নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ কয়েকটি বই!★★

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৫


পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখকের বই, বিভিন্ন কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আবার অনেক নিষিদ্ধ করা বইয়ের নিষেধাজ্ঞা পরবর্তীতে তুলেও নেওয়া হয়েছে।
আজকে তেমনি কিছু নিষিদ্ধ বইয়ের কথা উল্লেখ করলাম। বিশেষ করে যে বইগুলি আমি পড়েছি। পোষ্টের শেষে আপনার কাছে জানতে চাই, বই নিষিদ্ধ করা কি সঠিক বলে মনে করেন আপনি?

• স্যাটানিক ভার্সেস: এই বইটি নিয়ে সারা বিশ্বে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। বইটি সালমান রুশদি নামক এক ব্রিটিশ ভারতীয় লেখক লিখেছিলেন ১৯৮৮ সালে। বইটিতে আমাদের ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা: ) এর জীবনী ও উনার উপর নাযিলকৃত ওহী নিয়ে কিছু বিতর্কিত লেখা লিখা হয়েছিল। কোরআনের কিছু ওহী শয়তানের পক্ষ থেকে এসেছিল বলে মন্তব্য করা হয়। যেগুলি পরবর্তীতে কোরআন থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেই আয়াতগুলিতে লাত, মানত, উজ্জা নামক দেবতাদের ইবাদত করার কথা বলা হয়েছিল। যা পরে নবী মুহাম্মদ বুঝতে পারে এই ওহী গুলি শয়তানের পক্ষ থেকে এসেছে। প্রকাশিত বছরেই বইটি বুকার পুরস্কার এর চূড়ান্ত তালিকায় ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরস্কার জিততে পারেনি।

• জিন্নাহ অফ পাকিস্তান:স্ট্যানলি ওল্পের্ট ১৯৮২ বইটি লিখেছিল। লেখার পরপরই পাকিস্তান সরকার বইটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করে। নিষিদ্ধ করার কারণ ছিল বইটিতে জিন্নাহ মদ ও শুকরের মাংস খেয়েছে এ কথাটি কয়েকবার এসেছে। যার জন্য পাকিস্তান সরকার বইটিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। জিন্নাহর মাধ্যমে পাকিস্তানের বিভিন্ন অবস্থান ও প্রেক্ষাপট খুব সুন্দর করে তুলে ধরে লেখক।

• নারী: হুমায়ুন আজাদের বইটি ১৯৯২ সালের প্রথম প্রকাশিত হয়। বইও যে নিষিদ্ধ হতে পারে বাঙালিরা সর্বপ্রথম সম্ভবত খুব ভালো করে বুঝতে শুরু করে ১৯৯৫ সালে এই বইটির নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে। যদিও পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে উচ্চআদালত বলে, নারী বইটি নিষেধাজ্ঞা ছিল অবৈধ। এরপরে বইটির তিনটি সংস্করণ বের হয় এবং অসংখ্য পুন:মুদ্রন হয় বইটির।
বইটিতে হুমায়ুন আজাদ রাসকিন, রুশো, ফ্রয়েড ও রবীন্দ্রনাথের নারীবিরোধিতার এবং রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের নারীমুক্তির আন্দোলন নিয়ে যে আলোচনা করেছে নিঃসন্দেহে সেটি পুরো বইয়ের বেস্ট আলোচনা।

•নবী মুহাম্মদের ২৩ বছর: ইরানের প্রগতিশীল লেখক আলী দোস্তি বইটি লিখেছিল। বইটিতে তিনি নবী মুহাম্মদের নবুওয়াতের ২৩ বছর সময়টাকে খুবই সূক্ষ্মভাবে তার মত করে ব্যাখ্যা করেছে। অলৌকিকতা যে শুধুমাত্র বিভ্রম নয় এ বিষয়টি খুবই সহজ করে বইটিতে তুলে ধরেছে। ধর্মে সন্দেহ পোষণকারী বেশিরভাগ মানুষই ধর্মকে কটাক্ষ করে মন্তব্য ও বই লিখে থাকে। এক্ষেত্রে আলী দোস্তি নবী মোহাম্মদের সময়টাকে বাস্তব অর্থে উপলব্ধি করে বোঝার চেষ্টা করেছে এবং পাঠকদেরও সেভাবে বোঝাতে চেয়েছে। নবী মুহাম্মদ যখন তার দক্ষতা, কৌশল, বুদ্ধিমত্তা আর পরিশ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে অসাধ্য সাধন করতে সক্ষম হন, তখন সেই কাজকে অলৌকিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়না। নবি মুহাম্মদ এই অর্থে সে সময় অসাধ্য সাধন করেছেন। এই বিষয়গুলিকে ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে যেখানে অলৌকিকতা হিসেবে দেখা হয় সেখানে লেখক বাস্তবতার নিরিখে বিশ্লেষণ করেছে। স্বভাবতই ধর্মের কিছু বিষয় তখন বিশ্বাসে আঘাত হানে, যার জন্য বইটি আরব দেশে ও অন্যান্য মুসলিম দেশে নিষিদ্ধ করা হয়।
নিষিদ্ধ বইয়ের মধ্যে সম্ভবত আমি এই বইটি সর্বাধিকবার পড়েছি।

•লজ্জা: তসলিমা নাসরিনের লেখা এই বইটি নিয়েও এই উপমহাদেশের সবচেয়ে বেশি আলোচনা ও সমালোচনা হয়। লেখিকা ১৯৯৩ সালে বইটি প্রকাশ করে। প্রকাশিত হওয়ার ছয় মাসের ভিতরেই বইটি নিষিদ্ধ করা হয়। এখনো বইটি বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অংশে নিষিদ্ধ আছে। বইটিতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর হিন্দু মুসলিমের যে দাঙ্গা বেধেছে সেটাকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। সেসময় এদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় কিভাবে নির্যাতিত হয়েছিল তার বর্ণনা দেওয়া ছিল গল্পের ছলে। তবে লেখিকা বর্ণনা দিতে গিয়ে ইসলাম ধর্মকে খুবই খারাপ ভাবে কটাক্ষ করে, যার জন্য বইটি নিষিদ্ধ করা হয়। লজ্জা বইটি প্রকাশিত হওয়ার ছয় মাসের ভিতরেই প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছিল।
এই বইয়ের রেশ ধরেই লেখিকার প্রতি এত পরিমান বিদ্বেষ জমা হয়েছে, যার জন্য তাকে নিজ জন্মভূমি ছাড়তে হয়েছে। তসলিমা নাসরিন এখনো তিনি নির্বাসিত জীবন পার করছে।

•বিশ্বাসের ভাইরাস: বইটি মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ব্লগার অভিজিৎ রায় লিখেছিল। বইটি ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়। লেখক বইটিতে কিভাবে ধর্মান্ধতা মানুষকে বিবেকের দিক থেকে অন্ধ করে দেয় সে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। এই চেষ্টা করতে গিয়ে লেখক ধর্মের বিভিন্ন বিশ্বাসগত দিকগুলিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যার জন্য স্বভাবতই ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত হয়েছে বলে এই বইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। আর এতেই বইটি পরবর্তীতে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে বইটি যদি আপনি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন বইটি লেখার জন্য লেখক কঠিন পরিশ্রম করেছে। বইটি যে লেখক দীর্ঘ সময় ধরে সম্পাদনা করে প্রকাশ করেছে সেটাও বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় বোঝা যায়।
অবশেষে শুধুমাত্র নিষিদ্ধ হয়ে এই বইয়ের বিতর্ক শেষ হয়নি। লেখককে বইটি প্রকাশ করার জন্য শেষমেষ জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছে!

•বিষফোঁড়া: ২০২০ সালে তরুণ উদীয়মান লেখক সাইফুল বাতেন টিটো বইটি লিখেছিল। বইটিতে তিনি তার দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানমূলক গবেষণা থেকে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার আবাসিক বাসস্থানে বাচ্চাদের উপর কি ধরনের যৌন নির্যাতন চলে তার বর্ণনা দিয়েছে। স্বভাবতই এই বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পদ্ধতি ও শিক্ষকদের নৈতিকতা নিয়ে অনেক বিরূপ মন্তব্য করেছে। আর যার জন্যই তিনি ধর্মীয় শিক্ষকদের রোষানলে পড়ে এবং তার বইটি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে প্রচন্ড চাপ দেওয়া হয়। ঐ প্রেক্ষিতে এক সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বইটিকে নিষিদ্ধ করে।
বইটি প্রকাশ করে এ তরুণ উদীয়মান লেখক প্রচন্ড সাহসিকতার প্রমাণ দিয়েছে। তবে বইটির জন্য আমার মতামত হচ্ছে, লেখক চাইলে তার লেখায় আরো সুন্দর শব্দ চয়ন করতে পারতো।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৫

মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: পুরো লেখাটি পড়লাম। নিষিদ্ধ বইয়ে নাম ও বিস্তারিত জানলাম৷ ভালো লেগেছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: বই নিষিদ্ধ করার কোন কারণ নাই। কিন্তু ভিন্নমত মানতে নাপারা ক্ষদ্র মানসিকতার চাপে বই নিষিদ্ধ করা হয়।
নারী, বিশ্বাসের ভাইরাস পড়েছি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বই নিষিদ্ধ করলে সেগুলি আরো বেশি পঠিত হয়।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১৬

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: স্যাটানিক ভার্সেসের হার্ড কপি কোথাও পাইলাম না। খুঁজছিলাম অনেক। বিশ্বাসের ভাইরাস পড়েছি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশের এটার হার্ড কপি পাবেন না মনে হয়, তবে পিডিএফ কপি অ্যাভেলেবেল আছে।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০২

সোনাগাজী বলেছেন:


বইমেলায় অনেক গার্বেজ আসে, সেগুলো থেকে কিছু বাদ দেয়ার দরকার।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে ঐভাবে তো বাদ দেওয়া সম্ভব না। যে যার মত করে লেখে এবং লিখবে। কিন্তু আমি যে বইগুলোর কথা উল্লেখ করলাম সেগুলি আসলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে। তবে বইমেলায় শুধুমাত্র স্পেসিফিক সে সময়ের জন্য অনেক বই স্টলে প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ করা হয়। সেটার সংখ্যা অনেক অনেক বেশি।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


যে বইগুলোর কথা আপনি বললেন সে বইগুলো কি আপনি পড়েছেন?
বিশেষ করে প্রথম বইটি ।
এই বইটি নিয়ে বাংলাদেশে বেশি হইচই হয়েছিল।
ইভেন আমাদের উপজেলা সদরেও বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিল।
আফসোস!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ্যাটাানিক ভার্সেস বইটি আমি পড়েছি ই-বুক আকারে ২০১৭ সালের দিকে। আসলেই স্পেসিফিক কিছু কথা সেখানে ছিল যেগুলি ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে আপত্তির জায়গা তৈরি হয়। হ্যাঁ এই বইটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা সমালোচনা হয়েছিল সারা বিশ্বব্যাপী।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় আমি জীবনে সর্বপ্রথম একটি নিষিদ্ধ বই পড়েছিলাম।
বইটির নাম ছিল প্রজাপতি।
লেখক ছিলেন সমরেশ বসু।
বইটি পড়ার সময় দারুন উত্তেজনা অনুভব করেছিলাম যার কোন তুলনা নেই।
বড়ই আচানক ঘটনা।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্রজাপতি বইটি রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ছিল কিনা আমার ঠিক জানা নেই। তবে এই বইটিকে সেক্সুয়াল সাবস্টেন্স থাকার কারণে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তো অনেকেই।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি একটা বইও পড়ি নাই।

স্যাটানিক ভার্সেসেস যে ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে সেটা সঠিক না। শয়তানের কারণে কোরআনের কোন আয়াত ভুল ভাবে নাজিল হয়নি। এটা ইসলাম বিরোধীদের প্রচারণা।

জিন্না প্র্যাকটিসিং মুসলমান ছিল না। সে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমান ছিল এবং নামাজ পড়তো না সাধারণত। তাই মদ বা শুকরের মাংস সে হয়তো খেয়েছে।



০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রুশদির বইটিতে যে কথাগুলি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে সেটি মূলত লেখক বিভিন্ন হাদিস থেকে সংগ্রহ করে লিখেছে এবং এই ঘটনাটি সবচেয়ে বেশি ও স্পষ্টভাবে বর্ণ আছে সিরাত ইবনে ইহসাকে। ইবনে হিশামও কিছুটা বলা আছে।
যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে সিরাত গ্রন্থ গুলিতে ভুলভাবে এটা ব্যাখ্যা করা কিংবা মিথ্যাচারনা করা হয়েছে। সেটা আল্লাহ ভালো জানেন। কিন্তু এসব হাদিস ও সিরাত গ্রন্থগুলি ইসলামকে জটিল করে রেখেছে।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



কোন ধরনের মুসলমান ভালো শিয়া না সুন্নি ?
আমাদের নবীজি কোন মুসলমান ছিলেন- শিয়া না সুন্নি?!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কে ভালো কে মন্দ ধর্মীয় বিবেচনায় এটা আল্লাহ ভালো বলতে পারবে। আমাদের নবীজির সময় শিয়া সুন্নি বিভাজন ছিল না। মূলত গাদেরী খুমের ভাষনের পরে নবীজি মৃত্যুবরণ করার সময় থেকেই এই বিভেদ শুরু হয়ে আজও চলমান আছে।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন -
প্রত্যেকটা মানুষের বিচার হবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে। সে কোন দল সেটা বিবেচ্য বিষয় না। ঈমানে ঘাপলা থাকলে সুন্নি এবং শিয়া উভয়েই সমস্যায় পড়তে পারে। তবে শিয়াদের কিছু দলের খাঁটি অনুসারীরা আসলে মুসলমান না। আবার শিয়া অনুসারী কিছু দলের মানুষের চিন্তায় তেমন সমস্যা নাই। যেটা অনেকটাই সুন্নিদের মত। তারা মুসলমান দলের অন্তর্ভুক্ত। এই দলের অনেকে বাড়াবাড়ি করলেও ইসলামের গণ্ডির বাইরে যায়নি।

ইসলামে কোন দল নাই। একটাই দল। সেটা হল আমরা মুসলিম। মানুষ পরবর্তীতে নামকরণ করেছে যেটার কোন দরকার নাই। মুসলমানদের একটাই দল থাকা উচিত। দলাদলি আমাদের রসূল (সা) পছন্দ করেননি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শিয়াদের অনেক বিষয় যেমন সমস্যা আছে সুন্নিদেরও অনেক বিষয়ে সমস্যা আছে। আসলে দলাদলি কেউই পছন্দ করে না কিন্তু দিনশেষে বেশির ভাগই দলাদলি করতে ব্যস্ত।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: •নবী মুহাম্মদের ২৩ বছর:
এই বইটা পড়ার আগ্রহ আছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বইটি ই-বুক আকারে আমার সংগ্রহে আছে। পড়তে পারেন।
পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না কিংবা উঠলেও মনের ভিতর খচখচ করবে কখন শেষ করবেন।

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

রানার ব্লগ বলেছেন: স্যাটানিক ভার্সেস পড়েছি , আমার কেনো জানি মনে হয় এই বই কে নিষিদ্ধ করে আসলে লেখকের কাটতি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে । তেমন সাহিত্যগুনে গুণান্বিত কোন বই এটা না । নিষিদ্ধ যারা কোরেছে তাদের সাথে সালমান রুশদির আতত থাকতে পারে B-)

নারী, পড়েছি , আমার কাছে সমস্যা বইয়ে মনে হয় নাই ব্যক্তি সমস্যা মনে হয়েছে । মোল্লা গুষ্টি নারী বা নারী বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা দেখলেই তিড়িং বিড়িং করে তার উপরে তারা হুমায়ূন আজাদ কে মোটেও পছন্দ করে না তার কড়া পাকিস্থান বিরোধীতার কারনে ।

লজ্জা, পড়েছি। তসলিমা নাছ্রিন এখানে এক জাতির প্রতি বেশি মহব্বত দেখাতে গিয়ে অন্য জাতিকে নোংড়া ভাষায় আক্রমন করেছেন। এটা অন্যায় । লেখক কখনোই কোন মতোবাদ বা জাতিসত্বায় বন্দী থাকতে পারে না । এটা আমার মতোবাদ বা ধারনা।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: স্যাটানিক ভার্সেস পড়েছি , আমার কেনো জানি মনে হয় এই বই কে নিষিদ্ধ করে আসলে লেখকের কাটতি বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
আসলে যে কোন বিষয়ই যখন নিষেধ করা হয় মানুষ সেটা পড়ে দেখতে চায় তাতে কি আছে।
নারী ও লজ্জা বই সম্পর্কে যা বলেছেন সঠিক বলেছেন।

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাকে কী দেয়া যাবে ইবুক ?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: Click This Link
এখানে দেখুন ডাউনলোড করতে পারেন কিনা। না পারলে আপনার ইমেইল এড্রেস দিতে পারেন আমি মেইল করে দেবো।

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সমরেশ বসুর 'প্রজাপতি' বইটাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।
বই গুলো অযথা নিষিদ্ধ করা হয়। পাঠক বই গ্রহন করলে সমস্যা কোথায়?
আপনি যে ৭ টা বইয়ের নাম দিয়েছেন, প্রতিটা বই ভালো। এই বই গুলো সকলের পড়া দরকার।

নীষিদ্ধ করা দরকার ধর্মীয় বই গুলো।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্মীয় গ্রন্থের মধ্যে শুধুমাত্র বাইবেল উত্তর কোরিয়া ও সৌদি আরবে নিষিদ্ধ আছে।
কেউ যদি ধর্মীয় গ্রন্থ পড়তে চায় পড়ুক।

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: কোন বইই নিষিদ্ধ করা উচিৎ না। সকল মত,পথ,ভালো,খারাপ,জঘন্য,উত্তম,না-বোধক,হ্যাঁ-বোধক -সবকিছু সম্পর্কে জানার অধিকার মানুষের জন্মগত। বিশ্বাষের সিদ্ধান্ত মানুষের মনের ব্যাপার। আমি গুলিস্থানে এমনও চটি বই দেখেছি যে গুলির একটি পাতা পড়ার পর আমার মতো শক্ত মানুষও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো গোসল করে পবিত্র হয়ে তিন ঘন্টার মধ্যে সুই-সাইড করার। অথচ আমার সামনেই ১৫-২০ জন সেগুলি কিনেছিলো। সেগুলি যদি প্রকাশ্য বিক্রি হতে পারে -তাহলে এই সব বই কি দোষ করলো? বলা যায়, ঐ চটি বইগুলোর তুলনায় এই নিষিদ্ধ বইগুলো ধর্মগ্রন্থ সমতুল্য।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ আমারও ধারণা ঠিক এমনটিই। কিন্তু যেসব বইগুলিতে সেক্সচুয়াল সাবস্টেন্স আছে সেগুলি বাচ্চা এবং টিনেজ ছেলেমেয়েদের থেকে একটু দূরে রাখাই ভালো।

১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪

এম ডি মুসা বলেছেন: তসলিমা নাসরিন মুসলিম নয়? আর হুমায়ূন আজাদ এর নারী এই গুলো কেন নিষিদ্ধ হয়?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তসলিমা নাসরিন কি স্বঘোষিত নাস্তিক কিংবা ধর্মান্তরিত হয়েছে কিনা সেটা বলতে পারবো না।
তবে নারী বইটি নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ হচ্ছে, যেহেতু নারীবাদ এর উপরে ভিত্তি করে বইটি লেখা হয়েছে এবং নারীদের অধিকার, মর্যাদা বিভিন্ন ধর্মের আঙ্গিকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে একটি শ্রেণি এটাকে ধর্ম অবমাননার সাথে রিলিট করেছে। যার জন্য কিছু সময় বইটি নিষিদ্ধ থাকে, পরে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়।

১৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: স্যাটানিক ভার্সেস, জিন্নাহ'র উপর লেখা বইটা আর শেষের বইটা ছাড়া বাকি চারটা বই পড়েছি।

কদিন আগে বাসার কাছের একটা বইয়ের দোকানে একটা বই দেখে অনেকক্ষণ বিমুঢ় হয়ে ছিলাম। বইটার নাম "Reading Lolita in Tehran"। ইরানী এক মেয়ের লেখা। তো, আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো আপনার এই লিস্টে বোধহয় Lolita থাকবে অথবা নিদেন পক্ষে Lady Chatterley's Lover। পরে দেখি সবই আসলে ধর্মের কারনে নিষিদ্ধ হওয়া বই।

সৈয়দ শামসুল হকের "খেলারাম খেলে যা" কী নিষিদ্ধ হয়েছিলো? আমার জন্মের আগের লেখা বই বলে এটা প্রকাশ হবার পরে কী হয়েছিলো আমার জানা নেই।

নারী সম্ভবত হুমায়ুন আজাদের সবচেয়ে পরিশ্রমী লেখা এবং ভালো বই। এতদিন বাদে যদি মনে করার চেষ্টা করি তাহলে মনে পড়ে এই বইয়ে হুমায়ুন আজাদ স্টাইলের নারী শরীরের কিছু বর্ননা আছে, ধর্মের কিছু কুসংস্কারের সমালোচনা আছে।

বাকী বইগুলোর মধ্যে তসলিমা নাসরিনের লজ্জা ছাড়া সবগুলোই ভালো বই, যে গুলোতে লেখকের সৎ প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রম আছে এবং চিন্তারও যথেষ্ট উপকরন আছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের দেশে আসলে ধর্মীয় কারণেই বই বেশি নিষিদ্ধ হয়। আপনি যেগুলোর কথা বলেছেন সেগুলি অবশ্য আমার পড়া হয়নি, আমি শুধুমাত্র যে বইগুলি পড়েছি এবং নিষিদ্ধের কারণগুলি জানি সেগুলি বলতে চেয়েছি।
তসলিমা নাসরিনের বই আমার কাছেও খুবই একপাশে মনে হয়েছে। উনার ব্যক্তি জীবনের হতাশা, ব্যর্থতা বইয়ের গল্পের সাথে মিশে গিয়েছে। যার জন্য উনি বেশি এক পাক্ষিক লিখেছেন বোধহয়।

১৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

মিথমেকার বলেছেন: মতিয়ুর রহমান রেন্টু এর "আমার ফাঁসি চাই" বাদ পড়ল না?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ কলেজ লাইফে এই বইটি পড়েছিলাম, লেখার সময় খেয়াল ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার মনে হয় কোন বই'ই নিষিদ্ধ করার দরকার নেই কারণ যে বই নিষিদ্ধ করা হয় ওই বইয়ের বিক্রি আরও বেড়ে যায়।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.