![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন
পৃথিবীর সবথেকে পরিচিত ও সমাদৃত ফুলগুলোর অন্যতম গোলাপ। এটা যেমন গোলাপের রুপের কারণে তেমনি এর সুগন্ধ ও গুণের কারণেও। অনেক প্রাচীন যুগ থেকেই পৃথিবীতে গোলাপের অস্তিত্ব ছিল। গোলাপের এমন একটি জীবাশ্মের সন্ধান মিলেছে যেটি ৩৫ মিলিয়ন বছর পূর্বের বলে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন। ভারতীয় উপমহাদেশে মোগলদের হাত ধরে আসা বড় আকারের লাল বসরাই থেকে শুরু করে গোলাপি বা সাদা রঙের গোলাপই বেশি চোখে পড়ে। পুরো পৃথিবীতে এ পর্যন্ত একশরও বেশি শ্রেণীর গোলাপ এবং এর হাজারো প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আবার বর্ণ , গঠন ও আকারের ভিন্নতা রয়েছে। ভিন্নতা রয়েছে এর সৌন্দর্য ও মহোনীয়তায়। আমরা অনেকেই কালো গোলাপ এর কথা শুনেছি, আবার কেউ কেউ দেখেছিও। তবে আমাদের এই দেখা ও শোনায় রয়েছে ভ্রান্তি বা ভুল। কারণ মজার ব্যাপার হলো গোলাপ কখনও কালো হয় না। এটা আমাদের এক ধরনের ভ্রা্ন্তি বিলাস!! কালো গোলাপ বলে যে গোলাপের কথা আমরা শুনি সেটি তুরস্কের অত্যন্ত বিরল প্রজাতির ”হাফেটি রোজ” (Halfeti Rose), যেটা খালি চোখে দেখতে কুচকুচে কালো মনে হলেও আসলে কালচে গাঢ় লাল রঙের। এই গোলাপের ৩ টি জাত বাস্তবে আছে যথাঃ
১। Black Baccara, ২। Black Zed, ৩। Black Prince যা দেখতে খয়েরী অথবা কালচে খয়েরী।
ব্লাক রোজ বা কালো গোলাপ কিংবদন্তি হয়ে আছে প্রায় শত বছর ধরে। আজও সে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে। একটা সময় কালো গোলাপ নিয়ে মাতামাতির অন্ত ছিল না। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ফ্লাওয়ার্স ল্যাঙ্গুয়েজ সৃষ্টি হয়। এ সময় কালো গোলাপ মৃত্যু, ঘৃণা, বিদায় এবং ভয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, জীবনের লম্বা সময় অতিবাহিত করাকেও কালো গোলাপ দিয়ে বোঝানো হতো। তবে কালো গোলাপ যে শুধু খারাপ অর্থেই ব্যবহার হতো, তা নয়। খুব প্রিয় বন্ধুকে বা যুদ্ধে গমনরত সৈনিককেও কালো গোলাপ দেওয়া হতো আগের দিনে। যুগে যুগে কালো গোলাপ ধ্বংস-রহস্যময়তা ও মোহিনীশক্তির প্রতীক হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ননাৎসী সৈন্যরা কালো গোলাপকে কল্যাণের প্রতীক হিসেবে গণ্য করত। এছাড়া কালো গোলাপ নিয়ে রচিত হয়েছে রোমান্স ও রহস্যময় গল্প। তৈরি হয়েছে ইন দ্য ফরেস্ট অব দ্য নাইট, ডেমন ইন মাই ভিউ, কার্টারেড মিরর, মিডনাইট প্রিবেটরের মতো সায়েন্স ফিকশন। আমাদের দেশেও তৈরি হয়েছে 'কালো গোলাপ' নামে একটি বাংলা সিনেমা। ভিক্টোরিয়ান যুগে কালো গোলাপের প্রচলন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ফ্যাশন সচেতনদের তালিকায় ঠাঁই নেয় কালো গোলাপ। বিশ শতকে শৈল্পিক নিদর্শনের দৃষ্টান্ত হিসেবেও কালো গোলাপ বিশেষ মূল্য পায়। অনেকের মতে কালো গোলাপের অভাবনীয় ও অনৈসর্গিক রং শক্তিসম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু সত্য হলো, যে কালো গোলাপ নিয়ে এত মাতামাতি, প্রকৃতপক্ষে প্রকৃতিতে তার কোনো অস্তিত্বই নেই। অনেকটা 'মোল্লার গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নেই' অবস্থা। তাই কালো গোলাপকে রূপকথার গোলাপ বলাই বোধ হয় ভালো। বাস্তবে কালো গোলাপ নামে কোনো ফুলই নেই। যুগ যুগ ধরে মানুষ যেটাকে কালো গোলাপ বলে জানে, সেটা আসলে গাঢ় লাল রংয়ের গোলাপ।
দীর্ঘদিন ধরে কালো গোলাপের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্ক চলছে। অনেক দেশের উদ্ভিদবিজ্ঞানীরাই কালো গোলাপ উৎপাদনের জন্য গবেষণা করেছেন; সফল হতে পারেননি। একমাত্র ব্যতিক্রম তুরস্কের হালফেতি গোলাপ। প্রাকৃতিকভাবেই ওই প্রজাতির রঙ এতটাই গাঢ়, এখন একেই সবাই কালো গোলাপ বলতে শুরু করেছেন। সাধারণত বসন্তে জেলার পুরনো আলফেতি গ্রামে 'কালো' গোলাপ ফুটতে শুরু করে। প্রথমদিকে এর রঙ থাকে গাঢ় লাল। কিন্তু গ্রীষ্ম যত এগিয়ে আসে এর রঙ ততই কালো হতে শুরু করে। একপর্যায়ে এটি গাঢ় কালো রঙ ধারণ করে। কালো গোলাপ আসলে কল্পনাতেই সম্ভব। পৃথিবীর অ্নেক গোলাপ এক্সপার্ট অনেক বছর ধরেই এ নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন, এখনো করছেন কিন্তু কালো গোলাপ ফোটাতে কেউই সফল হতে পারেন নি। গবেষণা ও প্রচেষ্টায় তারা কুচকুচে কালো গেপলাপ উদ্ভাবন না করতে পারলেও কালচে খয়েরী (Dark red) গোলাপ উদ্ভাবন করেছেন আর এগুলোকেই কালো গোলাপ (Black rose) হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। আসলে কালো রঙের গোলাপ আমাদের কল্পনাতেই সম্ভব। তবে কিছু প্রতারক কালো গোলাপ নিয়ে গোলাপ প্রেমীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন দীর্ঘ দিন যাবত।
(স্প্রে করে কালো রঙ করা গোলাপ)
বর্তমানে ফ্লাওয়ার ডাই ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে কালো গোলাপ। নিজে তৈরি করতে না চাইলে কিনে নিতে পারেন কালো গোলাপ। ঢাকার শাহবাগ এর ফুলের দোকানে খোঁজ করলেই কালো গোলাপের সন্ধান মিলবে! যে কেউ শাহবাগের ফুলের দোকানে গিয়ে কালো গোলাপ নিজ চোখে দেখে আসতে পারেন। যদি নাও পান, ২ মিনিট সময় দিলেই কালো গোলাপ আপনার সামনে হাজির হবে। একটি সাদা গোলাপের উপর কালো রঙ স্প্রে করে কালো গোলাপ বিক্রি হয় বেশী দামে। আমরা বাঙ্গালীরা সব পারি! তাই যবনিকাপাত হোক ভ্রান্তি বিলাসের।
পুনঃপ্রকাশঃ© নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১
ফেসবুক-২
nuru.etv.news@gmail.com
২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তৈরী করার মহান ব্রতে নেমে পড়তে পারেন!
পেটও বাচবে আবার বিলাসিতাও হবে!
২| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রোডাক্ট অব বরিশাল?
২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যারা ফুলের কদর জানে তারই
এমন ক্রিয়েশন তৈরী করে !
আপনারা কি ফুল খোঁজেন না ভুল !!
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কালার স্প্রে করা কালো গোলাপ তাহলে তো ভেজাল হলো।
২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সেই ভ্রান্তি দূর করতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস কবি ভাই।
আমরা বাঙ্গালীরা সব পারি! তাই যবনিকাপাত হোক
ভ্রান্তি বিলাসের।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: রিপোস্টের বিশেষ কোনো কারণ আছে?
২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আগের মতো পরিশ্রম করতে মন চায়না !!
তা ছাড়া অনেকেই হয়তো প্রথম প্রকাশ কালে
অনুপস্থিত ছিলো যারা এখন লেখাটি পড়ছেন!!
আপনি কি আগের বারে সাথে ছিলেন ?
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১০
কামাল১৮ বলেছেন: পাউরুটি অর্থ খাবারের জন্য সংগ্রাম,তার পর গোলাপ ,যে অর্থই করেন,প্রেম ভালবাসা বা অন্যান্য কাজ।এই দুটির জন্যই জীবন।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সেইজন্যইতো আমি আপনাকে পাউরুটি
গোলাপ প্রজেক্ট চালু করতে পরামর্শ দিলাম!!
তাতে পেটও ভরবে আবার বিলাসিতাও করতে
পারবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: জীবনের মূল উদ্যোগ হলো পাওরুটি গোলাপ।