঝাই যাচ্ছে আগামী ২০ বছর পর মানুষের ব্যক্তি জীবন, সমাজ জীবন এবং বিশেষ করে কর্মজীবন আরো বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠবে। মানুষের কায়িক শ্রম ও বিশেষ করে রিপিটেড কাজগুলোর দখল প্রযুক্তি নিয়ে নিবে। আর এখন যে প্রযুক্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, তা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং। এই প্রযুক্তি দুটিতে যে পরিমাণ সময় ও ইনভেস্ট করা হচ্ছে, তাতে এর আউটপুট হবে অভাবনীয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি যত উন্নত হবে রোবোটিক্স শিল্প তত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে। রোবটের কাজ করার এক্যুরিসি গত ৫০ বছরে যতটুকু, হয়েছে আগামী ২০ বছরে তার থেকে শতগুণ বেশি হবে। এতে দৈহিক পরিশ্রমের যে কাজগুলি শ্রমিকরা করতো তা রোবট খুব সহজেই করে দেবে। যার দরুন সারা পৃথিবীতে বিশাল একটি শ্রমিক শ্রেণী তাদের কাজ হারাবে।
এছাড়াও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পেলে যারা ছোটখাটো কম্পিউটারের কাজ করে, ডিজাইনের কাজ করে, গ্রাফিক্স মোশনের কাজ করে তাদের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, এসব প্রযুক্তি যত বেশি ছড়িয়ে পড়বে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি যারা শ্রম বিক্রি করে নিজেদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে তারা বেশ বিপাকে পড়বে।
বাংলাদেশের জন্য এটি অবশ্যই চিন্তার বিষয়, কেননা এই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ আসে এই শ্রম বিক্রির মাধ্যমে। আগামী ২০ বছরের মধ্যে এদের বেশিরভাগই চাকুরী হারিয়ে দেশে ফিরত আসতে বাধ্য হবে। আমাদের শ্রমিকরা অতটা দক্ষ নয় যে তারা এরকম পরিস্থিতির সাথে নিজেদেরকে দক্ষ করে তুলবে। অদক্ষ শ্রমিকের পাশাপাশি আমাদের আদা দক্ষ শ্রমিকও প্রবাসে আছে এরা ছোটখাটো কম্পিউটিং ও অফিসিয়াল কাজ করে। এই আদা দক্ষ শ্রমিক শ্রেণীই সবচেয়ে বেশি কাজ হারাবে। এসব প্রবাসীরা কাজ হারিয়ে আস্তে আস্তে দেশে আসা শুরু করলে দেশ কি তাদের এই চাপ নিতে সক্ষম হবে? অবশ্যই না!
যাইহোক, বিপদ যে ধেয়ে আসছে তা মোটামুটি পরিষ্কার। এই বিপদ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের সরকার কি কি ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা পরিষ্কার নয়। তবে অচিরেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে এই আগত সমস্যা মোকাবেলায়। অন্যথায় যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে সেটা সেই সময় আমাদের সরকারী আমলারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না!
তো এক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি? আসলে এই প্রযুক্তি দুটিতে আমাদের ইনভেস্ট করার মত অর্থ ও দক্ষ লোকবল নেই। তাই এইসব প্রযুক্তি আমরা নিজেদের মতো করে নিজেদের জন্য বানাতে পারবো না। আর এমনিতেই আমরা এ ধরনের প্রযুক্তি গুলির ডেভলপার না, আমরা হলাম কনজিউমার। সুতরাং আমাদের সে পথে ইনভেস্ট করা ও সময় ব্যয় করা আপাতত সঠিক হবে না। তবে যেমনটি বলা হচ্ছে এসব প্রযুক্তি যত বেশি আপডেটেড হবে তত বেশি মানুষ চাকরি হারাবে। সাথে সাথে আবার অনেকের জন্য সম্ভাবনার দুয়ারও খুলে যাবে। কেননা এই প্রযুক্তির সাথে রিলেটেড অনেকগুলি শাখা-প্রশাখা বের হবে যেখানে আমাদের লোকজনকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা যাবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির যুগে সেই সব মানুষের কদর সবচেয়ে বেশি থাকবে যারা প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন এবং যাদের মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি আছে। ক্রিয়েটিভিটি থাকলে এই প্রযুক্তির সাথে সে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির সাথে তার ক্রিয়েটিভিটিকে সমন্বয় করে সে নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে পারবে। এই জায়গাই আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সম্ভাবনা।
এছাড়াও আমাদেরকে কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কৃষিকে আরও বেশি উন্নত করতে হবে। কেননা মানুষ যতই টেকনোলজিতে উন্নত হোক না কেনো, দিনশেষে তাকে খাবার গ্রহণ করতেই হবে। আর আগামী বিশ্বে অর্গানিক খাদ্যের চাহিদা হবে সবচেয়ে বেশি ও দামী। খাদ্যে নিজেদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারলে বাকি বিষয়গুলি মোকাবেলা করা সহজতর হবে।
১৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এমন ভাবনাই আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।
২| ১৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কৃষি নিয়ে যা বললেন তা আসলেই সম্ভাবনাময় , তবে মনে হয় না কৃষি দিয়েই আমরা সফল হবো । কারণ উন্নত বিশ্বে কৃষিতে অনেক বেশি এগিয়ে যাবে ও যাচ্ছেও । তাই একদম স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও সেটা আমাদের অঞ্চলেই কেন্দ্রীভূত থাকবে , প্রশ্ন হলো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও আমাদের আর্থিক অবস্থা ও শিল্পাবস্থায় অগ্রগতি না থাকলে এই স্বয়ংসম্পূর্ণতাটা সাময়িক হবে ।
১৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: খাদ্যে স্য়ংসম্পূর্ণতা থাকলে বাকি কাজ গুলো সহজ হবে সেটা বলতে চেয়েছি। আমাদের প্রধানন্ত্রীপুত্র দেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছে কিন্তু তৃতীয় শিল্প বিপ্লবই এখনো এদেশে পুরোপুরি হয়নি।
৩| ১৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অ:ট:
চট্টগ্রামে সমাবেশ করতে গয়ে বিম্পি ভেক ধরা জামাতিরা জাতীর জনকের ছবি ভেঙেছে। এই উগ্রবাদী দের কি আর সমাবেশ এর অনুমতি দেয়া ঠিক হবে?
১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: জামাত শিবিরকে এই দেশে রাজনীতি করতে দেওয়া কখনোই সঠিক হবে না।
৪| ১৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: মুখ দিছে যে আহার দিবে সে।মানুষ এই ধারনা থেকে বের হয়ে আসবে।অপ্রয়োজনিয় মানুষ ঝড়ে পরবে।
অগ্নিবেশ যেটা বলছে সেটাও ঘটবে।জিহাদ করতে যেয়ে এক দল নিচিহ্ন হয়ে যাবে।তাতেও অনেক মানুষ কমে যাবে।প্রকৃতিই সব ঠিক করে দিবে।
১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্রকৃতির প্রতিশোধ প্রকৃতি অবশ্যই নিবে।
৫| ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান যত উন্নত হবে, ধর্ম তো কোনঠাসা হয়ে পড়বে।
১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিজ্ঞান যত উন্নতি করবে ধর্ম ততই ব্যাক্তিগত হয়ে পড়বে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
অগ্নিবেশ বলেছেন: এ সমস্যার সমাধান সেই ১৪শ বছর আগেই দেওয়া হয়েছে, কাফের দেশগুলো জিহাদের মাধ্যমে জয় করতে হবে, কুফরি শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করে কোরানের শিক্ষা দিতে হবে। তবেই এই সব এ আই না কি, লবা লছা কেউ বানাতেও পারবে না, আর উটের রাখালের কাজও কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। সবই মহান খোলা তালা রব্বুল আলামিনের খেলা।