নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিদিন ভোররাত্রে অতি উচ্চস্বরে আজানের কারণে খুবই কষ্ট হয়!★

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০০


ঢাকা শহরে যারা আছেন বা এখানে বাস করেন তারা নিশ্চয়ই জানেন এখানে প্রতি ৫০ থেকে ১০০ গজ পর পরই মসজিদ, মাদ্রাসা আছে। এজন্যই ঢাকা শহরকে মসজিদের নগরী বলা হয়। মুসলিম প্রদান দেশ, মসজিদের আধিক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। একটা সময় আমরা শুনে আসতাম দিন যতই যাবে মানুষ ধর্ম কর্ম নামাজ রোজা এগুলি পালন করা কমিয়ে দেবে। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখছি অতীতের থেকেও এখনকার সময়ের মানুষেরা ধর্ম-কর্ম বিশেষ করে ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলিকে যথাযথভাবে বেশি পালন করে। মসজিদগুলোতে গেলে এখন দেখা যায় নামাজী মানুষের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বেশি। এছাড়াও আমাদের গ্রামের মসজিদগুলিতে এখন মুসল্লির সংখ্যা আমাদের ছোট বেলায় দেখার সময়ের চেয়েও বেশি। এটার মূল কারণ হচ্ছে ধর্মের প্রচার। এখন অনেক বেশি প্রচার মাধ্যম থাকার কারণে মানুষের কাছে ধর্মের কথাগুলি বেশি পৌঁছাচ্ছে। যার জন্য ধর্মীয় উপাসনালয় গুলিতে মানুষের উপস্থিতি আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যাই হোক আমার মূল আলোচনা সেটা নয়, আমি যেখানে থাকি অর্থাৎ আমার বাসার চারপাশেই অন্তত সাত আটটি মসজিদ আছে। দিনের বেলায় বাসায় খুব একটা থাকা হয়না বিধায় এখান থেকে আশা নামাজের আজান কানে আসে না। তবে যখন রাত্রে বেলায় কাজ করে এসে ঘুমোতে যাই তখন রাত প্রায় বারোটা, একটা বেজে যায়। আমার ঘুম খুবই ভঙ্গুর, সামান্য আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও ঘুম হঠাৎ করে ভেঙ্গে গেলে আমার সারা শরীর ঘামতে থাকে। মোট কথা বেশ একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যাই। রাত্রে ঘুমানোর পর যখন একই সাথে সাত আটটি মসজিদ থেকে ফজরের আযান দেয় সেটা বিকট আওয়াজ হয়ে রুমে আসে। রাতের বেলায় সামান্য আওয়াজও অনেক জোরে শোনা যায়, যার জন্য এই ৫-৭ মিনিট খুবই অস্বস্তি নিয়ে কাটাতে হয়। আমার মত যাদের সমস্যা আছে কিংবা যারা অসুস্থ অথবা সদ্য জন্মজাত শিশু তাদের জন্য আসলেই এই সময়টুকু খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমি এও দেখেছি যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে তারাও এ সময়টুকুতে অস্বস্তিবোধ করেন।

যাইহোক আমার একটা পরামর্শ হচ্ছে আজান দেওয়া হয় মানুষকে নামাজের দিকে আহবান করার জন্য। সেটা আপনি যে কোন একটা জায়গা থেকে শুনলেই নামাজের দিকে যাবেন। অথবা নামাজের তো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া আছে, সে সময় দেখেও অনেকে নামাজ পড়তে যায়। এছাড়াও আমার মত অনেকেই নামাজের সময় মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখে। এখন আযান দেওয়ার সময় যদি সব মসজিদগুলি থেকে আজান না দিয়ে নির্দিষ্ট একটি মসজিদে আযান দেওয়া হয় তাহলেও আওয়াজ একটু কম হবে। এটা সকল ওয়াক্ত নামাজের সময় না হোক অন্তত ফজর নামাজের সময় নির্দিষ্ট একটি মসজিদ থেকে নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে এবং সবাই যার যার নিকটস্থ মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করবে।
আমি ঠিক জানি না এটা ধর্মের সাথে কতটা যৌক্তিক হবে। যারা ধর্মের বিশেষজ্ঞ তারা হয়তো বলতে পারবে এমনটি করা সম্ভব কিনা। বেশ কিছুদিন আগে সৌদি আরবেও শুনেছি আযান দেওয়ার যে শব্দ সেটাকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট করা শব্দের চেয়ে উচ্চস্বরে আযান যেনো না দেওয়া হয় তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তেমন কিছু আমাদের ধর্ম মন্ত্রণালয় যদি করে তাহলে ভালো হয়।

দেখুন পোষ্টের শিরোনামে যেটা লিখেছি সেটা দেখে আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী ভাববেন না। আমি আসলে সৃষ্টিকর্তায় পুরোপুরি বিশ্বাস করি এবং ধর্মকর্ম একেবারে শতভাগ পালন না করলেও চেষ্টা করি মৌলিক বিষয় গুলো ফলো করার।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

নতুন বলেছেন: মসজিদে মাইকের বদলে স্পিকার ব্যবহার করছে মানুষের এই কস্ট হবে না।

ধর্মে কোথাও বলানাই যে মাইক দিয়েই আজান দিতে হবে। আজান যদি মুখেও দেয় তবে সমস্যা নাই।

কিন্তু অতিউতসাইরা লোক দেখানোর জন্যই ধর্মের এমন প্রচারনা পক্ষে থাকে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ মাইকের চেয়ে স্পিকার এর আওয়াজ মোলায়েম ও সহনীয়। আর মাইকে যদি দিতেই হয় একটি এরিয়ায় একটি মসজিদ নির্বাচন করে সে মসজিদ থেকে দিলেই ভালো হয়।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: সব কিছু সবার মন মতো হলে দুনিয়াকে আর দুনিয়া মনে হবে না - “বেহেশত মনে হবে”। =p~
কুল ডাউন বিগ ব্রাদার।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সবকিছু সবার মন মত হবে না এটা ঠিক। তবে কিছু ব্যাপার আছে যা হলে সবার জন্যই ভালো হয়।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

নিমো বলেছেন: আপনার শিরোনাম সঠিকই আছে, এতে বিদ্বেষের কিছু নাই। উচ্চস্বরের বদলে সঠিক স্বর ও সুরে আযান দেয়ার ব্যবস্থা হলেই হল। অনেক আযানই বিরক্তিকর ঠেকে, কারণ অনেক সময়ই তা কর্কশ স্বরে দেয়া হয়, যাকে চিৎকার বলে মনে হয়। যে কোন বিযয়ে প্রশিক্ষণ জরুরি। আযানেও। হিরো আলম আযান দিলে তা শ্রুতিমধুর হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নাই।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছেলে হলেও মনে মনে আমি একজন মেয়ে - এই লাইনটাই 'শরীফ থেকে শরীফা' গল্পের বিভ্রান্তি শুরু করে। আপনার শিরোনামই আপনাকে ভুল বোঝার জন্য যথেষ্ট ছিল। যাই হোক, ফজরের সময় বিভিন্ন মসজিদের মাইকের আজান কারো কারে জন্য উপকারী আবার কারো কারো জন্য(রোগী, বৃদ্ধ, নন-মুসলিম) সমস্যার সৃষ্টি করে। এজন্য মাইকের বদলে কম ভলিউমের স্পীকার ব্যবহার করা যেতে পারে যেমনটা আপনি বলেছেন। তবে যেহেতু, সংখ্যাগরিষ্ঠের কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে তাই এটার বাস্তবায়ন হতে একটু সময় লাগবে...

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শিরোনামটি লেখার জন্য আমি বেশ খানিকক্ষণ ভেবেছি। আমি জানি এখানে শব্দের একটু হেরফের হলেই কঠিন থেকে কঠিনতর সমালোচনা হবে। চাইলে আরো স্পষ্ট করে কঠিন শব্দ ব্যবহার করা যেতো। আমি সেটা করিনি।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঢাকা শহরে মাইক ব্যবহারের কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না বরং এটাকে শব্দ দূষণ বলে মনে করি। ভালো মানে স্পিকার ব্যবহার করে তা কারো ক্ষতির কারণ হবে বলে আমার মনে হয় না। ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, স্পিকারের শব্দ সহনীয়। আর একই সাথে অনেকগুলি মাইকে আজান দেওয়ার কারণে বেশি আওয়াজ সৃষ্টি হয়। নিয়ম করে শুধুমাত্র একটি মাইক থেকে একটি নির্দিষ্ট এরিয়ায় আযান দিলে ভালো হতো।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য আপনাকেও।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮

এম ডি মুসা বলেছেন: বাঙালি িএটা সহ্য করে নিয়েছে, আমিরিকা এই আজান বা শব্দ দূষণ বন্ধ আছে। তবে আপনি মনে করেন। এটা মানুষের ঘুম থেকে জাগ্রত করে । আপনি বেশি রাত জাগবেন না ডাক্তার ও বলে বেশি রাত করে ঘুমালে েএই সমস্যা হতে পারে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আসলে যারা নামাজ পড়ে নিয়মিত, আমি দেখেছি আজান না দিলেও বা না শুনলেও ঠিক সে সময় তারা নামাজের জন্য তৈরি হয়। আসলে আমার এর থেকে তাড়াতাড়ি ঘুমানো সম্ভব নয়, কাজ সেরে বাসায় আসতে দেরি হয়। ইনফ্যাক্ট ঢাকা শহরে রাত বারোটার আগে খুব কম সংখ্যক মানুষ এই ঘুমোতে যায়।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার কবিতার পোস্টে মন্তব্যের অপশন বন্ধ করে রেখেছেন কেনো? আপনার কবিতার জন্য মন্তব্য, কবিতায় অনেকগুলি বাগদারা ব্যবহার করেছেন, যেটা আলাদা একটা প্যাটার্ন তৈরি হয়েছে।
শুধুমাত্র বাংলা বাগদারা দিয়ে একটি কবিতা লেখার অনুরোধ রইলো।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: একদম বাস্তব লিখেছেন।

এই শব্দ দুষন বন্ধ করা দরকার।
অনেক গুলো মসজিদ একসাথে আযান শুরু করে। যা যথেষ্ঠ বিরক্তিকর। সিটি করপোরেশনের উচিৎ হুজুরদের থামানো।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে পারে। এটা একটি রিস্কি আলোচনা। মনে হয় না বাংলাদেশে এটা নিয়ে কেউ কথা বলার মত সাহস পাবে।

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আমি সবসময়েই উচ্চভলিয়ুমে লাউডস্পিকারে আজান দেয়ার বিরোধী।
আর জুম্মানামাজ পড়া বারান্দা খালী থাকার পরও আগেই রাস্তা বন্ধ করে মাদুর বিছানো শুরু করার বিরোধী।
কারন এসব লোকদেখানো শো অফ। কারন ইচ্ছে করলেই লাউড স্পিকার ভলিয়ুম কমিয়ে বা সাধারন স্পিকার ব্যাবহার করা যায়। বা রাস্তা দখল না করে দুই শিফটে নামাজ পড়া যায়, বা যায়গা সংকুলান না হলে কাছের ভিন্ন মসজিদে যাওয়া যায়।

তবে একটা ব্যাপার না বললেই নয়।
দু-এক বছর পর যখন দেশে আসি, সুন্দর আজান শুনে খুব নষ্টালজিক হয়ে যাই, চোখটা ভিজে আসে।


১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একটি মজার গল্প আছে এরকম, এক লোক সৌদি আরব গিয়ে বেশ কয়েক বছর থাকার পর দেশে ফিরে এসেছে। এসে সবার কাছে গল্প করছে সৌদি আরবে যখন গিয়েছি কোনো কথাই বুঝতাম না, সবাই আরবিতে কথা বলে। শুধুমাত্র দেখতাম আজান বাংলাতে দেয়।
আযানের সাথে আমাদের শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িত। সুমধুর আযান শুনতে ভালো লাগে কিন্তু একই সাথে যখন ৭,৮টা মসজিদের ১৫-২০টা মাইক একসাথে আযান দেয় আযানের যে ভালোলাগা শ্রুতিমধুরতা সেটা আর থাকে না।

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই বিষয়ে আমিও একমত। দেশে গিয়ে বিষয়টা আমিও খেয়াল করেছি।খুবই বিরক্তিকর। বিদেশে আমরা সবাই সময় দেখে নামাজ আদায় করে থাকি। গুগলে সার্চ দিলেই প্রত্যেক মাসের নামাজের টাইমটেবিল শো করে। আমাদের দেশে আগে এরকম বিকট শব্দ করে মসজিদ থেকে আজান দেয়া হত না। বিকট শব্দ তৈরীতে মনে হয় লাউড স্পিকার ব্যবহ্রত হয়। তারওপর একটা মসজিদে শেষ করেতো আরেকটা মসজিদ স্টার্ট করে। এগুলো পুরোপুরি শব্দ দুষনের আওতায় পড়ে। আজানের শ্রুতিমধুর ধনি পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলেছে একালের লোক দেখানো ভন্ড হুজুররা।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পুরান ঢাকায় সমস্যা একটু বেশি। কারণ এখানে আহলে হাদিসরা একটু আগে আযান দেয় তারপর ১০-১৫ মিনিট পরে সুন্নি মসজিদগুলি থেকে আজান হয়। নামাজের সময়ের হেরফেরা আছে দুই দলের মাঝে। তবে এটা ঠিক যারা নামাজ পড়বে তারা সময় দেখেই নামাজ পড়তে পারে। এটাও ঠিক বলেছেন, একসাথে সব মসজিদ থেকে যখন আযান শুরু হয় তখন এই আযানের শ্রুতি মধুর ধ্বনির কিছুই বুঝা যায় না!

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪

অর্ক বলেছেন: শহরের অভিজাত জেনারেল স্টোরে ইয়ার প্রোটেক্টর, ইয়ার প্লাগ, স্লিপ প্রোটেক্টর ইত্যাদি পাওয়া যায়। ওগুলো পরে ঘুমাতে হবে। ঢাকায় থাকলে গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে পাবেন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেও পাওয়া যাবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা আপাতত সমাধান হয়তো মনে হবে, কিন্তু এটা সমাধান নয়।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪

করুণাধারা বলেছেন: এই ধরণের পোস্ট আগেও এসেছে। সেসময় মন্তব্য এমন ছিল, আজানের শব্দে যার অসুবিধা হয় সে প্রকৃত মুসলমান নয়!

আমার বাসার ২০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ৭ টা মসজিদ। সরু রাস্তার এপার ওপারে দুই মসজিদ। সবগুলো মসজিদে পাল্লা দিয়ে জোরে মাইকে আজান দিতে থাকে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এ ধরনের পোস্টে এমন সব মন্তব্য আসবে ভাবার কারণেই আমি আসলে পোস্টটি লিখতে বেশ ইতস্তত বোধ হয়েছে।
তারপরও এখানে যারা মন্তব্য করেছে খুবই সুন্দর সুন্দর মন্তব্য ও আসল বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: হুট করে পরিবর্তন অসম্ভব। প্রথমে স্বাস্থ্যকর মাত্রার ডেসিবল শব্দ নিশ্চিত করতে হবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যেই আসলে উদ্যোগ নেবে তাকে বেশ সাহসিকতার সাথে নিতে হবে। কারণ বিষয়টি খুবই জটিল। আমাদের মত দেশে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যে কোনো নীতি নির্ধারকের জন্য রিস্কি।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনা কানে শোনেন না বলে বেকুব মোল্লারা সুযোগ নিচ্ছে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা ভালো বলেছেন :)

১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি এ কথাটা খুব সুন্দর বলেছেন, আসলে যারা নামাজ পড়ে নিয়মিত, আমি দেখেছি আজান না দিলেও বা না শুনলেও ঠিক সে সময় তারা নামাজের জন্য তৈরি হয়।

রমজানে সুরা তারাবিহ পড়ার জন্য এখন কেন্দ্রীয়ভাবেই নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে কবে কত সুরা/পাড়া পড়া হবে। কাজেই, এক ব্যক্তি এক স্থান থেকে অন্যত্র গেলে সুরা তারাবিহ'র কোনো পাড়া মিস হবার সম্ভাবনা নেই।

প্রতিটা মসজিদেই নামাজের সময়সূচি দেয়া থাকে। এই সময়সূচি কেন্দ্রীয়ভাবেই ঘোষণা করা যেতে পারে। পাশাপাশি, মাইকের পরিবর্তে মুখেই আযান দেয়া যেতে পারে। ফলে, নামাজের টাইম মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

তবে, আমি মাইকে আযান দেয়ার বিপক্ষে না। সেই আযানের আওয়াজ যাতে কারো ডিস্টারব্যান্সের কারণ না হয়, সেটা মেনে আযান দেয়া সম্ভব হলে মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার, মাইকে আযান দেয়া বন্ধ হলে তার প্রতিক্রিয়া খুব সুখকর নাও হতে পারে। আপনি হয়ত আযানের শব্দে ক্লান্ত বা বিরক্ত, কেউ কেউ হয়ত আযানের শব্দকে পবিত্র এবং ভোরে নামাজের জন্য জেগে ওঠার উত্তম ধ্বনি হিসাবেই বিবেচনা করেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি সম্ভবত খতম তারাবির কথা বলতে চেয়েছেন। হ্যাঁ, এমন একটা নির্দেশনা গত কয়েক বছর থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে দিয়ে আসছে। এটা ভালো উদ্যোগ, যাতে সবারই একসাথে কোরআন খতম হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মাইকে আজান দেওয়ার বিপক্ষে আসলে কেউই নয়। কিন্তু যে উচ্চস্বরে আযান দেওয়া হয় একই সাথে সেটা সত্যিকার অর্থেই বিরক্তিকর। উপরে অনেকে যেমনটি বলেছে সাউন্ড বক্সের মধ্যে মাধ্যমে আযান দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও আমার যে মতামত সেটা হচ্ছে, একই সাথে যেহেতু অনেকগুলি মসজিদ সেক্ষেত্রে একটি মসজিদ থেকে আযান দিলেই সবাই শুনতে পাবে। তার সাথেসাথে আযানের যে শ্রুতি মধুরতা সেটাও অনুভব করতে পারবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার মেয়ের বাসা শ্যামলি ২ নং রোড। সেখানে আজান শুনা যায় না। আমার বাসার কাছের ৭টা মসজিদ থেকে আজান শুনা যায়। তবে সেসব আজানের আমার ঘুম ভাঙ্গার ক্ষমতা নেই। তবে আমি এলার্ম শুনে উঠে ফয়জরের নামাজ পড়ি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মাশাল্লাহ আপনার ঘুম তো বেশ ভারী। হ্যাঁ এমন অনেকেই আছে যাদের অনেক উচ্চস্বরেও ঘুম ভাঙ্গে না কিন্তু আমার মত অনেকেই আছে যাদের হালকা শব্দেই ঘুম ভেঙ্গে যায়।

১৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

ফাহিম আবু বলেছেন: বড কিছুর বিরুধিতার শুরু কিন্তু এভাবেই ছোট থেকেই হয় ! যেটা ধিরে ধিরে খুব সুচারুভাবে.......।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: যাক আমি পোস্ট লেখার পর এতক্ষণ ধরে ভাবছিলাম পোস্টটি আলোচিত পাতায় চলে এসেছে কিন্তু এমন ধরনের কমেন্ট কেনো এখনো আসেনি! যাক আপনি করলেন।

১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৮

কামাল১৮ বলেছেন: সরকারের উচিত শব্দের মাত্রা ঠিক করে দেয়া।পাশাপাশি মসজিদে,দুটিতেই আজান দেয়ার দরকার নাই।বিশেষ করে ফজরের নামাজের আজান।
আজান দেয়া কি ফরজ না সুন্নত?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শুধু দুটি নয় আশেপাশে অন্তত আট থেকে দশটি মসজিদ থাকে আজান দেওয়া হয় এক যোগে। আযান ফরজ কিংবা সুন্নত কোন কিছুই নয়, নামাজের সময় হলে নামাজ পড়তে হয় এটাই সর্ব প্রথম শর্ত।

১৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

প্রতিদিন ভোর রাত্রে চারিদিক থেকে যে পরিমাণ চিৎকার চেঁচামেচি আর আওয়াজ করে আযান ভেসে আসে সেটা শুধুমাত্র যন্ত্রণাদায়ক নহে এক ধরনের শাস্তি।

যার প্রয়োজন সে নিজের গরজ থেকে নামাজ পড়তে যাবে ।
অযথা চিৎকার চেঁচামেচি করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া হয় ।
রোগীদেরকে কষ্ট দেওয়া হয়।
অন্য ধর্মের মানুষদেরকে কষ্ট দেওয়া হয়।
এটা বন্ধ হওয়া উচিত।

কবি কায়কোবাদ অযথাই বলেছেন- কে ওই শোনাইলো মোরে আজানের ধনী।
আকুল হইল প্রাণ নাচিলো ধমনী।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটাকে কমিয়ে আনা যায় কিংবা একই সাথে সবগুলি মসজিদে না দিয়ে নির্দিষ্ট একটি মসজিদে দিলে সমস্যা কমে আসবে।

১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৭

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: মন্তব্য লেখার আগে একটু গুগল ঘেঁটে এলাম মাইক আবিষ্কার কে করেছেন।
যে বিষয়ের উপর পোস্ট দিয়েছেন, এই লেখা আমি বেশ ২/১ বছর হলো প্রতিদিনই লিখতে চাচ্ছিলাম কিন্তু ঐ ........ কোথা থেকে তীর আসবে আর অহেতুক ঝামেলায় জড়াতে ইচ্ছা করেনি। ৩ নম্বরে নিমো’র মন্তব্য যথাযথ।

আমি আরো ২টা বিষয় যোগ করি।
১। আমার আশেপাশে দেখা ৩টা মসজিদের কর্মকান্ড। মসজিদের মিনারে মাইক আছে তারপরও তার টেনে দূরের কোন বাসার ছাদে, ইলেকট্রিক পোলে মাইক স্থাপন করা হয়েছে। অথচ যেখানে মাইক টানা হয়েছে তার পাশেই অন্য মসজিদ আছে।

২। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের আগে যখন খুতবা হয় তার আগে থেকে হুজুর বক্তব্য দেয়া শুরু করেন এবং সেটা মসজিদের সীমানার বাইরে অর্থাৎ কমপক্ষে দশ বাড়ী দূর থেকে শোনা যায়। বক্তব্য শুরু হয় ধীরে এবং ক্রমশ বাড়তে বাড়তে ওয়াজ মাহফিলে যেমন চিল্লায়ে ওঠে তেমন শুরু হয়, শেষ হয় ইহুদি নাসারা দিয়ে। প্রশ্ন থেকে যায় মাইকটা আবিষ্কার করলো কে ?

তবে আমার মনে হয় এই সমস্যা কোনদিন মিটবে না কারণ এটা এমন একটা স্পর্শকাতর বিষয় যে কেউ সাহস করে কোন সিদ্ধান্ত নিবে না।

ক’দিন আগে দেখি এক পিঠাওয়ালা মসজিদের হুজুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগালি করছে, জিজ্ঞেস করায় বললো, ঐ তো একটা ভন্ড, যখন এখানে এসেছিল তখন ছিল সাইকেল এখন কার নিয়ে ঘোরে। বর্তমানে হুজুরের একটা মাদ্রাসা আছে, দামী জায়গা আছে গোটা দুই, বাড়ী আছে আলাদা। বাস্তবতা যেটা তা হলো আমাদের এখানে বেশিরভাগ মসজিদের হুজুরের একটা করে মাদ্রাসা আছে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সঠিক মন্তব্য করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

২০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৩৯

অহরহ বলেছেন: আজানের শব্দ দূষণ মারাত্মক স্বাস্থ ঝুকির উপকরণ। মাইকে আজান দেয়া অবিলম্বে বন্ধ করতেই হবে। দিনমান সারাদিন ভ্যা ভ্যা আজান দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানরা কী পেয়েছে? শুন্য। আলজাজিরা টিভিতে দেখলাম, ইসরাইলের কামানের গোলা নিমিষেই আজানের ভ্যাভ্যা শব্দ মাটিতে মিশি্যে দিচ্ছে। আমি বুঝি না, তখন ঐ আল্যা কোথায় লুকিয়ে থাকে?? অথর্ব...

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আজান বন্ধ করার দরকার নাই, নিয়ন্ত্রণ করা দরকার, যেনো মানুষের কষ্ট না হয়।

২১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুধু আজান না উচ্চস্বরে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ হোক।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অসভ্যের নগরীতে বসবাস!

২২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ রাীব নুর ।

২৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

শোভ বলেছেন: আযানের সুর সুমধুর , কিন্তু ৫০০ বর্গগজ এলাকায় , ৫টা মসজিদ থেকে যখন এক সাথে আযান শুরু হয় তা খুবই বিরক্তি কর । তাবলীগ জামাতের মত মাইকে আযান দেয়া বন্ধ করতে হবে ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ।

২৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ২০ নং কমেন্ট মুছে দিলে ভাল হয়। নাহলে অযথা পোস্টটা নাস্তিকতার তকমা খেয়ে যেতে পারে। ভন্ড হুজুররাতো এই তালেই থাকে।

এই পোস্ট আমরা যারা প্র্যকটিসিং মুসলিম , তাদের জন্য।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সিরিয়াসলি বললে ডিলিট করে দেবো সমস্যা নাই। কিন্তু আপনার মন্তব্যটি আসলে যথাযথ হয়েছে। ভন্ডরা অনেক কথাই বলবে সেগুলিতে কর্ণপাত না করাই ভালো। পোস্ট লেখার সময় আমি নিজেও এ ধরনের চিন্তা করেছি, তারপরও লিখে ফেললাম।

২৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৬

রিদওয়ান খান বলেছেন: দেখুন, প্রশ্নটা যখন শব্দদূষণ নিয়ে উঠেছে আমি মনে করি পুরোপুরি না হউক অন্তত কিছুটা হলেও মাইক, হর্ণ, কীর্তন, পূজা , বিভিন্ন কনসার্ট , রাজনৈতিক সেমিনার, নির্বাচনী প্রচারণা, বিয়ে বাড়ীর ডিজে পার্টি, টিকটকারদের পুল পার্টি, আতশবাজি, সাইকরাইন ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনার প্রয়োজন ছিলো। লেখাটা যেহেতু একটা নির্দিষ্ট গোষ্টীর সেন্টিমেন্টের সাথে জড়িত কাজেই উনারা এই লেখাকে এক পাক্ষিক বলবে, ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বলবে এবং এটার সমাধান চাইবেনা এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যখন সামগ্রিকভাবে বলবেন তখন পরিবর্তন লক্ষ করবেন। আমি এখানে যেগুলো উল্লেখ্য করেছি সবগুলোই শব্দদূষণের কারণ। এখন এগুলো নিয়ে না লিখে যদি একটা নিয়ে লিখেন তাহলে বিভিন্নরকম ট্যাগ দেওয়াটা নিতান্তই স্বাভাবিক কারণ এতগুলো শব্দদূষনের কারণ থাকার পরেও একটা নিয়ে লিখা মোটেই 'সমাধান চাওয়া' বলে মনে হয়না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভাই ২১ নং মন্তব্যে আমি একটি লিঙ্ক দিয়েছি। যেখানে ঐ পোষ্টের শিরোনাম দিয়েছিলাম অসভ্যের নগরীতে বসবাস!
সেখানে রাতের বেলায় শব্দ দূষণ নিয়ে বলেছিলাম। আপনি যদি সেই পোস্টটি এই পোস্ট না পড়ে ঐ সময় পড়তেন তাহলে আপনি কখনোই সেখানে মন্তব্য করতেন না যে, আপনি এখানে গান-বাজনা, আতশবাজির সমালোচনা করেছেন একটিবারও তো একযোগে আযানের মাধ্যমে যে শব্দ দূষণ হয় সেটার কথা বলেননি! কিন্তু এখানে শুধু মাত্র আজানের কথা বলাতে আপনি বাকিগুলিও উল্লেখ করতে বললেন।
তবে হ্যাঁ, এই পোস্টের জন্য আপনার কথাও যুক্তিযুক্ত। যেহেতু আমি আগেও অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে পোস্ট করেছি সেজন্য সে বিষয়গুলি এখানে আর অবতারণা করিনি। তবে দায়িত্ববান কেউ যদি এইগুলি নিয়ে কাজ করতে চায় তাকে অবশ্যই এটার সাথে সাথে বাকি বিষয়গুলি নিয়েও কথা বলতে হবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৯

নতুন বলেছেন: রিদওয়ান খান বলেছেন: দেখুন, প্রশ্নটা যখন শব্দদূষণ নিয়ে উঠেছে আমি মনে করি পুরোপুরি না হউক অন্তত কিছুটা হলেও মাইক, হর্ণ, কীর্তন, পূজা , বিভিন্ন কনসার্ট , রাজনৈতিক সেমিনার, নির্বাচনী প্রচারণা, বিয়ে বাড়ীর ডিজে পার্টি, টিকটকারদের পুল পার্টি, আতশবাজি, সাইকরাইন ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনার প্রয়োজন ছিলো।

রিদওয়ান খান। যারা মাইকে শব্দদূষণ নিয়ে কথা বলছে তারা অবশ্যই মাইক, হর্ণ, কীর্তন, পূজা , , রাজনৈতিক সেমিনার, নির্বাচনী প্রচারণা, বিয়ে বাড়ীর ডিজে পার্টি, টিকটকারদের পুল পার্টি অর্থ সব খানেই তারা শব্দদুষনের পক্ষে।

আতশবাজীর জন্য নিদৃস্ট স্থান ঠিক করে দিতে হবে। সবাই বাসাবাড়ীতে বাজী ফোটাতে পারবেনা।
বিয়ে বাড়ীতেও রাতে নিদৃস্ট সময়ের পরে গানবাজনা করা যাবেনা।

সর্বপরি সাধারন ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে।

২৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: @রিদওয়ান খান , লেখাটা যেহেতু একটা নির্দিষ্ট গোষ্টীর সেন্টিমেন্টের সাথে জড়িত বলতে আপনি কোণ গোষ্ঠিকে বোঝাচ্ছেন? আপনি অন্য যেসব উদাহরন টেনেছেন শব্দ দুষনের কারন হিসেবে সেগুলোও ঠিক আছে। তবে সেগুলোতো আর প্রতিদিন, প্রতিবেলায় পাড়ায় পাড়ায় হয় না। তাছাড়া সেগুলোর বিরুদ্ধে গিয়ে কমপ্লেন করেও আসা যায়। আজানের শ্রুতিমধুর ধনি নষ্ট করে বিকট আওয়াজের মাধ্যমে মানুষকে উত্যোক্ত করাটা বরং ইসলাম ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কনসার্ট ওয়াজ মাহফিলের উচ্চস্বরে আওয়াজ এগুলি নিয়ে ট্রিপল নাইনে কল করে অনেকেই সমাধান পেয়েছে, আমি নিজেও একবার পেয়েছিলাম। সো এসবের জন্য আসলেই কমপ্লেইন করার জায়গা আছে। আমি পোস্টে যে বিষয়ে উল্লেখ করেছি সেটার জন্য কোথায় কমপ্লেন করবো?

২৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১১

রিদওয়ান খান বলেছেন: @নতুন সামগ্রিক আলোচনা দরকার। যদি নির্দিষ্ট নীতি থাকে এগুলোর জন্য এবং নীতির প্রয়োগ থাকে তাহলে সম্ভব। আর না হয় সম্ভব না। সবরকমের সাউন্ড সিস্টেম ইন্ডোরের ভেতরে হওয়ার নীতি হউক এবং অন্যের ক্ষতি না হয় এমন হউক। আরবে যেখানে কারণ ব্যাতিত হর্ন বাজানো এবং গাড়িতে লাউডস্পিকার এমনভাবে বাজানো (যেটা অন্যের বিরক্তির কারণ হয়)
জরিমানা হয় সেসব দেশের সাথে আমাদের দেশের তুলনা করা হাস্যকর। সপ্তাহব্যপী কান ধাধানো বোম মাইকের নির্বাচনী প্রচারণা চলে যেখানে সেখানে কে নির্ধারণ করবে নীতি?

২৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৮

রিদওয়ান খান বলেছেন: @ঢাবিয়ান প্রথমত আমি মাইকের শব্দদূষনের পক্ষে না এটা আগে বুঝে নিন। তারপরের কথা হচ্ছে 'সেগুলোও যদি শব্দদূষনের কারণ হয়ে থাকে' তাহলে সেগুলো নিয়ে কথা বলেন না কেনো? কেনো শুধু একটা বিষয়কে টার্গেট করা হয় আমি সেটার বিপক্ষে। তৃতীয়ত যে অসুস্থ এবং নবজাতক শিশু সে কি একদিনের জন্য বা এক সপ্তাহের জন্য সেই দূষণগুলো সহ্য করবে আপনি বলতে চাচ্ছেন? মানে এই একদিনের জন্য বা এক সপ্তাহের জন্য যত পারো শব্দ দূষণ করো সমস্যা নাই?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঢাবিয়ান যেটা বোঝাতে চাচ্ছে, আমি যতটুকু বুঝেছি উনি বলছেন, আপনি যে শব্দ দূষণের আরো কারণগুলির কথা বলেছেন সেগুলি আসলে প্রতিদিন হয় না আর যদি হয়েও থাকে সেটা বন্ধের জন্য কিংবা প্রতিকারের জন্য কমপ্লেইন করার জায়গা আছে। পোস্টে উল্লেখিত যে বিষয়টি বা আপনি শুধু একটি বিষয়কে টার্গেটের কথা বলছেন সেটার জন্য কোথায় কমপ্লেন করা যাবে?

৩০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

পাক কোরান মজিদের কোথাও আজান এর কথা বলা হয়নি।
এটা পরে কয়েক জন সাহাবীর চিন্তা-ভাবনার ফসল।
সম্ভবত দ্বিতীয় খলিফা ওমর বিন খাত্তাব সাহেব এটা প্রস্তাব করেন।

সে যাই হোক, এই জমানায় লাউড স্পিকার চালিয়ে প্রচন্ড জোরে আজান না দিলেও চলে। আমি যেটা বলতে চাই সেটা হচ্ছেঃ এখন খালি গলায় আজান দিলেই ভালো হবে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সে যাই হোক, এই জমানায় লাউড স্পিকার চালিয়ে প্রচন্ড জোরে আজান না দিলেও চলে। আমি যেটা বলতে চাই সেটা হচ্ছেঃ এখন খালি গলায় আজান দিলেই ভালো হবে।
এটা করা যায়।

৩১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯

নতুন বলেছেন: রিদওয়ান খান বলেছেন: @নতুন সামগ্রিক আলোচনা দরকার। যদি নির্দিষ্ট নীতি থাকে এগুলোর জন্য এবং নীতির প্রয়োগ থাকে তাহলে সম্ভব। আর না হয় সম্ভব না। সবরকমের সাউন্ড সিস্টেম ইন্ডোরের ভেতরে হওয়ার নীতি হউক এবং অন্যের ক্ষতি না হয় এমন হউক। আরবে যেখানে কারণ ব্যাতিত হর্ন বাজানো এবং গাড়িতে লাউডস্পিকার এমনভাবে বাজানো (যেটা অন্যের বিরক্তির কারণ হয়)
জরিমানা হয় সেসব দেশের সাথে আমাদের দেশের তুলনা করা হাস্যকর। সপ্তাহব্যপী কান ধাধানো বোম মাইকের নির্বাচনী প্রচারণা চলে যেখানে সেখানে কে নির্ধারণ করবে নীতি?


রিদওয়ান ভাই।

রাস্তায় হর্ণ বাজানো, মাইকে রাজনিতিক প্রচারনা, রাতে বাড়ীর ছাদে লাউড স্পিকারে গান বাজানো এসব অসভ্যতা। সেইগুলির বিরুদ্ধে আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নাই।

এই ব্লগের আলোচনার বিষয় অতি উচ্চস্বরে আজানের জন্য মাইকের ব্যবহার।

আজানের জন্য মাইকের ব্যবহার ফরজ/সুন্নত বা ওয়াজিব কিছু না। এটা আধুনিক সংযোজন মাত্র। অতিসাহী মানুষেরা এটা যোগ করেছে মাত্র।

ভদ্র মানুষেরা অবশ্যই অন্যের সমস্যা করতে চাইবেনা। চাইবেনা বির্ধমী কেউ, বৃদ্ধ, অসুস্থ, শিশুদের আজানের অতি উচ্চ শব্দে কস্ট হউক।

যেহেতু মধ্যপ্রচ্যে আজান দেবার সুন্দর তরিকা চলমান যেটা মানুষকে কস্ট দেয় না। সেটা গ্রহন করলে গুনাহ হবার কোন সম্ভবনা নাই।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এক্সেকটলি নতুন ভাই। সঠিক বলেছেন।

৩২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৩

নতুন বলেছেন: নিচের এলাকাতে ২০টার মতন হাসপাতাল আছে এবং ২০ টার মতন মসজিদ আছে।

এই সব হাসতাপাতালে যারা রোগী তাদের তো ফরজের সময়ে মাইক দিয়ে আজান শুনিয়ে সোয়াব কামানোর জন্য সাহাজ্য করার দরকার নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.