নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ও গদ্যকার সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৩


বাংলা কাব্যজগতে ৪০ দশকের অন্যতম প্রধান কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। ৩০ দশকের কবিদের অনুভূত ব্যক্তিচেতনাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সমষ্টিচেতনায় জাগ্রত এ কবির কবিতা হয়ে ওঠে গণমানুষের কবিতা। ফলে ৪০ দশকের কবি হয়েও তিনি সর্বকালের গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায় তার কাব্যজীবন শুরু করেন ১৯৪০ সালে। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘পদাতিক' প্রকাশিত হয়। ৪০ দশকের আরেক শক্তিশালী কবি সমর সেন। সমর সেনের কবিতায় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অসহায়ত্বের চিহ্ন ছিল। ফুটে উঠেছিল অর্থনৈতিক হতাশার ছবি। এই ব্যর্থতাকে শক্তিতে পরিণত করে কাব্য রচনা করলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিটি কবিতায় প্রতিবাদের ভাষা, মুক্তির গান। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর দোলাচলবৃত্তির গোলকধাঁধা থেকে উত্তরণের আশায় উজ্জীবিত। কবিতা তার প্রধান সাহিত্যক্ষেত্র হলেও ছড়া, রিপোর্টাজ, ভ্রমণসাহিত্য, অর্থনীতিমূলক রচনা, বিদেশি গ্রন্থের অনুবাদ, কবিতা সম্পর্কিত আলোচনা, উপন্যাস, জীবনী, শিশু ও কিশোর সাহিত্য সকল প্রকার রচনাতেই তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সম্পাদনা করেছেন একাধিক গ্রন্থ এবং বহু দেশি-বিদেশি কবিতা বাংলায় অনুবাদও করেছেন। “প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য় এসে গেছে ধ্বংসের বার্তা” বা “ফুল ফুটুক না ফুটুক/আজ বসন্ত” প্রভৃতি তার অমর পঙক্তি বাংলায় আজ প্রবাদতুল্য। পরিণত বয়সে গায়ে খদ্দরের পাঞ্জাবি, পরনে সাদা পায়জামা, মাথাভর্তি ঘন কোঁকড়ানো চুল, বুদ্ধিদীপ্ত ঝকঝকে চোখ, চোখে চশমা, বামে চশমার নিচে বড় একটা আঁচিল - কলকাতার প্রতিবেশে এরকম একটি প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতায় যেমন আছে সাধারণ মানুষের কথা। তাদের বঞ্চনার কথা, আছে দাবি আদায়ের কথা। পাশাপাশি আছে প্রেমের কথাও। আজ এই কবির ১০১তম জন্মবার্ষিকী। ১৯১৯ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবি ও গদ্যকার সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১৯১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্ষিতিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং মা জানকী বালা দেবী। তাদের পৈত্রিক নিবাস ছিল কুষ্টিয়া জেলার দর্শনার লোকনাথপুরে। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের শৈশব কেটেছে রাজশাহী জেলার নওগাঁয়। পিতা ছিলেন সরকারি আবগারী বিভাগের কর্মচারি, তার বদলির চাকরির সুবাদে সুভাষের ছেলেবেলা কাটে পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। প্রথমে নওগাঁর স্কুলে এবং পরে কলকাতার মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন ও সত্যভামা ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করেন। ভবানী পুরের মিত্র স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে সক্রিয় রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৪১ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে অনার্স-সহ বিএ পাস করেন। পরে আশুতোষ কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নে প্রয়াসী হন। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার ফলে পঠনপাঠন বেশিদূর অগ্রসর হয়নি। ১৯৩৯ সালে লেবার পার্টির সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। পরে ছাত্রনেতা বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়ের অনুরোধে লেবার পার্টি ত্যাগ করে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৪০ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ পদাতিক। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ফুল ফুটুক (১৯৫৭), যত দূরেই যাই (১৯৬২), কাল মধুমাস (১৯৬৬), এই ভাই (১৯৭১), ছেলে গেছে বনে (১৯৭২) ও ধর্মের কল (১৯৯১) প্রধান। গদ্যগ্রন্থ : ক্ষমা নেই (১৯৭২), খোলা হাতে খোলা মনে (১৯৮৭) প্রভৃতি। আত্মজীবনী : আমাদের সবার আপন ঢোলগোবিন্দের আত্মদর্শন (১৯৮৭), ঢোলগোবিন্দের মনে ছিল এই (১৯৯৪)। উপন্যাস : হাংরাস (১৯৭২), কে কোথায়? যায় (১৯৭৬), কাঁচা-পাকা (১৯৮৯)। উল্লেখ্য, কমরেড, কথা কও (১৯৯০) গ্রন্থ প্রকাশের আগে (১৯৮১) কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ থেকে তিনি অব্যাহতি নেন। ৪২ সালে লাভ করেন পার্টির সদস্যপদ। এ সময় তিনি সদ্যগঠিত ক্যাসী বিরোধী লেখক-শিল্পী সংঘের সাংগঠনিক কমিটিতে কবি বিষ্ণুদের সঙ্গে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। তারপর মাসিক পনের টাকা ভাড়ায় সর্বক্ষণের কর্মীরূপে যোগ দেন পার্টির জনযুদ্ধ পত্রিকায়। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে বহু কমিউনিস্ট বন্দীর সঙ্গে তিনিও দুবার কারাবরণ করেন। এ সময় তিনি দমদম জেলের অনশন ধর্মঘটে সামিল হন। মুক্তি পান ১৯৫০ সালের নভেম্বর মাসে।
মুক্তির পর তিনি প্রচন্ড অর্থকষ্টে পড়েন। তখন একটি নতুন প্রকাশন সংস্থায় মাত্র ৭৫ টাকা বেতনে সাব এডিটর নিযুক্ত হন তিনি। ১৯৫১ সালে সেই চাকুরী ত্যাগ করে পরিচয় পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই বছরই পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন সুলেখিকা গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ১৯৫২ সালে সস্ত্রীক কবি বজবজ এলাকার শ্রমিক বস্তির মাটির ঘরে গিয়ে ওঠেন। আত্মনিয়োগ করেন চটকল মজুর সংগঠনের কাজে। পরে কলকাতা বন্দর অঞ্চলে ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনেরও কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি ভাগ হলে তিনি থেকে যান পুরনো পার্টিতেই। ১৯৬৭ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙ্গে দেওয়া হলে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে তিনি দ্বিতীয়বার কারাবরণ করেন। এই দফায় তিনি ১৩ দিন কারারুদ্ধ ছিলেন। মাঝে কিছুকাল সত্যজিৎ রায়ের সেঙ্গ তিনি একযোগে সন্দেশ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এ সময়েই তিনি একে একে লিখে গেছেন অগ্নিকোণ, চিরকুট, কাল মধুমাস, ফুল ফুটুক, যত দূরে যাই, ছেলে গেছে বলে, জল সইতে, একটু পা চালিয়ে ভাই প্রভৃতি যুগান্তকারী কাব্যগ্রন্থ। হাৎরাস, অন্তরীপ, হ্যানসেনের অসুখ প্রভৃতি গদ্য রচনা, চিঠি জুড়ে জুড়ে লেখা চিঠির দর্পণের মত প্রথাভাঙা উপন্যাস। অনুবাদ করেন নাজিম হিকমত, পাবলো নেরুদা, হাফিজের কবিতা। শেষ জীবনে তার রাজনৈতিক চিন্তা ধারায় পরিবর্তন আসে। কমিউনিস্ট আন্দোলন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে তিনি বিতর্কিত হয়ে ওঠেন। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত এই বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি।

বাংলা সাহিত্য সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের হিমালয়-প্রতিম অবদান অনস্বীকার্য। তিনি জনমানুষের সাথে মিশে তাদের কষ্টকে তার কবিতায় তুলে ধরেছেন। তাঁর কবিতায় কল্পবিলাসী কবির অস্তিত্বকে পেছনে ফেলে শ্রমিক শ্রেণীর সাথে একাত্মতার ছবি। কবি এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে ত্রিশঙ্কু বলেছেন। পুরাণে ত্রিশঙ্কু সম্পর্কে বহু উপকাহিনী আছে। তবে সব কাহিনীর মূল বিষয় একই। ত্রিশঙ্কু ছিলেন সাধারণ মানুষ। মধ্যবিত্তের এই অবস্থান কবিকে পীড়িত করে। সব কবিই প্রথমে প্রেমের কবিতা দিয়ে কাব্যজীবন শুরু করে কিন্তু ২১ বছর বয়সের এ তরুণ কবি তাঁর প্রথম গ্রন্থে প্রেমচেতনাকে স্থান দিতে পারলেন না। বিষয়টি অস্বাভাবিক ও কষ্টের। একজন তরুণ কবিকে বেছে নিতে হলো সংগ্রামীচেতনামূলক কবিতা। কবির চারপাশের জীবনধারাই তার মূল কারণ। প্রমাণ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রথম চরণগুলি- ‘প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্য কাঠফাঁটা রোদে সেঁকে চামড়া' অর্থাৎ আমরা দেখছি সেই ত্রিশঙ্কু মানুষের কথা তাঁর কাব্যে। তিনি সেই মানুষদের দুঃখ তুলে ধরার পাশাপাশি বুর্জোয়াশ্রেণীকে ব্যঙ্গ করেন। ব্যঙ্গ করেন প্রযুক্তির নামে ধ্বংসের খেলাকে। শাসক শ্রেণী প্রযুক্তির ব্যবহারে অন্নের ব্যবস্থা করতে না পারলেও অসহায়দের জন্য বোমা ঠিকই বানাতে পারে। এ খেলা চোখের সামনে দেখে তিনি চুপ থাকতে পারেন না। তাঁর কবিতায় মাত্রাবৃত্তের ব্যবহার বেশি। এ ছন্দ মধ্যমলয়, সঙ্গীতে বেশি ব্যবহৃত হয়। এখানে আবেগ বেশি, সেইসাথে সাংকেতিক ব্যঞ্জনা। সুভাষ তা-ই চেয়েছিলেন। তিনি বিশৃক্মখল সমাজকে তুলে ধরার পাশাপাশি উত্তরণের আশা ব্যক্ত করতে চেয়েছেন। নিজেদের সাহস ও শক্তিকে শাণিত করতে চেয়েছেন, তাই তার স্বরভঙ্গি দৃঢ়। তিনি গণজমায়েত চান তাই তাঁর কণ্ঠ তীব্র। তাঁর কাব্যে উপমা রূপকের ব্যবহার কম, তিনি সরাসরি বলতে চান। একই সাথে তিনি রাজনীতি ও কবিতা দুধারার সমন্বয় করে এগিয়ে চললেন। কিন্তু সুভাষ মুখোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত কোন দিকই ছাড়েননি। তিনি একসাথে কবি ও কর্মী দুই ছিলেন। সুভাষের কবিতা স্মরণীয় করে রাখবে তাঁকে; কারণ তিনি তৈরি করেছিলেন কবিতার আলাদা জগত। যা তার সমকালীন অন্যান্য কবিদের থেকে আলাদা করে দিয়েছিলো। চল্লিশের একক কবি বলতে এখন অবধি সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে নির্ধারণ করেছেন সমালোচকরা।

সুভাষ মুখোপাধ্যায় কেবল কবি নন, গদ্য লেখক হিসেবেও ছিলেন শক্তিমান। আমার বাংলা (১৯৫১), অক্ষরে অক্ষরে (১৯৫৪), কথার কথা (১৯৫৫) প্রভৃতি গদ্য রচনায় পাওয়া যায় তার মনস্বিতার পরিচয়। তার জীবনের প্রতিটি পর্বে লক্ষ করা যায় মানবীয় বোধের উদ্বোধন। কবিতাকে তিনি শ্রমশীল, উৎপাদনক্ষম মানুষের উজ্জীবনের মন্ত্র হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে তিনি সাহিত্যিক রূপদানে আগ্রহী ছিলেন। তাঁর কবিতার বিরাট অংশ জুড়ে রাজনীতির প্রসঙ্গ থাকলেও; তিনি কবিতা চর্চা শুরু করেন রবীন্দ্রনাথকে অনুকরণ করে। যদিও কম্যুনিস্টপার্টি থেকে রবীন্দ্রনাথ পাঠ ছিল নিষিদ্ধ। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অনুসরণ করে কবিতা চর্চা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই সচেতন ভাবে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন নিজস্ব কাব্যভাষা। তিনি কবিতায় দুর্বোদ্বতা সর্বদা পরিহার করার চেষ্টা করেন। কেননা তার লক্ষ্য ছিল জনসাধারণের চেতনাকে জাগ্রত ও শাণিত করা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বঞ্চনা ও অসম্মান অনেক জুটলেও সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ বেশ ক'টি পুরস্কার অর্জন করেন। তার মধ্যে অন্যতম- সাহিত্য আকাডেমী পুরস্কার ১৯৬৪, আফ্রোএশীয় লোটাস পুরস্কার ১৯৭৭, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার ১৯৭২, আনন্দ পুরস্কার ১৯৯১। এ ছাড়াও এছাড়াও প্রগ্রেসিভ রাইটার্স ইউনিয়নের ডেপুটি সেক্রেটারি ও ১৯৮৩ সালে অ্যাফ্রো-এশীয় লেখক সংঘের সাধারণ সংগঠক নির্বাচিত হন কবি। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি ছিলেন সাহিত্য অকাদেমীর একজিকিউটিভ বোর্ডের সদস্য। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি গণমানুষের মুক্তি-চেতনায় উদ্দীপ্ত হওয়া। তাঁর কবিতাগুলি তৎকালে তো আন্দোলন তুলেছিলই, তখনও তার আবেদন কম নয়। তাই সাহিত্যপ্রেমী সব পাঠককেই সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা পাঠ করা উচিত দেশের জন্য, নিজের জন্য, আত্মমুক্তির জন্য। হৃৎপিন্ডের অসুস্থতার কারণে দীর্ঘকাল রোগ ভোগের পর ২০০৩ সালে ৮ই জুলাই কলকাতায় তার প্রয়ান ঘটে। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও তিন পালিতা কন্যা রেখে যান। ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর কলকাতা মেট্রো নিউ গড়িয়া স্টেশনটি কবির নামে উৎসর্গ করে, এই স্টেশনটি বর্তমানে মহান কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন নামে পরিচিত। আজ এই কবির ১০১তম জন্মবার্ষিকী। বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবি ও গদ্যকার সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল
ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুভাষ মুখোপাধ্যায় কে শ্রদ্ধা জানাই।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.