নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত, বাস্তবতা বুঝা সহজ নয়!★

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫১


ইসরাইল, হামাস, আমেরিকা এসব নিয়ে ব্লগে এটি আমার প্রথম পোস্ট। আমি আসলে এসব নিয়ে খুব বেশি ভাবতে পারিনা কারণ এগুলি এতটাই জটিল যে মিডিয়ার উপর নির্ভর করে সঠিক স্টেটমেন্ট দেওয়া, ধারণা করা কিংবা কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া বেশ কঠিন। তারপরেও কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা করতে চাই। কয়েকদিন আগে ইসরাইল হামাস বিষয়টি সামনে আসে হামাস যখন ইসরাইলের সাধারণ নাগরিকদের বসতির মধ্যে অতর্কিত মিসাইল হামলা করে। সে হামলায় ১৪০০ ইসরাইলি নিহত হওয়ার খবর মিডিয়ায় আসে। এই হামলার প্রেক্ষিতে ইসরাইলের আর্মি গাজায় পাল্টা আক্রমণ করে। সে আক্রমণ এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে এবং প্রায় সাড়ে বারো হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও নারী সাথে হামাসের কিছু সদস্য থাকতে পারে। তবে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কারণ ইজরাইলের হামলার সাথে সাথে হামাসের সদস্যরা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়, যারা আন্ডারগ্রাউন্ডে যেতে পারেনি তারা সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়েছে।
যেদিন হামাস ইসরাইলের ভূখণ্ডে হামলা চালায় সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলিদের নিহতের সংখ্যা সেই ১৪শই আছে, এরপর হয়তো কিছু সেনা মারা যেতে পারে। কিন্তু গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রতিদিনই হুহু করে বাড়ছে! এর কারণ কি? এর কারণ হচ্ছে হামাস ইসরাইলে হামলা করার পর ইসরাইলের পাল্টা হামলার জন্য নূন্যতম প্রস্তুতি নেয়নি কিংবা নেওয়া সম্ভবও না, কারণ হামাস কোনো ট্রেইন্ড আর্মি বাহিনী নয়।

হামাস ইসরাইলকে বুঝাতে চেয়েছে তাদের মিসাইল ধ্বংসকারী আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব। আসলে তারা যে প্রক্রিয়ায় আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙেছে এটার কথা ইসরাইলও জানতো। কেননা তাদের আয়রন ডোম হয়তো একসাথে ৫০০ মিসাইল ধ্বংস করতে পারে কিন্তু হামাস একসাথে পাঁচ হাজার মিসাইল ছোড়ার কারণে সবগুলোকে ধ্বংস করতে পারেনি। যার জন্য কিছু মিসাইল ইজরাইলের ভূখণ্ডে গিয়ে আঘাত করতে পেরেছে। কিন্তু হামাস এই পরীক্ষাটি করতে গিয়ে পুরো গাজাকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারা নিজেরাও জানতো ইসরাইলের পাল্টা হামলার প্রেক্ষিতে তাদের আর কিছুই করার থাকবেনা। তারা ইসরাইলিদের পাল্টা হামলা রোধ করতে কিছু ইহুদীদের বন্দি করে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিন্তু ইসরাইল এবার প্রথমবারের মতো তাদের বন্দিদের ব্যাপারে কিছুটা উদাসীন ছিল। যারজন্য তারা গাজার মধ্যে ব্যাপক হারে ধ্বংসযোগ্য চালায় এবং স্পষ্টত এটি যুদ্ধাপরাধ।

এখন আসুন এই যুদ্ধাপরাধ, নারী ও শিশু নির্বিচারে হত্যা এগুলি কি আমেরিকা দেখছে না? অবশ্যই দেখছে! এই নৃশংসতা বন্ধ করার মত ক্ষমতা একমাত্র আমেরিকার হাতেই আছে কিন্তু তারপরও তারা করছে না, কেনো?
এটা বুঝতে হলে আমাদের অনেক দূর পিছনে যেতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল, যুদ্ধ যখন শেষের দিকে জার্মানির পতন অলরেডি হয়ে গেছে, হিটলারের সাড়াশব্দ নেই তখন মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, ফাইটার বিমান সব জাপানের দিকে তেড়ে আসছে। সে সময় জাপানের প্রেসিডেন্ট প্রথমে সোভিয়েত ইউনিয়নের দূতাবাসে আত্মসমর্পণের বার্তা পাঠায়। যুদ্ধে যখন আপনার শত্রুপক্ষ আত্মসমর্পণের বার্তা পাঠাবে তখন আপনার করণীয় কি? এটা অবশ্যই আমাদের ব্লগাররা বলতে পারবে। কিন্তু জাপানের আত্মসমর্পণের বার্তার তোয়াক্কা না করে আমেরিকা জাপানের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরপর দ্বিতীয়বার জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আমেরিকার কাছে আবারো আত্মসমর্পণের বার্তা পাঠায়, এবারও আমেরিকা সেটা কানে নেয়নি! সর্বশেষ জাপানের সম্রাট আবারও আত্মসমর্পণের কথা আমেরিকাকে জানায় কিন্তু আমেরিকা সেটাকে বিবেচনায় নেয়নি। এর একদিন পরেই আমেরিকা হিরোশিমায় এটম বোমা ফেলে এবং তার তিনদিন পর নাগাশিকোতে আরেকটি এটম বোমা ফেলে! তারপর গিয়ে আমেরিকা যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করে। এবার ভাবুন, এই হচ্ছে সেই আমেরিকা!
একটু কর্কশ ভাবে বললে ইজরাইল হলো আমেরিকার অবৈধ সন্তানের মত। ইসরাইলের উপর কোনো আঘাত আসলে আমেরিকা সেখানে সর্বোচ্চ প্রতিক্রিয়া দেখাবেই!

এখন আসুন হামাসের কথায়। হামাসকে ইসরাইল এবং আমেরিকা এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের অনেক মুসলিম দেশগুলিও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে মনে করে। মনে করার কিছু কারণ অবশ্যই আছে কিন্তু আপনি ভাবুন মাতৃভূমিতে পরাধীনতার কষ্ট, বিভীষিকা মানুষকে কতটা বেপরোয়া করে তুলে দিতে পারে! যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ করেছে বা সেই প্রজন্মের মানুষ তারা অবশ্যই জানেন পরাধীনতা কতটা যন্ত্রণা দেয় মানুষকে! হামাস ও গাজার মানুষেরাও তার ব্যতিক্রম নয়। হামাস যদি ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গাজাকে মুক্ত করতে পারতো কিংবা তাদের সেই সামর্থ্য থাকতো তাহলে তারা বিশ্বের অনেক দেশেরই সমর্থন পেতো। সে সামর্থ্য নেই দেখেই তাদের বিপক্ষে অনেকগুলি যুক্তি দাড় করানো সম্ভব হচ্ছে। তবে দিনশেষে নিজ মাতৃভূমিতে পরাধীনতার শিকল যে কতটা যন্ত্রণার সেটা যারা পড়েছে কিংবা সেই শিকল ভাঙ্গার চেষ্টা করেছে কেবলমাত্র তারাই জানে!
আমেরিকা ইসরাইলকে এখানে যখন সেটেল করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে তেমনি তাদেরকে রক্ষা করতেও ভূমিকা রাখবে। তার জন্য যদি নৈতিকতা বিসর্জন দিতে হয় সেটাও তারা করবে। হামাস ও গাজাবাসীর কি করা উচিত, কি করা উচিত নয় এ সম্পর্কে অনেক কথাই বলা সম্ভব! কিন্তু দিনশেষে লাশের সারি গুনে গুনে তাদেরই তাদের আপনজনকে দাফন করতে হয়! এই যন্ত্রনা আমি আপনি হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে পুরোপুরি অনুভব করতে পারবো না!

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: হামাস তো সাধারণ গাজাবাসীকে রক্ষা করতে পারলো না। এটা কি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা নয়?

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হামাস শুধুমাত্র ইসরাইলকে বুঝাতে চেয়েছি ইসরাইলের আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভাঙ্গা সম্ভব। এটা বুঝতে গিয়ে তারা আজ গাজাবাসীকে বিপদে ফেলেছে। তারা চেয়েছে কিছু ইহুদিদের বন্দি করে হয়তো ইজরেলকে ঠেকাবে কিন্তু এবার ইহুদি বন্দিদের ব্যাপারে ইসরাইল খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২২

বিজন রয় বলেছেন: হামাসের মগজ তাহলে কোথায়, মাথায় না হাঁটুতে? পাগলও তো নিজের ভালটা বোঝে।
লড়ার করতে হয় সমপর্যায়ের শক্তির সাথে। অথবা অপেক্ষা করতে হয় শক্তি সঞ্চয় পর্যন্ত।

ইসরাইল যেভাবে গাজাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে সেটা দেখে ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ ভয় পেয়েছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হামাসের পক্ষে শক্তি সঞ্চয় করাও সম্ভব নয়, ইসরাইলকে হটানোও সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় হামাস হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @বিজন রয়ঃ

ধরেন আপনার বাপ দাদার সম্পত্তি যা আপনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন তা বহিরাগত কেউ দখল করে নিল। এরপর আপনি যখন নিয়মতান্ত্রিকভাবে তা উদ্ধার করতে গেলেন তখন দেখা গেলে কতৃপক্ষ আসলে ঐ বহিরাগত দখলদারদেরই ভাই বেরাদর।

এখন কি করবেন?

এখন উল্টো আপনারই দোষ দেই। আপনি কেন রক্ষা করতে পারলেন না? আপনি দূর্বল। সমাজে আপনাদের মতো দূর্বলদের আসলে কোন সম্পত্তিই থাকা উচিত তা। শুনতে কেমন লাগে? ইসরাইলের সামরিক বাহিনী কর্তৃক পাইকারী হারে সাধারন ফিলিস্তিনীদের গনহত্যা চালানারও পরও যখন দোষটা হামাসেরই হয় তখন কানে ঐ রকমই বাজে।

ইউরোপের ইহুদি রোহোঙ্গারা ফিলিস্তিনীদের জমি দখল করেছে। এখন তারা যদি সস্বস্ত্র সংগ্রাম না করে তবে কি ইসরাইল ফিলিস্তিনীদের জমি ফিরিয়ে দেবে? পশ্চিম তীরে মাহমুদ আবাস্সের ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের নেতৃত্তাধীন ফিলিস্তিনীরাও অনেকদিন যাবত অহিংস আন্দোলন চালাচ্ছে। কিন্তু জমি তো নিজদের দখলে রাখতে পারছে না উপরন্তু অবৈধ ইহুদি বসতীস্থাপনকারীরা ঠিকই মেরে ধরে ফিলিস্তিনীদের জমি কেড়ে নিচ্ছে।

আন্দলোন সংগ্রামে রক্তপাত হবেই। এটাই স্বাভাবিক। ফিলিস্তিনীরা তো আমাদের মতো না যে কড়কড়ে ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট কিংবা তেহারী প্যাকেট না হলে রা্স্তায় নামবেই না।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সবদিক থেকে যখন কারো হাত-পা বেঁধে ফেলা হবে তখন সে যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। সে পদক্ষেপ গুলি ভুল ও অন্যায় পদক্ষেপও হতে পারে। ামাসের ক্ষেত্রে কিংবা গাজা বাসীর ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: যুদ্ধটা বাধিয়ে দিয়েছে হামাসই, সাধারণ, নারী ও শিশুদের অবস্থা দেখে কান্না পায়, এমন যুদ্ধ করার আগে প্রতিবেশীদের গোপন মতামতও নেয়া দরকার, কারণ সামলাতে না পারলে অবস্থা কেমন হবে সেটা দেখাই যাচ্ছে। অবশেষে প্রতিরোধ ব্যাবস্থায় পানি ঢেলে দিল ইউএই বাহরাইন এর মতো দেশ, তাদের জন্য আরব রাষ্ট্রগুলো সম্মিলিতভাবে কোন ব্যাবস্থা নিতে পারলনা

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইরান চেয়েছিল ইসরাইলের উপর আরব রাষ্ট্রগুলি অর্থনৈতিক অবরোধ দিক। বস্তুত এটা তাদের পক্ষে খুবই কঠিন এক সিদ্ধান্ত। কেননা মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল যেভাবে অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করছে সেটার উপর অবরোধ দেওয়া মানে ওইসব রাষ্ট্রেরই অর্থনৈতিক সমস্যার ভিতরে প্রবেশ করা।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ইজরাইল হলো আমেরিকার অবৈধ সন্তানের মত।

ইজরাইল আমেরিকার মানসপুত্র। ইসরাইল রাস্ট্রটটির জন্মের ১০ মিনিটের মধ্যে আমেরিকা ইজরাইলকে স্বীকৃতি প্রদান করে। ইজরাইলকে সরাসরি রণতরী দিয়ে প্রটেকশন দিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা সুযোগ করে দেবার দায় আমেরিকা এড়াতে পারবে না। এবার আমেরিকার মুখুশটি বিশ্ববাসীর কাছে একেবারে নগ্ন ভাবে খুলে গিয়েছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাইডেন প্রশাসন বেশ বেকাদায় পড়েছে ইসরাইলকে নিয়ে এবার।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

আমি নই বলেছেন: আমি একদম প্রথম থেকেই বিভিন্ন সোর্স থেকে জানার চেষ্টা করেছি, হামাসের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলেও যুক্ত ছিলাম আবার আইডিএফের চ্যানেলেও যুক্ত ছিলাম এছারা মেইনস্ট্রিম সংবাদ মাধ্যম, ইউটিউবে বিভিন্ন ডিবেট, সাক্ষাতকার এবং ক্লিপ দেখতেছিলাম। সোনাগাজীর বিভিন্ন পোষ্টে আমি বলেওছি।

শেষ কয়েক বছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছিল সেই সাথে ইসরাইল খুব আগ্রাসি ভাবে অবৈধ বসতি স্থাপন করছিল এমতা অবস্থায় তারা কোথাও থেকে কোনো সাহায্য পাচ্ছিল না এবং তাদের স্বাধীনতা নিয়েও কেউ কিছু বলছিলনা। এবছরই পশ্চিম তীরে ইসরাইল রেকর্ড পরিমানের ভুমি দখল করেছে। এরকম পরিস্থিতে কিছু একটা করা তাদের জন্য অপরিহার্য হয়ে পরেছিল। যার ফলাফল ৭ অক্টোবর।

আমি অনেক আগেই সোনাগাজি এবং বিষাদ সময়ের পোষ্টে ধারনা করে বলেছিলাম হামাসের হামলার উদ্দেশ্য ছিল দুইটা

১। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিকরনে বাধা দেওয়া।
২। সেটেলারদের মাঝে ভয় ঢুকানো।

৭ অক্টোবরের ঘটনায় সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলো ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকরন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে এবং ব্যাপকহারে সেটেলার ইসরাইল ছেরে যাচ্ছে। হামাসের উদ্দেশ্য পুরন হয়েছে কিন্তু এর জন্য যেই চড়া মুল্য দিতে হচ্ছে তা হয়ত হামাসের নেতারা কল্পনাও করতে পারে নাই। তারা হয়ত ভেবেছিল জিম্মির কারনে কঠোর হামলায় যেতে পারবেনা।

এই ব্লগেই অনেকের ধারনা হামলা চালিয়ে হামাস নির্মুল করতে পারলেই সমস্যার সমাধান হবে, তারা হয়ত বুঝতেছেনা গনহত্যা চালিয়ে হামাসের যোদ্ধা বাড়ানো সম্ভব কিন্তু নির্মুল সম্ভব না। হামাস নির্মুলের একমাত্র সমাধান হল ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইন মানতে বাদ্ধ করা।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে ইসরাইল যেভাবে হামাকে নির্মূল করতে চাচ্ছে এভাবে সম্ভব নয়। ইসরাইল স্পষ্টত যুদ্ধাপরাধ করছে। জাতিসংঘ স্পষ্ট করে সেটা বলেছে। নিরীহ গাজাাসীর জন্য অবশ্যই কষ্ট হচ্ছে।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৯

কুণাল বলেছেন: জাপানের আত্মসমর্পণের কাহিনীটি কিন্তু ভুল। ওই সময় জাপানের শাসন ছিল একটি ওয়ার কাউন্সিলের হাতে, যেখানে সম্রাট হিরহিত ছাড়াও আরও ছয় জন মেম্বার ছিলেন। আত্মসমর্পণের জন্য সবাইকে সর্বসম্মত হতে হতো। তিন জন সম্মত হলেও বাকি তিন জন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আরও জানতে চাইলে "Japan's Longest Day" মুভি টা দেখতে পারেন। সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেখুন আমেরিকার এটম বোমা ফেলানোর বিষয়টি আমেরিকা সবসময় প্রচার করে এসেছে এটা আবশ্যক ছিল। এটা ফেলানো ছাড়া যুদ্ধ বন্ধ করার আর কোন উপায় ছিল না। আসলে এটম বোম া ফেলানোর আগেই জাপানের সম্রাট ও প্রধানমন্ত্রী গোপনে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকার কাছে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব পাঠায়। আমেরিকা চাইলেই এটম বোমা না পেলেই জাপানকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করতে পারতো। আপনি একটু খোঁজ করলেই এই তথ্যটি পাবেন যে সে সময় অধিকাংশ আমেরিকান মনে করত এটম বোমা জাপানে ফেলানোর দরকার ছিলনা। একান্তই যদি জাপানকে ভয় দেখানোর প্রয়োজন হতো, কোন মনুষ্যবিহীন দ্বীপে এটম বোমাটি ফেলে জাপানকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা যেতো আমেরিকা তার এই অপকর্মটি ঢাকার জন্য অনেক ডকুমেন্টারি বানিয়েছে।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০০

বাউন্ডেলে বলেছেন: সারা দুনিয়ার স্বার্থপর, সুযোগ সন্ধানী, উচ্চাভীলাষী, লোভী, মানষিক ও শারিরিকভাবে শক্ত দুধর্ষ ও বুদ্ধিমান লোকদের নিয়ে সংকর প্রজাতীর আমেরিকান ও ইসরাইলী জাতি সত্বা তৈরী হয়েছে। শক্তি ও বুদ্ধির দম্ভ ছাড়া নৈতিক জ্ঞানের বালাই নেই ওদের । আমাদের উত্তরান্চলে একটা প্রবাদ আছে “এমনি নাচুনী বুড়ি, তার উপড় ঢোলের বারি”। হামাসের ঢোল “নাচুনী বুড়ির” শয়তানী চেহারা উন্মোচিৎ করে দিয়েছে। এখন ঢোলের বারি ছাড়াই নাচুনি নাচতেই থাকবে। সময়ের প্রয়োজনে ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববাসী এই সংকর জাতের মার্কিন-ইসরা্ইলী জাতি দুটিকে বিশ্ব থেকে বিলিন করে দেবে। এ ছাড়া সাধারন মানুষ, নারী-শিশু হত্যার যে প্রথা মার্কিন-ইসরা্ইলীরা চালু করলো - তা বন্ধ করা যাবে না।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমেরিকাকে বিলীন করা একেবারেই সম্ভব হবে না। পৃথিবীর সকল দেশ থেকে শিক্ষা টেকনোলজিতে আমেরিকা যোজন যোজন দূরে এগিয়ে আছে।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২০

কামাল১৮ বলেছেন: এই সমস্যা অনেক দিনের এবং অনেক গভীর।সহজে সমাধান হবার নয়।আমাদের নিজেদের সমস্যার সমাধান কি আমরা করতে পারছি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে এগুলো নিয়ে আমাদের মত ছোট রাষ্ট্রের কিছুই করার নেই। তবে সমস্যা হচ্ছে রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে উলুখাগড়ার প্রাণ যায়!

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

হামাস স্বাধীনতা কামি সংগঠন নয়।
হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, শুধু তাই না হামাস একটি বহিরাগত মিশর থেকে আগত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
গাজাবাসীরা ভয় আতঙ্কে হামাস কে সমর্থন করে।

ইতিহাসে ফিলিস্তিনিদের কোন দেশ ছিল না,
ফিলিস্তিনেরা কখনো স্বাধীনতা চাইনি কখনোই না। সারাটা জীবন তাবেদারি করে গেছে রাজা বাদশাহ নতুবা অটোমানদের এক সময় ব্রিটিশদের।
গাজা ভূখণ্ড টিও ফিলিস্তিনিদের নয় ছিল মিশরের,
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর জর্ডন ও লেবাননের ফিলিস্তিনিরা অস্ত্র ধারণ শুরু করলে তাদেরকে বিতাড়িত করে জর্ডান, তাদের কোন স্থান ছিল না তাই মিশর তাকে গাজায় কাবু খাটিয়ে বসবাস করতে দিয়েছিল।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেখুন ভৌগলিক বিষয়গুলি আলোচনা করতে গেলে এগুলি দীর্ঘ আলোচনা এবং খুবই কনফিউজিং। আজকে যে আমেরিকান তারা কি আমেরিকার আদি বাসিন্দা?

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৩

আমি নই বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ইতিহাসে ফিলিস্তিনিদের কোন দেশ ছিল না,[/sb

ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার একটা ইন্টারভিউতে বলেছিলেন "আমি একজন ফিলিস্তিনি, ২১ সাল থেকে ৪৮ সাল পর্যন্ত আমি ফিলিস্তিনের পাসপোর্ট ক্যারি করে ছিলাম" ইতিহাসে ফিলিস্তিনিদের কোন দেশ না থাকলে গোল্ডা মেয়ার কোন দেশের পাসপোর্টের কথা বলেছিলেন?

ইন্টারভিউটা এখানে দেখতে পারেন। ১৯:০০ মিনিট থেকে দেখুন।

https://www.youtube.com/watch?v=w3FGvAMvYpc&ab_channel=ThamesTv

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইজরায়েলের মধ্যে এখনো অনেক বাসিন্দা আছে যাদের পূর্বপুরুষ ফিলিস্তিনের ভিতরের দিকে থাকতো।

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আমি/আপনি গাজায় জন্মালে হামাস সার্পোট করতাম,ইসরাইলে জন্মালে হয় আপত্তি জানাতাম নাহয় সার্পোট করতাম।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেখুন দুনিয়াতে সকলেই সবার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যা যা করার দরকার সবই করে।

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জনাব, নূর আলম হিরণ, মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, আমি নই, বাউন্ডেলে, গেঁয়ো ভূত

আপনাদের জন্যই আমি ইসরায়েল নিয়ে এক/দুইটি বিশেষ পোস্ট লিখবো। আমার লেখার আর ইচ্ছে ছিলো না এই বিষয়ে। তারপর যখন লক্ষ্য করছি আপনারা ফিলিস্তিনের দুঃখে সমদুঃখী - আমার মনে হচ্ছে অন্তত একটি লেখা আপনাদের পাওনা। আশা করি আপনাদের কিছুটা হলেও ভালে লাগবে। কিছুটা হলেও মনে শান্তনা পাবেন।

বয়স হয়েছে, এখন বড় ট্রাভেল করতে বেশ ক্লান্ত লাগে। আজ তারাতারি ঘুমোবো আশা করছি লেখাটি এই সপ্তাহেই দিতে পারবো।

সবাইকে ধন্যবাদ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার লেখাটির অপেক্ষায় রইলাম।

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১১

রিদওয়ান খান বলেছেন: Click This Link লেটস টক এবাউট হামাস। :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেখেছে যত সব উদ্ভট কথাবার্তা! গাজায় থাকবে ফিলিস্তানিরা, হামাস কেন এক্সিস্ট করে! এটা কোনো কথা হলো! ৭১সালে যদি পাকিস্তানিরা বলতো বাংলাদেশে থাকবে বাংলাদেশীরা মুক্তিযোদ্ধারা কেনো একজিস্ট করে। হতে পারে হামাস তার আশেপাশের অনেক দেশ থেকে সদস্য রিক্রুট করে বা অনেকেই স্বেচ্ছায় এসে যোগদান করে, তার মানে তো এই নয় হামাসের সকল সদস্যই ফিলিস্তানি না!

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


২১ সাল থেকে ৪৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিন ভুখন্ডটি জর্ডনের অংশ ছিল।
গোল্ডা মেয়ার জর্ডনের পাসপোর্ট বহন করছিলেন নিশ্চিতভাবেই। জাতীয়তা লিখা ছিল হয়তো 'ফিলিস্তিনি বেদুইন' সেটাই বলতে চেয়েছিলেন গোল্ডা মেয়ার।
যেমন একসময়ে পাকিস্তানি হিন্দুদের ভারত ভ্রমনের জন্য আলাদা ভিন্ন রঙের পাসপোর্ট ছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর সেই নিয়ম লাল পাসপোর্ট অব্যাহত ছিল।

১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫০

আমি নই বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
২১ সাল থেকে ৪৮ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিন ভুখন্ডটি জর্ডনের অংশ ছিল।
গোল্ডা মেয়ার জর্ডনের পাসপোর্ট বহন করছিলেন নিশ্চিতভাবেই। জাতীয়তা লিখা ছিল হয়তো 'ফিলিস্তিনি বেদুইন' সেটাই বলতে চেয়েছিলেন গোল্ডা মেয়ার।


আপনিও দেখি আমাদের একজন এমপির মত নেতা কি বলেছেন এর চাইতে কি বলতে চেয়েছিলেন সেটায় বিশ্বাসি =p~ =p~

উনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন East and West Bank was Palestine, I am a Palestinian, From 21 until 48 I carried a Palestinian Passport.

@ঠাকুরমাহমুদ নতুন কিছু জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার বলতে চেয়েছেন
উনি উড়ে এসে জুড়ে বসেন নি, এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। আমার অধিকার আছে এলাকায় থাকার। এটাই বলতে চেয়েছেন।

তবে এটা সত্য যে ফিলিস্তিন নামে কোন দেশ ছিল না। ওয়েষ্ট ব্যাঙ্ক ফিলিস্তিন ভুখন্ডটি জর্ডনের অংশ ছিল। জর্ডনের সার্বভৌম অংশ।
ফিলিস্তিনেরা কখনো স্বাধীনতা চাইনি কখনোই না। সারাটা জীবন তাবেদারি করে গেছে রাজা বাদশাহ নতুবা অটোমানদের এক সময় ব্রিটিশদের।
ওয়েষ্ট ব্যাঙ্ক বর্তমান ফিলিস্তিন ভুখন্ডটি জর্ডনের ছিল। গাজা ভূখণ্ড টিও ফিলিস্তিনিদের নয় ছিল মিশরের,

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইজরায়েলের ভূখণ্ডটিকে ইসরাইলের?

১৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৭

শার্দূল ২২ বলেছেন: কিছু অপ্রিয় সত্য আছে এসব বলে গাজা বাসীর এমন নির্মমতায় এসব তুলে আনতে ইচ্ছে করেনা, তাদের সন্মানে হলেও চুপ থাকতেই ভালো লাগে। তবে যাই বলেন ভাই হামাসা যাষ্ট সুসাইড করেছে এমন পরিকল্পনাহীন আক্রমনে। আর বছর পাঁচেক অপেক্ষা করতে পারতো, সব কিছুর সমন্বয়ে একটা কার্যকর জোড়ালো ভুমিকা রাখতে পারতো ইসরায়েলের বিপক্ষে। সালমান এক সাথে অনেক গুলো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা এই মুহুর্তে। চিন রাশিয়া ইরানের আরো ১০ বছর সময় লাগবে বিড়ালের গলায় ঘন্টা পড়াতে।

না বললেই নয়, আরবদের মাথায় মগজ নেই, এই ইসরায়েলের কাছে চড়া দামে জমি বিক্রি করে রাস্তায় বসে বসে হুক্কা টেনেছে আর বিয়ে করে বাচ্চা ফুটাইসে তারা, নিজেদেরকে তুলতে পারেনি, আরবরা পারবেনাও কোনোদিন, হা করে বসে আছে ইমাম মেহেদির জন্য। দেখা যাক কি হয়।

তবে এই আগুন সূচনা, পৃথিবীর জ্বলবে এই আগুনেই খুব বেশি দিন লাগবেনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শার্দুল ভাই আমি সেটা বলেছি, হামাস্ ইসরাইলের ভিতরে হামলা করে গাজা বাসীকে বিপদেই ফেলেছে। কিন্তু হামাসের পক্ষে ভয়েস রাইস করার মত কোন নেতা নেই। সেখানকার সঠিক পরিস্থিতি মিডিয়া থেকে আসলে কখনোই বোঝা সম্ভব হবে না। মিডিয়া সব সময় সঠিক খবর প্রকাশ করে না।

১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: @ঠাকুরমাহমুদ,আপনার ইসরায়েল বিষয়ক বিশেষ পোস্ট এর অপেক্ষায় রইলাম।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আশা করি ওনার লেখা তথ্যবহুল হবে।

২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

বিজন রয় বলেছেন: জনাব মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, আমাকে প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনার মন্তব্যে ভিতরেই আছে, কিংবা এখানে অনেকেই তাদের মন্তব্যের ভিতর দিয়েই দিয়ে দিচ্ছেন। তাই আমার অত কিছু বলার নেই।

আমি শুধু আমার অবস্থানটি পরিস্কার করছি আপনাকে............

আমি শুধু ফিলিস্থিন না, সারা পৃথিবীর নিপিড়ীত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে। এবং এটা নিয়ে আমি শুধু ব্লগে কিংবা অন্য কোথাও লেখালেখির মধ্যে সীমাবদ্ধ নই। এট নিয়ে আমি রাজপথেও প্রতিবাদ করি, আন্দোলন করি। বাংলাদেশে যে গুটি কয়েক সংগঠন বা ব্যক্তি ফিলিস্থিনিদের পক্ষে রাজপথে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছে তাদের মধ্যে আমি একজন। এ মাসের ৪ তারিখ শনিবার আমরা শাহবাগে দাঁড়িয়ে সেটা করেছি এবং বিভিন্নভাবে সেটা অব্যাহত আছে। আপনি চাইলে ছবিও দিতে পারি।

এখন বলুন তো, আপনি ও আপনারা কয়জন এই ব্লগে কথা বলা ছাড়া আর কি কি করছেন ফিলিস্থিনদের পক্ষে??

শুনুন, আমি হামাসের পক্ষে নই, সাধারণ ফিলিস্থিন জনগণের পক্ষে, আর ইসরাইলের পক্ষে তো প্রশ্নই আসে না।
ইসরাইলও মানুষ মারে, হামাসও মানুষ মারে, আমি মানুষ হত্যার বিপক্ষে।

আর একটি বিষয়........... সত্যি বলতে কি, আমার স্বর্গীয় পিতার বেশকিছু পরিমান জমি একজন প্রভাবশালী দখল করে নিয়েছেন। আমি তার তুলনায় দূর্বল। সেজন্য আমি এখন তার সাথে লাগতে যাচ্ছি না। সময় হলে ঠিকই আমি যে জমি উদ্ধার করবো। এখন আমি কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছি, নিজেকে তৈরী করছি।

শুনুন, বুদ্ধিমানরা অন্ধ ও বোকা হয় না, কৌশলী হয়।

২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৬

অহরহ বলেছেন: পিএলও এবং হামাস এক নয়। হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এরা কট্টর ইসলামপন্থী। মধ্যযুগীয় বর্বর চিন্তা চেতনা ধারণ করা পশু শক্তি। পিএলও'র পরিপক্ক ফিলিস্তিন জাতিয়তাবাদী আন্দোলন হাইজ্যক করে পানি ঢেলে দেয় সন্ত্রাসী হামাস। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঢুকিয়ে দেয়া হয় মৌলবাদী ইসলাম, আমদানি করা হয় ইসলাম ধর্মের জেহাদ, সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষন, অপহরণ। আর তখনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামের অকাল মৃত্যু ঘটে।

জেনে রাখা ভালো, ইসরাইল রাষ্ট্র কারো দয়ায় কায়েম হয় নি। ১৯৪৮ এর পর সম্মিলিত আরব বিশ্বের ধামড়া দেশ গুলোর বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র ইসরাইল একাই চারচার বার সর্বাত্মক সম্মুখ যুদ্ধ করে এখনো সমহিমায় বীরের বেশে টিকে আছে স্টেট অব ইসরাইল।

ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের জীবনের মুল্য মিলিয়ন ডলার, ইসরাইল তাদের দেশের প্রতিটি মানুষকে পেলে পুষে বড় করে। এটা হামাসের ইসলাম ধর্ম না যে বছর বছর গন্ডায় গন্ডায় বাচ্চা পয়দা করে কুকুর-বিড়ালের মত রাস্তায় ছেড়ে দেয়। হামাস ফাতরামি করে ইসরাইলের আবাসিক এলাকায় ঢুকে ওদের নারী-শিশু-বৃদ্ধ কে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে, ওদের গানের অনষ্ঠানে হামলা চালিয়ে মানুষ শতশত নিরীহ মানুষ খুন করবে............ মামার বাড়ির আবদার আর কী??

এখন ভাই কান্নাকাটি করে লাভ হবে না। ইহুদী-নাসারা, আমেরিকা, পশ্চিমা বিশ্বকে বোকাবাজী, অভিশাপ, দোয়া, খয়রাত আল্লা বিল্লা করতে থাকেন, কিন্তু কা হবে না।। হামাস কে গণকবর না দিয়ে ইসরাইল থমবে না। হাসপাতালের মটির নিচে ইদুরের গর্তে কতদিন লুকিয়ে থাকবেন? ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমেরিকা গাজায় একটি গণভোটের আয়োজন করতে পারে। সেখানে যারা ইসরাইলের সাথে থাকতে চায়, হামাসের সাথে থাকতে চায় অথবা পিএলওর সাথে থাকতে চায় তার জন্য ভোট দিবে। ৫১ শতাংশ ভোট যে দিকে পড়বে তারা গাজায় থাকবে, বাকিরা সরে যাবে।

২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: অতিকায় ডাইনোসর বিলুপ্ত হইয়াছে । তেলাপোকা টিকিয়া আছে । অত্যাচারীর নির্যাতন ক্ষনস্থায়ী। অত্যাচারীর ধ্বংষ অনিবার্য বুঝতে পেরে পাগলপ্রায় মার্কিন-ইসরাইল গোষ্ঠি। এই তথ্য দুরদর্শীদের জন্য।

২৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।
সত্য কথা বলতে এসব বিষয়ে মন্তব্য করার মতো জ্ঞান আমার নেই।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি চাইলে অবশ্যই পারবেন মন্তব্য করতে, হয়তো ইচ্ছে করছে না।

২৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

দি এমপেরর বলেছেন: ইসরায়েল যেটা করছে সেটা যুদ্ধাপরাধ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সারা বিশ্বই এটা দেখছে। সাধারণ ইহুদীরা পৃথিবীর যেসব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেখানে ভালো সমস্যায় পড়বে।

২৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৫৮

অহরহ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমেরিকা গাজায় একটি গণভোটের আয়োজন করতে পারে। সেখানে যারা ইসরাইলের সাথে থাকতে চায়, হামাসের সাথে থাকতে চায় অথবা পিএলওর সাথে থাকতে চায় তার জন্য ভোট দিবে। ৫১ শতাংশ ভোট যে দিকে পড়বে তারা গাজায় থাকবে, বাকিরা সরে যাবে।[/si

এমন ভোট বাংলাদেশে দিলে কেমন হয়? আমারিকা VS বাংলাদেশ। কে কে আমেরিকায় থাকতে চায়, আর কে কে বাংলাদেশে থাকতে চায়? হয়ে যাক গোনভোট। নিশ্চিত ভাবেই বাংলাদেশের ৯৫% মুসলমান আমারিকায় থাকার পক্ষে ভোট দিবে, সন্দেহ আছে???

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মনে হয় কাউকে কোন দিকে যেতে হবে না, গাজাকে ইজরাইল তাদের টেরিটরি বানিয়ে ফেলবে কিংবা সেখানে মিলিটারি বেইস ক্যাম্প বসাতে পারে।

২৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হামাস গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে আর কতদিন সময় লাগতে পারে বলে আপনি মনে করেন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হামাসকে নির্মূল করতে না পারলেও অনেক বছরের জন্য নিষ্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম হবে এবার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.