![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিমূর্ত অন্ধকারের ছবি নিয়ে নাগিবের ভীষণ শখ। গত তিন বছর ধরে শুধু অন্ধকারের ছবি এঁকেছে। বিভিন্ন রংয়ে সে অন্ধকারকে আবিস্কার করতে চেয়েছে। পৃথিবীর সব রং অন্ধকারে মিশে যায়। তবুও নাগিব চেষ্টা করে যায় অন্ধকারের আলাদা রং দিতে। মনের একান্ত গভীর থেকে উঠে আসা কোন ইচ্ছে। ব্যাপার টা নিয়ে অনেকেই তাকে পাগল ভাবে। নাগিব যখনই অন্ধকার আকাশের দিকে তাকায় তখনই মনেহয় গভীর অন্ধকার তাকে ডাকে
এমন করে অন্ধকারের অস্তিত্ব নিয়ে আর মনের ভাবনায় প্রায় অনেকগুলো ছবি একেছে।এমন করে গ্রামে গ্রামে গভীর অরণ্যে ঘুরে বেড়ায় আর অন্ধকারের অনুভুতি খুঁজে। একদিন রাতে নাগিব ঘুমের ঘোরে কোন এক নারীর দেখা পেল। সে যেন গভীর ভালবেসে তার চেনা অরণ্যে নিয়ে যাচেছ। কি গভীর অনুভুতির ছোয়াঁ। কিন্তু নাগিব তাকে দেখতে পায় না। সে বছর নাগিবের আঁকা ছবি চায়না চিত্রকলা প্রতিযোগিতায় সেরা পুরস্কার পেল। সব যেন সেই অন্ধকারের ছায়ার কারনে। দিনে দিনে নাগিবের কৌতুহল বেড়ে গেল। ছায়ামূর্তি কে দেখতে চাইলো। কিন্তু সেই অন্ধকার নিজে রাজি হয়না। প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে গভীর তন্দ্রায় কতো রকমের ভালবাসার গল্প হয়। দিনে দিনে অন্ধকারের ছায়ার প্রতি নাগিবের আসক্তি বেড়ে যায়। ভীষনভাবে অনুরোধ করে ।তবু ও ছায়া রাজি হয়না। তারপর কোন একদিন অন্ধকারের ছায়া মানব ভালবাসার কাছে পরাজিত হলো।
কিন্তু শর্ত হলো তাকে আঁকা যাবে না। তাকে দেখার পর নাগিবে চির চেনা সব পালটে গেল। কোন মানবী এতো সুন্দর হতে পারে! এক সপ্তাহ পর নাগিব প্রতিজ্ঞার কথা ভুলে গেল। নিজের ভুল মনে করে নিজের তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় দেখা ছায়া কে আঁকতে চেস্টা করলো। সেই অন্ধকারের সুন্দর ছায়ার ছবি আঁকা নিয়ে পাগল হয়ে উঠলো। সামনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আছে। ব্যতিক্রম কিছু তাকে করতেই হবে। ভাগ্য খুব কঠিন জিনিস। নিজের বাড়ির সামনেই রিকসার উপর গাছ ভেংগে পড়ে তরুন চিত্র শিল্পী নিহত হয়।পত্র পত্রিকায় অনেক শোক প্রকাশ হলো। দূর থেকে শুধু অন্ধকারে ছায়া মুচকি হাঁসে। আর দিনের আলোয় মিশে যায়। পৃথিবীর সব আলো যেমন স্পর্শ করতে নেই। সব অন্ধকার কে দেখতে নেই।অন্ধকারে সব হারিয়ে যায়।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩৮
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অবশ্য লোভ এবং প্রতিজ্ঞা ভাঙার পরিনতি। পৃথিবীর সব কিছু হয়তো আমরা জানি না।।।। আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল গল্পটি । দারুন একটি আইডিয়ার উপরে লিখেছেন । অন্ধকারাচ্ছন্য চিত্রের ভুবন থেকে ব্রাইটার চিত্রের দিকে একটি উত্তরণ ঘটিয়েছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত শিল্পী ভিনসেন্ট ভেন গগ । নীচে দেখা যেতে পারে ।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি লিখা উপস্থাপনের জন্য ।
বামের টা জাপানীজ শিল্পী হিরুসীর আঁকা, ডাানেরটা ভিনসেন্ট ভেন গগের আঁকা।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৭
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ড আলী আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকেও তথ্য জানতে পারলাম। আপনাদের প্রশংসা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৩
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প। ধন্যবাদ
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৬
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনাদের মন্তব্য গুলো সত্যিই আমাকে উৎসাহিত করে। ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পৃথিবীর সব আলো যেমন স্পর্শ করতে নেই। সব অন্ধকার কে দেখতে নেই।অন্ধকারে সব হারিয়ে যায়।
লাইনগুলো ভাল লেগেছে।
ঠিক গল্প মনে হয়নি, বড়জোড় গল্পের সারাংশ বলা যায়।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৮
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আমি তুমি আমরা, আপনাকে ধন্যবাদ। ঠিক বুঝতে পেরেছেন। গল্পটা চিটাগাং কোন এক অরন্যে বসে লিখেছিলাম। মানুষের জীবনে দু:খবোধ আর জীবনবোধ থেকেই আমার গল্প গুলোর উৎস।
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫২
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: অন্ধকার ভালবাসা নাগিবকে একজন নারীর ছায়া এভাবে অন্ধকারে ডুবিয়ে নিল ! এটা কেমন হল !
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অন্ধকার ভালোবাসা নয়। ভালোবাসাকে সামনে রেখে মানুষের মনের ভিতরের লোভ, প্রতিজ্ঞা ভংগ আর হেয়ালিপনাই ডুবিয়েছে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২০
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: নাগিবের এই করুণ মর্মান্তিক পরিণতি কি তার পণ ভঙ্গের কারণে? রহস্যময়তায় ভরা সংক্ষিপ্ত অথচ পরিপূর্ণ একটি গল্প। খুব ভালো লাগলো আর সাথে তরুণ শিল্পীর জন্য আফসোস! আর, আপনার জন্য শুভকামনা।