নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা ঘোড়ার আগে গাড়ি নিয়ে টানাটানি করছি!★

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪২


গতকাল সিএনএন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে(লিংক পাচ্ছিনা, তবে আমি নিজে রিপোর্টটি দেখেছি)। যে রিপোর্টে আমেরিকার একজন সিনেটর বলছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে বাংলাদেশে এলজিবিটি প্রমোট করার জন্যই ফান্ডিং করা হয়েছে এবং সেটাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কন্টিনিউ করে নিয়ে যাচ্ছে। এটা কিভাবে সম্ভব, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন কট্টর ডানপন্থী নেতা যে এই এলজিবিটি মুভমেন্টের পক্ষেই ছিল না! এখানে একটা সূক্ষ্ম বিষয় আছে, যেটা আপনি একটু ডিপলি চিন্তা ভাবনা করলে ধরতে পারবেন। আমেরিকা যেহেতু সারা বিশ্বে সুপার পাওয়ার দেশ হিসেবে নিজেকে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে চায়, সেজন্য সে সবসময় চাইবে তার নিজস্ব আইডিওলজি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে। এখন সে আইডিওলজি কোনো ব্যক্তি মানুষের সমর্থনের বাইরে হলেও শুধুমাত্র আমেরিকার প্রভাব বিস্তারের জন্য সেটা সে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চাইবে।
আরেকটু পরিষ্কার করে বললে দেখবেন, আমেরিকা সবসময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, মাইনোরিটিদের অধিকার এগুলি নিয়ে সারা বিশ্বেই কাজ করে। তারা যে দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়গুলি ডিল করে ঠিক একই ভাবেই অন্যান্য দেশগুলি যাতে এ বিষয়গুলি ডিল করে সে চেষ্টা চালায়। এতে হবে কি, তাদের নিজস্ব আইডিওলজি যখন সবাই ফলো করবে সেখানে তাদের সাথে কাজ করা কিংবা তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা অধিকতর সহজ হবে। ঠিক এই জিনিসটাই ব্র্যাকের মাধ্যমে আমেরিকা এই মুভমেন্টটি এই দেশে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করছে।

একটি মজার জিনিস খেয়াল করুন। আমেরিকা যখন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা করে, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে তখন কিন্তু আপনি আমেরিকাকে সমর্থন করছেন। আবার যখনই তারা এই এলজিবিটি মুভমেন্টের স্পিরিট ছড়িয়ে দিতে আসে তখন কিন্তু আপনি সেটা নিতে পারছেন না। শুধুমাত্র যেটা আপনার পক্ষে যাবে সেটাকে গ্রহণ করবেন বাকিটা করবেন না। আমি বলছি না এটা ভুল বা দোষের কিছু। আমেরিকায় যেটা সম্ভব সেটা অন্য জায়গায় সম্ভব নাও হতে পারে। তবে আমেরিকা সবসময় চেষ্টা করবে তাদের নিজস্ব চিন্তাধারা সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে।
সুপার পাওয়ার ও ক্যাপিটালিজম চিন্তাভাবনার গোষ্ঠীর এটাই কৌশল। তারা সব সময় চেষ্টা করবে তাদের চিন্তা-ভাবনা নিয়েই অন্য দেশ জাতিগুলি গড়ে উঠুক।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ধরনের মুভমেন্ট কি আমাদের মত দেশগুলিতে এই মুহূর্তে শুরু করা উচিত? প্রথমে আমি বলে নিই, এই এলজিবিটি মুভমেন্টের সাথে আমি নৈতিকভাবে একমত। কিন্তু আমাদের মত দেশে এ ধরনের মুভমেন্ট করার মত অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি। কেনো তৈরি হয়নি বলছি। প্রথমে আমেরিকায় এই ধরনের মুভমেন্ট গুলি কেনো হয়েছে সেটা বোঝার চেষ্টা করি। প্রথমত সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এরপর মানবাধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তাও প্রতিষ্ঠিত। এছাড়াও সে দেশে একজনও যদি মাইনরিটি থাকে তার অধিকার সংরক্ষিত আছে। তাহলে দেখুন সেখানে কিন্তু মানুষের মৌলিক অধিকার গুলি সবদিক থেকেই সুরক্ষিত। এরপর তারা চিন্তা করলো সবার যেহেতু অধিকার গুলি নিশ্চিত হয়েছে এখন এই এলজিবিটি মানুষদেরও অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যার জন্য সেই মুভমেন্টটি তারা নিয়েছে। তারা কিন্তু ধরেই এই মুভমেন্টটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি।
এবার আমাদের দেশের দিকে নজর দিন। এখানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা কিংবা সংখ্যালঘুদের অধিকার কি সঠিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে! এক কথায় সম্ভব হয়নি। তাহলে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেই সমস্যা গুলির সমাধান করতে পারেনি সেখানে আমাদের জন্য এই ধরনের মুভমেন্ট শুরু করার কোন কারনেই আপাতত নেই।
এ ধরনের মুভমেন্ট এখন শুরু করার অর্থ হচ্ছে ঘোড়ার আগে গাড়ি নিয়ে টানাটানি। মানুষের মৌলিক অধিকার গুলি নিশ্চিত না করে তারও অনেক পরের বিষয়গুলি নিয়ে সময় ও অর্থ নষ্ট করছি। আমেরিকা যা করতে পারে সেটা আমরা সবসময় করতে পারবোনা। আমাদের যে বিষয়গুলি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা করা দরকার সেগুলি নিয়েই সময়, মেধা ও অর্থ ব্যয় করা উচিত।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:


আমেরিকার সরকার এগুলো নিয়ে মুসলিম দেশে কোন কাজ করে না; কিন্তু হোমোসেক্সুয়েল ধরণের কর্মের জন্য, ধর্মীয় দিক থেকে হত্যা ইত্যাদি হয়ে থাকলে, তারা এগুলো নিয়ে নাগরিক অধিকারের কথা বলে থাকে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এলজিবিটি'দের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারে থাকার সময় বাংলাদেশে ফান্ডিং করা হয়েছে এটা একজন সিনেটর বলেছে।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাইক্যা (কম মূল্যবান) কাজে বাঙালী সময় বেশী ব্যয় করে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা সঠিক।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: এটা জাতিসংঘের সনদে আছে।আর আমরা তাতে স্বাক্ষর করেছি।বাস্তবায়নের জন্য সময় চেয়েছি মাত্র।অস্বীকার করি নাই।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জাতিসংঘে অনেক কিছুই স্বাক্ষর করা লাগে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত সনদে স্বাক্ষর করেছি কিন্তু উন্নতি করতে পারছি না।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকা কাজ করে তার স্বার্থে।গনতন্ত্র মানবাধিকার এগুলি ধুন ফুন।ইউরোপকে সাথে রাখতে সে এসব কথা বলে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সব জাতিই তার স্বার্থ আগে দেখবে বাকিগুলো পরে। আমরাই মনে হয় নিজেদের স্বার্থ আগে দেখি না।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪৬

কলাবাগান১ বলেছেন: সি এন এন এর খবর এর লিং ১৩ই জানুয়ারীর এই ব্লগের কমেন্টে দিয়েছিলাম.।
CNN: LGBT , Bangladesh, USA

Blog post of Mohajagotic Chinta

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি গতকালকে রিপোর্টটি পড়েছি, তারিখ খেয়াল করিনি।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০১

সোহানী বলেছেন: সহমত। বিশ্লেষন ভালো লেগেছে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী আপনাকে।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়লাম। মন্তব্য গুলোও পড়লাম। জানিয়ে গেলাম। ভালো থাকুন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: ইউরো-আমেরিকানরা বিশ্বের মানব বৈচিত্র বিলুপ্ত করেছে অর্থ-আয়েশের লোভে। এরা এখন মানবতার ভং ধরেছে লুট করা সম্পদ, আরাম-আয়েশ বংশ পরস্পরায় ভোগ অক্ষুন্ন রাখার জন্য। উচ্ছিষ্ট ভুগি মোসাহেবও জুটেছে কিছু এশিয়া থেকে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ক্যাপিটালিজম ও মোড়লীপনা এভাবেই কাজ করে। কিন্তু মানবতার ভং ধরেছে এ কথা বলাটা কি ঠিক হবে। কারণ তাদের দেশে তো মানবাধিকার গুলি সবচেয়ে সুন্দর ভাবে সুরক্ষিত। তারা তো আমাদেরকে মানবাধিকার গুলি সুরক্ষিত করার জন্য নিষেধ করছে না।

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন: ক্যাপিটালিজম ও মোড়লীপনা এভাবেই কাজ করে। কিন্তু মানবতার ভং ধরেছে এ কথা বলাটা কি ঠিক হবে। কারণ তাদের দেশে তো মানবাধিকার গুলি সবচেয়ে সুন্দর ভাবে সুরক্ষিত। তারা তো আমাদেরকে মানবাধিকার গুলি সুরক্ষিত করার জন্য নিষেধ করছে না।
তাদের দেশে তো মানবাধিকার গুলি সবচেয়ে সুন্দর ভাবে সুরক্ষিত। রাইট , তবে তা প্রাচিন কাল থেকেই । আমাদেরকে মানবাধিকার গুলি সুরক্ষিত করার জন্য উৎসাহিত করছে- এটা তাদের কুকর্ম ঢেকে রাখার কৌশল।যেমন আপনি অতীতের কথা চিন্তা না করে তাদের সামান্য অবদানে গদগদ হয়ে ওকালতি করছেন । তারা খুবই জঘন্য মানসিকতার। এভাবেই তারা অন্য ভুখন্ডে বা জাতি সত্বায় ঢুকে তাদের ধ্বংষ করেছিলো।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইউরোপ ও আরো অনেকগুলি দেশে তারা মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের তো দেখছি আমাদের চেয়ে ভালো অবস্থা। ঠিক আছে ধরে নিলাম তাদের চিন্তা ভাবনা জঘন্য মানসিকতার, তাহলে আমাদের সামনে আমাদের মতো যারা সমমনা আছে তারাও তো আমাদের জন্য উদাহরণ তৈরি করে দিতে পারছে না। তাদেরকে ফলো করলাম না, তাহলে কাদেরকে ফলো করবো?

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৫৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি ফোন থেকে পড়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি।

বিশ্লেষণটি আমার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ন মনে হয়েছে। আপনার যুক্তি অনুযায়ী গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সামাজিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার পরেই কেবল এলজিবিটি অধিকার নিয়ে কথা বলার সময় এবং পরিস্থিতি তৈরী হবে। তাত্ত্বিক ভাবে কথাটা যৌক্তিক। প্রশ্ন হলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত কী আমরা এই লোকগুলোকে সম্পূর্ন উপেক্ষা করে যাবো এবং তাদের ডেমোনাইজ করবো?

কদিন আগে দেখলাম একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে সাংসদ করা হয়েছে, যেটা খুব ভালো খবর। এই জাতীয় খরবগুলো আমরা আরো বেশি বেশি দেখতে চাই। যে সন্তানটি কারো ঘরে আজ দূর্ভাগ্য ক্রমে তৃতীয় লিঙ্গের হয়ে জন্মালো তাকে যেন কেউ হিজরাদের গ্রামে তুলে দিয়ে না আসে। আর সেজন্য যদি কোন সংগঠন ফান্ডিং করে - এতো ভালো খবর।

এর মধ্যে যে অনেক মানুষ ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছে এই সমস্যাটা একটি ভিন্ন সমস্যা। এই সমস্যাকে আপনি হয়তো গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে অনেকটা সারিয়ে তুলতে পারবেন, কিন্তু এর মূল জংগী সমস্যার মতো গভীরে প্রোথিত। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সামাজিক নিরাপত্তা আছে এমন দেশগুলোতেও জংগী এবং জংগী মানসিকতার বহু লোক দেখা যায় যারা এলজিবিটিদের অধিকারের বিপক্ষে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইতিহাস থেকে দেখা যায় পৃথিবীর যেসব দেশগুলি এই মুভমেন্ট গুলি সমর্থন করছে কিংবা সরাসরি এটার সাথে জড়িত তারা এটা সবার শেষেই আলোচনায় এনেছে। এমনকি প্রাণী অধিকার সচেতনতার বিষয়টিও এটার আগে এসেছে।
আমাদেরকে এই মুভমেন্টটি এখন পরিচালনা করার চেয়ে বাকি অধিকার গুলি নিশ্চিত করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যদি এটাকে মিনিমাইজ করতে হয় আমি বলব সেটাই করা উচিত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.