নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদালত ডঃ ইউনুসকে সাজা দিয়েছে।★

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৭


আজকে প্রফেসর ডক্টর ইউনুসের শ্রম আদালতের মামলায় ৬ মাসের জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে কর ফাঁকির একটি মামলায় উনার বিপক্ষে রায় হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি সে করের টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন। সেই মামলায় উনি যেভাবে অভিনব পদ্ধতিতে কর ফাঁকি দিয়েছেন সেটা উল্লেখ করেছিলাম। এছাড়া ওনার নোবেল কমিটি থেকে প্রাপ্ত অর্থের করও দিতে উনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। শেষমেষ সে টাকাও হয়তো উনাকে দিতে হতে পারে।
আজকে উনাকে যে মামলায় সাজা দিয়েছে সে মামলায় উনার বক্তব্য স্পষ্ট নয়। বিচারক যে রায় দিয়েছেন এবং রায়ে যে সকল পর্যবেক্ষণ রেখেছেন সেটাই বেশি যুক্তিসঙ্গত। প্রথমত উনি গ্রামীণ টেলিকমে যাদের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে তাদের চাকুরী স্থায়ী করেননি। উনি এবং উনার আইনজীবী এটার বিপক্ষে যে যুক্তি দেখিয়েছে তা হচ্ছে, গ্রামীণ টেলিকম একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে। নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে সেখান থেকে তারা লভ্যাংশ পায়। এজন্য তারা তাদের নিয়োগগুলিকে স্থায়ী করেনি। তারা বলতে চাচ্ছে, যে প্রতিষ্ঠানের কাজই হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক সে প্রতিষ্ঠানের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদেরকে স্থায়ী না করা দোষের কিছু নয়!
কিন্তু আপনার প্রতিষ্ঠানে কি নিয়ম বা আপনি কি করবেন সেটা শ্রম আদালত বুঝবেনা। শ্রম আইনে কি লিখা আছে সেটাই বিবেচ্য বিষয়। ধরুন আপনি যদি বলেন আপনার প্রতিষ্ঠানে আপনি কর্মচারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি দিবেন না এবং এই শর্ত দিয়েই আপনি তাদের নিয়োগ দিয়েছেন তাহলে কিন্তু সেটা হবে না। কারণ দেশের শ্রম আইনে কি আইন আছে সেটাই বিচারের সময় দেখা হবে। আপনার প্রতিষ্ঠানে কি আইন আছে, কি নিয়মে চলে সেটা দেখবে না। ডক্টর ইউনূসের সাজার ক্ষেত্রে ঠিক এটাই বিবেচনা করেছে আদালত।

আরেকটা অপরাধে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে সেটা হচ্ছে উনার কোম্পানির নিট লভ্যাংশের ৫ শতাংশ উনি কর্মচারীদেরকে দেননি। এটা আসলে খুব সহজেই বের করা সম্ভব। বাংলাদেশের অন্যান্য কোম্পানিগুলি যেভাবে তাদের নিট প্রফিট অপ্রদর্শিত রাখে গ্রামীন টেলিকমের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয়না। কেননা গ্রামীণ টিলিকমের প্রধান আয়ের উৎস হল গ্রামীণফোন কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত অর্থ। আর এই লেনদেনগুলি থাকে স্বচ্ছ, তাই নিট প্রপিট বের করা খুবই সহজ এবং উক্ত নিট প্রফিট কর্মচারীদের একাউন্টে জমা হয়েছে কিনা সেটাও বের করা কঠিন কিছু নয়।
সকল ডকুমেন্ট ও কাগজপত্র আদালত পর্যবেক্ষণ করে দেখিয়ে দিয়েছে ডঃ ইউনুস তার কর্মচারীদের কোম্পানি আইন অনুযায়ী তার কর্মচারীদের এই লাভের ভাগ দেয়নি। এছাড়াও কোম্পানির অ্যাটেনডেন্স লিস্টে দেখা গিয়েছে অনেক কর্মচারীকে তাদের রেগুলার ছুটি দেওয়া হয়নি। এটাও শ্রম আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।
এসব আইনের লঙ্গনের কারণে তাকে ৫০০০ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

যাইহোক, ডক্টর ইউনুসের এই মামলার রায়টি ছিল সত্যিকার অর্থে দৃষ্টান্তমূলক। আদালত তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছে ডঃ ইউনুসকে একজন নোবেল লরীয়েট হিসেবে এই রায়ে বিবেচনা করা হয়নি। একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে শ্রম আইন লঙ্ঘন করার জন্য তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে উনাকে অগ্রিম জামিন দিয়ে আপেল করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে এবং উনি আপিল করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এখন অনেকেই বলতে পারে ডক্টর ইউনূসের মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। হ্যাঁ, এমনটি হতে পারে। সরকার তাকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবেই এই মামলায় বিচার করেছে। কিন্তু তার মানে এই নয় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলি যাচাই বাছাই ছাড়াই রায় দেওয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই তিনি আইনের ব্যতয় ঘটিয়েছেন বিদায় তার বিপক্ষে রায় দেওয়ার সুযোগ হয়েছে আদালতের। উনার মত হাইপ্রোফাইলের লোককে একেবারেই বিনা অপরাধে সাজা দেওয়া সম্ভব নয়। উনি যে অপরাধগুলি করেছেন শ্রম আইনে, উন্নত বিশ্বগুলি ও ওয়েলফেয়ার যে রাষ্ট্রগুলো আছে সেখানে ওনার শাস্তি আরো বহুগুণ বেশি হতো। এছাড়া আরো আগেই উনি আইনের আওতায় চলে আসতেন।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খ্যাতিমান লোকদের সাধারণ বিষয়েও সতর্ক থাকতে হয়। উনি সাজা পাবেন হয়তো। কিন্তু আরও বহু প্রতিষ্ঠান এই ধরণের অপরাধ করছে, তাদের সাজা হবে না।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আরো বহু প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনিয়ম হয় সেখানে হয়তো শ্রম আদালত সেভাবে দেখেনা কিংবা সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এ বিষয়ে সচেতন নয়। এই মামলা ও রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে ধারণা পাবে।
আর আদালতে বিচারের সময় যখন কেউ বলবে অমুক প্রতিষ্ঠান তো একই আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে তাদের বিচার না করে আমারটা কেন করা হচ্ছে! এই আর্গুমেন্ট আদালত কখনোই বিবেচনা নেয়না বিচারের ক্ষেত্রে।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৪

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ বিস্তারিত ভাবে বিষয়গুলো লেখার জন্য...

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আফসোস

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: !!!!

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৯

শার্দূল ২২ বলেছেন: আওয়ামিলীগ কাউকে সাজা দিলে অন্য দল মতের মানুষের মায়া বেড়ে যায়, অন্য দল কাউকে সাজা দিলে আওয়ামিলিগের মায়া বাড়ে, এই দলমতের জাতাকলে আমাদের দেশে অপরাধি পাড় পেয়ে যায়। ইউনুস সাহেব দেশ বিদেশে অনেক সন্মান কুড়িয়েছেন সে যেভাবেই হোক। ওনার এত লোভ থাকা উচিৎ ছিলোনা। নভেল যেভাবেই পাক মানুষকে সন্মানিত করে পরিচিতি দেয় বিশ্বব্যাপি। এই সন্মান আর পরিচিতির চেয়ে বেশি দামি কোন সম্পদ আছে কিনা আমার জানা নেই। ওনার শাস্তিতে রাজনীতি ছিলো কি ছিলোনা তার চেয়ে বড় বিষয় দেশ জড়িত ছিলো । এবং তা দরকার ছিলো। উনি যে দেশ প্রেমিক নন তার বহু প্রমাণ আছে।

ভালো বলেছেন

শুভ কামনা

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক বলেছেন। উনি গড় বাঙালির যে চরিত্র সেখান থেকে বের হতে পারেননি। উনাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য বিচারকও বিব্রত হয়েছিল।

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: এই অপরাধারে সর্বোচ্চ সাজা ছিলো এটা।আরো বেশি সাজা থাকলে আরো বেশি সাজা দেওয়া হতো।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ ওনাকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে কিন্তু উনাকে আকাম আগাম জামিন দিয়ে আপেলের সুযোগ দেওয়া হয়েছে যেটা অন্যদের ক্ষেত্রে করা হয় না। অন্যদের ক্ষেত্রে যেটা হতো, আগে গ্রেফতার দেখাতে হতো, এরপর জামিনের জন্য আবেদন করা লাগতো।

৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৫১

এমজেডএফ বলেছেন: আদালতে কোনো অপরাধী তার কৃত অপরাধকে 'ভুল হয়ে গেছে' বা *আইন সম্পর্কে ধারণা ছিল না' ইত্যাদি অজুহাত দিয়ে সাজা এরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ এ ধরনের হাস্যকর খোঁড়া যুক্তি ন্যায় বিচারের স্বার্থে কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।

গত ৯ নভেম্বর এই আদালতে হাজির হয়ে ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ইউনূস তখন বলেন, “আমি তো নিজে এ প্রতিষ্ঠানের মালিক নই। আমার আদর্শ কর্মসূচিতে কোনো ত্রুটি ছিল না।
“এত বড় কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতে পারে। আমরা তো ফেরেশতা নই। কিন্তু ভুল হলে তা ইচ্ছাকৃত নয়।”
সূত্র: bdnews24.com

তাছাড়া তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুনের কয়েকটি যুক্তির মধ্যে একটি হচ্ছে:
ড.ইউনুসের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সবগুলোর ক্ষেত্রে দেওয়ানি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে অর্থাৎ অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং দেওয়ানি প্রতিকার গ্রহণ না করে প্রথমেই ফৌজদারি এ্যাকশন নেয়াটা গ্রহণযোগ্য নয়।

উপরোক্ত মন্তব্য ও যুক্তি বিশ্লেষন করলে বোঝা যায় যে ড.ইউনুস এবং তাঁর উকিল পরোক্ষভাবে কৃত অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং প্রয়োজনে অর্থদন্ডে দন্ডিত হতেও রাজী ছিলেন। যদিও মুখ রক্ষার্থে আদালতের রায়ের পর ড.ইউনুস বলেছেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষে শাস্তি পেলাম’ :P

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভুল হলে তার মাসুল দিতে হয়। ড. ইউনুছ সেটাই করছেন। কিন্তু শুধু সেটা না, ডক্টর ইউনূসের সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ট্রানজেকশন ধরে ধরে চেক করলে আরো অনেক ক্রিমিনাল অপেন্স বের হয়ে আসবে। উনার ট্রানজেকশন গুলি উনি উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে আদালতে বলা হয়েছিল কিন্তু উনার ব্যক্তিগত অনেক ট্রানজেকশন উনি উন্মুক্ত রাখেননি।

৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বাংলাদেশে শ্রমিক নেতা শ্রমিক সংগঠন আইনজীবী মানবাধিকার কর্মী এদের তো কোন অভাব নেই ।
তাহলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কেন এ ধরনের মামলা হচ্ছে না এবং তারা ন্যায়বিচার কেন পাচ্ছে না?! অনেক মানুষই তো ভুগছে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এগুলিও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। কিন্তু উনার মামলার সাজার ক্ষেত্রে এগুলি বিবেচ্য বিষয় নয়।

৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


উনি আইন ভঙ্গ করার সময় মাথায় আসেনি যে আইন ভাঙছেন?

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এতগুলি কর্মীর চাকরি স্থায়ী হচ্ছে না, এটা খুব সিম্পল বিষয় নয়। নিশ্চয়ই উনার মাথায় এ বিষয়টি ছিল, উনি পদক্ষেপ নেয়নি। এ জায়গায়ই উনি অপরাধ করেছেন।

৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ড.ইউনুস আইন ভঙ্গ করেছেন সত্য। তাঁর উকিল প্রকারন্তরে কৃত অপরাধ স্বীকার করেছেন।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই ধরনের অল্প জরিমানার কর্পোরেট ভায়লেশন মামলা আদালতের বাইরেই জরিমানা পরিশোধ করে নিষ্পত্তি হয়। কাগজপত্রেই বলে দেয় মামলার মেরিট। এছাড়া মামলা লড়তেও প্রচুর খরচ।
কিন্তু ডক্টর ইউনুস কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই ফালতু মামলা লড়তেছেন। আবার আপিলও করবেন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দুই শ্রমিক নেতাকে তিন কোটি টাকা দিয়ে উনি রাফা দফা করতে চেয়েছিলেন। সেটাও পরবর্তীতে আদালতে উত্থাপিত হয়। কিন্তু শ্রমিক নেতারা রাজি হয়নি কিংবা তাদেরকে রাজি হতে দেওয়া হয়নি।

১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫

হাসান রাজু বলেছেন: আইন আমাদের দেশে খুব কড়া করে তৈরি করা। একটা প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে গেলে অন্তত ১০১ টা স্টেপে ১০০১ টা আইনি প্রক্রিয়া মানতে হয়। আমি আপনাকে বলতে পারি, আপনি একটা মুদি দোকান এই জনমে খুলতে পারবেন না এদেশে যদি আইন ও নিয়ম মেনে আগাতে থাকেন।
যে ভুল গুলো ধরে বিচার করা হয়েছে। সেটা থেকে কেউ কোন শিক্ষা নিবে না ১০০ ভাগ নিশ্চিত থাকেন। কারন সবাই জানে এই সমস্যা কারো প্রতিষ্ঠানের সাথে হবে না (আসলেই হবেনা। চ্যালেঞ্জ করতে পারি) কারন এমন মামলার জন্য ভুল বা আইন ভঙ্গ না ইউনুস হওয়া চাই।
আমাদের দেশে ১ টা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেখান যেখানে শ্রম আইন ১০০% মেনে চলে ।

পোস্টের উদ্দেশ্য আর ইউনুসকে হয়রানির উদ্দেশ্য দুটোই স্পষ্ট। আমরা এমন জাতি বুঝি ভালই, কিন্তু যে বুঝায় তার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে কি বুঝব ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমারও তেমন ধারণা ছিল এবং ধারণাটা কিছুটা সত্য। তবে আপনি যেটা বললেন এ ধরনের মামলায় সাজা পেতে হলে ডক্টর ইউনুস হতে হবে সেটাও ভাবছিলাম কিন্তু পরে দেখলাম যে ডক্টর ইউনুস ছাড়াও আরো অনেক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের সাজা পেয়েছে। কিন্তু হাইপ্রোফলের লোকজন না হওয়ার কারণে তাদের গুলি সামনে আসেনি। আর এ ধরনের মামলা কম হয় আসলে সরকারের জন্য না, আমাদের শ্রমিক কর্মচারীরাই শ্রম আদালত সম্পর্কে খুব বেশি জানে না। কিভাবে কি করতে হবে সেসব সম্পর্কেও অবগত নয়। তবে এই মামলার রায়ের কারণে অনেক শ্রমিক কর্মচারী তাদের অধিকার সম্পর্কে ধারণা পাবে।
এখন যে বিষয়টি বললেন যে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রম আইন মানা হয় না। এটা আপনার সাথে আমি একমত কিন্তু আদালতে যখন একটি স্পেসিফিক মামলা চলবে তখন আপনি কিন্তু এই আর্গুমেন্ট দিতে পারবেন না। অমুক প্রতিষ্ঠানে তো একই অপরাধ হচ্ছে তাহলে আমাকে কেনো শুধু বিচারের মুখোমুখি করেছেন?

১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: উনার কোম্পানির নিট লভ্যাংশের ৫ শতাংশ উনি কর্মচারীদেরকে দেননি।
....................................................................................................................
এখানে মানবাধিকার সংগঠন গুলো চুপ করে আছে কেন ?
এতদিন জানলাম সরকার উদ্দেশ্যমুলক ভাবে হয়রানি করছে ,
তাহলে কি দাড়াঁল ?
একজন নোবেল বিজয়ী শ্রমিকের টাকা চুরি করছে !!!?

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনার অসাবধানতা ছিল এবং বিষয়টি উনি অবগত ছিলেন। উনার উচিত ছিল সমস্যাটি আদালতে যাওয়ার আগেই সমাধান করে নেওয়া। কেননা উনাকে এটি সমাধান করার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। উনাদের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ার কারণে শ্রম আদালতের অফিসার বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১১

বিজন রয় বলেছেন: দরদাম করে অনেক কিছু পাওয়া যায়, পুরস্কারও পাওয়া যায়।

উনি নাকি পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলেন?

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিশ্বব্যাংকের এ ধরনের প্রজেক্টে অর্থায়ন করার জন্য এক্সপার্ট লোকজন আছে। মনে হয়না উনার কথায় বিশ্ব ব্যাংক অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।

১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: গ্রামীণফোন স্বয়ং এর থেকে অনেক বড় বড় অপরাধ করেছে কিন্তু গ্রামীণফোনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্থদণ্ড দন্ডিত হয়েছে বা কোন সাজাই হয়নি। আমার জানা মতে তাদের প্রতিষ্ঠানের কোন ব্যক্তি সাজা মুখোমুখি হয়নি।
আমার জানামতে গ্রামীণফোনের এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কয়েক শত ব্যক্তি মানবতার জীবন যাপন করছে। যাদের কোন কোন সময় দৈনিক ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
আমাদের দেশে কোন কর্পোরেট কোম্পানি এসব আইনের তোয়াক্কা করে না কেউ এইসব শ্রম আইন মেনে চলে না সবাই চলে যার যার নিজস্ব আইনে। লোম বাছতে গেলে কম্বল উজার হয়ে যাবার দশা হবে!
ডক্টর ইউনুস তার ভালো কাজের পুরস্কার কখনো এই দেশে পাবেন না।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেরজা তপন ভাই আপনার কথা ঠিক আছে। কিন্তু অন্য জায়গায় অপরাধ হয় বিধায় এই অপরাধের বিচার করা যাবে না তা কিন্তু না। আমাদের এখন একটাই চাওয়া ডঃ ইউনূসের গ্রামীন টেলিকম এর মত দেশের অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যে সকল জায়গায় এমন অনিয়ম হয় শ্রম মন্ত্রণালয়ের অফিসারেরা এই ব্যাপারে সোচ্চার হবে। তাদের এখন কাজ করতে সুবিধা হবে। এই মামলার রায়কে রেফারেন্স হিসাবে অনেক মামলায় ব্যবহার করতে পারবে।

১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার খায়েস মিটেছে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ হাসিনার উনার প্রতি ক্ষোভ থাকতে পারে কিন্তু বিচার হয়েছে আইনের মাধ্যমেই।

১৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আসিতেছে, অপেক্ষা করুন। ধন্যবাদ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অনেক কিছুই এসেছিল, আরো আসবে। তবে ওনার অপরাধ এর জন্য জাস্টিফাই হয়ে যাবে না। উনার বন্ধুরা এবং সহপাঠীরা প্রতিক্রিয়া দেখাবেই।

১৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার উনার প্রতি ক্ষোভ থাকতে পারে কিন্তু বিচার হয়েছে আইনের মাধ্যমেই।

আইন!!!! হাসালেন।
শুনুন দেশে যা হচ্ছে সব শেখ হাসিনার ইচ্ছায় হচ্ছে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেখুন এটা খুব বেশি সরলীকরণ হয়ে যায়। উনি অপরাধ না করলে অবশ্যই উনার সর্বোচ্চ সাজা হতো না।

১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১৭

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: "যে জাতির কোনো নায়ক নেই, সে অতি দরিদ্র, কিন্তু তার চেয়েও দরিদ্র সেই জাতি, যে নিজের নায়কদের চিনতে ও তাঁদের সম্মান করতে অক্ষম" - সিসেরো

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জাতির বেশিরভাগ মানুষ ভিলেনকে নায়ক মনে করে।

১৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: "অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.