নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণতন্ত্রের অপমান ও টাকার পাল্লা: আমরা কি সত্যিই ভোট বিক্রি করি?

১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:৪৯


সম্প্রতি লন্ডনে এক সাক্ষাৎকারে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস মন্তব্য করেছেন, “এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র বোঝে না, টাকা নিয়ে ভোট বিক্রি করে দেয়।”
এই বক্তব্য আমাদের রাজনৈতিক বাস্তবতা, জনগণের অবস্থান এবং গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধকে চরমভাবে অপমান করে। প্রশ্ন উঠে এই ‘গণতন্ত্র বোঝে না’ কথাটার পেছনে কে আসলে গণতন্ত্রকে ছোট করে দেখার মানসিকতা পোষণ করছে?

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাষ্ট্রক্ষমতার উৎস জনগণ। তাদের মতামত, তাদের ভোটই নির্ধারণ করে শাসকের ভবিষ্যৎ। জনগণের এই চেতনাকে তাচ্ছিল্য করা, তাদের সিদ্ধান্তকে টাকার পাল্লায় ওজন করা, নিঃসন্দেহে একটি স্বৈরাচারী মানসিকতার প্রকাশ। এমন বক্তব্য শুধু গণতন্ত্র নয়, দেশের সাধারণ নাগরিকদেরও হেয় করে।

ড. ইউনুস কিংবা শেখ হাসিনা ক্ষমতার দুই মেরু, কিন্তু মনোভাব তো দেখছি একই! ড. ইউনুস যখন জনগণকে ভোট বিক্রেতা বলেন, তখন সেটাও এক ধরনের গণতন্ত্রকে পেছন থেকে ছুরি মারা। আর শেখ হাসিনা যখন ভোটারবিহীন নির্বাচন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকেন, সেটাও গণতন্ত্রকে সামনে থেকে আঘাত করা।
একজনের 'পাওয়ার প্র্যাকটিস' ‘সুশীল ভদ্রতা’য় মোড়ানো, অন্যজনের ‘ক্ষমতা চর্চা’ রাষ্ট্রযন্ত্র নির্ভর। কিন্তু উভয়ের মূল দর্শনে গণতন্ত্রের প্রতি অশ্রদ্ধা এক ও অভিন্ন।

টাকা দিয়ে ভোট কেনা—বাস্তবতা কতখানি?
চলুন একটু বাস্তবতা দেখি...
টাকা দিয়ে ভোট কেনার ঘটনা আমরা শুনি, হ্যাঁ, তবে সেটা ছোট পরিসরে, ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনের সময় সীমাবদ্ধ। সে ক্ষেত্রেও এটি অনেকটা 'প্রভাব বিস্তারের অংশ' হিসেবে ঘটে—ভোটের সময় গলির মোড়ে চা খাওয়ানো, বিস্কিট, সিঙ্গারা চমুচা বিলি করা, হয়ত কোথাও কোথাও নগদ টাকা দিতেও শোনা যায়। কিন্তু এই জিনিসটি কখনোই জাতীয় নির্বাচনের মত বিশাল কাঠামোয় কার্যকরভাবে ফলদায়ী হয় না।
তাই মাত্র ৫০০, ১০০০ টাকার বিনিময়ে তারা তাদের ভোট বিকিয়ে দেয়, এমন ভাবা একটি বড় মূর্খতা।

ড. ইউনুস সাহেব, আপনি হয়ত বড় বড় প্রজেক্টে টাকার খেলা দেখেছেন, মানুষকে কিস্তির টাকার অংকে মেপেছেন। কিন্তু আপনার বয়স ও অভিজ্ঞতা আপনাকে বাংলাদেশি ভোটারের আত্মমর্যাদার কদর শিখায়নি।

গণতন্ত্রে আস্থা ফিরুক, অবজ্ঞা নয়
গণতন্ত্র চলবে ভুলে ভুলে, শেখার মধ্যে দিয়ে। জনগণকে সচেতন করে, অংশগ্রহণ বাড়িয়ে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াকে অর্থ দিয়ে মূল্যায়ন করা, কিংবা ভোটারদের বিবেক নিয়ে তামাশা করা জনগণকে কাঠগড়ায় তোলার নামান্তর। আর এটাই গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
আর এই হুমকি আপনি প্রতিনিয়তই বাড়িয়ে চলছেন!

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:০৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে কখনোই পূর্ণ গণতন্ত্র ছিল না। ১৯৯০ থেকে সীমিত গণতন্ত্র শুরু হয়, আর শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে তা কর্তৃত্ববাদে রূপ দিতে হয়। আগেও চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু সফল হয়েছেন একমাত্র তিনিই।

“কম গণতন্ত্রে বেশি উন্নয়ন”– উক্তিটি আসলে ‘বাকশাল ২.০’ দর্শন, যা তাঁর পিতার প্রজেক্টের আধুনিক রূপ। প্রফেসর ইউনুস সম্প্রতি সেই ধারনা মিডিয়ায় বলার চেষ্টা করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক পক্ষ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চাইছে, তাই এসব বক্তব্য।

প্রফেসর ইউনুস “(Nietzsche)"–র 'অতিমানব” ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে একটি অভিজাততান্ত্রিক ও গণতন্ত্র-বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। ফলে তিনিও সরাসরি না বললেও সেই কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার বুদ্ধিবৃত্তিক পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্ত হয়ে পড়েছেন।

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ হাসিনার তো রাজনীতিই করার কথা না, দেশ পরিচালনা তো অনেক পরের ব্যাপার ছিল। আমাদের সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে সে সুযোগ করে দিয়েছে।
ডক্টর ইউনূসের রাজনীতি করার অভিলাষ অনেক আগ থেকেই ছিল, তবে দিনশেষে উনি একজন ব্যর্থ রাজনীতিবিদ হিসেবেই ইতিহাসে স্থান পাবেন।

২| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:০৬

ফেনিক্স বলেছেন:



ইউনুস বিশ্বের সেআষরা শঠ; সে ক্লিনটনদের হাত করে, আলসাইমার রোগী বাইডেনকে ক্যু করতে উৎসাহিত করেছিলো; এখন ডামী পালানোর ব্যবস্হা করছে।

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনাকে এবং উনার সংগোপাঙ্গদের সেইফ এক্সিট দেওয়া হবে। উনি যা যা করতে চেয়েছিলেন সেগুলির বেশিরভাগই উনার পক্ষে করা সম্ভব হবে না।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: @কুতুব,পূর্ণ গনতন্ত্র বলতে কি বুঝায়?

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই পরিপূর্ণ গণতন্ত্রের চর্চা হয় না এবং হওয়া সম্ভাবও না। তারা নিজেদের মতো করে একটি গণতন্ত্র চর্চা করে যা গণতন্ত্র ও রাজতন্ত্রের মিশ্রণ।

৪| ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কামাল১৮@পূর্ণ গণতন্ত্র মানে কেবলমাত্র ভোটাধিকার নয়, বরং ব্যক্তিস্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও সমান অধিকার—সবকিছুর সম্মিলিত চর্চা।

৫| ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৪

আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: জনগণ বার বার ভুলে যায় যে, যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ।

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ১৮ কোটি জনগণের মধ্যে ১৭ কোটির রাবণ, জনগণের কিবা করার আছে!

৬| ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:৩১

ফেনিক্স বলেছেন:




ট্রাম্প ব্যস্ত; বাংলাদেশ কোথায় ও সেখানে বাইডেনের কুটনীটিবিদরা কি কারখানা খুলেছে জানে না; সে যখন জানবে, ইউনুস পালাবে নরওয়েতে।

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ক্যালিপর্নিয়া নিয়ে তো ট্রাম্প বেশি ঝামেলায় আছে, অন্যান্য রাজ্যগুলোতে যদি এটি ছড়িয়ে পড়ে সে আর ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে পারবে না।

৭| ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ২:৩৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইউনুস সাহেবের মন বেজার কেন? কি হয়েছে উনার?

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনি যা যা স্বপ্ন ও আশা নিয়ে এসেছিলেন সবগুলোই দুঃস্বপ্ন হয়ে উনার কাছে ধরা দিচ্ছে!

৮| ১৪ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:৫৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: ড. ইউনূস যা বলেছেন, তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি বাস্তবতা। উক্তিটি বাস্তব হলেও তাঁর মুখে তা রাজনৈতিকভাবে সমীচীন হয়নি।

তবে আপনি মাত্র দুদিন আগেই ফ্যাসিস্ট শাসনের সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে আরও তীব্র ও নোংরা কথা বলতেন। তাই এ ধরনের লেখা আপনাদের মুখে শোভা পায় না এবং দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশে কোনো ভূমিকাও রাখে না।

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি কি কখনো ভোট বিক্রি করেছেন কিংবা করবেন? যদি না করে থাকেন তাহলে ডক্টর ইউনুস এভাবে কেন বললো জেনারেলাইজ করে?
আমি আগেও বলেছি বাংলাদেশের মানুষ তাদের জন্য সঠিক নেতা নির্বাচন করতে পারে না তারা ভুল মানুষকে ভোট দেয়। ভুল মানুষকে ভোট দেওয়া আর টাকা দিয়ে ভোট দেওয়া এক জিনিস নয়। এবং এও বলেছি সঠিকভাবে নেতা নির্বাচন ও ভোট দেওয়ার জন্য বাঙ্গালীদের কে সুশিক্ষিত করতে হবে।
তারপরেও আমার কথা আর ডঃ ইউনুস এর কথা এক নয়। আমি কথাটি বলেছি ফেসবুকে সামু ব্লগে, আর উনি বলেছেন লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে বসে দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে!
টাকা দিয়ে ভোট কিনে মেম্বার কিংবা সর্বোচ্চ চেয়ারম্যান হওয়া সম্ভব সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।

৯| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৩৭

কামাল১৮ বলেছেন: ব্যক্তিস্বাধীনতাই বা কি।

১০| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: এই টাউটের কথায় কান দিয়েন না।

১১| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ইউনুসের পালানোর সময় ঘনিয়ে এসেছে।

১৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ, উনি যেটুকু সময় ছিলেন পুরো সময় জুড়েই উনি ব্যর্থ ছিলেন।

১২| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি তো গ্রামে থেকেছি। আমি তো দেখি।

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার মত আমিও দেখি কিন্তু সেটা খুবই সীমিত পরিসরে। ডঃ ইউনুস লন্ডনে বসে দেশের সব মানুষকেই এই আওতায় ফেলে দিয়েছে।

১৩| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১২

বাকপ্রবাস বলেছেন: নিম্নবিত্তের ভোট টাকা ও পাওয়ার এর কাছে বিক্রি হয়, এটাতো সাধারণ সত্য ঘটনা। যে এলাকায় যে দলের পাওয়ার থাকে তাকেই ভোট দিতে হবে, না দিলে সমস্যা হবে। অনেকে টাকা পেলে ভোট বিক্রি করে দেয়। অনেক প্রার্থী দাঁড়ায় টাকা খেয়ে, অনেকে দাঁড়ায় টাকা খাওয়ার জন্য, সেসব প্রার্থীল অল্প সংখ্যক ভোট থাকে সেগুলো কেনা বেচা হয়।

১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: টাকা দিয়ে ভোট কিনে মেম্বার কিংবা সর্বোচ্চ চেয়ারম্যান হতে পারবে। টাকা দিয়ে ভোট কিনে এমপি হতে পারবে না।

১৪| ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৭

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: চোর ডাকাত, খুনীরা যে দেশে এম্পি হিসাবে নির্বাচিত হয় সেই দেশে ভোট নাকি বিক্রি হয় না, জনগন ভালবেসে চোর, ডাকাত্ , খুনীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে!!! আর কত মশকরা করবেন আপনারা?

১৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি কি ভোট বিক্রি করেছেন কখনো, কিংবা ভোট বিক্রি করবেন?
হ্যাঁ, জনগণ চোর ডাকাতকে ভোট দেয়। কারণ তিনজন প্রার্থী হলে তিনজনেই চোর ডাকাত, অপশন থাকে না। কিন্তু ভোট বিক্রি করে দেওয়ার যে কথা সেটা খুবই সীমিত পরিসরে হয়। ডক্টর ইউনুস জেনারালাইজ করে এ দেশের সকল মানুষকে ভোট বিক্রেতা বলে অভিহিত করেছেন!

১৫| ১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.